- প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া : এক জন জমির মালিকের দৌলতে একাধিক কৃষকের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা এলাকার বেশ কিছু পরিবারের না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা তেলিয়ামুড়া আর.ডি. ব্লকের অন্তর্গত উত্তর কৃষ্ণপুর এবং মধ্য কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী উতলা বাড়ি এলাকায়।অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকার শুকলাল বিশ্বাস নামে জনৈক ব্যক্তি উনার কৃষি জমি সন্নিহিত পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের পুরনো বাধ কাউকে না জানিয়ে বা সহজ করে বললে পঞ্চায়েতকে অবগত না করে নিজ উদ্যোগে কেটে দিয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে দু-এক দিন আগের বর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে নিকটবর্তী ছড়ার জল স্ফীত হয়ে অনায়াসে বেশ কিছু কৃষকের কৃষি জমিকে প্লাবিত করে এবং বর্তমানে এই কৃষি জমিগুলো বালিতে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। গোটা বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বক্তব্য হচ্ছে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানটায় উনারা এখন এই কৃষি জমিকে পুনরায় বালি ছড়িয়ে চাষ যোগ্য করার মতো জায়গায় নেই। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তরফ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তথা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে বা বালি সড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ বা প্রতিশ্রুতি না দিয়ে উলটো গোটা বিষয়টা সংবাদ মাধ্যমের গোচরে নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছেন।এদিকে এইভাবে এক কৃষকের দৌলতে এলাকার একাধিক বা বলা যায় বেশ কিছু কৃষকের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকা জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে এবং সর্বসাকুল্যে দাবি উঠছে, প্রয়োজনীয় তদন্তক্রমে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন সাহায্য করুক, এই দাবি ক্রমান্বয়ে জোরালো হচ্ছে। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে আজ সন্ধ্যায় খোয়াই জেলা পরিষদের সদস্য রঞ্জিত সরকারের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি যোগাযোগ করে। শ্রী সরকার এই বিষয়টি নিয়ে আগামী কালকে সকলকে নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার আশ্বাস দেন বলে জানান।
দেশ
প্রতিনিধি মোহনপুর – বামুটিয়া কৃষি মহাকুমার অন্তর্গত তেবাড়িয়ায় ভূমি পূজার মাধ্যমে শিলান্যাস হলো এগ্রি ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কাম ট্রেনিং সেন্টার উইথ আইটি ফেসিলিটিস দপ্তরের। অন্যদিকে গান বাজারে নতুন মার্কেট স্টল নির্মাণের জন্য জমি পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী। দীর্ঘ সময় ব্যবসায়ীদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে হয়েছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
বামুটিয়ার কৃষি মহকুমা এলাকার অন্তর্গত তেবাড়িয়া এলাকায় নির্মাণ হতে যাচ্ছে এগ্রি ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কাম ট্রেনিং সেন্টার উইথ আইটি ফেসিলিটিস দপ্তরের। আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি পূজার মাধ্যমে হয়েছে শিলান্যাস। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন বর্তমানে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষিকাজ করতে হবে। উন্নত মানের বীজ ব্যবহার এবং দপ্তরের সঠিক দিকনির্দেশনায় ফসল বৃদ্ধিতে কৃষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন ভারতবর্ষের অর্থনীতিতে একটা বড় প্রভাব রয়েছে কৃষকদের। এই রাজ্যেও কৃষকদের গুরুত্ব কোনোভাবেই কম নয়। তবে ত্রিপুরাকে খাদ্যশস্যে স্বয়ংভর করার ক্ষেত্রে আরো ব্যাপকভাবে চাষবাসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মন্ত্রী। আহ্বান করেছেন কোন জমি খালি না রেখে কিছু না কিছু চাষ করার জন্য। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা ফোষনী ভুষণ জমাতিয়া, বামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধন দাস, মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে গান্ধীগ্রাম বাজারে কৃষি দপ্তরের অর্থানুকুলে নির্মাণ হতে যাচ্ছে আধুনিক মার্কেট স্টল। সোমবার এই স্টল নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমি পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী। কথা বলেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি আধিকারিক এবং ব্যবসায়ীদের সাথে। এদিন মন্ত্রী রতন লালন বলেন প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয় করে এই মার্কেট স্টল নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিকভাবে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে আলোচনাক্রমে এই মার্কেট স্টল গুলো নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে এলাকার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেকারদের জন্যও রোজকারের একটি নতুন পথ খুলবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
অসহায় বাবা কাজল দাসের কাতর আবেদন — “মুখ্যমন্ত্রীই পারেন আমার মেয়েকে বাঁচাতে”
প্রতিনিধি,উদয়পুর :- গোমতী জেলার অমরপুর মহকুমার পূর্ব মৈলাক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাসিন্দা কাজল দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাস জন্মসূত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। এই মারাত্মক জেনেটিক রোগের কারণে প্রিয়াঙ্কার শরীরে প্রতি মাসে অন্তত দু’বার করে রক্ত দিতে হয়। যদিও গোমতী জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে কখনো কখনো বিনামূল্যে রক্ত মেলে, তবুও বহু সময় রক্তের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয় পরিবারটিকে। তখন রক্তদাতার খোঁজে কাজল দাসকে ছুটতে হয় রাজ্যের নানা প্রান্তে। রক্তদাতা পেলেও তাকে নিয়ে আসতে গাড়িভাড়া, খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য খরচ বহন করতে হয় এই দরিদ্র পরিবারকে।
দিনমজুর পেশায় নিয়োজিত কাজল দাস গত আট বছর ধরে মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে চলেছেন। তিনি জানান, তার পরিবারে ছয়জন সদস্য—তার বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং তিনি নিজে। বাবা স্ট্রোকের রোগী, মা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে তার সামান্য আয়ে পরিবারের চিকিৎসা ও দৈনন্দিন খরচ চালানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে জানান, আজ থেকে ১৪ বছর আগে তার বড় মেয়েও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক বছর বয়সে মারা যায়। সেই সময়ও চোখের সামনে মেয়েকে হারাতে হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। এখন ছোট মেয়ের জীবনও একই বিপদের মুখে পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কার দ্রুত একটি অপারেশন দরকার, যা আগরতলার জিবি হাসপাতালে করা সম্ভব হলেও খরচ প্রায় লক্ষাধিক টাকা। এই বিপুল খরচ জোগাড় করা তার পক্ষে সম্পূর্ণ অসম্ভব।
কাজল জানান, তার পরিবার ইতিমধ্যেই মেয়ের চিকিৎসার জন্য ঘরের কাঠ, ফার্নিচার, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, স্ত্রীর সমস্ত স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে তারা একেবারেই নিঃস্ব। দিনের পর দিন শুধু চোখের জলে দিন কাটছে। এ অবস্থায় তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার কাছে কাতর আবেদন জানিয়ে বলেন, “আপনি একজন ভালো মানুষ, গরিবের পাশে সবসময় দাঁড়ান। দয়া করে আমার মেয়েটাকে বাঁচান।” তিনি আর ঘরবাড়ি চান না, শুধু চান মেয়ের চিকিৎসার সুযোগ।
কাজল দাস অভিযোগ করেন, প্রিয়াঙ্কার হাতে ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শংসাপত্র থাকা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিবন্ধী ভাতা বা কন্যা সন্তানের ভাতা পাচ্ছেন না। একাধিকবার মহকুমা সিডিপিও অফিস এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে গিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এর মধ্যেও প্রিয়াঙ্কা তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে মৈলাক হাই স্কুল থেকে ভালো নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি চান, মেয়ে সুস্থ হয়ে যেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে সকল রকম সহায়তা দেওয়া হোক। আজ এলাকাবাসী তাকিয়ে রয়েছেন, দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী কবে এগিয়ে আসেন এই অসহায় পরিবারের পাশে। তারা বিশ্বাস করেন, মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতির একটুকরো ছোঁয়ায় প্রিয়াঙ্কার জীবন নতুন আশায় ভরে উঠতে পারে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের সদস্য অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী এবং ওনার সহধর্মিনী কাকলি রায়ের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যতিক্রমী সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় লায়ন্স ক্লাব প্রাঙ্গনে।লায়ন্স ক্লাব এবং কৈলাসহর ব্লাড ডোনার এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়।যেখানে ৩০ জনেরও বেশি রক্তদাতা রক্ত দান করেছেন।এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠরতা দুজন দুস্থ ছাত্রী অনামিকা চন্দ এবং তুলসী শব্দকরের হাতে ১০ হাজার টাকার অর্থ রাশি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার বার্তা নিয়ে সরকারের যে প্রচার চলছে তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৈলাসহর এবং কুমারঘাটের আকাশ দাস, বাবলু মালাকার এবং অভিষেক দেব দীর্ঘদিন যাবত ড্রাগস সেবনের সাথে যুক্ত থাকার পর চিকিৎসা মাধ্যমে সুস্থ হয়ে মূল স্রোতে ফিরে এসেছে।তাদেরকেও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গোলাপের শুভেচ্ছা এবং উপহার তুলে দেওয়া হয়।গত ২৯শে এপ্রিল লায়ন্স ক্লাব এবং ঊনকোটি ডিস্ট্রিক্ট চেস এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে অবিভক্ত উত্তর জেলা ভিত্তিক দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।আজ বিজয়ীদের হাতে দাবা পুরস্কার গুলোও তুলে দেওয়া হয়েছে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়,পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়,ভাইস চেয়ারপার্সন নীতিশ দে,জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর এবং কেবিডিএ সভাপতি অনুপম পাল।স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাব সদস্য সমীর দাস।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় প্রথমেই সঞ্জীব চৌধুরী এবং ওনার স্ত্রীর বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই সামাজিক কর্মসূচির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।এ ধরনের উদ্যোগ যেন প্রতি বছর বিদ্যমান থাকে তারও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া মন্ত্রী শ্রী রায় বলেন লায়ন্স ক্লাব সারা বছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে যুক্ত রয়েছে এবং সমাজ সেবার শপথে অঙ্গীকারবদ্ধ প্রত্যেক সদস্যরাই কোন না কোনভাবে সমাজের দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক বার্তা দিচ্ছেন।চা বাগান এলাকার দুস্থ পরিবারের শিশুরা যারা পড়াশুনায় আগ্রহী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানান তিনি কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের সদস্যদের কাছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জনজাতি যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।কৈলাসহর কুমারঘাট জাতীয় সড়কের কাউলিকুড়া এলাকায় সোমবার সকাল আনুমানিক ১১টা নাগাদ ঘটে গেল এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা।একটি বাইক ও জেসিবি গাড়ির সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে বাইক চালক জ্ঞান রঞ্জন চাকমার (৩৫)।এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাইকের আরোহী অরুপ চাকমা।দুজন-ই স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত এবং একজন এনজিও কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। উভয়েরই বাড়ি পেচারথল থানাধীন উপলছড়া এলাকায়।জানা গেছে, ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেচারথল থেকে বাইকে করে কৈলাসহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন
দুই এনজিও কর্মী।কাউলিকুড়া এলাকায় পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জেসিবি হঠাৎ অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তার বাদিক থেকে ডান পাশে মোড় নেওয়ার চেষ্টা করলে বাইকটি সোজাসুজি জেসিবির পেছনে ধাক্কা লাগে।তীব্র সংঘর্ষে বাইকের দুজন আরোহী ছিটকে পড়ে পিচঢালা রাস্তায়।স্থানীয় জনগণ তড়িঘড়ি করে দুজনকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জ্ঞান রঞ্জন চাকমাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত অরুপ চাকমার চিকিৎসা শুরু করেন।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার ও কৈলাসহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম পৌঁছায় এবং ঘাতক জেসিবি গাড়ি সহ চালক প্রজেস সিনহাকে (২৩) আটক করে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর, ২৪শে এপ্রিল থেকে নিখোঁজ হওয়া স্বামীকে ফিরে পেতে স্থানীয় থানার দারস্থ অসহায় স্ত্রী।ঘটনাটি ঘটে পানিসাগর থানাধীন দক্ষিণ পানিসাগর গ্রামে।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,ঐ এলাকার এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পঞ্চুরাম মালাকার এর ৩৮ বর্ষিয় পুএ পেষায় মৎস ব্যাবসায়ী পবিত্র মালাকার নিত্য দিনের মতো সকাল এগারো টা নাগাদ বাড়ি থেকে পানিসাগর বাজারে এসে রাএি হওয়াতেও আর বাড়ি ফিরেনি।তাতে সন্দেহ হওয়াতে রাএি থেকে আত্মীয় পরিজনদের বাড়ির আশেপাশে খোঁজা খোজি করে না পেয়ে নিরাশ হয়ে ২৫শে এপ্রিল দুপুরে পানিসাগর থানায় নিরুদ্দেশ হওয়া স্বামীকে ফিরে পেতে মিসিং এন্ট্রি লিপিবদ্ধ করে স্ত্রী সন্ধ্যা মালাকার।নিরুদ্দেশ হওয়া পবিএ এর গায়ের রং কালো,চুল লম্বা ও কালো,মুখমন্ডল সামান্য লম্বাকৃতি,পরনে ছিল নীল রঙ্গের জিন্সের প্যান্ট ও হালকা কমলা রঙ্গের ফুল গেঞ্জি।এই মর্মে পানিসাগর পুলিশ নিখোঁজ হওয়া ব্যাক্তি কে উদ্বার করতে পাশ্ববর্তী থানা গুলো সহ সকল ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরে পেতে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের স্মরনাপন্ন হয়ে তুলে ধরেন অসহায় পরিবারের করুন কাহিনি।কারণ স্বামী পবিত্রই ছিল ঐ পরিবারের একমাএ উপার্জনশীল ব্যাক্তি।স্বামী হারা নিখোঁজ পরিবারটিকে সহায়তা দিতে স্থানীয় এলাকার লোকজন সহ আশপাশ এলাকার লোকজন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।এখন দেখার বিষয় নিখোঁজ স্বামীকে উদ্ধার করতে পানিসাগর পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার আরও উন্নতি করার লক্ষ্যে গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনকালে যে সমস্ত সমস্যার মুখ্যমন্ত্রী নজরে এসেছে সেগুলো অতিসত্বর সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সারপ্রাইজ ভিজিটকে ঘিরে খুশি এলাকার জনতা। গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অভিযোগ আসছিল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। একেবারে শহর লাগোয়া এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হলেও পরিষেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করার ক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যর্থ এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সম্প্রতি গান্ধীগ্রামের সুভাষ কলোনী এলাকায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসে জনগণের কাছ থেকে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সম্পর্কে সরাসরি অভিযোগ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ পাওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নিজে পরিদর্শন করলেন গান্ধীগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আধিকারিকদের কাছ থেকে কাগজে কলমের তথ্য না নিয়ে নিজে খতিয়ে দেখলেন পরিষেবা। হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং একাধিক বিষয়ে দুর্বলতা নজরে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হাসপাতাল থেকে দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন সমস্যা গুলো সমাধান করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শনের পর এলাকার জনগণ আশাবাদী এই হাসপাতালের সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে জনগণকে স্বাস্থ্যপরিসেবা প্রদানের বিষয়টি আরো উন্নত হবে।
নববর্ষের শুরুতেই তাণ্ডব—ঝড়ে লন্ডভন্ড গন্ডাছড়ার বহু এলাকা, বিদ্যুৎহীন রইস্যাবাড়ি
- প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া 18 এপ্রিল:- বাংলা নববর্ষের শুরুতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আকস্মিক প্রবল ঝড়-তুফান বয়ে যায় এই অঞ্চলের উপর দিয়ে। এতে রইস্যাবাড়ি সহ আশেপাশের গ্রামগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ শুরু হওয়া এই ঝড়ে বহু মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে, এবং বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহকুমার রইস্যাবাড়ি এলাকা। জানা গেছে, সেখানে অন্তত চার থেকে পাঁচটি বাড়ি পুরোপুরি ধসে পড়েছে, বহু ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে এবং বাঁশের বেড়া ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে মানুষজন প্রাণ বাঁচাতে কোনো মতে ঘরের কোণে আশ্রয় নেয়। সন্ধ্যার আগেই ঘরবাড়ির চেহারা পাল্টে যায়।
একাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে বৈদ্যুতিক লাইনের উপর, যার ফলে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো রইস্যাবাড়ি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত দশটা সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে আছে। এর ফলে পানীয় জল থেকে শুরু করে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রচেষ্টা চালালেও এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও ঝড়ের প্রভাবে এলাকার বিভিন্ন সড়কে মাটি ধসে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এতে যাতায়াতে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
নববর্ষের দিনেই এমন দুর্যোগে স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কিত ও হতাশ। অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। বিদ্যুৎ এবং পানীয় জল সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, ১৫ই এপ্রিল দুপুরে এক বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয় পানিসাগর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তাদের হাতে।ঘটনাটি ঘটে পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের স্ট্যাট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া শাখা সংলগ্ন অপূর্ব নাথ এর বাড়িতে।যানা গেছে অপূর্ব নাথ পেষায় এক নার্সারি ব্যাবসায়ী।তিনি জানান নার্সারিতে কর্মরত অবস্থায় সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে দেখতে পায় বাড়ির নিকটে থাকা ছড়ার পাড়ে একটি বিরল প্রজাতির প্রাণী।স্বভাবতই কৌতুহল বশত এগিয়ে গিয়ে এটিকে ধরে নিয়ে আসে নিজ বাড়িতে এবং খবর পাটায় পানিসাগর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিস সহ পানিসাগর মহকুমার এনিম্যাল এইড এলায়েন্স সংস্থায়।এই মর্মে আজ পয়লা বৈশাখ সকাল আনুমানিক দশটা নাগাদ অপূর্ব নাথ এর বাড়িতে ছুটে আসে পানিসাগর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তাগন সহ এনিম্যাল এইড এলায়েন্স সংস্থার কর্মকর্তাগন।এনিম্যাল এইড এলায়েন্স সংস্থায় এক কর্মকর্তা রাজেশ গুপ্ত জানায় বিরলতম প্রাণীটি একটি স্লো লরিজ তথা লজ্জাবতী বানর।এই অতি দূর্লভ ও বিরল প্রজাতির প্রাণী।সাধারণত এই ধরনের বানর সচরাচর চোখে পড়ে মা।এরা ধীরে ধীরে প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।এদের সংরক্ষণ করতে রাজ্য বন দপ্তর ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।বানরটি উদ্ধারকারী অপূর্ব নাথ জানায় বানরটির হয়তোবা বৈদ্যুতিক শর্ট খেয়ে আহত হয়ে রয়েছে।তাই তিনি গতকাল পানিসাগর পশুচিকিৎসালয়ে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে আনে।তিনি জানান সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পেলে বানর টি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উটবে।বিরল প্রজাতির বানর উদ্ধারের ঘটনা জানা জানি হতেই এটিকে দেখতে কৌতুহলী জনগন কাতারে কাতারে ভীর জমায় অপূর্ব নাথ এর বাড়িতে।পরিশেষে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর টি তুলে দেওয়া হয় পানিসাগর ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তাদের হাতে।পানিসাগর ফরেস্ট রেঞ্জ কতৃক জানা গেছে আহত বানরটিকে প্রথমে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলা হবে এবং পরবর্তীতে পানিসাগর স্থিত রৌয়া অভয়ারণ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।তবে এই ধরনের বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর লোকালয়ে কি করে,কোথা থেকে এলো তা নি দোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।এই ধরনের বিরল প্রজাতির বানর উদ্ধারে গোটা পানিসাগর জোরে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।