প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে কাকরাবন ইচাছড়া বাজারে প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার দুপুর একটায় । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস , গোমতী জিলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবল দেবরায়, কাকরাবন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুপ্রিয়া সাহা ও বিশিষ্ট সমাজসেবী অভিষেক দেবরায় সহ প্রমূখ । প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারটি তৈরি করতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৭০ টাকা । একই দিনে কৃষিমন্ত্রী তুলামুড়ায় গ্রামভিত্তিক কৃষক পরামর্শ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন । নতুন দালান বাড়িটি তৈরি করতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৪৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩০০ টাকা । প্রাথমিক গ্রামীণ বাজার ও গ্রামভিত্তিক কৃষক পরামর্শ কেন্দ্রের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে তার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী । পরবর্তী সময়ে দুটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের সময়কালে সারা রাজ্যে কৃষকদের উন্নতির জন্য বিশেষ করে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৫০টির উপর দালান বাড়ি নির্মিত হয়েছে । বর্তমান কাকরাবন এলাকাটি কৃষি প্রধান এলাকা । পাঁচ বছরের সময়কালে কাকরাবন এলাকায় সব থেকে বেশি সরকারি প্রকল্পের কাজ দিয়েছে বর্তমান সরকার । এদিন কৃষিমন্ত্রী বলেন , দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হারে বাড়ানোর জন্য । সেই সাথে সময় নির্ধারিত করেছেন ২০২২ – ২০২৩ । দেশে ১৩০ কোটি মানুষ বসবাস করছে এর মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবীর সাথে জড়িত । যদি কৃষকদের কে শক্তিশালী করা যায় তাহলে বর্তমান ভারতবর্ষ শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াবে । প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা চিন্তা ধারায় বর্তমান সরকার কাজের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে । প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে ৬ হাজার টাকা করে। ২ লক্ষ ৪৩ হাজার কৃষককে ৫১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে । এদিকে রাজ্য সরকার ফসল বীমা যোজনায় কৃষকদের জন্য প্রতিকানিতে ২১০ টাকা করে । বর্তমান সরকারের আমলে এই রাজ্যে কৃষকদেরকে ১৩ শ ৮৬ কোটি লোন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত সরকার কোনদিন কৃষকদের নিয়ে উদার মানসিকতা দেখায়নি । সে সময় কৃষকদের রক্ত চুষে খেয়েছে তৎকালীন সরকার । বর্তমান সরকার নারীদের জন্য পুলিশের দশ শতাংশ চাকরি ব্যবস্থা করে দিয়েছে । সে সাথে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ দিয়েছে মহিলাদের জন্য । এই সরকার পাঁচ বছরে অভূতপূর্ব এক উন্নয়ন করেছে গোটা রাজ্য জুড়ে । এদিন মন্ত্রী তার ভাষণে সরকারের উন্নয়নের কাজকর্মের খতিয়ান তুলে ধরেন সাধারণ মানুষের সামনে । কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে এই দুইটি অনুষ্ঠানেই গ্রামীণ কৃষকদের উপস্থিতি ছিলো সাড়া জাগানো ।