প্রতিনিধি , উদয়পুর :-গোমতী জেলা টেপানিয়া হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবায় বর্তমানে অনেকটাই এগিয়ে রাজ্যে। একটা সময় হাসপাতাল ছিল দুর্গন্ধময় যুক্ত । কিন্তু বর্তমানে ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠেছে গোটা হাসপাতালটি । পাশাপাশি দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা । আবার অন্যদিকে ডাক্তারদের উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহে রোগীদের আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা করা হচ্ছে। এবার টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে ২৫ জন দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে চোখের ছানি অস্ত্রোপাচার হয়েছে । জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে তিনজন ডাক্তারের একটি দল গঠন করে রোগীদের এই পরিষেবা দেওয়া হয়। এর ফলে সরকারিভাবে সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কারণে বিনামূল্যে করা হয় চিকিৎসা পরিষেবা বেঁচে যায় বহু টাকা। রোগীরা রাজ্য সরকারের সরকারি হাসপাতাল থেকে এই ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে খুবই খুশি ।
ত্রিপুরা
খোয়াই মহিলা থানার বিশাল সাফল্য। দীর্ঘ নয় মাস পর উদ্ধার অপহৃত ১৪ বছরের নাবালিকা। আটক রাজস্থানের যুবক। চলতি মাসের ১১ই মে রাজস্থানের জয়পুরের খেরি মিলাঙ গ্রাম থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত জয়পুরের যুবক তথা লরি চালক অশোক কুমার চৌধুরী নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দুজনকে নিয়ে বুধবার রাতে খোয়াই এসে পৌছায় মহিলা থানার পুলিশ। খোয়াই মহিলা থানা সুত্রে জানা যায়, মেয়েটি রাজস্থান তার জেঠতুতো বোনের বাড়িতে গিয়েছিল আজ থেকে প্রায় নয় মাস পূর্বে। সেখান থেকেই মেয়েটি অপহৃত হয়। দীর্ঘদিন মেয়েটির খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান পাইনি পরিবারের লোকজন। অবশেষে মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন চলতি মাসের ৬ই মে খোয়াই মহিলা থানার দ্বারস্থ হন এবং থানায় নিখোঁজ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করান। মহিলা থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে থানার সাব ইন্সপেক্টর চম্পা দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গঠন করে রাজস্থান পাঠায়। সেখানে রাজস্থান পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশের উদ্ধারকারী টিম জানতে পারে মেয়েটি জয়পুরের খেরি মিলাঙ গ্রামে অবস্থান করছে। সেই মোতাবেক পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত যুবককে আটক করে। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার পর আদালতে তোলা হবে সাথে অভিযুক্ত যুবক কেও আদালতে প্রেরণ করা হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী তদন্ত কাজ চালিয়ে যাবে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘটনার বৃত্তান্ত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পৌষন কান্তি মজুমদার। এদিকে মেয়েটি উদ্ধারে পরিবারের লোকদের মধ্যে নেমে এসেছে স্বস্তির নি:শ্বাস।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। খাদ্যের অভাবে মানুষ যেমন এক দেশ থেকে অপর দেশে পাড়ি দিয়ে তেমনি বিশাল আকারের অজগর ও এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাড়ি দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে রাগনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কঙ্কন পালের বাড়িতে একটি অজগর সাপ প্রবেশ করে। সাপটি পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে জঙ্গল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাই জংলি প্রাণীরা খাদ্যের সন্ধানে সমতলে প্রবেশ করছে। এরই অঙ্গ হিসাবে কঙ্কন পালের বাড়িতে সাতটি প্রাথমিকভাবে প্রবেশ করার পর এলাকার লোকেরা জমায়েত সৃষ্টি করে অবশেষে বাপন পালের বাড়ি থেকে সাতটি কে বনদপ্তরের কর্মীরা ধরে নিয়ে যায়। এই বিশাল আকারের অজগরের জন্য রোয়া অভয়ারণ্য কে ঠিক করা হয় এবং সেখানে ই সাপটিকে ছাড়া হয় বলে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খাদ্যের অভাবেই জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল থেকে সমতল মানুষের বসবাসে এদের আগমন বলে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।১৬ই মে।বন্য দাতাল হাতি দলের তাণ্ডর অব্যাহত। আবারো বন্য দাতাল হাতির দল তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন উত্তর কৃষ্ণপুর গাও সভার বালুছড়া এলাকায় প্রবেশ করে ভয়ংকর তাণ্ডব চালায়। হাতি দল ভেঙ্গে তছনছ করে দেয় একাধিক কৃষকের কৃষি ক্ষেত। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বুধবার রাতে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন উত্তর কৃষ্ণপুর গাও সভার বালুছড়া এলাকায় বন্য দাতাল হাতির দল প্রবেশ করে এবং ভয়ংকর তাণ্ডব চালায়। তাণ্ডব চালিয়ে হাতির দল ভেঙে তছনছ করে দেয় এলাকার কৃষিক্ষেত গুলি। কৃষি ক্ষেতে এই হাতির তাণ্ডবে সর্বস্বান্ত একাধিক কৃষক। সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানা যায় এলাকা সূত্রে। অন্যদিকে, তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল গুলিতে থাকা বন্য দাতাল হাতির দল ঠেকাতে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের একের পর এক ব্যর্থ অভিযান ও প্রয়াসকে ঘিরেও সাধারণ মানুষজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত রাতের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক সুরজিৎ ভৌমিক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন,,,, যখন এলাকায় বন্য দাতাল হাতির দল আক্রমণ সংঘটিত করে, সেই সময় বনদপ্তরের কর্তাবাবুদের টিকির নাগালটুকু পাওয়া যায় না। হাতির দল যদি রাতে আক্রমণ সংঘটিত করে পরদিন সকালেও বন বাবুদের ছায়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশে দেখা যায় না। একদিকে বন্য দাতাল হাতির তাণ্ডব, অন্যদিকে বনদপ্তরের অকর্মণ্য ভূমিকায় সাধারণ মানুষজনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্ম দিচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি সরকার যেন বন্য দাতাল হাতির আক্রমণের এই সমস্যা সমাধানে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-আজ গোমতী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্নীয় ও অনুষঙ্গীদের নিয়ে এক সাপ্তাহিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সাপ্তাহের আলোচনা সভার বিষয় ছিল হৃদরোগ। আলোচনা করেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তহিদুল ইসলাম।। তিনি বলেন হার্টই একমাত্র অঙ্গ যেটা মায়ের গর্ভ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তে চলতে হয়। এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয় না। সুতরাং হার্টের বাড়তি যত্ন নিতেই হবে। কোনটা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের কাজ, প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট হাঁটাচলা এগুলি করতেই হবে। আলোচনার শেষে উপস্থিত চিকিৎসকরা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।।
আলোচনায় অংশ নেন গোমতী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: কমল রিয়াং। এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, এটাকে আরো বেশী মুখ্যধারায় নিয়ে আসা হবে।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের নার্সিং অফিসাররাই মূলত আজকের সাপ্তাহিক আলোচনা সভার আয়োজন ও ব্যবস্থা করেন।। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ প্রদীপ মল্লিক, ডা: বিশ্বজিৎ পাল, ডা: নিলাদ্রী দেববর্মণ প্রমুখ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর পৌর পরিষদের কর্মী দেবব্রত বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ করে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয় উদয়পুর। বিএমএসের কর্মী দেবব্রত বিশ্বাসকে আক্রমণ করার ঘটনায় রাধা কিশোরপুর থানায় মামলা দায়ের করে নেতৃত্বরা। কিন্তু ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি বাম কর্মীরা । এই বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যা রাতে উদয়পুর রাধাকিশোরপুর থানার ওসি বাবুল দাসের সাথে দেখা করেন গোমতির জেলা বিএম এসের সভাপতি গৌতম দাস থেকে শুরু করে বিএমএসের জেলা স্তরের বিভিন্ন নেতৃত্বরা । একই সাথে বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতৃত্বে এদিন কথা বলেন ওসি বাবুল দাসের সাথে । পরে দীর্ঘ এক ঘন্টার বৈঠক শেষে বিএমএস নেতৃত্বরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান থানার ওসি বাবুল দাস আশ্বস্ত করেছেন বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে কোনভাবেই পৌর পরিষদের কর্মচারী থেকে শুরু করে বিএমএস নেতৃত্বরা সন্তুষ্ট হননি ওসি বাবুল দাসের কথায় । নেতৃত্বরা জানান তারপরেও আইনের প্রতি ভরসা রেখে সম্পূর্ণভাবে থানাকে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু উদয়পুরের শিক্ষিত মহলে প্রশ্ন উঠছে কেন উদয়পুর পৌর পরিষদের কর্মচারীকে মারধর করা হলো তা এখনও বুঝে উঠতে পারছে না উদয়পুরের নাগরিক সমাজ ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- সিমনা বিধানসভার ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক এসরাই আল্ট্রা স্মল ব্রাঞ্চে তালা ঝুলাল এলাকার মানুষ। মাত্র একজন কর্মচারী দিয়ে ব্যাংকিং পরিসেবা প্রদানের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় গ্রাহকরা। স্থানীয়দের দাবি একজন কর্মচারীর মাধ্যমে সমস্ত ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত কর্মচারী প্রদানের দাবি করল গ্রাহকরা।
হেজামারা ব্লকের অন্তর্গত এসরাই বাজারে রয়েছে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের আল্ট্রা স্মল ব্রাঞ্চ। এই আল্ট্রাসমল ব্রাঞ্চের উপর ব্যাংকিং পরিসবার জন্য এলাকার বড় অংশের গ্রাহকরা নির্ভর। জানা গেছে এই শাখাতে মাত্র একজন কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। ইতিপূর্বে এশা খাতে একাকী কর্মচারী ছিলেন। যারা এলাকার গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বুধবার থেকে শুধুমাত্র একজন কর্মচারী এই শাখাতে কাজ করছেন। ফলে একজনের পক্ষে সমস্ত কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থাতে এলাকার গ্রাহকরা ব্যাংকিং পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। স্থানীয়রা আল্ট্রাস্মল ব্রাঞ্চে তালা ঝুলিয়ে দাবি করেন পর্যাপ্ত কর্মচারী প্রদান করার জন্য। পাশাপাশি দাবি করা হয় এই আল্ট্রাস্মল ব্রাঞ্চকে পূর্ণাঙ্গ ব্রাঞ্চ করার জন্য।
পানিসাগর মহকুমাধীন পেকুছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডে ৮৩ টি পরিবার মানছে না বন আইন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়ে গেল পানিসাগর মহকুমা অধীন পেকু ছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডে ৮৩ টি পরিবার দখল করে বসে আছে বনদপ্তরের জায়গা। কোনভাবেই তাদেরকে উৎখাত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বনদপ্তরের পিসিসিএফ অনিমেষ দাস আইএফএস, সুমন মল্ল উত্তর জেলা বনদপ্তরের আধিকারিক, অশোক কুমার বনদপ্তর এর মহকুমা আধিকারিক, ধর্মনগর এবং পানিসাগর পর্যায়ের রেঞ্জাররা মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তাদের উচ্চ অধিকারী এর কাছে রিপোর্ট পাঠান। জানা গেছে মোট ৮৩ টি পরিবার এই বনভূমির জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাসের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে এক মুসলিম পরিবার এখানে বসবাস শুরু করেছিল। এক এক করে হতে হতে 83 টি পরিবার এখন এই পাঁচ নং ওয়ার্ডে বসবাস করছে বলে জানানো হয়েছে এবং প্রতিক্ষেত্রেই জায়গার মালিক হচ্ছে বন দপ্তর। কাঞ্চনপুরের দশদা লালজুরী সুভাষ নগর বড় হলদি থেকে এইসব ৮৩ পরিবার এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তাদের দাবি হচ্ছে এর া বিভিন্ন জনবসতি নিয়ে সেখানে বিয়াঙদের কারণে বসবাস করা অযোগ্য ভাবায় নিজেদের বাঁচাতে এবং মানসম্মান সহ নিজেদেরকে রক্ষা করতে এরা এসে সরকারি জায়গা দখল করেছে। বন দপ্তর থেকে দীর্ঘদিন যাবত এদের উৎখাতের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়ে গেছেন বনদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ২৫-৩০ বছর আগে যে মুসলিম পরিবার বসবাস শুরু করেছিল তাদের ভাষাগঞ্জ নেই বলল ই চলে। শনিবার ১৪ টি পরিবার এসে বসবাস শুরু করেছিল এখন তা বাড়তে বাড়তে ৮৩ টি পরিবার বলে বিবেচিত হচ্ছে। কাঞ্চনপুরের ভিন্ন এলাকায় এদের বসবাস দুর্বিষহ করে রেখেছে রিয়াং পরিবারের জনকয়েক সদস্য। তাই বাধ্য হয়ে এখন সেটি পরিবার পানিসাগর বনদপ্তরের জায়গা দখল করে নিজেদের বসবাসভূমি সৃষ্টি করেছে। বনদপ্তর তাদেরকে ছড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে স্বাভাবিক মহলের অভিযোগ। এখন সরকার তাদের প্রতি কি ধরনের মনোবৃত্তি গ্রহণ করে অথবা তাদেরকে কি ব্যবস্থা করে দিতে পারে তার ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। সোমবার অর্থাৎ 13 ই মে নিজেকে নির্দোষ হিসেবে পরিগণিত করলেন ডেকোরেটার্স পয়েন্ট এর মালিক সন্তোষ কুমার দে। সে একজন সংঘ পরিবারের মানুষ হিসাবে পরিচিত। কিন্তু গত ছয় তারিখ অর্থাৎ ৬ মে ধর্মনগর রেলগেট থেকে চুরি কাণ্ডে একজন মহিলা ও দুজন পুরুষকে সন্দেহজনক ভাবে ধর্মনগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্তোষ কুমার যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ধর্মনগর থানা থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। কিন্তু ৬ তারিখ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছিল যে সন্তোষ কুমার দে চুরি-কাণ্ডের সাথে জড়িত। তিনি যে জড়িত নন তার পরিচয় দিয়ে এবং সংঘ পরিবারের মানুষ বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সন্তোষ কুমার দে ঢ়ুপিরবন্দলালছড়া কলোনি বসবাসকারী সন্তোষ কুমার দেকে অযথা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ধর্মনগর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। তার সাথে থাকা সুজন দাস পেশায় রাজমিস্ত্রি সে জড়িত এবং সাথে একজন মহিলার জড়িত আছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। উল্লেখ্য ধর্মনগর যে অযথা চুরি-চামারি কান্ড সংগঠিত হচ্ছে তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার এবং উত্তর জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা কান্তা জাহাঙ্গীর এখন উত্তর জেলা যে অতিরিক্ত ভাবে চুরি কান্ড সংগঠিত হচ্ছে তার জন্য দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। চারটা বিধানসভায় এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান কমিটির কার্যকর্তারা। যেখানে ২৫০-৩০০ এর অধিক গাছের চারা লাগানো হবে এই চারটা বিধানসভার মধ্যে। ধর্মনগর মহকুমা ন্যায্য মূল্যের দোকান পরিচালন কমিটির উদ্যোগে ডি.এন.ভি স্কুল ময়দানের পাশে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উনাদের এই মহৎ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। একটি শিশু কন্যাও আমাদের সঙ্গে এই মহৎ কর্মসূচিতে দারুন উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। ওর নামটাও সুন্দর কৃষিতা ভৌমিক। কপিল ভৌমিকের কন্যা।
আমাদের স্লোগান ক্লিন ধর্মনগর, গ্রিন ধর্মনগর, লাভ ধর্মনগর। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রেশন শপ ডিলাররা ও এগিয়ে এসেছেন। উনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা জানাই। এইভাবে সর্বস্তরের জনগণ এগিয়ে এলে অন্তত পক্ষে গ্রিন ধর্মনগর সফল করে প্রকৃতির রুদ্ররোষ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা থেকে ধর্মনগর কে রক্ষা করতে পারবো।
বিজ্ঞানীদের অভিমত এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতে এক লক্ষ কোটি গাছ কমতি আছে। উনাদের আরো অভিমত এই এক লক্ষ কোটি গাছ লাগানোর মত পৃথিবীতে জায়গা আছে কিন্তু মানুষের মনে সে জায়গা বা উৎসাহ নেই। পৃথিবী এবং মানব সভ্যতা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মনুষ্যকুল নির্বিকার। কমিটির সভাপতি বাবলি রানী দাস এবং সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব জানান।