Home » নারী সুরক্ষা ও স্বনির্ভরতা সরকারের মূল লক্ষ্য : টিংকু

নারী সুরক্ষা ও স্বনির্ভরতা সরকারের মূল লক্ষ্য : টিংকু

by admin

প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মহিলা ক্ষমতায়ন মহিলাদের স্বশক্তিকরন এবং নারীদের নিরাপত্তা,নারীর সম্মান ও নারী স্বনির্ভরতা বিষয়কে সামনে রেখে ‘মিশন শক্তি’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০শে সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে কৈলাসহর সার্কিট হাউসে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান চপলা দেবরায়,জেলা শাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা,অতিরিক্ত জেলাশাসক অর্ঘ্য সাহা এবং এল ডার্লং,সিডব্লুসি চ্যায়ারম্যান রেবা দাস,জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার এবং ডিস্ট্রিক্ট ফেমিলি ওয়েলফেয়ার অফিসার ডাঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ এবং এসিডিআর উৎপলেন্দু দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা।অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি বইয়ের উন্মোচন করা হয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় যে সমস্ত দিব্যাঙ্গজন ছাত্র-ছাত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও পড়াশোনা করার যে অদম্য ইচ্ছা তার প্রতি সম্মান জানিয়ে দপ্তরের তরফ থেকে তাদের শংসাপত্র এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।এরপর ডিস্ট্রিক্ট হাব ফর এম্পাওয়ারমেন্ট অফ ওমেন এবং ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রটেকশন ইউনিটের তরফে দুটো শর্ট ভিডিও প্রকাশ করা হয়।যার মধ্য দিয়ে সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন ইউনিটের উদ্যোগে শিশু সুরক্ষা এবং শিশুশ্রম প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।মূলত গার্হস্থ হিংসা,যৌতুক, বাল্যবিবাহ,অনৈতিক পাচার, যৌন হয়রানি,নারী ও শিশু অধিকার এবং নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়কে নিয়েই মিশন শক্তি প্রকল্প মিশন মোডে কাজ করে চলেছে গোটা রাজ্যে।তার-ই অঙ্গ হিসাবে আজ ঊনকোটি জেলার জেলা সদরে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তর ও শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন বাল্যবিবাহ এই জেলার মানুষের কাছে একটি সামাজিক থ্রেড।রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে এই জেলায় বাল্যবিবাহ এবং টিনেজ প্রেগনেন্সির সংখ্যা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড় করাচ্ছে।এই সংখ্যাটি ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে জাতীয় স্তরে লজ্জিত হতে হচ্ছে সকলকেই।সে কারণে সকল দপ্তর সমন্বিত হয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রচার এবং প্রসারে জোর দিতে হবে এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সামাজিক ক্ষেত্রে যে বা যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে মন্ত্রী শ্রী রায় বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কোন গর্ভবতী মা প্রথম বাচ্চা প্রসব করার পর পাঁচ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় বাচ্চা প্রসবের পর এককালীন ৬ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে ২০১৯ থেকে চলতি বছর অব্দি ২১ হাজার গর্ভবতী মহিলাদের এই সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হলেও সে ক্ষেত্রে প্রায় ছয় হাজার গর্ভবতী মহিলাদের এই সুযোগ প্রদান করা সম্ভব হয়নি টিনেজ প্রেগনেন্সির জন্য।তিনি বলেন প্রতিটি স্কুলের ছাত্রীদের কক্ষগুলোতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিছু সচেতনতামূলক বার্তা ক্লাসরুমে পোস্টারিং করার জন্য এবং বিভিন্ন ওয়াটসএপ গ্রুপ তৈরি করে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।যাতে করে কোন ছাত্রী যদি ৫-৬ দিন ধরে স্কুলে না আসে সেক্ষেত্রে স্কুল কমিটি এবং অন্যান্য ভাবে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর করা এবং নেতিবাচক কোনো বিষয় সামনে আসলে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে কাউন্সিলিং করার পরামর্শ দেন তিনি। সেক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সম্ভব বলে আশাবাদী মন্ত্রী। মহিলা ক্ষমতায়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার পরিবর্তনের পর মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের বিষয়টি মাথায় রেখেই টিআরএলএম প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি স্ব-সহায়ক দল গঠন করা হয়েছে যার মধ্য দিয়ে ১২শো কোটি টাকা শুধুমাত্র মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য ব্যয় করেছে সরকার।আজকের এই সেমিনারের মধ্য দিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন দপ্তর একত্রিত ভাবে প্রচারে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

You may also like

Leave a Comment