প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। জনজাতিদের বিভ্রান্ত করে ভোটব্যাংক স্ফীত করার চেষ্টা বহুবার হয়েছে। এতে কিছু রাজনীতির কারবারী সাময়িক সফলতা পেলেও পরবর্তী সময়ে তারা অস্তিত্বহীন হয়ে গিয়েছে। এরই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে পাহাড়ে। তিপরা মথা সহ বিরোধীরা সাইনবোর্ড টিকিয়ে রাখতে পারবে কি-না সন্দেহ প্রকাশ করছে সাধারণ জনজাতিরা। লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার আগেই দলবদলের হিড়িক লেগেছে পাহাড়ে। টাকারজলা বিধানসভার জনজাতিরা আঞ্চলিক দলের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে দল ছাড়তে শুরু করেছে ।
রবিবার ২৩০ জন ভোটার বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। রবিবার প্রথমে জম্পুইজলা আর ডি ব্লকের অন্তর্গত খামতিংবাড়ি বাড়িতে বিজেপির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, এমডিসি বিদ্যুৎ দেববর্মা, টাকারজলা বিজেপি মন্ডল সভাপতি রবীন্দ্র দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। সভায় নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গুলি আলোচনা করেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। এরপর টাকারজলার হাতাইকতর এলাকায় বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৮০ পরিবারের ২৩০ ভোটার বিভিন্ন দলত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা নবাগতদের বরণ করে নেন। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন জনজাতিদের উন্নয়ন করতে পারে একমাত্র বিজেপি। সিপিএমের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়েছে বিজেপি। ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের সুফল জনজাতি মহল্লায় পৌঁছে যাচ্ছে। যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনীতি করে তারা হারিয়ে যাবে। কাজেই উন্নয়নে স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করার জন্য আবেদন জানান তিনি।
রাজনীতি
বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রবিবার বিকেল তিনটায় উদয়পুর রাজর্ষি কলা কেন্দ্রে । প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে বুদ্ধিজীবী সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , ভারত সরকারের ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে স্বাগত ভাষণ রাখেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় থেকে শুরু করে ত্রিপুরা বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী । পরে উদ্বোধক তথা মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা ভাষন রাখতে গিয়ে বলেন , ১৯৭৫ সালের ২৫ শে জুন ভারতবর্ষে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা । যা গোটা ভারতবর্ষকে লজ্জিত করেছে সে সময় গোটা বিশ্বের কাছে । সেই জরুরি অবস্থার প্রভাব এবং অভাব এই রাজ্য পড়েছিল তৎকালীন সময় । তৎকালীন সময়ের মুখ্যমন্ত্রী সুখুময় সেনগুপ্ত । উনার সাথে যারা ছিল সে সময় তারাও আতঙ্কে আতঙ্কিত ছিল । এই জরুরি অবস্থা চলাকালীন সময় বহু নেতা-নেত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছিল । তৎকালীন সময় সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ পর্যন্ত করা হয়েছিল । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , ১৯৮৮ সালে রাজ্যে জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । সরকারে আসার পর থেকে গোটা রাজ্যে পাঁচ বছরে গোন্ডা রাজ তৈরি করেছিল তৎকালীন সরকার । নাম না করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র লুঠ হয়েছে ,সেই সাথে কেরলে একই কায়দায় গণতন্ত্র সেখানো লুট হয়েছে । ১৯৭৫ সালের পর থেকে বিভিন্নভাবে গণতন্ত্রকে কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে রাজ্যের বুকে । ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজ্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ থেকে মুক্তি দেয় রাজ্যবাসীকে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , ত্রিপুরায় কৃষি ক্ষেত্রে পিএম কৃষাণ যোজনায় ২ লক্ষ ৪৭ হাজারেরও বেশি কৃষককে ৬০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে । তাতে ব্যয় হয়েছে ৫৫৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা । প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় প্রায় ১০ দশমিক ০৮ লক্ষ কৃষককে বীমার আওতায় আনা হয়েছে । রাজ্যের বাজেট থেকে প্রিমিয়াম দেওয়া হচ্ছে তাতে খরচ হচ্ছে কুড়ি কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে । এছাড়া কৃষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তিন লক্ষ ৭ হাজার কৃষককে কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছে । যার আর্থিক খরচ ১হাজার৫৩০ কোটি টাকা । অপরদিকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন । ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যের বুকে ১৩ লক্ষ আয়ুষ্মান কার্ড বিলি করা হয়েছে । এরমধ্যে ২ লক্ষ সেটেল করা হয়েছে । তাতে ১৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে । এছাড়া এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়েও তুলে ধরেন বুদ্ধিজীবীদের সামনে । রবিবারে বিকেলে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতৃত্বরা এই বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন । উদয়পুর রাজর্ষি কলা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটো সাঁটো।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও বিভিন্ন জেলার সাথে মহকুমা গলিতে চলছে শাসক দল বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান প্রতিটি বুথে । ছুটির দিন রবিবার সকালে উদয়পুর রাজারবাগ ১৫ নং ওয়ার্ডের ৩৯ নং বুথে প্রতিটি বাড়িতে জনসম্পর্ক অভিযান করেন ৩১ রাধাকিশোরপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস । এই জন সম্পর্ক অভিযানের সাথে ছিলেন উদয়পুর পৌর পরিষদের সহকারী চেয়ারম্যান প্রদীপ দেবনাথ, কিষান মোর্চার জেলা সভাপতি সহ মহিলা মোর্চার নেতৃত্বরা । বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানকে কেন্দ্র করে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বলেন , ২০২৪ সালের দেশের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও জয়লাভ করবে নরেন্দ্র মোদি । তিনি বলেন , ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের পর জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা হ্রাস পেয়েছে । এছাড়া ডিজিটাল লেনদেনে ভারত বিশ্বের এক নম্বরে পরিণত হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কল্যাণে । আগামী দিনেও এক মজবুত ভারত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী হাতকে শক্ত করার আহ্বান জানান মন্ডল সভাপতি । রবিবার সকালে উদয়পুর রাজারবাগে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্কে অভিযানকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাব লক্ষ্য করা যায় ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৪ জুন।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছরে সেবা সুশাসন গরিব কল্যাণের বিভিন্ন প্রকল্প জনতার দুয়ারে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপির কার্যকর্তারা। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক দলের নেতা জনপ্রতিনিধিরা এক মাস ব্যাপি জনসম্পর্ক অভিযানে অংশ নিয়েছে। শনিবার বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে জনতার দুয়ারে ঘুরেন। এদিন ১৩ নম্বর বুথে স্থানীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারের প্রকল্প গুলো জনসমক্ষে তুলে ধরেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি। সরকারের কাজকর্মে ভীষণ খুশি স্থানীয় জনতা। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান, প্রতি ঘরে সুশাসনের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে কার্যকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের জনপ্রিয় রাষ্ট্র নায়ক। তাঁর নেতৃত্বে বৈভবশালী ভারত নির্মাণ চলছে। আমাদের ত্রিপুরার মানুষকে বামেদের অপশাসন থেকে মুক্ত করেছে প্রধানমন্ত্রী। আজ ডাবল ইঞ্জিনের সুফল ভোগ করছে ত্রিপুরার জনতা। উন্নয়নে দলবাজি সজন পোষন বন্ধ হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে দুর্নীতি ছিল সরকারের অঙ্গ। অথচ বিগত নয় বছরে কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই।
পটনার বিরোধী বৈঠকে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের শপথ, তবে খটকা রয়ে গেল কেজরীওয়ালদের নিয়ে
আদর্শগত বিরোধ আছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতে হলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে। শুক্রবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পটনার বাড়িতে ১৫টি বিরোধী দলের বৈঠকের পর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু আগামী মাসে হিমাচল প্রদেশের শিমলায় আরও একটি বৈঠক করবে বিরোধীরা। কিন্তু ১৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকের পরও খটকা থেকেই গেল। কারণ, বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে দেখা যায়নি আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্টালিনকে। যদিও অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করতে নীতীশের দাবি, বিমান ধরার তাড়ায় তাড়াতাড়ি পটনা ছেড়েছেন দুই মুখ্যমন্ত্রী।তার পরেও অবশ্য ‘কিন্তু’ রয়ে গিয়েছে। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির যৌথ সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন আপের তরফে জানানো হয়, কংগ্রেস কেন্দ্রের বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সের প্রকাশ্যে বিরোধিতা না করা পর্যন্ত ভবিষ্যতে কোনও বিরোধী বৈঠকে তারা অংশ নেবে না। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পটনায় বৈঠকে দিল্লিতে আমলাতন্ত্রের দখল নিয়ে কেন্দ্রের বিতর্কিত অর্ডিন্যান্সের প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন কেজরীওয়াল। তিনি নাকি স্পষ্ট জানতে চান, মোদী সরকার ওই অর্ডিন্যান্সকে আইন করতে লোকসভায় বিল আনলে কংগ্রেস তা সমর্থন করবে কি না। এমনকি, এ নিয়ে কংগ্রেস এবং আপ নেতৃত্বের এক দফা তর্কাতর্কিও হয় বৈঠকে। সংশ্লিষ্ট অর্ডিন্যান্স নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান জানতে চান আপ প্রধান। সে সময় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও বেশ কিছু কথা বলেন। সাংবাদিক বৈঠকে খড়্গে বলেছেন, বিরোধী দলগুলো আবার ১০ থেকে ১২ জুলাই বৈঠকে বসবে। সেখানে লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজ্যভিত্তিক পর্যালোচনা করবেন তাঁরা। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘এটা মতাদর্শের লড়াই। আমাদের (বিরোধী দলগুলোর) মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু এই লড়াই লড়তে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে।’’ কিন্তু সমস্ত বিরোধী দল কি একছাতার নীচে আসবে? যখন আলোচনার শুরুতেই কেজরীওয়াল বা স্টালিনের অনুপস্থিতি নিয়ে বিরোধী জোটের তাল কাটার প্রশ্ন উঠছে। রাহুল বলছেন, এটা চটজলদি হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘এটা একটা প্রক্রিয়া এবং তাকে এক যোগে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’ রাহুলের সুর শোনা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার গলাতেও। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘তিনটি বিষয়ের সমাধান করা হয়েছে (বৈঠকে)। এক, আমরা ঐক্যবদ্ধ, আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করব। দুই, আমাদের লড়াইকে বিরোধীদের লড়াই হিসাবে চিহ্নিত না করে বিজেপির স্বৈরাচার শাসন এবং কালো আইনের বিরুদ্ধে লড়াই মনে করতে হবে। এবং তিন, ওদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করা উচিত।’’ এক মঞ্চে ছিলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাও। মুফতি বলেন, ‘‘যে ভাবে দেশের মানুষ বিশেষত, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে গান্ধীজির ভারত নয় গডসের ভারত হয়ে যাবে।’’ আর ওমরের দাবি, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ১৭টি রাজনৈতিক দল ক্ষমতার জন্য নয়, মতাদর্শের জন্য একজোট হয়েছে।
কল্যাণপুর প্রতিনিধি:
আজ অর্থাৎ ২৩ শে জুন ২০২৩ ইং ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ৭০ তম প্রয়াণ দিবস। বরাবরের মতো আজও এই দিনটি গোটা রাজ্যে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রতিপালিত হচ্ছে। বিশেষ করে রাজ্যজুড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ৭০ তম প্রয়াণ দিবসকে বলিদান দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করে বিভিন্ন প্রকারের সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে কল্যানপুর জুড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বলিদান দিবসে নানান ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়েছে।
মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় কল্যাণপুর মোটরস্ট্যান্ড অবস্থিত মন্ডল কার্যালয়ে। এখানে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতিকৃতিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন মন্ডল সভাপতি জীবন দেবনাথ, মন্ডল নেতৃত্ব অসীম দেব রায়, বিজেপি নেতৃত্ব তাপস দেবরায় প্রমূখ। সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি জীবন দেবনাথ দাবি করেছেন গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে বিজেপির বর্তমান যে প্রসার রয়েছে তার পেছনে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী তথা জনসংঘের একটা বড় অবদান রয়েছে, শ্রী দেবনাথ আগামী দিনে সকলে যাতে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জন সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেন সে আহ্বান রাখেন।
এদিন কল্যাণপুর প্রমোদনগর মন্ডল এর অন্তর্গত চেবরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ দুর্গাপুর ,পশ্চিম ঘিলাতলি, দক্ষিণ ঘিলাতলি, কমলনগর ইত্যাদি প্রায় সমস্ত এলাকাতে নিজ নিজ উদ্যোগে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
জোলাই বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিরোধী শিবিরে বড়সড়ো ভাঙ্গন ।কংগ্রেস এবং সিপিএম দলত্যাগ করে ২৭৬ পরিবার যোগ দিলেন বিজেপিতে ।
দক্ষিন জেলায় জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্র বামেদের ঘাটি হিসাবে পরিচিত ছিলো। ২০২৩ শের বিধানসভা নির্বাচনে জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রকে বামেদের অপশাসন থেকে মুক্তি দিয়েছে জোলাইবাড়ী বিজেপির মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং, মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া সহ বিজেপি ও আই পি এফ টির কর্মীরা। সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রটি বামেদের অপশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। বর্তমানসময়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচী দেখে ও জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং এর উন্নয়নমূলক কাজে আপ্লুতহয়ে যারা বিগতদিনে বিরোধী শিবিরে কাজ করেছে তারা নিজেদের ভুল বুঝতেপেরে বিজেপির উন্নয়ন মূলক কর্মসূচীতে যোগদানকরছে। এই কর্মসূচীকে কেন্দ্রকরে বৃহস্পতিবার জোলাইবাড়ী বিজেপির জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি সমঞ্জয় ত্রিপুরার উদ্দ্যোগে এক যোগদান সভার আয়োজন করাহয়। জোলাইবাড়ী কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠীত হয় এই যোগদানসভা। জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি সমঞ্জয় ত্রিপুরার প্রচেষ্টায় জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রথেকে কংগ্রেস ও সি পি আই এম ছেরে প্রায় ২৭৬ পরিবারের প্রায় ৭০০ ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। দলত্যাগীদের হাতে দলিয় পতাকাদিয়ে বরনকরে নেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য । আজকের এই যোগদানসভায় প্রদেশ সভাপতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, মন্ত্রী বিকাশ দের্বমা, শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং,এম ডি সি বিদ্যুৎ দের্বমা, জোলাইবাড়ীর মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং, জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি সমঞ্জয় ত্রিপুরা সহ অন্যান্যরা। আজকের এই যোগদান সভা শেষে অনুষ্ঠীতহয় আলোচনাসভা। আজকের এই আলোচনাসভায় সাংগঠনিক বিভিন্ন দিকগুলির পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কিভাবে বিজেপি মনোনিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করাযায় তানিয়ে আলোচনাকরাহয়। আজকের এই যোগদান সম্পর্কে সংবামাধ্যমের সামনে জানান প্রদেশ বিজেপির সভাপতি।
বিনা যুদ্ধে কোচবিহারের পাঁচ পঞ্চায়েতে জয়ী তৃণমূল! সবুজ আবির মেখে শোভাযাত্রা
নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোচবিহার জেলায় ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত চলে এল তৃণমূলের দখলে। মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন দিনহাটা-২ ব্লকের শুকারুরকুঠি, নয়ারহাটগ্রাম, চৌধুরীহাট এবং কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল তৃণমূল।কোচবিহার জেলার ২,৫০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন আছে। তার মধ্যে ১৪৬টি আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় নির্বাচন হচ্ছে না। একই কারণে পঞ্চায়েত সমিতির ৩৮৩টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। একই ভাবে জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে একটি আসনে ভোট হচ্ছে না। তাই নির্বাচনের আগেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে আশায় উল্লাসে মেতে উঠেছেন তৃণমূল কর্মীরা। মঙ্গলবার মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় প্রার্থীদের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কোচবিহারের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূলের প্রার্থীদের গলায় মালা পরিয়ে দেন দলের কর্মীরা। সেই প্রার্থীদের নিয়ে শুকটাবাড়ি এলাকায় একটি মিছিল করে তৃণমূল। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত, নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত, বামনহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত, চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কোচবিহার-১ ব্লকের শুকটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।’’
প্রতিনিধি, বিশালগড় ,
২০ জুন।।
সিপাহীজলা জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে একদিবসীয় কর্মশালা “বার্তালাপ” অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিশালগড় টাউন হলে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন এর উপ অধিকর্তা শুভাশীষ কুমার চন্দ। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন এর ফিল্ড পাবলিসিটি অফিসার সুদীপ্ত কর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস প্রমুখ। উন্নয়নমূলক সাংবাদিকতা সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সামাজিক উন্নয়ন, সুশাসনের উপর আয়োজিত এই বাৰ্তালাপ কর্মশালায় জেলার ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।
ভাষণে বিশালগড়ের মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস বলেছেন সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। অনেক সময়ই এই প্রকল্পগুলির রূপায়নের ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলি সামনে আসে সাংবাদিকদের সংবাদের মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে প্রশাসনিকস্তরে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিমার্জন যেমন হয় তেমনি সঠিক দিশায় জনকল্যানমূলক প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। তিনদিন ব্যাপি আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আজাদী কা অমৃত মহোৎসব এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সেবা সুশাসন গরিব কল্যাণের ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এ উপলক্ষে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা সহ নানা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তথা সেবা, সুশাসন এবং গরিব কল্যাণের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক মাস ব্যাপী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মাতারবাড়ি বিধানসভার ফুলকুমারী পঞ্চায়েতের অধীনে সকল লাভার্থীদের কে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার প্রাঙ্গনে এক লাভার্থী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । এই লাভার্থী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে স্থানীয় বুথ সভাপতি ও মন্ডল নেতৃত্বরা ।
এই লাভার্থী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ সুনিশ্চিত করা হয়েছে । তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় তিন কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবার স্থায়ী পাকা ঘর পেয়েছেন । এছাড়া স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ১১.৭২ কোটি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বৃন্দনা যোজনার অধীনে ২৭.৬ কোটি মহিলা সবিধাবোগী ঋণ পেয়েছে । তাছাড়া নারীর ক্ষমতায়নে বাড়ানো হয়েছে আরও নানা সুবিধা । ২৬ সপ্তাহের সবেতন মাতৃকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে । এছাড়া ডিজিটাল লেনদেনে ভারত বিশ্বের এক নম্বরে পরিণত হয়েছে বলে এদিন ভাষণে তুলে ধরেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । সোমবারে বিকেলে ফুলকুমারী অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার প্রাঙ্গণে লাভার্থী সম্মেলনে ফুলকুমারী এলাকার মহিলাদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক সাড়া জাগানো ।