প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৯ এপ্রিল:- সব্জি সংগ্রহ করতে গিয়ে সরমা নদীর জলে তলিয়ে যাওয়া দুই শিশুর নিথর দেহ রবিবার উদ্ধার করল এনডিআরএফ এর কর্মীরা। এদিন সকাল ছয়টা থেকে এনডিআরএফ এর কর্মীরা শর্মা নদীতে উদ্ধার কাজে নামে। অবশেষে দুপুর প্রায় বারোটা নাগাদ জল থেকে শিশু দুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে। পরে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা শিশু দুটিকে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বিজেপি রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা মন্ডল সম্পাদক আদিত্য সরকার, কিষান মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার প্রমুখরা। নেতৃত্বরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে এবং পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য গত শনিবার দুপুর নাগাদ শান্তি মালা চাকমা (১২) এবং সীমা চাকমা(৭) বছরের দুই শিশু শাকসব্জি সংগ্রহ করতে সরমা নদীর পাড়ে যায়। কোন একটা সময় সবজি খুঁজতে খুঁজতে তারা নদীর ওপার চলে যায়। সেখান থেকে শাক সবজি সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথে প্রথমে শান্তি মালা চাকমা সবজির বালতি নদীর এপারে নিয়ে আসে। এরপর সীমা চাকমা কে নিয়ে আসার জন্য আবারও নদীর ওপার যায়। সেখান থেকে সীমা কে পিঠে করে নদী পাড় ওয়ার সময় দুজনই নদীতে তলিয়ে যায়। অনেকটা দূর থেকে গ্রামের এক মহিলা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে পরিবারের লোকজনদের খবর দেয়। এরপরেই গ্রামের মানুষ শুরু করে খুঁজাখুঁজি। এরই মাঝে খবর দেওয়া হয় গন্ডাছড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে। এরপর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাদের কোন খোঁজ পায়নি। অবশেষে দীর্ঘ ২২ ঘন্টার পর এনডিআরএফ এর কর্মীরা শিশু দুটির নিথর দেহ জল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জানা যায় শান্তি মালা চাকমার বাবার নাম বক্রসেন চাকমা, বাড়ি বৃসকেতু পাড়া, এবং সীমা চাকমার বাবার নাম লক্ষী বিকাশ চাকমা, বাড়ি ঠাকুরাছড়া। তারা দুজনেই জমিয়া, জেলে পরিবারের। সীমা চাকমা বৃষকেতু পাড়ায় তার এক নিকট আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে আসে। আর সেখানেই তার এই মর্মান্তিক ঘটনা পরিবারের সদস্যরা কোন মতেই মেনে নিতে পারছে না। এই বেদনাদায়ক খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সব্জি সংগ্রহ করতে গিয়ে সরমা নদীর জলে তলিয়ে যাওয়া দুই শিশুর নিথর দেহ রবিবার উদ্ধার করল এনডিআরএফ এর কর্মীরা।
by admin
written by admin
113