শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : আজ সকাল বেলা জোলাই বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬ নম্বর বুথে প্রধানমন্ত্রী ১১৬তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ সহ বিভিন্ন বিজেপি নেতৃত্ব । পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ জেলার মগ সম্প্রদায়ের মেধা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিলোনিয়া শচীন দেব বর্মন অডিটোরিয়ালে হল ঘরে অনুষ্ঠিত হলো মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে
মেধাবী মগ সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সম্বর্ধনা এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নবীন সম্মেলন। এই মহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সোসাইটি ফর ওয়েলফেয়ার অফ মগ সোসাইটি পক্ষ থেকে।প্রদীপ প্রজ্বলন এর মধ্যে দিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন টি .আর.পি এবং পি .টি.জি, সংখ্যা লঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। উদ্বোধকের পাশাপাশি এই মহতী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী ব্লকের বি.এস.সি চেয়ারম্যান অশোক মগ, এস ডব্লিউ এম এস এর জেনারেল সেক্রেটারি রাকেশ মগ , জি .এস .দোয়াং মগ সহ অন্যান্যরা । আজকের এই মহতি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ জেলায় কলেজ পড়ুয়া মগ সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নবীন সম্মেলনের পাশাপাশি এবার কার ২০২৩ –২৪ অর্থ বছরে দক্ষিণ জেলার মগ সম্প্রদায়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ২২জন কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা প্রদান করা হয় । আজকের এই অনুষ্ঠানের মন্ত্রী আলোচনা করতে গিয়ে বলেন শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না তাই শিক্ষার পাশাপাশি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের কৃষ্টি, কালচার , সংস্কৃতি সবকিছুকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে কতটা তৎপর সেটাও তুলে ধরেন ভাষণের মাধ্যমে মন্ত্রী শুক্লাচরণ।আজকের এই অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের প্রতিবার মাধ্যমে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে উপস্থিত অতিথি , হলে থাকা অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের বিনোদনের মাধ্যমে মনমুগ্ধ করে তোলেন। আজকের এই মগ সম্প্রদায়ের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনার পাশাপাশি নবীন সম্মেলনের অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রী এবং অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২১ নভেম্বর:- বৃস্পতিবার গোপন খবরের ভিত্তিতে গন্ডাছড়া বনদপ্তরের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে প্রচুর চোরাই কাঠ উদ্ধার করে। ঘটনার বিবরণ জানিয়ে গন্ডাছড়া রেঞ্জের রেঞ্জার কল্যাণ জয় রিয়াং জানান বুধবার রাতে উনার কাছে খবর আসে গন্ডাছড়া ষাট কার্ড স্কুল সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘরে প্রচুর পরিমাণ চোরাই কাঠ মজুদ রয়েছে। এই খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিজে পেট্রলিং অফিসার নভেন্দু ভট্টাচার্যকে সাথে নিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে হানা দিয়ে প্রায় ৭০ ফুট অবৈধ কাঠ উদ্ধার করে গন্ডাছড়া বন দপ্তরে নিয়ে আসে। তিনি জানান এর বাজার মূল্য হবে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা। উল্লেখ্য গত দেড় মাস আগে গন্ডাছড়া রেঞ্জে রেঞ্জার হিসেবে কল্যাণ জয় রিয়াং কাজে যোগদান করার পর থেকেই অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতে করে মহকুমা এলাকায় বর্তমানে অনেকাংশেই বনদস্যদের তাণ্ডব হ্রাস পেয়েছে। তিনি জানান এই ধরনের অভিযান আগামী দিনেও জারি থাকবে। বনদপ্তরের এহেন কাজে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
খোয়াই, ২০ নভেম্বর ।। দশরথ দেব স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতা মূলক কর্মশালা এবং কনসিউমারস ক্লাব ফোরাম গঠনের অনুষ্ঠান হয়। সকাল সাড়ে এগারোটায় খাদ্য , জনসংভরন ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে খোয়াই কলেজের অডিটোরিয়ামে শুভ সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। প্রধান অতিথির ভাষণে খাদ্য জন সংভরন ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর ভাষনে সমাজের প্রতিটি অংশের জনগণের তাদের নিজ নিজ অধিকার বুঝে নিতে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই পুরসভার পুর পিতা শ্রী দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই মহকুমার মহকুমা শাসক চারু ভার্মা। এই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডক্টর খোকন মজুমদার।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- গ্রামীন এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে টিআরএলএম এর অধীন স্বাস্থ্য সাথীদের এক দিবসীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিষয়ে বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত কালীবাজারে চিরস্থায়ী সিএলএফের কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইএলএস হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা এই প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এই দিন। স্বাস্থ্য সাখীরা গ্রামাঞ্চলে,পাড়ায়,বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার পাশাপাশি মানুষদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিআরএমএল এর প্রোগ্রাম অফিসার প্রদীপ চক্রবর্তী। এদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতন, রোগ নিয়ন্ত্রণ, গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ
মানবাধিকার সুরক্ষায় – সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান।
ধর্মনগর
মানবাধিকার সুরক্ষায় – সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান।
মেলাঘর পূর্ব চন্ডীগড় স্থিত ত্রিপুরা দুঃসাহসিক সামাজিক অভিযান সংস্থার উদ্যোগে এবং ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের সহায়তায় আজ উত্তর জেলার অন্তর্গত ধর্মনগর অর্ধেন্দু ভট্টাচায্য হলে মানবাধিকার সুরক্ষায় – সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান সংগঠিত করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা বিধান সভার অধ্যক্ষ শ্রী বিশ্ব বন্ধু সেন সহ অন্যান্য অতিথিগণ।
এই সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানে ধর্মনগর পুর পরিষদ এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিক বৃন্দ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের NSS স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট এন্ড গাইড স্বেচ্ছাসেবক, ধর্মনগর মহকুমার বিভিন্ন থানার আধিকারিক ও পুলিশ কর্মী, উত্তর জেলার বিভিন্ন মহকুমা থেকে ফরেষ্ট অফিসার, আশা কর্মি, অঙ্গনোয়াড়ী কর্মি, ধর্মনগর মহকুমার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন মিলে প্রায় ৫৫০ জন লোকের সমাগম ঘটে।
ত্রিপুরা বিধান সভার অধ্যক্ষ শ্রী বিশ্ব বন্ধু সেন ওনার আলোচনাতে কমিশনের এই ধরনের সচেতনতা মূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের করেন। ওনি আরো বলেন এই কমিশনের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার সূযোগ করে দিয়েছন। ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি স্বপন চন্দ্র দাস ওনার ভাষনে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের কাজ কর্ম তুলে ধরেন এবং ত্রিপুরার সমস্ত স্তরের জনগণ যাতে মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে তাদের অধিকার আদায় করতে পারেন সেই বিষয়ে কমিশনের সহযোগিতা নেওয়ার আবেদন রাখেন। মানবাধিকার কমিশন কিভাবে জনগণদেরকে সুশাসন উপহার দিতে পারে এবং জনগণ কিভাবে মানবাধিকার কমিশনের কাছ থেকে আইনের শাসন পেতে পারে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রাখেন উপস্থিত কমিশনের সদস্য উদিত চৌধুরী, কমিশনের প্রাক্তন সদস্য বিমল কান্তি রায় এবং কমিশনের সচিব রতন বিশ্বাস গন। কমিশনের ইন্সপেক্টর ভবিতা ভট্টাচার্যী পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে কমিশনের কাজ এবং আইনের ধারা গুলো উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি পুলিশ সুপার লাল হিম মলসুম ।
উপস্থিত সমস্ত অতিথিবর্গরা মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে উপস্থিত প্রতিনিধিদের সামনে আলোচনা ব্যাক্ত করেন। কোথাও আইনের শাসন বিঘ্নিত হলে মানবাধিকার কমিশন কিভাবে ভূমিকা পালন করবে, মানবাধিকার কমিশন মিলিতভাবে সমাজে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখবে সেই বিষয়ে আলোচনা রাখেন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার সচিব তথা জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত লিটন শীল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন শ্রীমতী মিতালী রানী দাস (সেন)। ।
“মূখ্যমন্ত্রী পশুপালক সন্মান নিধি প্রকল্প” -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়
আজ খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির কনফারেন্স হলে খোয়াই জেলা ভিত্তিক “মূখ্যমন্ত্রী পশুপালক সন্মান নিধি প্রকল্প” -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ জ্বেলে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন ত্রিপুরা বিধানসভার জনপ্রিয় বিধায়ক শ্রীযুক্ত পিনাকী দাস চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি অপর্ণা সিংহরায়। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক সুব্রত মজুমদার, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীমতি টিংকু ভট্টাচার্য, ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীযুক্ত উত্তম অধিকারী, কল্যাণপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীযুক্ত সৌমেন গোপ সহ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক বৃন্দ এবং খোয়াই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সুবিধাভোগী বৃন্দ।এইদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বলেন। বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং এ আর ডি টি ডিপার্টমেন্টের মন্ত্রী যেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে মানুষের কল্যানে মানুষকে পাশে নিয়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেবার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তা বিগত বাম আমলে আমাদের আমরা প্রত্যক্ষ করি নাই। তাদের লক্ষ্য ছিল বেনি ফিসারিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে হলে মিছিলের লাইন লম্বা করতে হবে।অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে মিছিলে হাঁটলে অনেক বেনি ফিসারিকে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর মানুষের কল্যানে,রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে সরকার কিভাবে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে এখন মানুষকে মিছিলে হাটতে হয় না। কিংবা পার্টির অফিসে গিয়ে ভিড় জামাতে হয় না। এটাই হচ্ছে বিজে পি গভমেন্টের সরকার বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
- প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব।দীর্ঘ বছর ধরে তাদের এই সামাজিক কর্মকাণ্ড উদ্বুদ্ধ করে চলেছে যুব প্রজন্মকে।আজ কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাবের উদ্যোগে ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয় এক মেগা স্বাস্থ্য শিবির।শিবিরে লায়ন্স ও লিও ক্লাবের উদ্যোগে যশোদা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা উক্ত স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত হয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেছেন।এই মেগা স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন হায়দ্রাবাদ যশোদা হাসপাতালের প্রখ্যাত অর্থোপেডিক চিকিৎসক ডাঃ ইয়াদলাপল্লি ভেঙ্কটেশ এবং মেডিসিন ও ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ ধর্মা তেজা। শিবিরে সুগার লেভেল পরীক্ষা ছাড়াও রক্তচাপ, অক্সিজেন লেভেল ইত্যাদি তাৎক্ষণিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।আজ সকাল ১০টা থেকে রোগীদের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করার কাজ শুরু হয় এবং রেজিস্ট্রেশনের পর রক্তচাপ ও সুগার লেভেল পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা একে একে রোগী দেখেন।যাদের এক্সরের প্রয়োজন রয়েছে স্থানীয় একটি বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের এক্সরে করানোর ব্যবস্থা করেছে লায়ন্স ও লিও ক্লাব। লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাবের এই উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন অসংখ্য রোগীরা। এছাড়াও কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব সারা বছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন শিবির করে থাকে।লায়ন্স ক্লাবের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী জানান আজ দুপুরে লায়ন্স ক্লাব প্রাঙ্গনে রোগীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া রোগীদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে আজ মেগা স্বাস্থ্য শিবিরে ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা রেখেছে লায়ন্স ক্লাব। আজ মেগা স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি সুপ্রিয় দেব রায়,সার্ভিস চেয়ারপার্সন সঞ্জীব চৌধুরী,কোষাধ্যক্ষ আশীষ সিনহা,যশোদা হাসপাতালের ত্রিপুরা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যানেজার সুকান্ত পাল সহ অন্যান্যরা।এছাড়াও লিউ ক্লাবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লিও লায়ন সৌরভ বিশ্বাস,লিও ক্লাবের সভাপতি বিপাশা দেব, কোষাধ্যক্ষ প্রতিক পাল, সদস্যা নিকিতা দপ্তরী প্রমুখ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায় ও মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার।খবর নিয়ে জানা যায়,সকাল দশটা থেকে শুরু হওয়া এই মেগা স্বাস্থ্য শিবিরে বিকেল চারটা অব্দি প্রায় ১৬৭ জনেরও বেশি রোগীরা অংশগ্রহণ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। আগামী দিনেও এ ধরনের স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। বিশালগড়ের উন্নয়নের মুকুটে যুক্ত হলো নয়া পালক। হেরিটেজ লাইটের আলোয় সেজেছ বিশালগড় বাজার। জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে মান্ধাতা আমলের লাইট বসানো হয়েছে হেরিটেজ লাইট। বিধায়ক সুশান্ত দেব বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলে এই হেরিটেজ লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে এক আনন্দঘন পরিবেশে ক্ষুদ্র পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হেরিটেজ লাইটের শুভ উদ্বোধন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় পৌর পরিষদ চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন দাস, শংকর সাহা, সমাজসেবক জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা, কাউন্সিলর রতন দেব, ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস সহ এলাকার বহু রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিগন। বিধায়ক সুশান্ত দেব বোর্ডে স্যুইচ টিপলে হেরিটেজ লাইট জ্বলে উঠে। এক অপরূপ দৃশ্য ফুটে ওঠে। এরপর ফলক উন্মোচন করেন বিধায়ক সহ অতিথিরা। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বুদ্ধিজীবি, অভিভাবক সহ অনেকের পরামর্শ নিয়ে বিশালগড়কে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ছোট বড় সবগুলো রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। অফিসটিলায় নর্দমায় ভরা জলাশয়টি সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হবে প্রতিমা ভৌমিকের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে। বিশালগড় এসডিপিও অফিস থেকে মোটর স্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার প্রশস্ত করণের কাজ চলছে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার হস্তক্ষেপে। আগামী এক বছরের মধ্যে সুইমিং পুল নির্মাণ কাজ শুরু হবে। বিজয় নদের উপর প্রাচীন এই সেতুটি সংস্কার এবং পাশাপাশি নতুন একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি আধুনিক শহর এবং উন্নত বিশালগড় গড়ার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশিত নৃত্য সকলের নজর কাড়ে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ।। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো রাবার স্মোক হাউজ । ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে বিশ্রামগঞ্জ থানাধীন পাথালিয়া ঘাট ভিলেজের ওয়ারেং বাড়ি এলাকায়। ওয়ারেং বাড়ি এলাকায় গৌতম ঘোষ নামক ব্যবসায়ীর রাবারের গোডাউন এবং স্মোক হাউজ রয়েছে । জম্পুইজলা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে প্রচুর পরিমাণ রাবারের সিট সংগ্রহ করে তার গোডাউনে জমা রাখে। রাবারের কাচা সিটগুলো স্মোক ঘরে আগুন জ্বালিয়ে শুকানো হয় । স্মোক ঘরে রয়েছে দুইজন শ্রমিক। শ্রমিক মন্টু পাল জানান মুহূর্তে আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা গোডাউন । শ্রমিকরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিশ্রামগঞ্জ দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিশ্রামগঞ্জ দমকল বাহিনী ঘটনা স্থলে ছুটে যাওয়ার আগেই ১২ লক্ষ টাকার রাবারের সিট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঠিক কি কারনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বুঝে উঠতে পারছে না কেউ। তবে দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান রাবারের স্মোক হাউজ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। অসাবধানতার কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে রাবার ব্যবসায়ী গৌতম ঘোষ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যকে মাছ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে এবং বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভর করে তোলার মানসিকতায় তাদেরকে তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে আজ সকাল সাড়ে এগারোটায় কৈলাসহর সার্কিট হাউজে তফশিলি জাতি কল্যাণ ও প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এবং মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস তিন দপ্তরের আধিকারিক দের নিয়ে জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠকে যোগদেন।আজকের পর্যালোচনা বৈঠকে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক,জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা, কৈলাসহর ও কুমারঘাটের মহকুমা শাসক সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।আজকের বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন ফিশারী ডিপার্টমেন্ট,এস সি ওয়েলফেয়ার ও পশুপালন দপ্তর সহ তিন দপ্তরের রিভিউ মিটিং হয়েছে।আজকের রিভিউ মিটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০২৪ -২৫ অর্থ বর্ষে আমরা যে সমস্ত স্কীম এবং প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি তার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে জেলায় এবং এর আগের মিটিং অর্থাৎ প্রথম রিভিউ মিটিংয়ে আর্থিক বছরে যে টার্গেট রেখেছি সেটার কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে।কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে সমস্যা আছে কোন জায়গায় আমরা সফলতা পেয়েছি সার্বিক বিষয়ের উপর আজ দিনভর আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই অর্থ বছরে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সেটা যাতে সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে পৌঁছায় তার কাজ যাতে হয় এবং আমরা যাতে আগামী বছর আরো বেশি উদ্ভাবনী ও পুনর্গঠন স্কিম নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি তার জন্য আজকের এই রিভিউ মিটিং।পাশাপাশি আমরা যে টার্গেট নিয়েছি ফিশারী ডিপার্টমেন্ট এবং প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের জন্য এই দুই দপ্তরকে কাজে লাগিয়ে মাছ মাংস ডিম দুধ যে উৎপাদন বর্তমান রয়েছে তা বৃদ্ধি করা যায়।আমাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের আলোচনা হয়েছে।এটা অস্বীকার করা যায় না যে এই বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে বিশেষ করে ফিশারী সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।সেই ক্ষতিও আমরা কিভাবে পূরণ করতে পারি তার জন্য আমরা যে সমস্ত অর্থ দিয়েছি সেটা কতটা ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে এবং এই যে উদ্ভট পরিস্থিতি হয়েছে এটা থেকে আমরা কিভাবে সারিয়ে উঠতে পারি তার ওপর আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।মূলত রাজ্যে মাছ ডিম এবং মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে মন্ত্রীর এই পর্যালোচনা বৈঠক বলে জানা যায়।তবে ২০১৮ সালের পূর্বে ঊনকোটি জেলায় ডিম মাছ মাংস উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান ছিল তা বর্তমান সরকারের হাত ধরে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আত্মনির্ভর মানসিকতায় বেকার যুবক-যুবতীদের তৈরি করতে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ভূমিকা ও অপরিসীম।