প্রতিনিধি মোহনপুর :- দীর্ঘ বছর যাবত বসবাস করা জনগণকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হলো গ্রামবাসী। ঘটনা বামুঠিয়া বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত বড়লোঙ্গার শিবির গ্রামে। প্রায় ৩ শতাধিক গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে মোহনপুর মহকুমা শাসকের নিকট দিয়েছেন ডেপুটেশন। দাবি করেছেন এসআরপি গ্রুপ নামক প্রতিষ্ঠান গ্রামবাসীর কাছ থেকে জমি কেরে নেওয়ার যে চক্রান্ত করছে তা বন্ধ করতে।
সম্প্রতি বিনোদিনী চা বাগান যেটা বর্তমানে এসআরপি গ্রুপ নামে পরিচিত তারা বড়লোঙ্গার শিবির গ্রামের জনগণের নামে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোহনপুর মহকুমা শাসক ২৮টি পরিবারকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই গ্রামের সীমানায় যে সমস্ত বাড়ি রয়েছে শুধুমাত্র তাদেরকেই নোটিশ করা হয়েছে।আজ ছিল হিয়ারিং। এই হিয়ারিংকে কেন্দ্র করে গোটা গ্রামের মানুষ হাজির হয়েছে মোহনপুর মহকুমা শাসক কার্যালয়ের সামনে। এই দিন মিছিল করে গ্রামবাসী হাজির হয়েছে মোহনপুর মহকুমা শাসক কার্যালয়ে। বামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধনদাস বলেন বিগত প্রায় ৬০ বছর যাবত এই গ্রামে মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। অনেকেই জমি ক্রয় করে নিয়েছেন। অনেকে খাসের জমিতে রয়েছেন। আবার অনেককে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে বড়কাঠালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তৎকালীন সরকার এই এলাকায় এনে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সেই সময় বর্তমান এসআরপি গ্রুপ বিনোদিনী চা বাগান নামে অন্য মালিকের হাতে ছিল। সে সময় মালিকের সাথে আর্থিক লেনদেনেরও তথ্য-প্রমাণ রয়েছে গ্রামবাসীর কাছে। কিন্তু সম্প্রতি এসআরপি গ্রুপ কর্তৃপক্ষ এই জমির তাদের দাবি করে মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কৃষ্ণ ধনদাস। এদিন মহাকুমা শাসকের সাথে গ্রামবাসী, জনপ্রতিনিধি এবং অন্যান্য নেতৃত্বরা আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত করেন মহকুমা শাসকের তরফে একটি টিম গঠন করে গ্রাম পরিদর্শন করবে। সেখানে গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করবে এবং সমস্যাগুলো সম্পর্কে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সদস্য জয় লাল দাস, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জীব দাস সহ অন্যান্যরা।
ত্রিপুরা
মনমুগ্ধকর আলোকসজ্জা ও তাক লাগানো প্যান্ডেল তৈরি করে ধর্মনগর শহরকে টেক্কা দিচ্ছে চুরাইবাড়ির বিভিন্ন ক্লাব ও কালীপূজা উদ্যোক্তারা।
ধর্মনগর২৭ অক্টোবর :—- কালীপুজো মানেই যেনো উত্তর ত্রিপুরা জেলা। চিরন্তন নাহলেও এমনই একটি অঘোষিত প্রবাদ বাক্য রয়েছে। তাই বরাবরই প্রতিবছর ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে তাক লাগানো আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেলের মাধ্যমে শ্যামা পূজার আয়োজন করে থাকে উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন বড় বড় ক্লাব ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে জেলা সদর ধর্মনগর শহরে বেশ কয়েকটি বনেদি ক্লাব রয়েছে, কিন্তু সেগুলোকেও টেক্কা দিতে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়িতে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের পূজো রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম ইয়ুথ ক্লাব। বিগত প্রায় কুড়ি বছর ধরে তাদের এই শ্যামা মায়ের আরাধনার এবছর একটি কাল্পনিক প্যান্ডেল ও নবদ্বীপের আলোক শিল্পীদের নিয়ে তাক লাগানো আলোকসজ্জা সহ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মূলক অনুষ্ঠানসহ তাদের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। চলবে তিন দিন ব্যাপী।তাছাড়াও রয়েছে চুরাইবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ইউনাইটেড ক্লাব। তারাও অত্যাধিক মনমুগ্ধকর একটি কাল্পনিক প্যান্ডেল তৈরি করছে যার উচ্চতা প্রায় ৭০ ফুট। তাছাড়াও আলোকসজ্জা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে তাদের। এদিকে পিছিয়ে নেই সেবক সংঘ ক্লাবও। তারাও শ্যামা পুজোয় গুটি গুটি পায়ে পঁচিশ বছর পূর্ণ করেছে। এ বছর তাদের প্যান্ডেলের মূল থিম রয়েছে প্রাচীন গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি। যা বিগত দিনে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে তাদের চার দিনব্যাপী। শ্যামা পূজোর দিনে আরজি কর কান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের বর্ণাট্য শোভাযাত্রা ও রেলি অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া সর্বশেষ ফ্রেন্ডস ক্লাবের বড় বাজেটের পুজো রয়েছে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশেই। প্রতিবছরই ক্লাব কর্তৃপক্ষ মন মাতানো আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল ও স্থানীয় এবং বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দর্শনার্থীদের উপহার দিয়ে থাকেন। তাছাড়াও ক্লাব কর্তৃপক্ষ দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ সহ দূরপাল্লার লরি চালকদের মধ্যে জল, মিষ্টি ও ফল বিতরণ করে থাকেন। তারাও ছয় লক্ষাধিক টাকার বাজেট নিয়ে শ্যামা পূজায় ব্রতী হয়েছে এবং চুরাইবাড়ির, কদমতলা সহ বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীদের প্যান্ডেলে টানতে মরিয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সর্বোপরি চুরাইবাড়ি আরক্ষা দপ্তর উত্তর জেলার মধ্যে তাক লাগানো পূজোর আয়োজন করে থাকে। আলোকসজ্জা সহ দু’দিনব্যাপী স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শীতবস্ত্র বিতরণ সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে আরক্ষা দপ্তর। সব মিলিয়ে উত্তর জেলার মধ্যে ধর্মনগর শহরকে টেক্কা দিতে একেবারে প্রস্তুত চুরাইবাড়ির বিভিন্ন ক্লাব ও পূজা উদ্যোক্তারা।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :আজ শান্তিরবাজার মহকুমায় বীরচন্দ্র নগর বাজারে জনজাতিদের সুরক্ষা সহ ১০ দফা দাবি ভিত্তিতে দক্ষিণ জেলা কাউন্সিল অফ তিপ্রাসা হদার উদ্যোগে প্রতিবাদ মহামিছিলি সংগঠিত করা হয়। এই প্রতিবাদ মহা মিছিলে ১৪টি জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজনরা উপস্থিত ছিলেন।এই মহামিছিল বীরচন্দ্র নগর এডিসি ভিলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বীরচন্দ্রনগর বাজার এবং ৮ নং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জনপদ পরিক্রমণ করে অবশেষে বাজার প্রাঙ্গণ এক সভায় মিলিত হয়। আজকের এই প্রতিবাদ মহামিছিল এবং প্রকাশ্য সভায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল অফ তিপ্রাসা হদার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি যোগেন্দ্র দেববর্মা,
কেন্দ্রীয় কমিটির কোনবেনার বীরেন্দ্র ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি খানা রাম রিয়াং, দক্ষিণ জেলা কনবেনার সুনীল মুড়াসিং, দক্ষিণ জেলা সভাপতি খবা রিয়াং সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন । ১০ দফা দাবি গুলি হল তিপ্রাসার সমস্ত সম্প্রদায়ের হাতে কাস্টমারীল তুলে দিতে হবে।
২. বন অধিকার আইন মোতাবেক তিপ্রাসাদের পাট্টা ভূমি প্রদান করতে হবে।
৩. পূর্বে প্রদত্ত পাট্টা ভূমি গুলিকে অনতি বিলম্বে সীমানা নির্ধারণ করিয়ে দিতে হবে।৪. তপঃশিলী জাতি/উপজাতিদের বিরুদ্ধে ‘অত্যাচার-নৃসংশতা প্রতিরোধ আইন ১৯৮৯’ যথাযথ ভাবে প্রণয়ন করতে হবে।৫. সংবিধানে ১৮৭ নং ধারা মোতাবেক উপজাতিদের জমি পুনরুদ্ধার করে তিপ্রাসাদের হাতে তুলে দিতে হবে।
পুলিসি হেপাজতে তিপ্রাসাদের অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার প্রদান করতে হবে।
৭. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর খুন-সন্ত্রাস বন্ধ করতে ডঃ ইউসুফ সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে চাপ দিতে হবে।
৮. ত্রিপুরা রাজ্য সম্পর্কিত তিপ্রাসাদের ভূমি অধিকার আইন যথাযথ ভাবে প্রণয়ন করতে হবে।
৯. দরিদ্র তিপ্রাসাদের দ্বারা গড়ে তোলা বাগান গুলিকে পাট্টা ভূমি প্রদান করিয়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
ত্রিপুরায় অবৈধ ভাবে বিদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে; ইত্যাদি। । আজকের এই সভা এবং মিছিল থেকে সরকারের প্রতি বিশেষ বার্তা প্রদান করেন তিপ্রাসা হদার তরফ থেকে ।শত শত জনজাতি নারী পুরুষের উপস্থিতিতে এই মহা মিছিল উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর : রাজ্য সরকার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন করার জন্য কাজ করে চলেছে নিরলসভাবে । প্রতিটি ব্লক এলাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য বহু প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার । পঞ্চায়েতস্তরে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা । এবার গোমতী জেলার মাতাবাড়ি এলাকায় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মাতাবাড়ি আর ডি ব্লকে ব্লক এলাকার বেনি ফিসারিদের মধ্যে দপ্তরের অ্যাকশন প্ল্যান প্রকল্পের আওতায় ৩৬ জন বেনি ফিসারিকে দেওয়া হয় কুনি জাল এবং ১৭ জন বেনি ফিসারিকে দেওয়া হয় বরফের বক্স । এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের আওতায় ৯ জনকে বরফের বক্স সহ তিন চাকার অটোরিক্সা প্রদান করা হয় । এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, সহ- সভাধিপতি সুজন কুমার সেন ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিল্পী দাস এবং ব্লকের বিডিও ও মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক সহ প্রমূখ। মাতারবাড়ি ব্লক প্রাঙ্গণে এই গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় বেনি ফিসারিদের মধ্যে ।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার :শান্তির বাজার মৎস্য তত্ত্বাবধায়কের উদ্যোগে আজ বোকাফা ব্লকের মৎস্য জ্ঞান অর্জন কেন্দ্রে একটি জল ও মাটির পরীক্ষা শিবির করা হয়। এতে ৩৫ জন মৎস্য চাষী উনাদের জলাশয়ের জল ও মাটি নিয়ে আসেন পরীক্ষা করার জন্য। মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক শ্রীমতি মৃন্ময়ী দত্ত জানান বন্যায় শান্তিরবাজার মহাকুমার প্রায় ৭৫ শতাংশ জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কারণে বর্তমানে জলাশয়ের জল ও মাটির পরীক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বন্যায় বাইরের জল ঢোকার ফলে জলাশয়ের জল গুলি দূষিত হয়ে গেছে। এই জল ও মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে মৎস্য চাষীদেরকে প্রয়োজনীয় উপদেশ দেওয়া হচ্ছে যাতে করে জলের গুণগত মান বজায় থাকে। তিনি আরো জানান এই ধরনের শিবির ইতিমধ্যেই বকাফা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত করা হচ্ছে এবং এটি দপ্তরের বার্ষিক পরিকল্পনার অঙ্গ। আজকের শিবিরে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের অফিসার অজয় দেবনাথ সহ অন্যান্য। মৎস্য চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারাও মৎস্য দপ্তরের এই ধরনের উদ্যোগের ফলে ভীষণ খুশি। এই ধরনের পরীক্ষার ফলে পুকুরে মাছের রোগ এবং অন্যান্য সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব এবং এর জন্য উনারা মৎস্য দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- আসন্ন কালীপুজোকে সামনে রেখে গন্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক অফিসের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্রজয় রিয়াং,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাপি দেববর্মা সহ একঝাঁক সমাজসেবী এবং বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকগণ। বৈঠকে কালীপুজোর দিনগুলো যাতে শান্তিপূর্ণভাবে কাটে তার বিভিন্ন রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হয়। মহকুমা শাসক দূর্গা মায়ের পূজোর মতো কালীপুজোও যাতে নির্বিঘ্নে কাটে তার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান রাখেন। উল্লেখ্য এবছর গন্ডাছড়া থানা সহ গোটা মহকুমা এলাকায় ১০ খানা কালী মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় পশু গণনা শুরু হয়েছে । একই সাথে গোমতী জেলায় শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ উদয়পুর পৌর পরিষদ এলাকার ২১ নং ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে পশু গণনা কর্মসূচি । ছিলেন গোমতী জেলার প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহ অধিকর্তা ডক্টর বিল্লু দেববর্মা , ওয়ার্ড কমিশনার মান্নান হোসেন সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা । পশু গণনায় প্রথমে আলমগীর হোসেন নামে এক পশুপালকের খামার ঘর পরিদর্শন করেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকরা । ডক্টর বিল্লু দেববর্মা জানান , প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর পশু গণনা করা হয় গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে । সেই সাথে ত্রিপুরাতে প্রতিটি জেলায় এই ধরনের কর্মসূচি হয়ে থাকে । কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা বাড়িঘরে পশুপালন করে অথবা বিভিন্ন খামারে এই ধরনের পশু পালিত হয় তাদের সঠিক তথ্য না দেওয়ার কারণে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় সরকারকে। তিনি আবেদন রাখেন যে সকল বাড়ি ঘরে পশুপালিত হয়ে থাকে তারা যেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরকে প্রতিটি জেলা এবং মহকুমা স্তরে থাকা সেসকল অফিসে এবং গণনা কাজে নিযুক্ত আধিকারিকদের যেন সঠিক তথ্য দেয় সে আবেদন করেন তিনি ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- রাতের আঁধারে কৃষকের জমির ফসল এবং গাছ কেটে নষ্ট করে দিল দুষ্কৃতী। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অর্থের প্রতি সম্মুখীন কৃষক অমল সিংহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কৃষকের উৎপাদিত ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি কেটে দেওয়া হয়েছে ফসলের গাছ। এতে সরাসরি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষক।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অমল সিংহ অভিযোগ করেন নাশকতার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কৃষকের জমির বেগুন এবং লাউ গাছ নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্টুদেরা। সবে মাত্র ফলন শুরু হয়েছিল। কৃষকের এই ক্ষতির পেছনে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা যুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি এই ঘটনার পেছনে যে বা যারা যুক্ত রয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক পুলিশ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ও কুমারঘাট মহকুমা হাসপাতালের সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান প্রকল্পের আজ জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারঘাট এর মানসী হলে। জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারি সভাধিপতি সন্তোষ ধর,মহকুমা শাসক এনএস চাকমা,ভারপ্রাপ্ত সিএমও ডঃ শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ,বিদ্যালয় পরিদর্শক কুমারঘাট ও সিডিপিও সঞ্জয় দে এবং এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সাব ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডঃ শুচরিত চাকমা।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমারঘাট পুর পরিষদের চেয়ারপারসন বিশ্বজিৎ দাস।স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমও ইনচার্জ ডঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ।আজ রাজ্য ভিত্তিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়েছে ধলাই জেলার আমবাসায় এবং জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১২টি শিশুকে কৃমিনাশক ঔষধ,জিংক,ওআর এস এবং টিডি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে আশা কর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি শূন্য থেকে নয় বছর বয়সের শিশুদের রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে শহর এবং গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়,অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার,নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি স্থানে ০-১৯ বছরের শিশুদের যথাযথ বিকাশ এবং সম্পূর্ণভাবে রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুপরামর্শ এবং ঔষধ খাওয়ানো হবে।স্বাগত বক্তব্যে ডাঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ জানান টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া টিকাকরণ কর্মসূচি,আয়রন ও ফলিক এসিড পরিপূরক, মাতৃদুগ্ধপান বিষয়ে সচেতনতা,এইচ বি এন সি এবং এইচবি ওয়াইসি, ভিটামিন এ পরিপূরক,পোষন অভিযান,কৃমিনাশক কর্মসূচি,হাম-রুবেলা কর্মসূচি,এএফপি নজরদারি, কিশোরী বিবাহ ও গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ,নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ, আইডিসিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ঔষধ এবং এনসিডি স্ক্রিনিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৭.০ এর সফল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের অঙ্গীকারে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি এই কর্মসূচি চলবে গোটা জেলায়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব , সুস্থ কৈশোর অভিযান ২৪ শে অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার গোমতী জেলা ভিত্তিক শুভ সূচনা করেন উদয়পুর জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় । এছাড়া ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার ও জেলার স্বাস্থ্য অধিকারীক কমল রিয়াং এবং মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকারিক জয়দ্বীপ দেববর্মা সহ প্রমুখ । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকারিক জয়দ্বীপ দেববর্মা । পরে বিধায়ক ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব ও সুস্থ কৈশোর অভিযানে ২৪ শে অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর গোমতী জেলায় ১৮ টি হাসপাতাল , ১৪৪ টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র , ৬২৭টি স্কুল ও তিনটি কলেজ এবং ১ হাজার ৩২৮ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পরিষেবা দেওয়া হবে । গোমতী জেলার স্বাস্থ্যকর্মী , চিকিৎসক , স্বাস্থ্য মিশনের কর্মী সহ ১০৫০ জন দিদিমণিরা এই কাজে যুক্ত থাকবেন । পরে জিলা সভাধিপতি ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়ের সচেতনতা , এইচ বি এন সি এবং এইচ বি ওয়াইসি , ভিটামিন এ পরিপূরক , পোষন অভিযান, কিশোরী বিবাহ ও গর্ব অবস্থায় প্রতিরোধ নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ আই ডি সিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ওষুধ এবং এনসিডি স্ক্যানিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের উর্ধে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে । এর সকল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের এক বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন জিলা সভাধিপতি । পরে ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে পুষ্টি জাতীয় ঔষধ খাওয়ানো হয় অতিথিদের হাত ধরে । গোটা অনুষ্ঠানে উদয়পুর টাউনহলে আশা কর্মী থেকে শুরু করে জিএনএম ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।