Home » গন্ডাছড়ার গ্রামাঞ্চলে বুড়িঘর, আনন্দে কচিকাঁচারা

গন্ডাছড়ার গ্রামাঞ্চলে বুড়িঘর, আনন্দে কচিকাঁচারা

by admin

প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৩ জানুয়ারি:- পৌষ সংক্রান্তি হিন্দু বাঙালির চিরাচরিত সংস্কৃতির বিশেষ উৎসব। বলা চলে বাঙালির তেরো পার্বণের অন্যতম পার্বণ। বাংলা পৌষ মাসের অন্তিমদিনে এই উৎসবকে অনেকে মকর সংক্রান্তি হিসাবেও পালন করে থাকে। সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষ যতোই এগিয়ে যাচ্ছে হারিয়ে যেতে বসেছে চিরাচরিত সংস্কৃতির। হারিয়ে যাচ্ছে পুরানো রীতি রেওয়াজ। আগের মতো এখন আর পৌষ সংক্রান্তির তেমন জৌলুস, আমেজ নেই। তবু গ্রামাঞ্চলে আবেগ উচ্ছ্বাসকে অনেকটাই আগলে রেখে প্রতিটি ঘরে ঘরে রাত জেগে পিঠেপুলি বানানো হয়। কচিকাঁচারা জমির পাকাধান কাটা শেষে নাড়া কেটে বুড়ির ঘর বা ভেলাঘর তৈরি করে। বুড়ির ঘরেই রান্নাবান্না করে খাবার বানিয়ে পিকনিক করা, নাচ গানের আসর বসানো হয়ে থাকে। পুরোনো রীতি রেওয়াজ সংস্কৃতির টানে আজও চোখে পড়ে গন্ডাছড়া মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় নানাবিধ কর্ম প্রচেষ্টার। মঙ্গলবার পঞ্জিকা মতে মকর সংক্রান্তি। কিন্তু সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দৃশ্যায়িত হচ্ছে চিরাচরিত সংস্কৃতিক বুড়ির ঘর। পৌষ পার্বণে বুড়ির ঘর বানানোর আনন্দ উল্লাসের দৃশ্য আমাদের ক্যামেরায় বন্দী করা হয়েছে। কচিকাঁচা থেকে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীরাও বুড়ির ঘর তৈরি করে চলেছে। সোমবার দিবারাত্র এই বুড়ির ঘরে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়ার কোনো খামতি থাকছে না। অনেক এলাকাতেই বয়স্করাও বুড়ির ঘরে কীর্ত্তনের আসর, হরির লুঠের আসর বসে। কনকনে শীতের মরশুমে এই পার্বণে বিভিন্ন প্রকৃতির বুড়ির ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানের আধুনিকতার ছোঁয়ার মাঝেও হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির বাহারিয়ানায় গ্রামীণ মানুষের অবদান ও ভূমিকা অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। পৌষ পার্বণ মানেই আলাদা একটা অনুভূতি। এই পার্বণের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আলাদা বন্ধন, একাত্ম হয়ে বুড়ি ঘর, নগর কীর্তন, লুট ধরা, বাড়ি বাড়ি পিঠে পুলির নিমন্ত্রণ, আরো কত কি আনন্দ। বুড়ি ঘরে সারারাত ব্যাপী হৈ-হুল্লোড় শেষে রাত্রিযাপনের পরদিন ভোরে বুড়ি ঘর পুড়িয়ে সবাই পূণ্যস্নান করা। মকর সংক্রান্তির সকালে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা।

You may also like

Leave a Comment