প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসে বাড়ির জায়গা ও দালান ঘর ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে বন্ধক দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকার লোন রাশিদ খান নামে এক ব্যক্তি । কিন্তু ব্যাংকের লোন নেওয়ার পর মাত্র দুই থেকে তিনটি কিস্তি চালানো হয়েছে ব্যাংকের কাছে। পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে কিস্তি । এবার বাধ্য হয়ে বুধবার দুপুরে উদয়পুর ধবজনগর স্থিত রাশিদ খানের বাড়িতে গিয়ে গোটা বাড়ির বিভিন্ন ঘরের সামনে ব্যাংকের নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সিল করা হয়েছে বিভিন্ন ঘর । ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান বাগমা ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে এই লোন নেওয়া হয়েছিল । সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে যেন লোন পরিশোধ করা হয় তার জন্য বিভিন্নভাবে ব্যাংক থেকে বাড়ির মালিক রাশিদ খানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনভাবেই সাড়া দেয়নি রাশিদ । তাই বাধ্য হয়ে আজ রাধা কিশোরপুর পুলিশ এবং মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের আগরতলা হেড অফিস ও উদয়পুর ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা সরজমিনে গিয়ে বাড়িটি কে সিল করে দেয় । গোটা ঘটনায় উদয়পুর ধ্বজনগর ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-অল ত্রিপুরা এম জি এন রেগা এমপ্লয় ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে তৃতীয় জেলা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৯ শে জানুয়ারি কৈলাসহর স্থিত শ্রীরামপুর সূর্যমনি মেমোরিয়াল হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে।এমজি এনরেগায় নিয়োজিত বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের নিয়মিতকরণের দাবিকে সামনে রেখে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে তিন বছর পর অনুষ্ঠিত তৃতীয় জেলা কনফারেন্সের সূচনা করেন চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তর এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সম্পা দাস পাল, ভাইস চেয়ারপার্সন বিনয় সিংহ এবং অল ত্রিপুরা রেগা এমপ্লয় ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি অসীম মজুমদার এবং রাজ্য সহ-সভাপতি নৃপেন্দ্র সরকার সহ অন্যান্যরা।এই সম্মেলনে জিআরএস,টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট,কম্পিউটার অপারেটর,প্রোগ্রাম এসিস্ট্যান্ট এবং একাউন্ট এসিস্ট্যান্ট মিলেয়ে ১৮০ জন রেগা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।যারা ঊনকোটি জেলার চারটি ব্লক এবং সরকারি বিভিন্ন অফিসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন দীর্ঘ বছর ধরে।তাদের নিয়মিতকরন এবং বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি সমকাজের সমবেতন প্রদানেরও দাবি জানানো হয় এই সম্মেলন থেকে।কেননা রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরকে জনপ্রিয় করে তুলতে এবং এমজিএন রেগা প্রকল্পকে সঠিক বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মূল কারিগর রেগা কর্মচারীরা।এই প্রশংসিত বাস্তবায়নের জন্য ত্রিপুরা সরকার অনেক পুরস্কারও পেয়েছে বিভিন্ন সময়ে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন,গ্ৰামীন এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে রেগা কর্মচারীদের অনেক অবদান রয়েছে। সরকারের পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রেগা কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী শ্রী রায়।তিনি বলেন রেগা কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের বিষয়টি সরকারের মাথায় রয়েছে। সরকার সেই চেষ্টা জারী রেখেছে।তার জন্য সময় দিতে হবে।যেহেতু রেগা কর্মচারীরা একটি স্কিমের আওতায় কাজ করছেন তাই তাদের বেতন এডমিনিস্ট্রেটিভ ফান্ড থেকে ৬ শতাংশ বেতন দেওয়া হচ্ছে।তবে রেগা কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী টিংকু রায়।
প্রয়াত আলিসার বাড়িতে গেলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ, আশ্বাস দিলেন সঠিক তদন্তের
প্রতিনিধি মোহনপুর:- স্পোর্টস স্কুল থেকে আলিসার মৃতদেহ উদ্ধারের পর বুধবার লেফুঙ্গায় তার বাড়িতে গেলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কথা বলেছেন পরিবারের সাথে। অবগত হয়েছেন পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন গোটা বিষয়ে যাতে পুলিশ সঠিক তদন্ত করে সে বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি স্পোর্টস স্কুল থেকে আলিসা দেববর্মা নামে এক নাবালিকা ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা হোস্টেল চত্বরে। পরিবারের তরফে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ ঘটনার দিন পরিবারের লোকেদের সাথে অত্যন্ত অশালীন ব্যবহার করেছেন ওয়ারডেন রুমিতা দেববর্মা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ এই মৃত্যুর পেছনে ওয়ার্ডেন অথবা কর্তৃপক্ষের কোন না কোন ভাবে ভূমিকা রয়েছে। বুধবার মন্ত্রীর কাছে পরিবারের লোকেরা গোটা বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এদিকে বুধবার এই বিষয়ে পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন এই মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করার পাশাপাশি এই মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিন মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন টিটিএটিসির ইএম রুনিয়াল দেববর্মা, লেফুঙ্গা বিএসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
ধর্মনগরে শুরু হল লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটির জাতীয় স্তরের ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি আয়োজিত ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবের শুভ উদ্বোধন হল ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য্য স্মৃতি ভবনে। এবারের নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব প্রয়াত বিশাল শর্মার স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটির প্রয়াত সদস্য বিশাল শর্মার স্মৃতিতে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবের শুরুতে নার্সারি থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত কচিকাঁচাদের জন্য ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা। লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি ধর্মনগরে ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবকে কেন্দ্র করে নাট্যোৎসবের লোগো উন্মোচিত হয়। লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি ধর্মনগরে নাট্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এদিনের
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালী দাস সেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক সমর চক্রবর্তী, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব অমিতাভ নাগ,উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত নাট্যকার বিশাল শর্মার পরিবারের সদস্য সহ অন্যান্যরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লারনার্সের সভাপতি মনিদীপ দাস সুমন, সহ সভাপতি সন্তোষ ভট্টাচার্য্য, সম্পাদক রত্নদীপ চক্রবর্ত্তী, সৃষ্টি দাস, মনীষ,রুদ্র,সম্রাট,রিয়া,হিমাদ্রী,কৌস্তভ,সিমন্তিনী,দেবযনী সহ সকল সদস্য সদস্যারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাট্য প্রতিভা ২০২৪-২৫ সম্মান তুলে দেওয়া হয় ত্রিপুরা ধর্মনগরের নাট্য অভিনেতা সঞ্জয় চন্দ ও আসামের হাইলাকান্দির বিপ্লব দাসের হাতে।
এই নাট্যোৎসবে ত্রিপুরা,পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আগত মোট সাতটি দল নয় টি নাটক মঞ্চস্থ করবে।
এবারের লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি আয়োজিত ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব ছিল ধর্মনগর বাসীর কাছে একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। এই দশম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব কে কেন্দ্র করে আমরা অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতি ভবনের বাইরে একটি শান্তিনিকেতনের মেলার আয়োজন করে। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন থেকে বেশ কয়েকটি স্টল এখানে আসে। শিল্পীদের তৈরি হস্ত তাঁত ও কারুশিল্পীদের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবি, চাদর, অলঙ্কার, চামড়ার ব্যাগ, কাপড়ের তৈরি ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করে। এই নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবে মেলা দুপুর ৩ টা থেকে চলবে রাত্রি ৮ পর্যন্ত, এবং এই মেলা প্রাঙ্গনে রয়েছে মুক্তমঞ্চ। সেই মুক্তমঞ্চে ধর্মনগরের স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। সকলেই মেলা মেলাতে এবং মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। নাটক মানবজীবনে এবং সমাজে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং মানুষের চিন্তা, সংস্কৃতি, এবং মানসিকতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাটক মানুষের মানসিক বিকাশে সহায়ক। এটি সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করে, কারণ একজন অভিনেতা বা দর্শক উভয়কেই কল্পনার জগতে ডুব দিতে হয়। নাটক সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিফলন ঘটায়।লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটির প্রতিটি নাটক মানুষকে অতীতের ঘটনাবলির সঙ্গে পরিচিত করে। নাটক সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম।লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে।লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি আয়োজিত ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবের নাটক শুধু মঞ্চ বা পর্দার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ত্রিপুরা তথা ধর্মনগরের মানুষের মনের যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার : আজ এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানে মধ্যেদিয়ে শান্তির বাজার মহকুমা অন্তর্গত উত্তর তাকমা হাই স্কুল মাঠে শুরু হলো ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের ২৬ তম বাৎসরিক
দক্ষিন হাঙংকর কের পূজা। এই কের পূজা উপলক্ষে ১৬ টি পাড়া থেকে বিভিন্ন লোকজন উপস্থিত হন। আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রথমে সমাজের জন্য কাজ করে যারা বলিদান দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার পাশাপাশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
২৬ তম বাৎসরিক
দক্ষিন হাঙংকর কের পূজা শুভ সূচনা করেন ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি যোগেন্দ্র দেববর্মা, উদ্বোধক এর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন এই সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মনোজ দেববর্মা, সেন্ট্রাল কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ইন্দ্রহরি জমাতিয়া, ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের দক্ষিণ হাঙংকর সভাপতি নিকাশ দেববর্মা, দক্ষিণ হাঙংকর সম্পাদক বিদ্যুৎ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। । ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
২৬ তম বাৎসরিক
দক্ষিন হাঙংকর কের পূজা অতিথির আলোচনা করতে গিয়ে এই ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
দক্ষিন হাঙংকের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাজে পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষের প্রতি এই দক্ষিণ হাঙংকর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এবারকার বন্যায় দুর্গতদের পাশে ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গেছেন দক্ষিণ জেলার এই
হাঙংকর। তাই আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদেরও বিশেষভাবে উৎসাহক সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
দক্ষিন হাঙংকের তরফ থেকে। আজকের এই ২৬ তম কের পুজোতে উপস্থিত সমস্ত অতিথি বিভিন্ন প্রার্থীকে উপস্থিত দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আজকের এই ২৬ তম বাৎসরিক পুজোকে কেন্দ্র করে উপস্থিত লোকজনদের ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল ।
সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে প্রগ্রেসিভ ইউথ ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন শুরু।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ১৯জানুয়ারি।খোয়াই জেলার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব প্রোগ্রেসিভ ইয়ুথ ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন শনিবার সন্ধ্যায় ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌর পরিষদের পৌর পিতা রূপক সরকার, ক্লাবের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দাস সম্পাদক পিন্টু দাস সহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা।
দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তেলিয়ামুড়া প্রোগ্রেসিভ ইয়ুথ ক্লাব সুনামের সাথে বিভিন্ন সমাজসেবক মূলক কাজকর্ম করে আসছে। বিশেষ করে দুস্থ গরিব মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিগত দিনগুলিতে সুনামের সাথে কাজকর্ম করে আসছে।
দুস্থ গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রোগ্রেসিভ শিশু তীর্থ নামে একটি স্কুল বর্তমানে সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। ১৫ দিনব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ অনুষ্ঠানটি পালন করতে যাচ্ছে ক্লাব সদস্যরা। এদিনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণ রাখেন ক্লাবের সম্পাদক পিন্টু দাস। ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক এর ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় বলেন,,, এ ক্লাবের মতো তেলিয়ামুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব যাতে সামাজিক কাজকর্মে এগিয়ে আসে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ এই ক্লাবটি গোটা খোয়াই জেলার মধ্যে সুনামের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করে আসছে। আগামী দিন গুলিতে ক্লাবের কর্মকর্তারা বিগত দিনের সুনাম ধরে রাখতে পারে তার আহব্বান ও করেন বিধায়িকা।
বিধায়িকা ছাড়া আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা ক্লাবের সমাজ সেবামূলক কাজকর্মের দীর্ঘ আয়ু কামনার্থে বক্তব্য রাখেন। ক্লাবের এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ক্লাবের প্রবীণ সদস্যদের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া মহকুমার সাংবাদিকদের ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ক্লাবের উদ্যোগে।আজ সকালে ক্লাব সদস্যরা করিলং ও তার আশপাশ এলাকা গুলিতে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি রূপায়ণ করে।
প্রতিনিধি,বিশালগড়, ১৯ জানুয়ারি।। বস্তাবন্দি গাঁজার গোদামে হানা দিলো বিশালগড় থানার পুলিশ। রবিবার পুলিশের টিম রামছড়া গ্রামের প্রবীর ভৌমিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বস্তা এবং ড্রামে মজুত করা প্রায় ৩০৩ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়েছে । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় গাঁজা কারবারি প্রবীর ভৌমিক। শেষে গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিশালগড় থানার ওসি সঞ্জিত সেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বলে জানান ওসি। অভিযানে ছিলেন ডিএসপি ডিআইবি কেশব হরি জমাতিয়া, বিশালগড় থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যা দেববর্মা, সাব ইন্সপেক্টর মৃদুল মজুমদার সহ মহিলা পুলিশ এবং টিএসআর জওয়ান। অভিযুক্ত প্রবীর ভৌমিকের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে বিশালগড় থানা।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৮ জানুয়ারি।। ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন । এই উপলক্ষে রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে আরক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে। এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার বিশালগড় আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বিশালগড় থানা পরিদর্শন করে। একদিনের জন্য পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব পালন করে ছাত্রছাত্রীরা।
মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীকে এদিন বিশালগড় থানার আধিকারিকরা পুলিশের বিভিন্ন অভিযান, থানার বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য প্রদান করেন । এমনকি পুলিশ কর্তৃক ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র সম্পর্কেও ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করা হয়। এছাড়া যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার পাশাপাশি ডিজিটাল বা অনলাইন জালিয়াতির ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটির বিষয় সহ শিশুদের সাথে জড়িত অপরাধ, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার সময় গৃহীত সতর্কতা, ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা, মাদকবিরোধী আইন প্রভৃতি বিষয়ে আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষার্থীদের অবগত করেন বিশালগড় থানার কর্মকর্তারা।
“শিক্ষার্থীদের সাথে এদিন তাদের শিক্ষকরাও ছিলেন ।
জনগণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে পুলিশ স্টেশনগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে বোঝার সুযোগ দেওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশালগড় মহকুমা আধিকারিক দুলাল দত্ত । এদিন অভিনয়ের মাধ্যমে থানার ওসি থেকে শুরু করে ডিউটি অফিসার ইত্যাদি বিভিন্ন পদে কিছু সময়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বসানো হয়। তাদের সহযোগিতা করেন ওসি সঞ্জিত সেন। একটিং ওসি সাজে বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অপূর্ব আচার্য ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৮ জানুয়ারি।। সিপাহীজলা জেলা শিক্ষা আধিকারিক কার্যালয়ের উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার কমলাসাগর বিধানসভার পূর্ব গোকুলনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত শিবিরের উদ্বোধন করেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব , বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, জেলা পরিষদের সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জেলা শিক্ষা আধিকারিক মলয় ভৌমিক প্রমুখ। রক্তদান শিবিরে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা এসএমসি সদস্য রক্তদান করেন। অতিথিরা রক্ত দানে এগিয়ে আসার জন্য সমাজের সকল অংশের নাগরিকদের আহবান জানান।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৭ জানুয়ারি ।। এ বছর রাজ্যের শ্রেষ্ঠ থানা হিসাবে পুরস্কার পায় সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জ থানা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি সুবিমল দেবনাথ। শুক্রবার চড়িলাম মন্ডলের পক্ষ থেকে থানার ওসি সুবিমল দেবনাথকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। শুক্রবার চড়িলাম মণ্ডল সভাপতি তাপস দাস, সিপাহী জলা জেলা সহ-সভাপতি অমল দেবনাথ, মন্ডল কোষাধক্ষ্য সুমন দেবনাথ সহ চড়িলাম মন্ডলের এক প্রতিনিধি দল বিশ্রামগঞ্জ থানায় গিয়ে ওসি সুবিমল দেবনাথ কে উত্তরীয় এবং পুষ্পস্তবক সহ রাধাকৃষ্ণের এক ছবি দিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন। চড়িলাম মণ্ডল সভাপতি তাপস দাস বলেন আমাদের গর্বের বিষয় চড়িলাম মন্ডলের অধীন বিশ্রামগঞ্জ থানা রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে। অন্যদিকে বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি সুবিল দেবনাথ বলেন আমাদের থানা জনগণকে সাথে নিয়ে এলাকায় অপরাধ দমনে কাজ করছে। তিনি ২০২২ সালে বিশ্রামগঞ্জ থানায় কর্মস্থলে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে অপরাধের মাত্রা কমেছে। সকলের সহযোগিতায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি অপরাধ দমনে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।