প্রতিনিধি, বিশালগড় ,
১৯ নভেম্বর।। বাইকের দুরন্তপনার বলি হলেন বৃদ্ধা। দুরন্ত বাইকের ধাক্কায় বৃদ্ধা মহিলার হাত পা ভেঙে যায়। বুকের পাঁজর ভেঙে যায়। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই বয়স্ক মহিলা । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টায় টাকারজলা থানাধীন গোলাঘাটি মর্ডান ক্লাব সংলগ্ন গোলাঘাটি বিশালগড় সড়কে। ৭২ বছর বয়সী আরতি দেবনাথ রাস্তা পার হচ্ছিলেন । সে সময় এক নাবালক কিশোর একটি বাইক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে সজোরে ধাক্কা মারে আরতি দেবনাথকে। বাইকটির নম্বর টিআর ০১ এ এম ৬৩৫৭(হিরো এক্স পালস্)। বাইকের ধাক্কায় মুহূর্তের মধ্যে আরতি দেবনাথ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । পা ভেঙে হাড় বেরিয়ে আসে। ভেঙে যায় হাত। বুকে মাথায় মারাত্মক আঘাত পায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং স্থানীয় এসপিও ক্যাম্পের জওয়ানরা ছুটে গিয়ে অর্ধমৃত আরতি দেবনাথকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী দয়ারাম পাড়া স্বাস্থ্যে কেন্দ্রে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান টাকারজলা থানার ওসি রথীন দেববর্মা সহ পুলিশ বাহিনী। দয়ারাম পাড়া স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরতি দেবনাথের অবস্থা বেগতিক দেখে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেয়। কিন্ত শেষ রক্ষা হয়নি। বেলা একটা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মহিলা । এদিকে পুলিশ বাইক আরোহীকে আটক করে টাকারজলা থানায় নিয়ে যায় ।বাইক আরোহি জনজাতি ছাত্রটি একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে । স্বাভাবিকভাবেই সে নাবালক। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার কথা নয়। ছেলেটি জানায় সে বন্ধুর কাছ থেকে বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। বাইকের পেছনের আসনে বন্ধু ছিল। ঘটনার পর বন্ধু সুমন পালিয়ে যায়। বাইক আরোহীর বাড়ি শ্রীনগর থানাধীন ধারিয়াছড়া এলাকায়। ছেলেটির মা ছুটে গিয়েছেন থানায়। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। টাকারজলা থানার ওসি রথীন দেববর্মা ঘাতক বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে । আইনানুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ময়নাতদন্তের পর আরতি দেবনাথের নিথর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। বিকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। বয়স্ক আরতি দেবনাথের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দেশ
প্রতিনিধি, বিশালগড় , । ৭১তম অখিল ভারতীয় সমবায় সপ্তাহ যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে পালিত হয় সিপাহীজলা জেলায় । জেলা ভিত্তিক অখিল ভারতীয় সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার চড়িলামের লীলা দেব স্মৃতি কমিউনিটি হলে উদযাপিত হয় আলোচনা চক্র । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক কিশোর বর্মন, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক, অতিরিক্ত জেলা শাসক সুব্রত মজুমদার প্রমুখ । শুরুতে সমবায়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপস্থিতি অতিথিরা। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত । সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা চক্রে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি সুপ্রিয়া দাস দত্ত সহ অন্যান্য অতিথিরা সমবায়ের তাৎপর্য আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ২০২৪ সালের ২১ শে আগষ্ট এক ভয়াবহ বন্যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষকরা । বিভিন্ন সব্জির জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। অন্যদিকে কোথাও আবার সব্জি প্রবন গ্রামগুলি বুক সমান নদীর চরে পরিণত হয়েছে । এর ফলে বন্যার ভয়াবহতা কেটে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কৃষকরা ফিরে আসার জন্য শুরু হয় আবার নতুন সংগ্রাম। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে তিন মাস । ধীরে ধীরে কৃষকরা জমিতে পুনরায় চাষবাস শুরু করে। মাঠে ফলাতে শুরু হয় বিভিন্ন সব্জি। যেভাবে উদয়পুর মহকুমায় সব্জির দাম আকাশ ছোঁয়া হতে শুরু করেছিল কিন্তু নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে ধীরে ধীরে সব্জির দাম নীচের দিকে নামতে শুরু করে । বাজারে আসতে শুরু করেছে ফুলকপি থেকে শুরু করে বাঁধাকপি ,মুলা সহ একাধিক নানা সব্জি। বর্তমানে সাধ্যের মধ্যেই ক্রেতারা পুনরায় তাদের পছন্দের শীতকালীন সব্জি বাজার থেকে ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন। এই নিয়ে এক সব্জি বিক্রেতা জানান , আরো যত সামনের দিকে এগিয়ে আসবে শীতের মৌরসুম তত দাম আরো কমতে থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। শীতকালীন সব্জি প্রচুর পরিমাণে উদয়পুর বাজারে আসার কারণে স্বস্তি পেয়েছে ক্রেতারা। এমনটি মনে করছে কৃষক মহল ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৩ নভেম্বর।। পশুপক্ষীর সঙ্গে সংস্কৃতিগতভাবে ভারতীয়দের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। সকল দেব-দেবী কোন না কোন পশু পক্ষীকে বাহন হিসেবে রাখতেন। আজও দেব দেবীর সঙ্গে পশু পক্ষীর পূজা করে সনাতনীরা। শুধু পশু পক্ষী নয় ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসীরা প্রকৃতির প্রেমীও বটে। পশু পক্ষীর পাশাপাশি নদী এবং বৃক্ষরতার পূজাও হয় এই ভারতীয় উপমহাদেশে। এক সময় বনের ভয়ংকর পশুকে পোষ মানিয়ে লালনপালন করার ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। আজ মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশে বনের অবলুপ্তি ঘটছে। পশু পাখিরা স্থান পাচ্ছে চিড়িয়াখানায়। সরকার চিড়িয়াখানায় অবস্থানরত পশু পাখিদের দত্তক দেওয়ার আইনি অধিকার দিয়েছে পশুপ্রেমীদের। ২০১৯ সালে ভারত সরকারের এই আইন ত্রিপুরায় লাগু হলেও কেউ দত্তক নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেননি। এক্ষেত্রে অনন্য নজির তৈরি করলেন বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক সুশান্ত দেব । নিজের জন্মদিনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। রাজ্যের ইতিহাসে রয়েল বেঙ্গল টাইগার নেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। বুধবার ছিল বিধায়কের জন্মদিন। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টা ছুঁতেই বিধায়কের শুভাকাঙ্ক্ষীরা জন্মদিন পালন শুরু করে। বুধবার দিনভর কেউ বাড়িতে গিয়ে কেউ মোবাইলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। বিকালে সময় কাটিয়েছেন শিশু আবাসে। সন্ধ্যায় কেক কাটার ধুম লাগে। দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে উদ্ভাবনী ভাবনায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। গতবছর সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে দু’টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনা হয়েছিল। এদের একজনের নাম তৈজল অন্যজন হলেন শেরা । পুরুষ রয়েল বেঙ্গল টাইগার “শেরা” কে দত্তক নিয়েছেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। আগামী তিন মাসের খাবার চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য দপ্তরের খাতায় জমা দিতে হয়েছে এক লক্ষ তিরানব্বই হাজার টাকা। বুধবার দুপুরে চিড়িয়াখানার টাইগার এনক্লোজারের গেইটে দত্তকের মঞ্জুরীপত্র বিধায়কের হাতে তুলে দেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান পশু পক্ষী বৃক্ষলতা অর্থাৎ প্রকৃতিকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজ বরাবরই উনি করে থাকেন। সেই ভাবনা থেকেই কিছুদিন আগে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তকের জন্য দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। গতকাল সেই আবেদন মঞ্জুর করে দপ্তর। এ প্রকৃতিকে রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দাস জানান চিড়িয়াখানার পশু পক্ষি দত্তক দেওয়ার আইন রয়েছে। তবে এই রাজ্যে প্রথম কোন ব্যক্তি রয়েল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নিয়েছেন। এর জন্য তিনি বিধায়ক সুশান্ত দেব কে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো জানান ভারত সরকার প্রতিটি অভয়ারণ্যকে সচ্ছল স্বনির্ভর এবং সুন্দর করার কাজ করছে। সিপাহীজলা অভয়ারণ্য নতুনভাবে সেজে উঠেছে। নতুন পশু পক্ষীর আগমন সহ পর্যটকদের বিনোদনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে মূল ফটক থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে । সবুজে ভরা চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সেলফি পয়েন্ট সহ বিনোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কৈলাসহর গৌরনগর ব্লকের অধীন খাওরাবিল পঞ্চায়েতের অরবিন্দ নগর কলোনি থেকে আছারুন বিবি (৫৫) নামের এক মহিলাকে আটক করেছে ইরানি থানার পুলিশ।অভিযানে প্রায় ২.৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়।যার আনুমানিক কালোবাজারী মূল্য লক্ষাধিক টাকা হতে পারে বলে জানা গেছে।অভিযানের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা গোপন খবর পাওয়ার পর ডিএসপি উৎপলেন্দু নাথ এবং এসআই আবু হাওয়ালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালায়।সফল অভিযানের ফলস্বরূপ আছারুন বিবিকে আটক করা হয় এবং তাকে ইরানি থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেখানে এ ধরনের অপরাধ একপ্রকার সেই প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কিছু নেশা কারবারীরা।দীর্ঘ দিন ধরে এই মহিলা ব্রাউন সুগার সহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য বিক্রি করে যুব সমাজকে নেশার দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আছারুন বিবির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পুলিশ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেশা কারবারীদের একটি বড় নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের জন্য ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ গোমতী জেলা ও উদয়পুর মহকুমা কমিটির পক্ষ থেকে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে রবিবার সকাল ১১ টায় জামতলা টাউন হলের সামনে থেকে অভিনন্দন মিছিল বের হয় । মিছিলটি উদয়পুর শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে । পরে পুনরায় জামতলা টাউন হল সামনে এসে জমায়েত হয়। শেষে এক হল সভায় অংশ নেন প্রতিটি কর্মচারী । মিছিল শেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে কর্মচারী নেতৃত্বরা জানান , রাজ্য সরকার নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে পাঁচ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে। গত ২৫ বছরের বাম সরকার কখনো কর্মচারীদের কথা মাথায় রাখেনি। নিজেদের মর্জি মাফিক চালিয়েছিল কর্মচারীদের। বর্তমান সরকার দৈনন্দিন জীবনে কর্মচারীদের নানা সমস্যার কথা জানতে পেরে তাদের বেতন বৃদ্ধি করার বিষয় ভাবনা চিন্তা করে এবং তার সফল পায় প্রতিটি কর্মচারী। তাই ধন্যবাদ সূচক এই মিছিল করা হয় গোটা উদয়পুর শহরে। আগামী দিনে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কর্মচারী নেতৃত্বরা ।
বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর হামলার ঘটনায় নজর রাখছে ভারত সরকার : ডক্টর মানিক সাহা
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- শ্রীল ভক্তি বল্লভ তীর্থ গোস্বামী মহারাজের দিব্যজন্ম শতাব্দি উপলক্ষে বিরাট সনাতন ধর্ম মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শনিবার সকাল ১১ টায় নেতাজি সুভাষ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে । ৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় এই সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শনিবার ছিল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। এদিন সম্মেলনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সম্মেলনের শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। এছাড়া ছিলেন , অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জিতেন্দ্র মজুমদার সহ বিভিন্ন মহারাজ ও সাধুসন্ত । এদিন মহাসম্মেলনে ভাষণ রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন , ১৯৮০ সালে এই রাজ্যে এক অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল । সে সময় শান্তি কালির উপরও আঘাত আনা হয়েছিল । সে সময় চিত্ত মহারাজ ওনার গুরুর পথে চালিত হয়ে এক শান্তির পরিবেশ বর্তমানে নিয়ে এসেছে। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই তাকে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়েছে চিও মহারাজ কে । যা খুবই প্রশংসা যোগ্য । পরে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের যেভাবে সনাতনীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তা ভারত সরকার সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখছে । মুখ্যমন্ত্রীর এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন , হাজার হাজার বছর আগে সনাতনীদের উপর আক্রমণ হয়েছে কিন্তু তাদেরকে নড়াতে পারেনি । তাই সাবধান হতে হবে যারা আক্রমণ করছে তাদেরকে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , যারা ৩৫ বছর ধরে রাজত্ব করেছে তারা এই রাজ্যে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো এর ফলে এক নাস্তিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কখনো ত্রিপুরা সুন্দরী মায়ের মন্দিরে সে সময়কার মন্ত্রী অথবা বিধায়ক মায়ের মন্দিরে যেতে কেউ দেখেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই সকল নাস্তিককে আস্তিকের পথে আনার জন্য এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যা এই রাজ্যের মধ্যে সাধু-সন্ত থেকে শুরু করে এক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে । বর্তমান সরকার শান্তির বার্তা নিয়ে চলছে প্রতিটা মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু যেসব মানুষ কিছুদিন পর পর ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে এক অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যে তাদেরকে কখনো ছাড়া হবে না বলে হুশিয়ারিদের মুখ্যমন্ত্রী । সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলনে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উদয়পুর কলেজ মাঠে প্রশাসনিক নিরাপত্তা ছিল জোরদার ।
খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন বিদ্যার্থী বরণ উৎসব সম্পন্ন হল মঙ্গলবার। খোয়াই টাউন হলে আয়োজিত নবিন বিদ্যার্থী বরণ উৎসবের উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র সংসদ। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে। এই দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক শ্রীমতি কল্যাণী রায়, খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায়( দত্ত), খোয়াই এর বিশিষ্ট সমাজসেবক সুব্রত মজুমদার, খোয়াই পৌরপরিষদের পৌর পিতা দেবাশীষ নাথ শর্মা এবং দশরথ মেমোরিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ খোকন মজুমদার সহ অন্যান্য অতিথিবর্গরা। এই দিন ত্রিপুরা বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদেরকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পিতা মাতার পাশাপাশি সমাজের প্রতি অনেক দায়িত্ব রয়েছে তোমাদের। তোমারা পড়াশোনা করে বড় হয়ে কেউ শিক্ষক, কেউ রাজনীতিবিদ আবার কেউ সমাজের বিভিন্ন পেশায় নিজেদেরকে যুক্ত করবে। এবং সমাজ গঠনে কারিগর হয়ে উঠবে। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে দ্বিতীয় পর্বে ছাত্রছাত্রীরা নাচে এবং গানে মেতে ওঠে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে এই দিন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।
গন্ডাছড়া বিদ্যালয় পরিদর্শকের আশ্বাসে পূর্ব বুলংবাসা উচ্চ বিদ্যালয়ে তালা মুক্ত
- প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৩০ অক্টোবর:- শিক্ষক বদলির প্রতিবাদে বুধবার পাখী ত্রিপুরা পাড়া পূর্ব বুলংবাসা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকরা তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের দাবি সম্প্রতি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় দুই জন শিক্ষককে অন্যত্র বদলির আদেশ বের হয়। অবিলম্বে দুই শিক্ষকের বদলির আদেশ রোধ করতে হবে। তাদের আরো অভিযোগ এমনিতেই শিক্ষক সংকট রয়েছে। তার উপর বেজে বেজে ভালো শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা ভালোভাবে চলত। বর্তমানে পড়াশোনা অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটছে। তার কারণ যেসব শিক্ষকরা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সব সময় গাইড দিত তাদেরকে একের পর এক অন্যত্র বদলি করে নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা দপ্তর। যার ফলে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা এক প্রকার লাটে উঠেছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ে ক্লাস রুম থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, বিদ্যালয়ে গত পাঁচ বছর যাবত একটি দ্বিতল বিল্ডিং অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে, বিদ্যালয়ে নেই কোন শৌচালয়। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাকৃতিক কাজ সারতে হলে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে যেতে হয়। মিড ডে মিল ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই নিম্নমানের খাওয়ানো হয়। এই সব দাবিতে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ডিসিএম দিলিপ দেববর্মা, গন্ডাছড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক তৈইসা মগ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিদ্যালয়ে পরিদর্শক অভিভাবকদের আশ্বাস দেন কালী পূজার পর তাদের দাবিগুলো সমাধান করা হবে। বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছ থেকে এহেন আশ্বাস পেয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয় তালা মুক্ত করে দেয়।
উন্নয়নের কাজে আরো বেশি গতি আনতে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বোকাফা ব্লকে অনুষ্ঠীতহয় রিভিউ মিটিং।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : বোকাফা ব্লকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীনিয়ে মঙ্গলবার ব্লকের কনফারেন্স হলে এক বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং বিভিন্ন ভিলেজের চেয়ারম্যান পঞ্চায়েত সচিবদের নিয়ে রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠীত করাহয়। এই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, দক্ষিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, দক্ষিন জেলার জেলা শাসক স্মীতা মল এম এস, দক্ষিন জেলা পরিষদের সদস্য নিতিশ দেবনাথ, বোকাফা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মনোজ পাল সহ অন্যান্যরা। শান্তির বাজার মহকুমার বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আজকের এই রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠীত করাহয়। মিটিং এ ব্লকের অধীনে থাকা সব কয়টি পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা , পঞ্চায়েত সচিব, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারী গন উপস্থিত ছিলেন। আজকের আলোচনার মাধ্যমে ব্লকের বিভিন্ন ভিলেজে গুলির উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর আলোচনাকরাহয় এবং যে সকল কর্মসূচী অর্ধসমাপ্ত রয়েছে তা কেন অর্ধসমাপ্ত রয়েছে এবং কিভাবে কাজের আরো বেশি গতি এনে সমাপ্তি করাহবে তানিয়ে সকলের মধ্যে মতবিনিময় করাহয়। আজকের এই আলোচনাশেষে আলোচনার বিভিন্ন দিকগুলি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। মন্ত্রী জানান সমগ্র দক্ষিনজেলার উন্নয়নে প্রতিনিয়ত দক্ষিন জেলায় অবস্থিত সবকয়টি ব্লকে রিভিং মিটিং অনুষ্ঠীত করাহবে।