প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ৮ই ডিসেম্বর।ধামাইল আমাদের গ্রাম ত্রিপুরা বা গ্রাম বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতির সাথে ঐতিহ্যগতভাবেই জড়িত। আধুনিক এই সময়েও প্রায় প্রতিটা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে ধামাইল গুরুত্বের সাথে তার স্থান করে নেয়। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই কালের বিবর্তনে এই চিরাচরিত ঐতিহ্যশালী ধামাইল বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে বা অনেকটাই বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর ধামাইলকে পুন: জাগরিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো তেলিয়ামুড়াতে রাজ্যভিত্তিক ধামাইল উৎসব এবং মেলা শুরু হয়েছে। ব্যাপক সারম্বরে এবং সাধারণ মানুষের উচ্ছাসকে পুঁজি করে দুদিনব্যাপী ধামাইল উৎসব এবং মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন-পর্ব আজ সম্পন্ন হয় তেলিয়ামুড়ার চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে। এই মহতী অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নিচ্ছে শিল্পীরা।আজ দুপুর একটায় সংস্কৃতি অনুরাগীদের সাথে রেখে উদ্বোধনী পর্বকে আলোকিত করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই জেলার জেলাশাসক চাঁদনী চন্দ্রন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ভাইস চেয়ারমেন সব্রত চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বক্তবা রাখতে গিয়ে মুখ্য সচেতক কল্যানী সাহা রায় বলেন,আমাদের জাতির বা সভ্যতার এগিয়ে চলার পথে ধামাইলের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অপরিসীম। আধুনিক সময়ে যাতে কোনভাবেই ধামাইলের মত ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতি হারিয়ে না যায়, তার জন্য রাজ্য সরকার এই যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে ইতিবাচক ফল বহন করে আনবে এই আশা প্রকাশ করার পাশাপাশি কল্যানী সাহা রায় আগামী দিনে সকলের সহযোগিতায় এই প্রকারের উদ্যোগগুলো বাস্তবের মাটিতে সাফল্যমন্ডিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও এই আয়োজন মঞ্চে ব্যাপক উৎসাহের সাথেই গোটা খোয়াই জেলার বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের দ্বারা কবি সম্মেলন এবং আলোচনা সভা যেমন আয়োজিত হয়, ঠিক একই রকম ভাবে কবি গানের আসর, সবমিলিয়ে বলা চলে দুদিনের এই জম জমাটি আয়োজন থেকে অন্য বার্তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাজ্য সরকার তথা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।