
প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া।১৪ই জানুয়ারি। তখন ১৯৯৮ সাল।রাজ্যের চারদিকে তখন সন্ত্রাসবাদীদের আসফালনে রাজ্যের মানুষের তটস্থ অবস্থা। বৈরী নামক হানাদারদের আক্রমণে রাজ্যে চারদিকেই তখন কোন সন্ত্রাস নিত্যদিনের ঘটনা। সন্ত্রাসবাদ কে উপেক্ষা করে ই রাজ্যের ধর্মপ্রাণ মানুষ মকর সংক্রান্তিতেj ডুম্বুরের মেলাতে জাতি জনজাতির মানুষ হিন্দু রীতিনীতি অনুযায়ী পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে। যা আজও চলে আসছে। সেই দিনের সন্ত্রাসবাদি দের হাত থেকে মেলায় অংশনীয় মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়া ছিল পুলিশের কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই সময় ডুম্বুরের পৌষ সংক্রান্তি মেলার চাপ কমানোর উদ্দেশ্য নিয়েই চাকমাঘাটে খোয়াই ব্যারেজ প্রাঙ্গনে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন এমডিসি হরিমোহন দেববর্মার হাত ধরে পৌষ সংক্রান্তি মেলার এখানে সূচনা হয়েছিল। দেখতে দেখতে চব্বিশটি বছর কেটে গেল। আজ বিকাল চারটায় চাকমাঘাট বেরেজ প্রাঙ্গনে ২৪ তম পৌষ সংক্রান্তি মেলার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডক্টর অতুল দেববর্মা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি হরিশংকর পাল, তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার তেলিয়ামুরার মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। মেলা চলবে সারা রাত্র ব্যাপী। মূলত খোয়াই জেলা ধোলাই জেলা এবং ঊনকোটি জেলা থেকেই চাকমাঘাট বেরিজ প্রাঙ্গনে পুর্নার্থীরা বেশি আসে। রাত্র যত গভীর হতে থাকে খোয়াই নদীতে স্নান করে পূর্ণার্থীরা পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে। কেউবা অস্তি বিসর্জন করে। ব্যারেজের একপাশে থাকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের স্টল। ব্যারেজের অপর পাশে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা রাত থেকেই লোকে লোকারণ্য। মেলায় তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সারা রাত্র ব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। এই মুহূর্তে চাকমাঘাট খোয়াই ব্যারেজ প্রাঙ্গণে জাতির জনজাতি উভয় অংশের মানুষের উপস্থিতিতে পৌষ সংক্রান্তি মেলা যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।