প্রতিনিধি, উদয়পুর :- অবশেষে মহারাণী প্রাথমিক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযানের অধীন পরিষেবা শুরু হল। গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুদের নিরাপদ ও সুরক্ষার জন্য প্রতি মাসের নবম ও ২৩তম কাজের দিনে গুনগত মানের প্রাক প্রসব করার জন্য এই অভিযান চলে।
২০১৫ সাল থেকে এই অভিযান চালু হলেও মহারাণী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই পরিষেবার যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ডাঃ তমাল দেববর্মা মহারানী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকের নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগে গ্রহণ করেন। ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বার্তা পেয়ে আশা’রাও উতসাহিত হন এবং গর্ভবতী মায়েদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।
মহারানী প্রাথমিক হাসপাতাল থেকে জানা যায়, আজ ৫০ জন গর্ভবতী মা এক দিনেই প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযানের অধীন প্রাক প্রসব পরীক্ষা করাতে আসেন। এই প্রথম এত বড় সংখ্যায় গর্ভবতী মায়েরা এই পরিষেবা নিতে আসেন। মহারানীর এলাকার বিভিন্ন উপজাতি এলাকা থেকে মায়েরা আসেন। বিশেষ করে লাভ স্টোরি এডিসি গ্রামের দুক্সিন, মালসাধুপাড়া, কৃষ্ণ ভক্ত পাড়া, আজলাবাড়ী, নাজিলা, কোয়াইমুড়া ভিলেজ, ব্রহ্মছড়া, গামারিয়ার ওয়ারেং বাড়ী এসব এলাকা থেকে মহিলারা পরিষেবা নিতে আসেন।
ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ তমাল দেববর্মা জানান, ৮ জন গর্ভবতী মহিলাদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা চিহ্নিত হয়েছে। হাসপাতালের উদ্যোগে ৩ জন মায়ের আলট্রা সনগ্রাফির ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযানের অধীনে বেশী সংখ্যক মায়েরা পরিষেবা নিতে আসায় হাসপাতালের স্টাফরাও আপ্লুত হন। এবং তারা জানান হাসপাতালের পক্ষ থেকে মায়েদেরকে ফল ও খাওয়ার বিতরণ করা হয়। পরিষেবা পেয়ে গর্ভবতী মায়েরা উৎসাহিত বোধ করেন। হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানান এবার থেকে এই পরিষেবা গুনগত মানের উপর জোড় দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে অন্য আরও একজন চিকিৎসক ডাঃ শুভ্রজিত বনিক গর্ভবতী মায়েদেরকে চেক আপ করেন।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ত্রিপুরা রাজ্যে একটা সময় গ্রামের উন্নয়নের জন্য নেতাদের কাছে যেতে হতো জনগণকে । কিন্তু বর্তমানে তার চিত্র সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়েছে ত্রিপুরায় । বর্তমান রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সদা তৎপর রয়েছে । বুধবার দুপুরে মাতাবাড়ি বিধানসভার চন্দ্রপুর ভিলেজ গ্রাম পঞ্চায়েতে ছত্রিশ নং এবং ৩৭ নং বুথের রাস্তাঘাট , জল নিকাশি ব্যবস্থা এবং বক্স কালভার্ট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা গুলিকে আর.ডি দপ্তরের আধিকারিক এবং গ্রামীন জনপ্রতিনিধি ও বিধায়ক অভিষেক দেবরায় সহ সরজমিনে পরিদর্শন করেন। এলাকার বিভিন্ন সমস্যাগুলি নিয়ে গ্রামের নাগরিকদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেন। যে সকল কাজ আগামী দিনে এই এলাকাগুলিতে করানো হবে সে সকল কাজগুলি যেন গ্রামবাসীরা ও বিশেষভাবে নজর দিয়ে দায়িত্ব নিয়ে সমস্ত কাজকে সুন্দরভাবে যাতে শেষ করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সামনে থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন বিধায়ক । সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে বিধায়ক আশ্বাস প্রদান করেন খুব কম সময়ের মধ্যে এলাকার রাস্তাঘাট , জল নিকাশি ব্যবস্থা এবং কালভার্টের কাজ করে দেওয়া হবে । সবমিলিয়ে এলাকার উন্নয়ন আগামী দিনে এক অন্যতম শিকড়ে পরিণত হবে বলে আশাবাদী গ্রামীণ লোকজন।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১১ ডিসেম্বর:- ধলাই জেলা সদর আমবাসা টাউন হলে বুধবার অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যভিত্তিক ভারতীয় ভাষা দিবস। রাজ্য ভিত্তিক ভাষা দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলা সভাধিপতি সুস্মিতা দাস,শিক্ষা দপ্তরের ও এস ডি(রাজ্য) মোহাম্মদ সেলিম, জেলা শিক্ষা আধিকারিক যতন কুমার দেববর্মা প্রমূখ। এদিন জেলার চারটি মহকুমার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। । নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান নিয়ে সুন্দর এবং সহজ সরল ভাষায় বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা সভাধিপতি সুস্মিতা দাস। তিনি ছোটবেলায় স্কুলে পড়া কবি অতুল প্রসাদ সেনের বিখ্যাত কবিতার কয়েকটি লাইন তুলে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন দেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী সাংবাদিক লেখক কবি সমাজ সংস্কারক এবং বহু ভাষাবিদ তামিলনাড়ুর চিন্নাস্বামী শুভ্রম্মনিয়া ভারতীর আজ ১৪২ তম জন্মদিন। ভাষা দিবস হিসাবে আজকের এই অনুষ্ঠানটি রাজ্য ভিত্তিক পালন করা হচ্ছে। আমাদের মাঝেও আজ উপস্থিত রয়েছে বহু ভাষাভাষী ছাত্র ছাত্রীরা। বহু ভাষাভাষী মানুষের মেলবন্ধনেই এই অনুষ্ঠান। যেখানে প্রতিটি ভাষাভাষীর ছাত্র ছাত্রীরা এই মঞ্চে তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরবেন। তাছাড়া আলোচনা করেন শিক্ষা দপ্তরের ওএসডি (রাজ্য দপ্তর) মোহাম্মদ সেলিম,জেলা শিক্ষা আধিকারিক যতন কুমার দেববর্মা। আলোচকদের আলোচনা শেষ হতেই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যের তথা জেলার নানা মহকুমা থেকে আগত ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠিত হয় ধামাইল, মণিপুরি, আসামি, বিহু,বিজু নৃত্য। রাজ্য ভিত্তিক ভারতীয় ভাষা দিবস অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৯ ডিসেম্বর।। সংক্রামক ব্যাধি যক্ষামুক্ত ভারত গড়ার ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ দিন। রাজ্যের যক্ষামুক্ত ক্যাম্পেইন এর শুভ সূচনা হয় বিশালগড়ে। সোমবার বিশালগড় নিউ টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার উপস্থিতিতে ১০০ দিনের মধ্যে যক্ষা মুক্ত ভারত গড়ার শপথ গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন, বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিত্যে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন অধিকর্তা ডাক্তার সমিত রায় চৌধুরী, জেলাশাসক সিদ্ধার্ত শিব জয়সওয়াল, রাজ্যের যক্ষা আধিকারিক নুপুর দেববর্মা, সিপাহীজলা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দেবাশীষ দাস প্রমূখ। ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যক্ষা সংক্রামক ব্যাধি। তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। সঠিক সময়ে যক্ষার লক্ষণ চিহ্নিতকরণ, সনাক্তকরণ এবং দ্রুত চিকিৎসায় যক্ষা রোগী সহজেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। সরকার বিনামূল্যে যক্ষার প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা প্রদান করছে। এছাড়া পিএম নিক্ষয় যোজনায় মাসে ১০০০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। এই সংক্রামক বেধি থেকে মুক্ত থাকতে দরকার জনসচেতনতা। এক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সকলকে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাল্যবিবাহ, বয়সন্ধিকালীন গর্ভধারণ প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তাছাড়া জেলার প্রতিটি স্কুল, পঞ্চায়েতে যক্ষা মুক্ত ভারত গড়ার শপথ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন ডোনার মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় এই জেলায় ডি এডিকশন সেন্টার নির্মাণ হবে। এদিন ৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, পাঁচটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে যক্ষা নিমলীকরণের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। যক্ষা নির্মূলে গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য তিনজন আশা কর্মীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ কয়েকজনকে নিক্ষয় মিত্র হিসেবে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
কৃষকদের দেওয়া হল বীজ ও বিভিন্ন সামগ্রী বিজ্ঞানভিত্তিক চাষবাসের আহ্বান মন্ত্রীর
প্রতিনিধি মোহনপুর:- রাজ্যকে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনে স্বয়ংভর হতে হবে। তার জন্য কৃষকদের বিজ্ঞানভিত্তিক চাষবাসের সাথে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। সোমবার মোহনপুর কৃষি মহকুমা এলাকার কৃষকদের বীজ এবং বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদান কর্মসূচিতে বললেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মোহনপুর কৃষি মহকুমার উদ্যোগে এলাকার কৃষকদের মধ্যে উন্নত মানের আলুর বীজ প্রদান করা হয়েছে সোমবার। এলাকার ৫৪২ জন কৃষককে ৬০০বস্তা আলুর বীজ প্রদান করা হয়েছে,৫০১ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সবজির বীজ,পাওয়ার টিলার ৭ জনকে, পাওয়ার ওইডার- ১০ জনকে, স্প্রে মেশিন ২৩ জনকে এবং অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। এদিন এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন কৃষকরা প্রাচীনকালের মতো পুরানো চিন্তা ভাবনা নিয়ে চাষবাস করলে হবে না। কৃষি বিজ্ঞানী এবং আধিকারিকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কৃষি কাজ করতে হবে। যেহেতু আমাদের কাছে সীমিত জমি রয়েছে সেই জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক চাষবাস করতে হবে কৃষকদের। মন্ত্রী বলেন উন্নত মানের বীজ, সঠিক পদ্ধতিতে সার প্রয়োগোগ এবং পরিচর্যার মাধ্যমে রাজ্যকে ধান এবং ফসল উৎপাদনে স্বয়ংভর করে তুলতে হবে। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগীদের হাতে বিভিন্ন সামগ্রী এবং বীজ তুলে দিলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুরের এগ্রি সুপারিনটেন্ড রবি সরকার, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।
পাবিয়াছড়া বিধানসভার মানুষের যে কোন সমস্যায় পাশে থেকে মানুষের জন্য কিছু করার সংকল্প নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন বিধায়ক ভগবান দাস।কিছুদিন পূর্বে কুমারঘাট উওর পাবিয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা দুলাল সরকারের বাড়ি আকস্মিক ঘটনার কারণে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।আজ তাদের বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাড়িয়ে তাদের যথাসাধ্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক তথা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস।
শান্তির বাজার নতুনপেট্রোলপাম্প সংলগ্ন এলাকায় বাইক ও বাইসাইকেলের সংঘর্ষে আহত দুই।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :ঘটনার বিবরনেজানাযায় সোমবার সন্ধ্যাবেলায় শান্তির বাজার নতুন পেট্রোলপাম্প সংলগ্ন এলাকায় টি আর ০৮ এফ ৭২৬১ নাম্বারে বাইক চালক বিরোজিত রিয়াং ( ২৬ ) অয়ন দেবনাথ নামে এক সাইকেল চালককে সজোরে ধাক্কাদেয়। এতেকরে বাইক চালক বাইকথেকে ও বাইসাইকেলচালক সাইকেলথেকে ছিটকেপরেগিয়ে আহত হয়। দু্র্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিতছিলেন শান্তির বাজার পুরপরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা। শান্তির বাজার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে মহকুমার উন্নয়নমূলক কাজের আলোচনাশেষে ঘরেফেরার পথে তিনি এই দুর্ঘটনা দেখতেপান। দুর্ঘটনাদেখে উনার উদার মানসিকতার পরিচয়দেন। সত্যব্রত সাহা নিজের গাড়ীতে থাকা লোকজনদের নামিয়ে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলথেকে উদ্ধারকরে নিজ গাড়ীকরে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে নিয়েযান। দুর্ঘটনা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানাতেগিয়ে সত্যব্রত সাহা জানান সকলে যেন দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনাগ্রস্থ লোকজনদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে সাহায্যেরহাতবারিয়েদেন। আজকেরদিনে দুর্ঘটনাগ্রস্থ লোকজনদের এইভাবে সাহায্যের হাতবারিয়ে দেওয়াতে সকলে সত্যব্রত সাহাকে ধন্যবাদজানিয়েছেন।
, বিশালগড়, ৮ নভেম্বর।। রাজ্যে প্রথম সৌর চালিত হিমঘর নির্মাণ হয়েছে বিশালগড়ের উত্তম ভক্ত চৌমুহনীতে। রবিবার হিমঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অত্যাধুনিক হিমঘর তৈরি করল এনবিআইআরটি। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫ মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন হিমঘর তৈরী হয়েছে । বিশালগড়ের উত্তম ভক্ত চৌমুহনীতে অর্কনীড় এর উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সৌরশক্তি চালিত হিমঘরের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্কনীড়ের সভাপতি প্রফেসর ডক্টর শান্তিপদগন চৌধুরী সহ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সজল বিশ্বাস, সদর মহকুমা শাসক অরুপ দেব , ডুকলি আর ডি ব্লকের বিডিও সুশান্ত দত্ত প্রমুখ। এই হিমঘরে সুলভ মূল্যে স্থানীয় চাষীরা তাদের উৎপাদিত সবজি ফসল স্টোর করতে পারবে। এই হিমঘর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সৌর শক্তি দ্বারা সংরক্ষিত বিদ্যুতের দ্বারা চলবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই তথ্য জানান অর্কনীড়ের সভাপতি প্রফেসর ডক্টর শান্তিপদ গন চৌধুরী।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ত্রিপুরা প্রদেশের অন্তর্গত প্রতিটি মন্ডলে শুরু হয়েছে বুথ ভিত্তিক নির্বাচন। অধিকাংশ জায়গায় বুথ সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই দলীয় কার্যকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রতিটি মন্ডলে শুরু হয়েছে নবনিযুক্ত বুথ সভাপতিদের নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কিংবা মিছিল ও সভা। ঊনকোটি জেলার পাবিয়াছড়া মন্ডলের সকল নবনির্বাচিত বুথ সভাপতিদের নিয়ে আজ কুমারঘাট গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়াম হলঘরে সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। পাবিয়াছড়া মন্ডলের অন্তর্গত প্রতিটি বুথের নবনির্বাচিত সকল বুথ সভাপতিদের গৈরিক অভিনন্দন জানান প্রদেশ সাধারন সম্পাদক তথা পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়ক ভগবান দাস।যাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে বুথ স্তরে ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠন আরও বেশি মজবুত ও শক্তিশালী হবে।আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সম্পাদক তাপস মজুমদার,জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ, মন্ডল সভাপতি কার্তিক দাস, রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর ও মন্ডল সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ সিনহা। এই দলীয় কর্মসূচিতে গীতাঞ্জলি অডিটরিয়ামে কার্যকর্তাদের সক্রিয় উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল প্রেক্ষাগৃহ।উক্ত সভায় দলীয় কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সংগঠনকে আরো সুসংহত করার পাশাপাশি সরকারি প্রকল্প গুলোকে মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং তার প্রচার ও প্রসার সম্পর্কে দলীয় কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-করোনা কালীন সময়ে মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।তাদের সেবা এবং পরিষেবার কারণেই বহু রোগী সুস্থ হয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন।তারাই যখন স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদান করতে গিয়ে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হন তখন এই লজ্জা গোটা সমাজকেই কলঙ্কিত করে।দা হোপ সংস্থা পরিচালিত ঊনকোটি হাসপাতালে গত রাতে ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনার পর বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মিলিত হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার রাজীব রায়,ইনটেনসিভ ও ইমারজেন্সি স্পেশালিস্ট ডাঃ হরসিমরন সিং,ডাঃ দ্বৈপায়ন কর্মকার এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সঙ্গিতা বৈদ্য।রাজীব রায় জানান, পানিসাগরের এক গর্ভবতী রোগীকে গতকাল ধর্মনগর হাসপাতাল থেকে রেফার করলে ঊনকোটি হাসপাতালে নিয়ে আসে রোগীর পরিবার। ইমারজেন্সিতে ভর্তি করার পর দেখা যায়,রোগী হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সোনোগ্রাফিতে জানা যায়,তার গর্ভের সন্তান দুদিন আগেই মারা গেছে। চিকিৎসকরা দ্রুত মাকে বাঁচানোর জন্য অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন এবং পরিবারের অনুমতি নিয়ে সার্জারি সম্পন্ন করেন।কিন্তু রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তিনি বিকেল আনুমানিক ৪-৪০ মিনিট নাগাদ মারা যান।
রোগীর মৃত্যুর পর,রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ৫০-৭০ জন উশৃঙ্খল যুবক মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে হামলা চালায়।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আত্মরক্ষার্থে হাসপাতাল ছেড়ে হাসপাতালের দোতলার একটি ঘরে আশ্রয় নেন।
রাজীব রায় অভিযোগ করেন,উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রোগীর মৃতদেহ রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়েছে।তিনি বলেন, হাসপাতালটি ঊনকোটি জেলায় উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রতিদিন বিনামূল্যে ২ ঘন্টা করে বহির্বিভাগ পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে,উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাসহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।মহিলা কর্মীদের উপর হামলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে পৃথক মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
এখানে উল্লেখ্য,এই হাসপাতালের মধ্যে ১০০ জন কর্মী তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।তার সাথে সাথে হাসপাতালের পরিষেবার যেমন ক্রমোন্নতি হচ্ছে তেমনি ভাবে ঊনকোটি জেলা তথা অভিভক্ত উত্তর জেলার মধ্যে সবচাইতে বড় মাল্টি স্পেশালিটি এই হাসপাতালে বহিঃরাজ্য থেকেও রোগীরা এখানে এসে পরিষেবা নিচ্ছেন।