প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। এই আইনে কারোরই ক্ষতি হবে না। বৃহস্পতিবার বিশালগড়ে চৌপাল বৈঠকে বললেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নানান কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম চলো অভিযান এবং চৌপাল বৈঠক। বৃহস্পতিবার বসন্তের পড়ন্ত বিকালে বিশালগড়ের প্রভুরামপুর পঞ্চায়েত মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। চৌপাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, বিধায়ক সুশান্ত দেব, পৌর পরিষদ চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, মন্ডল সভাপতি তপন দাস, মন্ডল প্রভারী অমল দেবনাথ প্রমুখ। বাঁশ খড় দিয়ে সবুজ ধান ক্ষেতের পাশে পুকুর পাড়ে বানানো হয় অস্থায়ী চৌপাল মঞ্চ। বসন্তের পড়ন্ত বেলায় হিমেল হাওয়ার স্পর্শ গায়ে মেখে নেতাদের বক্তব্য শুনেন উপস্থিত আবালবৃদ্ধবনিতা। ভাষণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন বর্তমানে ওয়াকফ আইন এবং এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে চর্চা হচ্ছে। কংগ্রেস সিপিএম সহ বিরোধী দল গুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সিএএ নিয়েও বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। এবার ওয়াকফ নিয়ে বিভ্রান্ত করছে। তিনি বলেন বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। ওয়াকফ আইনে কোন সংখ্যালঘুর ক্ষতি হবে না। বরং এতে সকল সংখ্যালঘুদের কল্যাণ হবে। এই আইনে সংখ্যালঘুদের ধার্মিক বিষয়ে কারোর হস্তক্ষেপ থাকবে না। হাতে গোনা কয়েকজন ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার করে বাঁকা পথে রোজগার করতো। জমি দখল করে বিক্রি করতো। এবার এই জমি দেখবাল করবেন জেলা শাসক। এতে সংখ্যালঘুদের জমি সুরক্ষিত থাকবে। আঠারো নির্বাচনের আগে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করেছিল সিপিএম। ৩৫ বছরে এ রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কোন উন্নয়ন করেনি। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের সংখ্যালঘুদের কোন ক্ষতি হয়নি। সরকার এসব সবকা বিকাশ নীতিতে সকলের কল্যাণে কাজ করছে। এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন স্বাধীনতার পর একই সঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন হতো। কংগ্রেসের কারণে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সময় এবং সরকারি অর্থ অপব্যয় হত। এক দেশ এক নির্বাচন চালু হলে খরচ এবং সময় দুটিই বাঁচবে। এতে রাষ্ট্রের কল্যাণ হবে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠার পর সকল সরকারি সুবিধা অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এই প্রভুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা সিসি রোড করা হয়েছে। জমিতে সেচের জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শস্য শ্যামলায় ভরে উঠেছে এই প্রভুরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সিপিএম একসময় এই অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এখানকার সংখ্যালঘুর বুঝতে পারছে কারা সংখ্যালঘুদের শত্রু। সিপিএমের আমলে এ এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে উন্নয়নের পাশাপাশি সকল অংশের মানুষের আর্থসামাজিক কল্যাণ ঘটছে। এদিন গ্রাম চলো অভিযানের অঙ্গ হিসেবে গ্রামের কয়েকটি কৃষি জমিতে পরিদর্শন করে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর জল সেচের বন্দোবস্ত করায় এই এলাকার চাষীরা অত্যন্ত খুশি। সবুজে ফসলে ভরে উঠেছে কৃষি জমি। অপরদিকে চড়িলাম মন্ডল আয়োজিত গ্রাম চলো অভিযানের অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলেমিশে এ রাজ্য কৃষক শ্রমিক যুবক সকল অংশের মানুষের সর্বনাশ করেছে। ১০৩২৩ শিক্ষকের চাকরিচ্যুতি সিপিএমের পাপের ফসল। বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছে সিপিএম। আদালতে মামলা করেছে কংগ্রেসের নেতা। এতদিন তারা মিলে মিশে সরকার চালিয়েছে। গত নির্বাচনে তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এদের আবার সুযোগ দিলে রাজ্যের সর্বনাশ করবে। কংগ্রেস এবং সিপিএম ওয়াকফ আইন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের রাজনৈতিকভাবে ধূলিসাৎ করা হবে। সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি তাপস দাস।
128