প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৩ ডিসেম্বর।। দুয়ারে কড়া নাড়ছে ভোট। রাজনৈতিক দলগুলি ময়দান মুখী হচ্ছে। প্রচার এবং জনসম্পর্কে শাসক দল বিজেপি বেশ এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো ভোটের মুখে আন্দোলনের নাম করে বিশালগড় মহকুমায় বেশ কয়েকটি বিশৃঙ্খলা কান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। বোমাবাজি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দৌড়ঝাঁপ হয়েছে। মামলা হয়েছে। পালিয়ে বেড়াচ্ছে আসামীরা। ধরা পড়েছে কয়েকজন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে যৌথ বাহিনীর রোড মার্চ হয়েছে। চোর ছিনতাইকারী নেশা কারবারিরা গর্তে লুকচ্ছে। এবার সবগুলি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস। মঙ্গলবার এসডিপিও অফিসে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস তৃণমূল তিপরা মথার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মতামত দিতে গিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টি। অনুশাসন মেনে কাজ করে কার্যকর্তারা। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে কাজ করুক। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নাম করে বিশালগড়ে কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। এগুলো নিন্দনীয়। তিনি বলেন বিরোধী দলের কাজ করতে অসুবিধা হলে আমরা সহযোগিতা করবো। কিন্তু কেউ অশান্তি সৃষ্টি করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করবেন না। সিপিএম মহকুমা সম্পাদক প্রার্থপ্রতিম মজুমদার সকল দলের প্রতিনিধি নিয়ে একটি শৃঙ্খলা কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। যাতে ছোট খাটো ঘটনা নিজেদের মধ্যে বসে সমাধান করা যায়। কংগ্রেসের জাকির হোসেন বলেন পঁচিশ বছর কোন রাজনৈতিক সন্ত্রাস হয়নি। মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছে। উনার এই মন্তব্যে হাসির রোল পড়ে যায়। শেষে বিজেপি জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন এখন মানুষ শান্তিতে রয়েছে। বাম আমলে বিশালগড়ে দুই জন বিধায়ক হত্যা হয়েছে। চড়িলামে দেলোয়ার হোসেন, গোলাঘাটির জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ, বিশালগড়ের ফুরকান কাজি, কমলাসাগরের বীরলাল সরকারকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। যা-ই হোক পুরনো কথা আমরা তুলতে চাইনা। এবার আগামী দিনে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সবাই মিলে কাজ করতে হবে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস বলেন আপনারা অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি নেবেন। কোথায় কত সংখ্যক লোক সমাগম হবে তা জানাবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পুলিশ টিএসআর মোতায়েন থাকবে।
117