30
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৭ জানুয়ারি ।। ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষামুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১০০ দিনের মধ্যে যক্ষা মুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প নেয়া হয়েছে । গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা রাজ্যেকে ১০০ দিনের মধ্যে যক্ষা মুক্ত করার ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন । এরপর থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে যক্ষামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সেই কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা চলছে জেলা ভিত্তিক। মঙ্গলবার সিপাহীজলা জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে জেলার পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ড: সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দেবাশীষ দাস সহ দুই মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক, সকল পি এস সি ইনচার্জ, জেলার সবগুলি ব্লকের বিডিও এবং লাইন দপ্তরের আধিকারিকরা। সরকার বিনামূল্যে যক্ষার পরিক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা প্রদান করছে। এছাড়া পিএম নিক্ষয় যোজনায় মাসে ১০০০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। যক্ষার লক্ষণ যাদের শরীরে রয়েছে তাদের দ্রুত পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে জেলার সবগুলি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। রাজ্যে রক্ষায় মৃত্যুর হার ৬.১২ শতাংশ। সিপাহীজলা জেলায় মৃত্যুর হার সাত শতাংশ। গোমতী জেলায় সর্বাধিক দশ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে। সঠিক সময়ে রক্ষা সনাক্তকরণ করে চিকিৎসা সম্পন্ন করতে পারলে যক্ষার মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য এর জন্য রোগীদের ১ হাজার টাকা করে প্রদান করছে সরকার। এছাড়া যক্ষায় আক্রান্ত রোগীদের নিক্ষয় মিত্র হিসেবে নিযুক্ত হয়ে বহু গুণীজন প্রতিমাসে রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করছেন। এদিন জেলাশাসক ডাক্তার সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দেবাশীষ দাস দুইজন যক্ষা আক্রান্ত রোগীর জন্য নিক্ষয় মিত্র হিসাবে পুষ্টিকর খাদ্য তুলে দেন। এছাড়া সমাজের বিভিন্ন অংশের নাগরিকদের কাছে নিক্ষয় মিত্র হিসেবে রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান জেলাশাসক ডাক্তার সিদ্ধার্থ শীব জয়সওয়াল।