প্রতিনিধি , উদয়পুর :-বৈশাখের তীব্র তাপদাহে বেহাল অবস্থা হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্যের সাথে গোমতী জেলার উদয়পুরের নাগরিকদের । সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই সম্পূর্ণ উদয়পুর শহরের বাজার ফাঁকা হয়ে পড়ে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এক প্রকার লাটে ওঠে । বৃষ্টির জন্য মানুষ থেকে শুরু করে জীবজন্তু পর্যন্ত একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস খুঁজে বেড়াচ্ছিল প্রতিনিয়ত । এবার উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে বৃহস্পতিবার সকালে মাতারবাড়ি এলাকার মহিলারা মায়ের কল্যাণসাগর দিঘী থেকে কলস দিয়ে জল এনে মায়ের মন্দিরে প্রধান দরজার সামনে জল ফেলে মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন বৃষ্টির জন্য। এদিন ১০২ কলস জল মায়ের দরজায় এনে জল ঢেলে প্রার্থনা শুরু হয়। আর তার কিছু মুহূর্তের পর ঘন অন্ধকারে মেঘ জমে ওঠে আকাশের মধ্যে । প্রথমে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয় উদয়পুরে তারপর দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ঝমঝমিয়ে শুরু হয় বৃষ্টিপাত । স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে আসে গোটা উদয়পুরবাসীদের মধ্যে । এ বৃষ্টি বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে গরমের হাত থেকে রক্ষা করেছে এদিন উদয়পুর কে। প্রতিদিন এই গরমের জন্য বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে তখনও হাসপাতালে আবার কখনো বাড়িঘরের চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেছিল। অন্যদিকে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে উদয়পুরে দই থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার জন্য ভিড় জমে যেত এই গরমকে কেন্দ্র করে। কিন্তু আজকের দিনে এই ভারী বৃষ্টিপাত এক প্রকার শীতল বাতাস ও বৃষ্টির আনন্দ নিয়ে এসেছে গোটা উদয়পুরবাসীদের জন্য।
ত্রিপুরা
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
ঠিক সময়ই আগরতলা থেকে গৌহাটি যাবার জন্য শ্রীমা ট্রাভেলসের বাসটি ছেড়েছিল। মোট ২৭ জন যাত্রী ছিল। এনসি হিলের দিমাসার ডিপ্তছড়া যাবার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সম্পূর্ণরূপে ছোট ছড়ার মধ্যে পড়ে যায়। এতে ছয় জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজন হাসপাতালে যাওয়ার সময় মারা যায় ছেলেটি হল ত্রিপুরার ধলাই জেলার দেবরাজ দেববর্মা। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। উল্লেখ্য সোনাপুরের রাস্তা খারাপ হওয়ায় বিকল্প জাতীয় সড়ক ধরে বাস্তি অগ্রসর হচ্ছিল। এদিকে উত্তর-পূর্ব রেল জানিয়েছে যে রেলের কাজ পাঁচ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে তাই এই সময় দূরপাল্লার অর্থাৎ ত্রিপুরা এবং শিলচর থেকে কোন ট্রেন গৌহাটি গামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২ মে।। সপ্তাহ ব্যাপি রাজ্য জুড়ে মেগা বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যুব মোর্চা। যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেবের আহবানে সাড়া দিয়ে বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে যুব মোর্চার কার্যকর্তারা। বৃহস্পতিবার বিশালগড় টাউন হল প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। যুব মোর্চার বিশালগড় মন্ডল আয়োজিত বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বৃক্ষ রোপণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া এদিন বিশালগড় রাজপথে পথচারীদের মধ্যে শরবত এবং ফল বিতরণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। আগরতলার বটতলা এবং চন্দ্রপুরে যুব মোর্চা আয়োজিত শরবত এবং ফল বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। তিনি জানান বিগত এক সপ্তাহ ধরে মানুষকে খানিকটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য কাজ করছে যুব মোর্চা এবং বিজেপির কার্যকর্তারা। পানীয় জল, শরবত, ফল, ঠান্ডা পানীয় পথচারীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজ্য জুড়ে প্রতি বুথে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি চলছে। প্রখর রৌদ্রতাপ হোক বা যেকোনো আপদকালীন সময়ে যুব মোর্চা মানুষের সঙ্গে থাকবে বলে জানান বিধায়ক সুশান্ত দেব।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২ মে।। তীব্র দহন যন্ত্রণায় ভোগছে আমজনতা । কিন্তু কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে অন্নদাতা চাষীরা কাজ করেন জমিতে। তপ্ত দুপুরে রাজপথে কাজ করছে রিকশা শ্রমিক এবং ঠেলা শ্রমিক। রৌদ্র তাপ থেকে খানিকটা রেহাই দিতে তাদের পাশে দাঁড়ান আনন্দ মার্গ ইউনিভার্সেল রিলিফ টিম ত্রিপুরা শাখা । বিশালগড়ের উত্তর ব্রজপুর, আমবাগান, নারাউড়া, পূর্ব লক্ষীবিল, নোয়াপাড়া এলাকার প্রায় দুই শতাধিক চাষির হাতে ছাতা তুলে দেন আনন্দ মার্গ ইউনিভার্সেল রিলিফ টিমের সদস্যরা। এছাড়া তপ্ত দুপুরে রাজপথে কর্তব্য পালন করছে ট্রাফিক পুলিশ। এই পুুলিশ কর্মীদের হাতেও তুলে দেয়া হয় ছাতা। কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুলের চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথ, এমার্টের সদস্য শতদল আচার্যী, সজল সূত্রধর, সঞ্জিত দেবনাথ, বাপি সাহা, তমাল চক্রবর্তী প্রমুখ। দুই দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে ঘুরে কর্মরত চাষীদের হাতে ছাতা তুলে দেন তারা। আনন্দ মার্গ স্কুলের চেয়ারম্যান ননীগোপাল দেবনাথ জানান কৃষকরা আমাদের পরম বন্ধু। ঝড় বৃষ্টি রৌদ্র উপেক্ষা করে সকলের খাদ্যের ব্যবস্থা করে চাষীরা। লকডাউন পরিস্থিতিতে সবাই যখন ঘরে ছিল তখনও চাষীরা মাঠে কাজ করেছে। বর্তমানে প্রখর রোদেও জমিতে কাজ করছে চাষীরা। তাই তাদের কাজের ক্ষেত্রে সাময়িক স্বস্তি দিতে ছাতা প্রদান করা হয়। এতে খুশি চাষী এবং শ্রমিকরা।
প্রয়াত সাংবাদিক মানষ ভট্টাচার্যের জাম্বুরাস্থিত বাড়িতে আসলেন বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়
শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করতে বুধবার সকালে প্রয়াত সাংবাদিক মানষ ভট্টাচার্যের জাম্বুরাস্থিত বাড়িতে আসলেন বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়। উনি সাংবাদিক মানষ ভট্টাচার্যের বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীর সাথে কথা বলেন এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি মানষ ভট্টাচার্যের বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করেন। এইদিন উনার সাথে ছিলেন খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা, বিজেপি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, খোয়াই মন্ডল সহসভাপতি প্রণব বিশ্বাস, পৌরপরিষদের কাউন্সিলার শিঙ্কু পাল সহ অন্যান্যরা। সকলেই শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাত দশটায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সাংবাদিক মানস ভট্টাচার্য।মানস দূরদর্শনের প্রতিনিধি হিসেবে খোয়াই জেলায় কর্মরত ছিল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল 43 বছর। মৃত্যুকালে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রেখে যায়। মানুষ ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়ানে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা খোয়াই জুরে ।
তীব্র তাপদাহ থেকে স্বস্তি দিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে জল দান করলেন মুখ্য সচেতক।
- প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।১লা মে। ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির নির্দেশ অনুসারে, তেলিয়ামুড়া মণ্ডল এবং তেলিয়ামুড়া যুবমোর্চার যৌথ উদ্যোগে সাপ্তাহ ব্যাপী একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে বুধবার সকালে বৃক্ষরোপণ ও পথচারীদের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় তেলিয়ামুড়া বিজেপি মন্ডলের অন্তর্গত মোহরছড়া বাজারে। এই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা কল্যাণীর সাহা রায় সহ বিজেপি দলের নেতা কর্মীরা।
এদিনের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যুব মোর্চার কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। গত কয়দিন ধরেই সারা রাজ্যের নেয় তেলিয়ামুড়া ও তার আশপাশ এলাকা গুলিতেও প্রচন্ড গরম অনুভূতি হচ্ছে।আজ ছিল মোহরছাড়ায় হাট-বাজার। বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতা সকলি প্রচন্ড গরমে নাজেহাল অবস্থায় ছিল। যুব মোর্চা এবং মন্ডলের উদ্যোগে বিধায়িকার উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করায়, প্রচন্ড গরম থেকে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষ রেহায় পায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় বিতরণ করে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক শ্রীমতী রায় বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি একটা সেবা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল। আমাদের কাছে সেবাই হল সংগঠন। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি এবং রাষ্ট্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজী বলেন, সেবার মাধ্যমেই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সম্পর্ক থেকেই আমাদের শুরু হয় সমর্থন আদায়। এই গ্রীস্মের প্রখর রোদে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটু পানীয় জল মুখে তুলে দিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে একটু সাহায্য করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। আগামী সাতদিন তেলিয়ামুড়া এলাকাতে বিভিন্ন বাজার এলাকাতে এই কর্মসূচিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন কল্যাণী সাহারায়। আজকের কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস। তেলিয়ামুড়া মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক নন্দন রায়,গোপাল ব্রহ্ম, মন্ডল প্রভারি প্রজেশ চক্রবর্তী, যুব মোর্চা তেলিয়ামুড়ার সভাপতি কিংকর দেবনাথ সহ অন্যান্য যুব ও মণ্ডল শক্তি কেন্দ্র এবং বুথের কার্যকতা রা।
মঙ্গলবার এক যান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন ৯ জন। এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার বিবরনে জানা যায় তুলাশিখরের কুইচা বাড়ি এলাকায় জলের ট্যাঙ্কার গাড়ি উল্টে আহত হন ৯ জন গ্রামবাসী। এদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় আগরতলা জিবিতে রেফার করা হয়। অবশিষ্টদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যায় আহতদের মধ্য থেকে প্রথমে দুজনকে এবং এর পরে আরো দুজন সর্বমোট চারজনকে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। যে চারজনকে রেফার করা হয়েছে তারা হল মহাদেব শুক্ল দাস(41), নিখিল দাস(56), লিটন দেব(24), শান্তা দেব(55) এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। উল্লেখ্য গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ এবং সুখা মৌরসুমের ফলে খোয়াই মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে তীব্র জনসংকট তৈরি হয়েছে। এই জলসংকট দূর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি করে বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবারের এই দুর্ঘটনায় বিপত্তির সৃষ্টি হয়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-গোটা ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে চলছে তীব্র দাবদহ । এর ফলে মানুষের জীবন জীবিকা থমকে গিয়েছে । গরমের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয়। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই উদয়পুর শহরে জন মানব শূন্য হয়ে পড়ে একমাত্র তীব্র গরমের কারণে । পথ চলতি সাধারণ মানুষকে গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য এবার শাসক দল বিজেপির গোমতী জেলা আইটি সেল ও আর কে পুর মন্ডলের উদ্যোগে যৌথ উদ্যোগে জলছত্র করা হয় উদয়পুর রমেশ চৌহমুনীতে মঙ্গলবার দুপুরে । জলছত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ত্রিপুরা রাজ্যের আইটি কনভেনার চন্দন দেবনাথ , পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস সহ প্রমূখ । এইদিনের জলছত্র অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের আইটি কনভেনার চন্দন দেবনাথ বলেন , রাজ্য তীব্র দাবদাহ চলার ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ অবস্থা । তাই দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে রাজ্যের সর্বত্র এই ধরনের ঠান্ডা পানীয় ও তরমুজ দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে । তাই কাটা ফল ও ঠান্ডা পানিও খাওয়ানো হচ্ছে রাস্তার ধারে। এর থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ। এই জলছত্র অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আইটি সেলের দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড কৈলাসহর খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে : মন্ত্রী টিংকু রায়
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গত ২৬শে এপ্রিল শিলাবৃষ্টি সহ প্রবল বজ্রপাতের ফলে গোটা কৈলাসহর মহকুমা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার-ই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা কতটা উন্নত হয়েছে এবং যাদের ঘর ভেঙ্গেছে তাদের কিভাবে সাহায্য করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ কৈলাসহর পুর পরিষদের কনফারেন্স হলে কাউন্সিলার সহ সাই কম্পিউটার্স এবং বিজেপি দলের বরিষ্ঠ নেতৃত্বদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের চেয়ারপারসন চপলা রানী দেবরায়,ভাইস চেয়ারপারসন নীতিশ দে, চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপার্সন সন্দীপ কূর্মী,গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন নারাণ সিনহা এবং ভাইস চেয়ারম্যান শিবশঙ্কর অধিকারী,বিজেপি নেতা অরুণ সাহা ও সাই কম্পিউটার্সের ডিজিএম হরিন্দর শর্মা সহ পুর পরিষদের কাউন্সিলরগন। উক্ত বৈঠকের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন মন্ত্রী শ্রী রায়।এই পরিস্থিতি থেকে জনজীবনকে কিভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা যায় তার দিক নির্দেশ করেছেন তিনি।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন,২৬শে এপ্রিল প্রবল ঝড়ের ফলে গোটা মহকুমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়ি ঘর।২৭শে মার্চ তিনি খুঁজ নিতে কৈলাসহরে এসেছিলেন।সে সময় ক্ষতির পরিমাণ ততটা আঁচ করতে পারেননি।নির্বাচনী আচরণবিধি এখনো লাগু থাকার ফলে কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হলেও তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।এদিকে বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে সাই কম্পিউটার্সের কাজে খুশি প্রকাশ করেছেন তিনি।মন্ত্রী শ্রী রায় বলেন যেভাবে ঝড় হয়েছে এবং যে মাত্রায় বিদ্যুতের সংযোগ ছিন্ন হয়েছে তারপরেও খুব তাড়াতাড়ি পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কৈলাসহর বিদ্যুৎ বিভাগ। তিনি বলেন সাই কম্পিউটার্স হচ্ছে নোডেল এজেন্সি। তাদেরকে পরিচালিত করছে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড।এখনো মহকুমার ৭০টি জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি।সেক্ষেত্রে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে যাবে।বিদ্যুৎ কর্মীদেরকে হুমকি ধমকি না দিয়ে তাদের সাথে সহযোগিতা করে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী।তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার পরামর্শে এই বৈঠক করেছেন এবং বৈঠক চলাকালীন সময়ে কৈলাসহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে খুঁজ নিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ।এখন দেখার এই বৈঠকের পর পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হয় তার দিকেই তাকিয়ে আছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
বারো এপ্রিল খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ে হৃত্বিক মাহাতো নামে এক নাবালক যুবক। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ওর বাড়ি ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ। কেন সেখানে এল, উত্তরে বলল, মা বকাবকি করেছে তাই ট্রেনে উঠে যায় এখানে এসে নেমে যায়। ছোট্ট ১২ বছরের ঋত্বিক কে পুলিশ প্রথমে থানায় রাখে তারপর সিডাব্লিউসি খোয়াই অফিসে যোগাযোগ করে সেই মোতাবেক চাইল্ড লাইনের কর্মীরা পরদিন তাকে তেলিয়ামুড়া থানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে,
এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অফিসে ওর সাথে কথাবার্তা বলে এবং কমিটি অর্ডার করে তাকে আমপুরা হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। সিডাব্লিউসি যোগাযোগ শুরু করে সাহেবগঞ্জ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সাথে সেই সূত্র ধরে জানা যায় ঋত্বিক এর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার মহারাজপুর, থানা তালঝরি। ওর বাবা দিনেশ মাহাতো, মায়ের নাম প্রমিলা মাহাতো, বাবার সংসারের প্রতি কোনো লক্ষ নেই সারাক্ষণ নেশাগ্রস্থ থাকে আজ থেকে দিন ১৫ আগে ঋত্বিকের ছোট্ট একটা ভাই হয়েছে, মূলত পরিবারের গার্জিয়ান ওর দাদু রাজকুমার মাহাতো এবং দিদা কুন্তি দেবী। খোয়াই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি ওদের পরিবারের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ,ওর মা অসুস্থ অবস্থায় ছেলেকে ফেরত দেওয়ার আবেদন জানায়। তখন আইন মেনে তাকে ফেরত দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করাহয এবং সাহেবগঞ্জ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এস আই আর রিপোর্ট পাঠায় সেই মোতাবেক আজ ছেলের দাদু দিদা খোয়াই অফিসে আসে এবংপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তারপর আইডেন্টিফিকেশন করার লক্ষ্যে ভিডিও কল করা হয় আমপুরা হোমে এবং আমরা কনফার্ম হই সত্যি এই ওর দিদা এবং দাদু। সাহেবগঞ্জ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মেইল অর্ডার ও লেটার অনুয়ায়ী , আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছোট্ট ঋত্বিক কে যখন দাদু দিদার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওদের আনন্দাশ্রু আর ধরে রাখতে পারেনি তাদের ছোট নাতিকে পেয়ে তারা দুজনেই ব্যাথা খুশি। এদিন ছোট শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন খোয়াই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান নান্টু আচার্য সহ অন্যান্যরা।