প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৫ জানুয়ারি।। বনভোজন শেষে বাড়ি ফিরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় গাড়ি। এতে আহত হয়েছে শিশু মহিলা সহ ১১ জন। দুর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার সিপাহীজলা পিকনিক স্পটে। এদিন মেলাঘর থেকে বেআইনি ভাবে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে পিকনিক করতে আসে । গাড়ির চালক সহ কয়েকজন আকন্ঠ মদ্যপান করে। উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নেশায় মাতোয়ারা হয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে গাড়িটি মূল সড়কের না এনে সমস্ত পিকনিক যাত্রীদের গাড়িতে তুলে গাড়ি নিয়ে বেরোবার পথে ঘটে বিপত্তি। নেশাগ্রস্ত চালকের অসাবধানতার কারণে গাড়িটি গভীর খাদে পড়ে যায়। অন্যান্য পিকনিক দলের লোক সহ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১ জনকে উদ্ধার করে। শেষে দমকল বাহিনী আহতদের বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে তিনজনকে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয় । আহতরা হলেন শংকর রায়, পিংকি সাহা, লক্ষ্মী সাহা, তানিয়া সাহা,সোনিয়া সাহা,বাপ্পি সাহা,অমৃতা রায়, দেবদুলাল সাহা,শঙ্করি সাহা, সায়ন সাহা। সকলের বাড়ি মেলাঘরে। গাড়ির চালক তার নিকট আত্মীয়দের ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি মোহনপুর:- “কৃষকদের সহায়তা করার জন্য সরকারের কোন ধরনের দুর্বলতা নেই। সরকার চাইছে প্রত্যেকটা কৃষকের আয় বৃদ্ধি হোক”। রবিবার বামুটিয়ায় সহায়ক মূল্যের ধান ক্রয় প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করে এই কথা বললেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী।
মোহনপুর মহকুমা এলাকাতে দুটি ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। একটি মোহনপুরে এবং অপরটি বামুটিয়ায়। রবিবার বামুটিয়া এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে শুরু হয়েছে ধান ক্রয়। দপ্তর বামুটিয়া কৃষি মহকুমা এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করার লক্ষ্য স্থির করেছে। তবে বামুটিয়া কৃষি মহকুমার এগ্রি সুপারিনটেন্ড রাজু রবিদাস জানান বামুটিয়া তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা চাইতে বেশি ধান দেবে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বামুটিয়ার মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস বলেন দপ্তর কৃষকদের বিভিন্নভাবে নিয়মিত সহায়তা করছে। তবে বিভিন্ন সবজি এবং ধানের বীজ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে উন্নত মানের এবং ভালো বীজ কৃষকদের সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে উদ্বোধকের ভাষণে বলাই গোস্বামী বলেন বর্তমানে কৃষকদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে সরকারের কোন ধরনের দুর্বলতা নেই। সরকার চাইছে কৃষকরা নিজের পায়ে দাঁড়াক। তার জন্য যত ধরনের সহায়তা প্রয়োজন সবকিছুই করতে প্রস্তুত সরকার। তিনি বলেন কৃষকদের সেচের সহযোগিতা করার জন্য পশ্চিম ত্রিপুরা এলাকাতে আরো ৫০০ সোলার পাম্প বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে সরকার নিয়মিত কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুটিয়া ব্লকের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য, কৃষি দপ্তরের সহ অধিকর্তা রঞ্জিত কুমার দাস , বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ,সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- বর্তমান যুবসমাজকে নেশার গ্রাস থেকে দূরে রাখতে এবার প্রশাসনের উদ্যোগে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এক কুইজ প্রতিযোগিতা । এই নিয়ে শনিবার সকাল ১১ টায় উদয়পুর মহকুমা শাসকের কনফারেন্স হল ঘরে এক প্রস্তুতি কমিটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । এই নিয়ে উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার জানান , গোমতী জেলা, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা ও সিপাহীজলা জেলা এই তিন জেলাকে নিয়ে খাদ্য দপ্তর , পরিবহন দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে কলেজ ভিত্তিক । এই নিয়ে হয়েছে আজ প্রস্তুতি মিটিং । মহকুমা শাসক জানান , বৈঠকে ছিলেন জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, দপ্তরের ডিরেক্টর সুমিত লোধ সহ প্রমূখ । আগামী ১১ই জানুয়ারী রাজর্ষি হলে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। প্রতিটি কলেজ থেকে পাঁচজনের একটি দল তৈরি করা হবে । সর্বমোট ছয়টি দল অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায় । রাজ্যের খ্যাতনামা কুইজ শিক্ষকরা পরিচালনা করবেন। যুব সমাজের মধ্যে একটি বার্তা পাঠানো হবে যাতে করে কোন গ্রাহক কোন দোকানে জিনিস কেনাকাটা করার পর কোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হয় । এছাড়া দুর্ঘটনার বিষয়ও সচেতনতা মূলক বার্তা দেওয়া হবে। একই সাথে নেশার উপর বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তাও দেওয়া হবে এদিন । এছাড়া মহকুমা শাসক বলেন , এছাড়া আগামী দিনে কুমারঘাট , ঊনকোটি, ধলাই জেলা ও উত্তর জেলা নিয়ে হবে এই ধরনের আরও একটি কর্মসূচি। অন্যদিকে পশ্চিম জেলা সাথে খোয়াইকে নিয়ে যুক্ত হবে এই সচেতনতা মূলক বার্তা কর্মসূচি । গোটা কর্মসূচ এর মধ্য দিয়ে যুবসমাজকে বার্তা দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নেশার কবল থেকে যাতে দূরে থাকে এবং এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জ্ঞান বুদ্ধি বিকাশ পাবে এটাই হচ্ছে সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জানান উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার।
অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সন্মানিত উদ্যান বিজ্ঞানী ডাঃ রতন দাস
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ঊনকোটি এর উদ্যান বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডঃ রতন দাস দীর্ঘদিন ধরে উদ্যান বিভাগে গবেষণা,নতুন প্রযুক্তির সন্ধান,কৃষি সম্প্রসারণের উপর কাজ করে চলেছেন।ওনার প্রচেষ্টা কৃষক সমাজে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে এবং কৃষক মহলে সারা জাগিয়েছেন।ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ (আই. সি.এ.আর.) এর সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় উন্নত মানের বীজ এবং অন্যান্য সামগ্রী কৃষকদের হাতে তুলে দিতে সচেষ্ট হয়েছেন।বিজ্ঞান এবং কৃষক সমাজের প্রতি উনার অবদান এবং নিরলস চেষ্টাকে মাথায় রেখে ত্রিপুরা সরকার ২রা জানুয়ারি ২০২৫ ইং ডক্টর রতন দাসকে অদ্বৈত মল্লবর্মন স্মারক সম্মান এ্যাওয়ার্ড -২০০৫ ভূষিত করেন,যা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা ওনার হাতে তুলে দিয়েছেন।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর, মৎস্য এবং তফশিল জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ও বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৪ জানুয়ারি।। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়ন ঘটেছে। রোগীরা পাচ্ছে চব্বিশ ঘণ্টা পরিষেবা। আউটডোর ইনডোর ইমারজেন্সি পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করেছে বর্তমান সরকার। রয়েছে সিজারিয়ান ডেলিভারির ব্যবস্থা। মেডিসিন, চক্ষু, প্রসূতি, দন্ত, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ রয়েছে। এতে উপকৃত হচ্ছে মহকুমার নাগরিকরা। কিন্তু বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একাংশ। শনিবার বিশালগড় মহকুমা হাসপাতলে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অরিজিৎ সিনহা বলেন একটি প্রভাতী পত্রিকায় স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং এমওআইসি ডাঃ রাজিব সরকার এর নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় বিধায়ককে জড়ানো হয়েছে। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা ও পরিচালনা নিয়ে এক অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে । হাসপাতাল আধিকারিক ও বিধায়ক সম্পর্কে টুপি পরানোর মতো নিম্নমানের ও অসম্মানজনক মন্তব্য করা হয়েছে সংবাদে। তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে কিছু অযৌক্তিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যেমন জেনেরিক কাউন্টারে ড্রোটিন নামক ট্যাবলেট নেই, হাসপাতালে এলডিসি স্টাফ নিয়ে ও ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়,হাসপাতালে এমওআইসি নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশিত হয়, এমনকি হাসপাতালে ঔষধ স্টোরের কারনে প্রতিবছর প্রচুর ঔষধ নষ্ট হচ্ছে বলে যে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়। সেগুলো কে অপ্রাসঙ্গিক বলে সঠিক তথ্য সাংবাদিক সন্মেলনে তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন হাসপাতালে ড্রোটিন নামক ঔষধটি আসলে একটি ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ঔষধ। কোন ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ঔষধ জেনারিক কাউন্টারে থাকে না। হাসপাতালে বর্তমানে ছয় জন এলডিসি স্টাফ আছে। সংবাদে চৌদ্দ জন এলডিসি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে সব ধরনের পরিষেবা প্রদান করা হয়। এমন কি ওপিডিতে আসা রোগীদের ও প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রদান করা হয়। হাসপাতালে এক্সরে,ইউএসজি,
এফএনএসি,পিএপি, ইত্যাদি পরীক্ষা সহ একশ এর বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মীরা তাদের নিরন্তর দায়িত্ব কর্তব্য পালন করছেন বলে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল বিগত দিনে কায়াকল্প, আয়ুষ্মান পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এই হাসপাতালের সন্মান নষ্ট করতে এবং সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি এই অসত্য সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- ২ নং মোহনপুর মন্ডলের নতুন মণ্ডল সভাপতিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হলো মোহনপুর পুরো পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সদস্যদের তরফে। মোহনপুর পুর পরিষদের কনফারেন্স হলে নতুন মণ্ডল সভাপতি কার্তিক আচার্যকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন নেতৃত্বরা। এই সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন উনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারম্যান শংকর দেব সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। যেদিন সংবর্ধনা প্রদানের পাশাপাশি নতুন মণ্ডল সভাপতি এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃত্বরা এলাকার উন্নয়নে মতবিনিময় করেছেন। পাশাপাশি মোহনপুর বিধানসভা এলাকায় বিজেপিকে আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিয়ে করা হয়েছে আলোচনা।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ৪ঠা জানুয়ারি। শনিবার এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অধিন দক্ষিণ পুলিনপুর ভিলেজ কমিটি অফিস গৃহের নবনির্বাচিত পাকা ভবনের দ্বারো দঘাটন হয়। শনিবার এই পাকা ভবনের উৎবোধন করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মূখ্য সচেতক শ্রীমতী কল্যাণী সাহা রায়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতি চেয়ারম্যান দীপা দেব। তেলিয়ামুড়া বি.এ.সি চেয়ারম্যান ওয়ান লাল রাঙ্কল । পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান নির্মল সূত্রধর।
বিশিষ্ট সমাজসেবক অচিন্ত ভট্টাচাৰ্য ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, আর.ডি. তেলিয়ামুড়া ডিভিশন। তেলিয়ামুড়া ব্লকের ভিডিও বিপ্লব আচার্জি।
আজ তেলিয়ামুড়া হদ্রাই এলাকায় দক্ষিণ_পুলিনপুর_ভিলেজ_কমিটির নবনির্মিত এই পাকা ভবনের শুভ উদ্বোধন করে মূখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় বলেন – নতুন অফিস গৃহ চালু হওয়ায় এলাকাবাসী এখন সহজেই সরকারি পরিষেবা গ্রহণে আরো বেশি সুবিধা পাবেন।
এটি এলাকার উন্নয়নের একটি মাইলফলক। এই উদ্যোগ দক্ষিণ পুলিনপুর ভিলেজ কমিটির উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাবে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীমতি রায় আরো বলেন, রাজ্য সরকার শহর এবং গ্রাম দুটির একই সাথে উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করছে। গ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত না হলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই রাজ্য সরকার কি পাহাড় কি সমতল, কি গ্রাম প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন কর্মসূচি নিচ্ছে। নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দক্ষিণ পুলিনপুরের সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরিবেশন করে।
রমেশ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রাজ্য ও দেশের নক্ষত্রের গ্যালাক্সি : মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজ্যের স্বনামধন্য বিদ্যালয় উদয়পুরের রমেশ স্কুলের ৭৫ তম স্থাপনা দিবস পালন করা হয় সারম্বরে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে দুইদিন ব্যাপী এই শুভ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধান অতিথি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা।
এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, গোমতী জেলার জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, জিতেন্দ্র মজুমদার, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা।
এরপর সমস্ত অতিথিবৃন্দরা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র দত্ত এবং পরবর্তীকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রয়াত ধীরেন্দ্র চন্দ্র দত্তের প্রতিকৃতিতে মাল্য দান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রী তার আলোচনায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, রমেশ স্কুল শুধু উদয়পুরে নয়, গোটা রাজ্যে এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও সমাদৃত। রমেশ স্কুলের ছাত্ররা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে এমনকি বিজ্ঞানী হিসেবেও কাজ করছেন। এটা শুধু উদয়পুরের গর্ব নয় সারা রাজ্যের গর্ব। তিনি বলেন, এই স্কুলের সুনামকে ধরে রাখার দায়িত্ব এই বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারের জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত প্রকল্প গুলি নিয়ে হাতে নিয়েছেন সেগুলি সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন , ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত উদয়পুরের সুপ্রসিদ্ধ রমেশ ইংরেজি মাধ্যম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গৌরবের সাথে ৭৫ বর্ষ উৎযাপন করছে। গুণগত শিক্ষার প্রসারে অগ্রনী ভূমিকা পালনকারী এই বিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী আজ দেশ বিদেশে সম্মানের সহিত কর্মরত রয়েছে। এদিকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এই বিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে বর্তমান সরকার যে সমস্ত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তার একটা রূপরেখা তুলে ধরেন।
রমেশ প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় কে উদয়পুর রমেশ প্রাক্তনীর আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়।
তাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং মানপত্র দিয়ে সম্বর্ধিত করা হয়।
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষিকা এমনকি এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জয় গোবিন্দ দেবরায়ও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উদয়পুর বিভাগের ব্যবসায়ী সংঘের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় লেইক সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ব্যবসায়ী সংঘের অফিস ঘরে এক আর্থিক সাহায্য তুলে দেন ব্যবসায়ী সংঘের নেতৃবৃন্দরা । এদিন উদয়পুর ব্যবসায়ী সংঘের সম্পাদক দিলীপ ভৌমিক জানান ,গত ২০২৪ সালের ৫ ই ডিসেম্বর ফটিকরায় গোকুল নগর এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন দাসের ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ে রূপশ্রী দাস নিজ ঘরে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়ে । এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় মেয়েটি। পরবর্তী সময়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ থাকার কারণে মেয়েটির সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরে সামাজিক মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানান রূপশ্রী দাসের অভিভাবকরা । তখন উদয়পুর ব্যবসায়ীর সংঘের সম্পাদকের চোখে পড়ে সাহায্যের আবেদনটি। পরে যোগাযোগ করা হয় রুপশ্রী পরিবারের সাথে । বৃহস্পতিবার আহত রূপশ্রী মা পূজা দেব দাস উদয়পুরে আসেন এবং তার হাতে আর্থিকভাবে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় উদয়পুর ব্যবসায়ী সংঘের উদ্যোগে। এই ধরনের সাহায্য এক প্রকারের পরিবারটিকে আর্থিকভাবে কিছুটা শক্তি জুগিয়েছে এবং মেয়েটির আরো উন্নত চিকিৎসা করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী সংঘের পক্ষ থেকে ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য , জনসংভরন ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক সহায়তায় ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধানক্রয় কেন্দ্র শুরু হয়েছে গোমতী জেলায় এই প্রথম বাগমা বাজার শেড ঘরে । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বাগমা কেন্দ্রের বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া। এছাড়া ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, মহকুমা শাসক ত্রিদিপ সরকার , টেপানিয়া ব্লকের বিডিও দিব্যশ্রী দাশগুপ্ত , পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ঝর্না রানী দাস ও সুপ্রিয়া সাহা সহ কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অর্পিতা দত্ত সহ প্রমূখ । এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথিরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছে। এছাড়া কৃষকদের কৃষিকাজে উন্নতির জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৃষিজ ফসল ফলানোর জন্য সার ,বীজ সহ ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া বলেন , বিগত দিনে কৃষকদের জন্য কখনো কোন সরকার চিন্তা ভাবনা করেনি। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকার কৃষকদের উন্নতি সাধনের জন্য কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি বিধায়ক অভিষেক রায় বলেন , কৃষকরা যাতে মাঠে সোনালী ফসল ফলাতে পারে তার জন্য দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি । একই সাথে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কৃষিলোন । বর্তমানে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার সরাসরি ধান ক্রয় করছে । এর ফলে কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারছে তার মাঝে কোন ধরনের মুনাফা অর্জন করতে পারছে না ব্যাপারীরা। এর ফলে বর্তমানে সরকার এই সকল ধানগুলি ক্রয় করে পুনরায় রেশনে চাল হিসাবে দিচ্ছে রাজ্যের জনগণকে। পরে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ধানের গাড়িকে শুভ সূচনা করেন অতিথিরা । গোটা অনুষ্ঠানে গ্রামীণ এলাকার কৃষক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।