প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ঐতিহ্যবাহী শিশু নিকেতন হাই স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের গৌরবময় মুহূর্তকে বর্ণময় করে তুলতে গুচ্ছ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি।১৯৭৫ সালের ১৪ই নভেম্বর বেসরকারি উদ্যোগে বর্তমান ডাক বাংলোর নিকটস্থ স্থানে শিশু নিকেতন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নামে যাত্রা শুরু করে।যা ছিল কৈলাসহরের প্রথম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।২০০৬ সালে সরকারি অনুদানকৃত বিদ্যালয়ে উন্নীত হয় শিশু নিকেতন হাই স্কুল।শিশু নিকেতন বিদ্যালয় সূচনা লগ্ন থেকেই বহু শিক্ষানুরাগী এবং সমাজ সচেতন নাগরিকদের সহায়তায় একটু একটু করে সমৃদ্ধ হয়েছে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,তৎকালীন সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় বর্তমানে ভগিনী নিবেদিতা উচ্চতর বিদ্যালয় এর প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা যোগমায়া রাহা,সমাজসেবী চুনী লাল ঘোষ,তৎকালীন জেলাশাসক অরবিন্দ পন্ডিত এবং উনার স্ত্রী নেত্রা পন্ডিত উনাদের দরাজ সহযোগিতায় এই বিদ্যালয় তার পথ চলা শুরু করেছিল।পরবর্তী সময়ে ১৯৮৭ সালে স্থান পরিবর্তন করে বর্তমান স্থানে বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল।ছন বাঁশের চালা ঘর তৈরি করে পঠন পাঠনের কাজ শুরু হলেও একসময় প্রবল ঝরে স্কুলটি ভেঙে যায়।সেই সময় সমাজের অন্যতম ব্যক্তিত্ব তথা শিক্ষাব্রতী এডভোকেট গিরিজা ভদ্র,প্রাক্তন শিক্ষক রাখাল মজুমদার,অধ্যাপক সুব্রত সেনগুপ্ত,প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী প্রমূখ ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তায় বিদ্যালয়টি পুনরায় নির্মাণ হয় এবং অনেক চড়াই উতরাই অতিক্রম করে আজ প্রজন্মের দীর্ঘ তপস্যাপথ পাড়ি দিয়ে পঞ্চাশ বছরের উত্তরাধিকার শিশু নিকেতন হাই স্কুল।এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপনকে সামনে রেখে আগামী ১৪ই নভেম্বর থেকে ১৮ই নভেম্বর অব্দি বিবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।১৪ই নভেম্বর পাঁচ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন ত্রিপুরা সরকারের সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এরপর শহরের রাজপথে অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য রেলি।৫০ বছরের এই উদযাপনকে সামনে রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,ক্রীড়া কর্মসূচি,সামাজিক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান সহ বর্ণময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।তার মধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের উপর সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ,প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, কুইজ এবং দাবা প্রতিযোগিতা,বসে আঁকো প্রতিযোগিতা,প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ,স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা সহ অনেকগুলো কর্মসূচি রূপায়িত হবে সুবর্ণজয়ন্তীর এই বর্ণময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।অনুষ্ঠানের সমাপনী সন্ধ্যায় অর্থাৎ ১৮ই নভেম্বর রাজ্য এবং বহিঃ রাজ্যের শিল্পীদের বিশেষ গানের অনুষ্ঠান রয়েছে বলে সামগ্রিক তথ্য সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোজ দাস।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রাক্তন সভাপতি সমীর ভট্টাচার্য এবং এলামনি এসোসিয়েশনের কনভেনার দীপ্তনয় ঘোষ ও ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অরূপ দেব চৌধুরী।
47
previous post