প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজন্য আমলের মহাদেব দীঘিতে মাছের মড়ক । দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা মহাদেব দিঘী জুড়ে । উদয়পুর শহর লাগুয়া এই দীঘিতে মাছের চাষ করা হচ্ছে দীর্ঘ বছর ধরে। কিন্তু পুকুর সংস্কার অথবা সঠিকভাবে পরিচর্যা করার অভাব থাকার ফলে এভাবে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে গত সাত থেকে আট দিন ধরে । এর ফলে দিঘির পশ্চিম পাড় দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষের মধ্যে এই দুর্গন্ধের কারণে এক খারাপ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে । কেন মাছের মড়ক শুরু হয়েছে উদয়পুর মহাদেব দিঘিতে এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি । সূত্রের দাবি , আগামী কিছুদিন পরে মহাদেব দীঘিতে মাছ ধরার জন্য মৎস্য প্রেমীদের মধ্যে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যেভাবে উদয়পুর মহাদেব দীঘিতে মাছের মড়ক শুরু হয়েছে তাতে করে কতটুকু লাভের মুখ দেখতে পারবে মৎস্য প্রেমীরা । এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । যেভাবে গোটা মহাদেব দীঘিতে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে প্লাস্টিকের বিভিন্ন বোতল ও জঙ্গলে পরিণত গোটা দীঘির চারদিক । কেন পুকুরকে সংস্কার করা হচ্ছে না ? তা নিয়ে কোন ধরনের হেলদুল নেই সমবায় সমিতির। এখন দেখার বিষয় যেভাবে মাছের মৃত্যু ঘটে চলেছে তাতে করে দূষিত হচ্ছে জল। গোটা দিঘির জলে ভাসমান অবস্থায় থাকা মৃত মাছকে কবে নাগাদ সরানো হয় পুকুরের জল থেকে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে উদয়পুর মহাদিঘীর দায়িত্বে থাকা সমিতির কাছে ।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি , সাব্রুম :- সাব্রুমের মনু-বনকুল ধর্মাদীপা বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃত শিক্ষিকার নাম সপ্না চাকমা (৩২)। শিক্ষিকার বাড়ি কাঞ্চনপুরে। তিনি চাকরি সূত্রে মনু বনকুল ধর্মাদীপা স্কুলের পাশে নব ত্রিপুরার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেই বাড়িতেই রবিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও অনেকটা রহস্যজনক অবস্থায় দেহটি মেঝের উপর হাঁটু গেড়ে বসানো অবস্থায় ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ। মৃতদেহ উদ্ধারের পর একাংশ এটিকে পরিকল্পিত খুন বলে মনে করছেন। খবর পেয়ে মনু-বনকুল আউট পোস্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক টিম নিয়ে আসে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাব্রুম মহকুমা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সূত্রটি দাবি করছে , ফাঁসিতে আত্মহত্যার পর মৃতদেহ ভারী হয়ে মেঝের উপর নেমে গিয়েছিল। পুলিশের ধারণা এই আত্মহত্যা খুবই সন্দেহজনক । তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের বিবরণ। পুলিশ আপাতত এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ভাড়া বাড়িতে ঘরের মধ্যে সুন্দরী স্কুল শিক্ষিকার ফাঁসিতে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে পুরো মনু-বনকুল জুড়ে চাঞ্চল্য রয়েছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কে বা কারা গতকাল গভীর রাতে চা বাগান ধ্বংস করে ফেলায় শনিবার সকাল থেকে কৈলাসহর থানার অধীনে জগন্নাথপুর চা বাগান এলাকায় পৃথক পৃথক দুটি স্থানে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাচ্ছে বাগান শ্রমিকরা।বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ শুক্রবার গভীর রাতে জগন্নাথপুর চা বাগান এলাকায় ১ নং সেকশন,৬ নং সেকশন,১২ নং সেকশন ও ১৩ নং সেকশন এই চারটি সেকশনের চা পাতা গাছ কেটে ফেলে দুষ্কৃতীরা।শুধু তাই নয় বড় বড় গর্ত করে রাখে এই চারটি সেকশনের প্রবেশ মুখে।পাশাপাশি ১২ নং সেকশনে প্রবেশ করার মূল লোহার দরজাটি জেসিবির মাধ্যমে ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতিকারীরা বলে বাগান শ্রমিকদের অভিযোগ। তবে জানা যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কৈলাসহর থানার বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। যদিও কোন প্রশাসনে আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়নি খবর লেখা অব্দি।বাগান শ্রমিকদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা পথ অবরোধ জারি রাখবে।এর আগেও জগন্নাথপুর চা বাগান এলাকায় চাপাতা গাছ দুষ্কৃতীকারীরা রাতের আধারে কেটে ফেলেছিল বলেও বাগান শ্রমিকরা জানায়,।এই বাগানে কৈলাসহর মহকুমার আরোও চারটি বাগানের শ্রমিকরা এসে কাজ করে বলে জানা যায়।শনিবার এই চারটি বাগানের শ্রমিকরাও জগন্নাথপুর চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে পথ অবরোধে সামিল হয়।এ দিনের এই পথ অবরোধে শতশত বাগান শ্রমিকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।এই পথ অবরোধ করার ফলে রাস্তার দু’পাশে আটকে পড়ে বহু যানবাহন ও পথচারীরা পথচারীরা।যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। শুক্রবার অর্থাৎ বিশ্ব যোগা দিবসে গাড়িচালকদের নিয়ে হাফলং এর চিন্তা লোহার ভবনে একদিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি মনোধন হরিদাস, জেলা সভাপতি শিবু পাল সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গাড়িচালক সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদকরা ও বিভিন্ন পদাধিকারীরা। আজকের এই সম্মেলনে রাজ্য সভাপতি মনোধন হরিদাস বলেন এই সংগঠন ভারতের 17 টি রাজ্যে রয়েছে। ১৯১২ সালে পাঞ্জাব এই সংগঠনের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন হয়েছিল। এখন রাজ্যের আটটি জেলাতেই এই সংগঠন রয়েছে। মোট ১৭ দফা দাবি নিয়ে এই সংগঠন শুরু করে। তবে চার দফা দাবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনেকটা শিরার মত যেভাবে শরীরে শিরা গুলি ছড়িয়ে থাকে এইভাবে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা গুলি ছড়িয়ে রয়েছে এবং রাস্তাতে এই সংগঠনের সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। তাই তাদের দাবি কোন ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকার হলে এই সংগঠনের লোকেদের সরকারের পক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি কোন কারণে কোন সদস্য আহত হয় তবে তাকে দশ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তাছাড়া তাদের দাবি গুলি রাজ্যের যোগাযোগমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায় সংবাদমাধ্যমের। যারা চালকদের সাথে যুক্ত অথচ চালকদের উন্নতির কথা ভাবেনা তাদেরকে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের কে চিহ্নিত করে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দেশে এবং রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দিবসকে পালন করা হয় মহা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে কিন্তু চালকদের জন্য একটি দিবসকে নির্দিষ্ট করতে হবে। মানসিক সামাজিক এবং সমাজের আস্তিক উন্নতির কথা ভেবে সংগঠনের লোকেদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা যেন দেওয়া হয় তার প্রতি দেশ তথা রাজ্যের মানুষের মনোযোগ থাকা বাঞ্ছনীয় বলে বর্ণনা করেন। কারণ তারাও সমাজের একটা অংশ কিন্তু তাদেরকে সঠিকভাবে বিচার করা হয় না। আবার তারা ছাড়া কোন ধরনের উদ্ভাবনী বা উন্নতির কথা চিন্তাও করা যায় না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে সামাজিক মনোবৃত্তি ঠিক করা দরকার বলে তিনি বর্ণনা করেন।
প্রতিনিধি , উদয়পুর : বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বসতঘর পুড়ে ছাই এক ব্যক্তির । ঘটনা কাকড়াবন উত্তর তুলামুড়ায় । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , বৃহস্পতিবার রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ হঠাৎ করে বিদ্যুতের মিটার থেকে আগুনের ঝলকানি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বসতঘরে । কিছু বুঝার আগেই বাড়ির অন্যান্য সদস্য দেখতে পায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে । জানা যায়, বসতঘরের মালিক জয়লাল উদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ঈদের নিমন্ত্রণে । এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রীতিমত হতবাক হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। পরে বাড়ির সদস্যরা মোটরের জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে বসতঘরের পাশে থাকা একটা ছোট্ট ঘরেও আগুন ধরে যায়। সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বসতঘরের আসবাবপত্র । এছাড়া ঈদের সময় গরু বিক্রির আশি হাজার টাকা ঘরে রাখা তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায় আগুনের গ্রাসে । পরবর্তী সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা মোটর এবং জমানো জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে । অন্যদিকে খবর দেওয়া হয় কাঁকরাবন অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে । দমকল বাহিনীর কর্মীরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়ার আগেই সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় । পরবর্তী সময়ে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছোট ঘরটি বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান বাড়ির সদস্যরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার উপর । রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন রাখেন অগ্নিকাণ্ডের জেরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে অসহায় গরীব মানুষটিকে যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সরকার তার আবেদন রাখেন পরিবারের সকল সদস্যরা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে উত্তর তুলামুড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাল বাহি বোলেরো গাড়ি আছড়ে পড়ল এক বাড়িতে। গুরুতর আহত গাড়ির চালক। দুমরে মুচড়ে গেল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির রান্নাঘর ও বসত ঘর। ঘটনা সূত্রে জানা যায় শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ খোয়াই থেকে তেলিয়ামুড়া যাওয়ার পথে পূর্ব রামচন্দ্র ঘাট ব্রিজ সংলগ্নে এলাকায় টি আর -০৩ডি -১৫৯৭ নম্বরের একটি বুলেরো মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় এবং রাস্তার পাশে থাকা রঞ্জিত নম সেন এর বসত বাড়িতে সজুড়ে ধাক্কা মারে। তাতে গাড়ির চালক গুরুতরভাবে আহত হয়। ঘটনার পর এলাকাবাসী গাড়ির চালক কে খোয়াই জেলা হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পড়ে সেখান থেকে গাড়ির চালককে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় আগরতলার জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গাড়ির চালকের নাম জানা না গেলেও তার বাড়ি তেলিয়ামুড়া বলে জানা যায়।
প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া।২১শে জুন।উচ্চ শিক্ষিতদের ঘরেই শুধু কৃতীরা জন্মায় না। সাধারণ গরিব শ্রমিকের ঘরেও যে কৃতি ছাত্র-ছাত্রী থাকতে পারে, দেখলো তেলিয়ামুড়া টাউন হল চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে উপস্থিত সকলে। তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ এবং তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে আজ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মাধ্যমিকে এবং উচ্চমাধ্যমিকে তেলিয়ামুড়ার তুইচিনদ্রাই বাড়ির দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় থেকে দুইজন এবং আনন্দমার্গ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দুইজন ত্রিপুরা বোর্ডে দশ জনের মধ্যে স্থান করে নেয়। আজ সংবর্ধনার প্রথমেই চারজন কে সম্মানিত করা হয়। চারজনই অত্যন্ত থেকে এসেছে। স্বভাবতই খুশি ব্যক্ত করতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় বলেন তোমাদের কৃতিত্বে আমরা গর্বিত, তোমরা আমাদের অহংকার, তোমরা আমাদের গর্ব। তোমরা এ বছর যেভাবে সফলতার নজির স্থাপন করেছ, তার ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকুক এটা একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি। তোমাদের সফলতার পেছনে বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা সার্বিকভাবে পরিবেশ পরিস্থিতির ভূমিকা থাকলেও আমি বিশ্বাস করি তোমাদের এই সফলতার পেছনে তোমাদের মা বাবার অবদান অনস্বীকার্য। আগামী দিনে তোমরা মানুষের মতো মানুষ হয়ে সমাজ’কে বিকশিত করবে মা-বাবার স্বপ্নকে পূর্ণ করবে এবং নিজ নিজ আঙ্গিকে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে, এই প্রত্যাশা আমি করছি। তেলিয়ামুড়া টাউন হল চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে জমকালো এই সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় ছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মধুসূদন রায়, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন যমুনা দাস রায়, মোটিভেশনাল স্পিকার লিটন ভৌমিক প্রমুখ।
এদিনের এই আয়োজন থেকে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানানো হয়। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের আগামী দিনের জন্য উৎসাহিত করার জন্য মানসিকভাবে আরো যাতে তারা বলিষ্ঠ হতে পারে সে জন্য সম্মানিত অতিথি লিটন ভৌমিক দারুন ভাবে উপস্থিত সকলকে অনুপ্রাণিত করেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২১ জুন।। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার বিশালগড় মহকুমার তিনটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে ১০ম বিশ্ব যোগা ও পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। বুনিয়াদী শিক্ষা দফতর এর উদ্যোগে ও বিধান শিশু উদ্যান মেধা অন্বেষার সহযোগিতায় বিশালগড় মহকুমার কলকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিশালগড় টাউন গার্লস দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় ও বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেনি বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে দুপুর ১১ টা থেকে সাড়ে ৪ টার মধ্যে অনুষ্ঠান সংগঠিত হয়। অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত ছিলেন বিধান শিশু উদ্যান মেধা অন্বেষার রাজ্য কমিটির কনভেনার মনোজ রায়, সদস্য আবদুল হক, সিপাহীজলা জেলা কমিটির কনভেনার দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, বিশালগড় বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রদীপ দেববর্মা, কলকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এম. সির চেয়ারম্যান রাধামনি সিনহা, বিশালগড় টাউন গালর্স দ্বাদশ বিদ্যালয়ের ইকো ক্লাবের কনভেনার অংশুমান দেববর্মা সহ তিনটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা। তিনটি বিদ্যালয়েই ১৫টি করে ফুল ও ফলের চারা রোপণ করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা প্রত্যেকেই ছাত্রছাত্রীদের যোগা করার ও বৃক্ষরোপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন ।
উত্তর জেলা হাসপাতালে বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখলেন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। উত্তর জেলা ধর্মগরে যে হাসপাতালটি রয়েছে তার স্বাস্থ্যপরিসেবা বড়ই বেহাল। এই বেহাল অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে বুধবার রাজ্য বিধানসভার সদস্য এবং বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ এক বিশেষ পরিদর্শন করেন হাসপাতাল এবং অতিসত্বর একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আজকে এই পরিদর্শনে জানা যায় দীর্ঘ এক বছর যাবত কোন ধরনের গ্যাসের ওষুধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয় না এবং শ্বাসকষ্ট জনিত ইনভিউজার হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না। কিন্তু ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে স্টোরে এগুলি এক্সপেরি হওয়ার পথে কিন্তু অবহেলার কারণে এগুলোকে রোগীর জন্য ব্যবহার করা হয় না। কোন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ধর্মনগর উত্তর জেলা হাসপাতালে নেই কি করে একটা জেলাস্তরের হাসপাতাল দিনের পর দিন চলছে তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকেই। শিশুদের কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে বহিরাজ্যে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ট্রমা সেন্টারে ওপিডি বসানো হলেও দুপুর দুইটা আর এটার পর এই ওপিডি বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ কর্তব্যে অবহেলা এখানেও চূড়ান্ত আকারে প্রকট হয়ে উঠেছে। সোনোগ্রাফি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করা হয়। সোনোগ্রাফির জন্য রোগীরা ঊনকোটি জেলা এবং কাঞ্চনপুর থেকে ধর্মনগরে আসে কিন্তু উপযুক্ত লোকের অভাবে সোনোগ্রাফির ডেট তিন থেকে চার মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক সোনোগ্রাফির লোক এই কাজে নিয়োজিত এবং আরেকজনের প্রশিক্ষণ চলছে। তাই লোকের অভাব বলে জানান জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ভাস্কর দাস। তিনি চার্জ নিলেও একটার পর একটা ব্যাপার খতিয়ে দেখছেন। এখনো বুঝে উঠতে পারেননি এবং জানতেও পারেননি, সার্বিক ব্যাপার। কর্মীসল্পতায় ভুগছে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালটি। যার ফলস্বর ূপ পরিষেবা একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য ঠিক একমাস আগে এই বিধায়ক ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে এবং কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আজ ধর্মনগরের বিধায়ক তথা অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের সাথে কথা বলে এই বিধায়ক ধর্মনগরের জেলা হাসপাতালটি পুনরায় পরিদর্শনে যান। যেসব ঘাটতি রয়েছে সেইসব পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে যেভাবে জেলা হাসপাতালটি চলছে এমন ভাবে কোন স্বাস্থ্য পরিষেবা সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জনপ্রতিনিধে দের বক্তব্যে প্রকট হয়ে ওঠে। তার জন্য পূর্বের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তীকে তুলোধোনা করে টানতেও কিছু পা হননি বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ। রাজ্যের একটি জেলা হাসপাতালের অবস্থা যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে পারে না তা স্বীকার করে এর ঘাটতি গুলি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-অবিরাম বৃষ্টির ফলে গোটা রাজ্যের সাথে কৈলাসহর মহকুমাও প্লাবিত হয়েছে।তিন চার দিনের ক্রমাগত বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে সেই ২০১৮ সালের অভিশপ্ত দিনগুলোর স্মৃতি মনে পড়ে যায়।বন্যার সম্ভাবনা সকাল থেকেই উঁকি দিচ্ছিল মানুষের মনে।আজ সকাল থেকে মনু নদীর জল স্তর স্বাভাবিক স্তর থেকে ওয়ার্নিং স্তর পেরিয়ে ক্রিটিক্যাল স্তর ছুঁয়ে গিয়ে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থায় ছিল।এরফলে গোটা কৈলাসহরে শুরু হয়ে যায় জলাতঙ্ক।তবে কিছুটা সময়ের জন্য মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হলেও সময়ের সাথে সাথে জলের স্তর স্বাভাবিক গতিতেই কমতে থাকে।এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকাল থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েন মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার সহ উনার টিম।এন ডিআরএফ জওয়ান,আপাদমিত্র এবং সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়াররা মাঠে নেমে বন্যার্ত এলাকা গুলোতে গিয়েছে।সাথে ছিলেন অতিরিক্ত মহকুমা শাসক নবকুমার জমাতিয়া,ডেপুটি এক্সিকিউটিভ অফিসার বিশ্বজিৎ দাস এবং মহকুমা কল্যাণ আধিকারিক মতিরঞ্জন দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।কৈলাসহর মহকুমার কোথাও বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই এবং শেল্টার হাউসেও স্থানান্তরিত হয়নি।তবে একটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের মধ্যে মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।