প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১১ নভেম্বর।। গল্পের গরু গাছে চড়ানোর অবস্থা। বিশালগড়ের বদনাম করতে সক্রিয় দুষ্টচক্র। শান্তি এবং উন্নয়ন বিরোধী দুষ্টচক্র প্রতিনিয়ত বিশালগড়কে নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। বিশালগড় বাইপাস সড়কে ছিনতাইয়ের গল্প ছড়িয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে । এমনকি মঞ্চস্থ করা হচ্ছে ছিনতাইয়ের নাটক। প্রচার করে দেয়া হচ্ছে মিডিয়ায়। এমনকি কমলাসাগরের গোকুলনগর কিংবা চড়িলামের সিপাহীজলা নৌকা ঘাট এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিশালগড় বাইপাস সড়কের নাম। প্রতিনিয়ত অপপ্রচারে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার রাতে আগরতলার প্রতাপঘরের গাড়ি চালক রামু সরকার বিশালগড় থানায় গিয়ে ছিনতাই এর অভিযোগ করেন। রামু সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছিনতাইয়ের খবর প্রচার হয়। যথারীতি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয় পুলিশ । সেদিন রাতে অভিযোগকারী রামু সরকার মদমত্ত অবস্থায় ছিলেন। নেশা কেটে যাওয়ার পর পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে সে। রামু সরকার স্পষ্টভাবে পুলিশ এবং সাংবাদিকদের জানান ছিনতাইয়ের ঘটনাই ঘটেনি। সে বাইপাসে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে। মাতাল রামু সরকার নিজের মোবাইল এবং টাকা কোথায় হারিয়ে ফেলে বলতে পারছেনা। এ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বচসা হয়। শনিবার দুপুরে রামু সরকার থানায় গিয়ে জানান তার কোন অভিযোগ নেই। গতকাল মদের নেশায় সে কি বলেছে তা নিজেই জানেনা। এরপর পুলিশ তাকে ব্যাক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেয়। বিশালগড় থানার ওসি তাপস দাস জানান পুলিশ অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করে। অভিযোগকারী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। যাদের সঙ্গে সে মদ্যপান করেছে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা ওঠে আসে। ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল সম্পুর্ন মিথ্যা। ওসি তাপস দাস জানান বাইপাস সড়কে রাতের বেলায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে । নিয়মিত নাকা চ্যাকিং হচ্ছে। যে সকল নেশাখোররা চুরি ছিনতাই কান্ডে যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
138
previous post