প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বুধবার সকাল ১১ টায় উদয়পুর টেপানিয়া কৃষি মহকুমার উদ্যোগে রাজারবাগ এলাকায় চারা গাছ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন আরবান হর্টিকালচার প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৫০ জন বেনি ফিসারিদের মধ্যে বিভিন্ন ফলের চারা বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌর পিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার । এছাড়া ছিলেন , পৌর পরিষদের সহকারী চেয়ারম্যান প্রদীপ দেবনাথ , বাগমা এগ্রি সেক্টরের অফিসার ইন্দ্রানী চক্রবর্তী এবং টেপানিয়া কৃষি মহকুমা তত্ত্বাবধায়ক অর্পিতা দত্ত সহ প্রমূখ । এদিন চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পৌর চেয়ারম্যান শ্রী মজুমদার বলেন , ত্রিপুরা একটি কৃষিপ্রধান রাজ্য। এখানকার অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। ত্রিপুরার মোট জমির প্রায় ২৭% কৃষির উপযোগী। টেপানিয়া কৃষি মহকুমা এআরসি আলুর ফলন থেকে শুরু করে ধান উৎপাদন এবং বিভিন্ন কৃষিজ ফসল উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে অন্যান্য মহকুমা থেকে। ত্রিপুরার একমাত্র উদয়পুর মহকুমার টেপানিয়া কৃষি মহকুমা মহিলা পরিচালিত। যা বর্তমান সরকারের সময়কালে একমাত্র মহকুমা গোটা রাজ্যের মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে। যার প্রথম কৃষি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছেন অর্পিতা দত্ত। তার সময়কালে একদিকে যখন কৃষকরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে । অন্যদিকে টেপানিয়া এগিয়েছে শস্যে উৎপাদনে।আজকের দিনে দাঁড়িয়ে চারা বিতরণ কর্মসূচিতে উপকারভোগীদের হাতে অ্যাভোকাডো, আম্রপল্লী , পেয়ারা এবং আপেল বের এর চারা গাছ তুলে দেওয়া হয় । গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে একটি বিশেষ উৎসাহ ও উদ্দীপনা পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ত্রিপুরা
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১২ সেপ্টেম্বর।। বিশালগড় জাঙ্গালিয়া এলাকায় কালী মন্দির, শনি মন্দির এবং অসহায় মহিলার বাড়িতে চুরির ঘটনায় এক কুখ্যাত চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাটি ঘটে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে। কালীমন্দিরে কালী মায়ের স্বর্ণালংকার, শনি মন্দিরের আসবাবপত্র এবং মহিলার ঘরে হানা দিয়ে নগদ অর্থ সহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনটি চুরির ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিশালগড় থানায় সৌরভ সিংহ নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। মামলার নাম্বার ৮৬/২৫ বিএলজি থানা । মামলা হাতে নিয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ তদন্তে নেমে পড়ে। অবশেষে চুরির ঘটনায় জড়িত বিপ্লব দাস নামে জাঙ্গালিয়া এলাকার এক কুখ্যাত চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ । জানা যায় চোর বিপ্লব নেশায় আসক্ত। নেশার টাকা যোগাড় করতে চোরের খাতায় নাম লিখিয়েছে। ওসি বিজয় দাস জানান চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
- লংতরাই-এর অনন্য আয়োজন
কলকাতা, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫: আজ ভাটপাড়া, জগতদলে পানিট্যাংকি কমিউনিটি হলে FMCG ব্র্যান্ড লংতরাই-এর বিশেষ আয়োজন “রাঁধুনি মিট ও ডিলার মিট – ২০২৫” সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিভাবান রাঁধুনিরা এবং লংতরাই-এর ব্যবসায়িক অংশীদার ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটররা।
অনুষ্ঠানে রন্ধনশিল্পীরা নানান নতুন রেসিপি ও রন্ধনশৈলীর পরিবেশনা করেন, যা অতিথিদের মন জয় করে নেয়। অন্যদিকে ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা হয় বাজার সম্প্রসারণ, ব্যবসায়িক কৌশল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। রন্ধন ও ব্যবসার এই অনন্য সমন্বয়কে উপস্থিত সকলে অভিনব ও ফলপ্রসূ বলে মনে করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাকিনারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীযুক্ত রবীন্দ্ৰ সিং, যিনি লংতরাই-এর এই উদ্যোগকে ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে “লংতরাই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ঘরে প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠবে।” সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রীযুক্ত ঘরু প্রসাদ, শ্রীযুক্ত রাজু আগারওয়াল ও শ্রীযুক্ত বিরু সাহু।
কোম্পানির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লংতরাই ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টর শ্রীযুক্ত রতন দেবনাথ, HR ম্যানেজার শ্রীমতি সুপ্রিয়া গোপ, এরিয়া সেলস ম্যানেজার শ্রীমতি অন্বেষা সিনহা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, লংতরাই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন দেবনাথ ব্যক্তিগতভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন। অতিথিরা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, পরিশ্রম ও ভিশনের প্রশংসা করে জানান যে, তাঁর দিকনির্দেশনায় লংতরাই আগামী দিনে আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে।
উল্লেখযোগ্য যে, ব্র্যান্ডটির শিকড় ত্রিপুরায়। স্থানীয় উদ্যোগ হিসেবে শুরু হয়ে আজ লংতরাই পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র পূর্ব ভারতের বাজারে প্রতিষ্ঠিত। রতন দেবনাথের লক্ষ্য— ত্রিপুরার গর্ব এই ব্র্যান্ডকে জাতীয় স্তরে FMCG শিল্পের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত করা।
অনুষ্ঠানে প্রায় ১৪০ জন রাঁধুনি, রিটেইলার, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- সুরমা বিধানসভার অন্তর্গত মরাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুরমা বিধানসভার বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল, মরাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্মৃতি দেব, উপপ্রধান, সমাজসেবী সুভাষ আহিরসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সভায় মূলত এলাকার সার্বিক উন্নয়ন এবং আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মৌলিক সুবিধা সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কীভাবে গ্রামীণ উন্নয়নকে আরও গতিশীল করা যায় সে বিষয়ে মতামত প্রদান করেন উপস্থিত বক্তারা। অংশগ্রহণকারীরা জানান, সরকারি প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। তাই জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্য ও সমাজকর্মীদের সম্মিলিত উদ্যোগে উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানো হয়। সকলের আন্তরিক উপস্থিতি ও গঠনমূলক মতামত এই বৈঠককে আরও ফলপ্রসূ করে তোলে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- ত্রিপুরায় বিদ্যুতের সহজলভ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। গত সাত বছরে সৌরশক্তি থেকে ২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। আগামী দুই বছরে সৌরশক্তি থেকে আরও ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বুধবার ধলাই জেলার মনু বাজার সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ধারে নির্মিত ১৩২ কেভি পাওয়ার সাবস্টেশনের উদ্বোধনে এসে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন—বিদ্যুৎ পরিষেবা সবার জন্য, তাই ফ্রি নয়, চুরি কেন? বিদ্যুৎ ব্যবহারে সততা দেখাতে হবে, গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। দুপুরে ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে সাবস্টেশনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মন্ত্রী। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা, সমাজসেবী সঞ্জিত দেববর্মা এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। জানা গেছে, ভারত সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ৪৪ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই সাবস্টেশন গড়ে তোলা হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবেন প্রায় ২১ হাজার ৫৫৪ জন গ্রাহক।
মন্ত্রী এদিন স্পষ্ট বার্তা দেন, বিদ্যুতের উন্নয়ন ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার অবিরাম চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন সাবস্টেশন চালু হওয়ায় ধলাই জেলার বিদ্যুৎ সমস্যার যথেষ্ট সমাধান হবে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি : আজ অবৈধ বার্মিজ সিগারেট পাচারের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে ফের সাফল্য পেল গোয়েন্দা বিভাগ এবং ধর্মনগর থানার পুলিশ । গোপন সূত্রে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে ধর্মনগর থেকে কৈলাসহর যাওয়ার পথে অফিসটিলা এলাকায় বিশেষ চেকিং চালানো হয়। এসময় সন্দেহজনকভাবে চলাচল করা একটি অল্ট্রো গাড়ি (নম্বর TR05-F-0208) আটক করা হয়।তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে মোট ২৭ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে আটক করা হয়। আটকরা হলেন— গৌতম ত্রিপুরা (২৭) ও মৃন্ময় দাস (২৪), উভয়ের বাড়ি দামছড়া এলাকায়।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এদের পেছনে বড় কোনো চোরাকারবারি চক্র সক্রিয় আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে বার বার ধর্মনগর থানার হাতে অবৈধ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধরের ঘটনায় ফের আঙুল উঠছে দাম ছাড়া এবং পানিসাগর থানার বিরুদ্ধে। কেনোনা সিগারেট গুলি মিজোরাম হয়ে দাম ছাড়া থানা হয়ে বংসুল নাকা পয়েন্ট এবং পানিসাগর থানা এলাকার জলেবাসা নাকা পেরিয়ে ধর্মনগরে এসে কিভাবে ধরা পড়ছে। এই প্রশ্ন জনমনে ?
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :-
শ্রীশ্রী গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে মঙ্গলবার ভারতীয় জনতা পার্টি আমবাসা মন্ডলের উদ্যোগে ধলাই জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে সিদ্ধিদাতা গণেশ পূজার আয়োজন করা হয়। শুভ উদ্বোধন করেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, বিজেপি ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, আমবাসা মন্ডল সভাপতি অজয় অধিকারী সহ আরও অনেকে। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে গণেশ পূজার তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির দিকটি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, এই প্রথমবারের মতো বিজেপি আমবাসা মন্ডলের উদ্যোগে গণেশ পূজার আয়োজন করা হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট আমবাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণের মধ্য দিয়ে এই ছয় দিনব্যাপী গণেশ পূজা মহোৎসবের সূচনা হয়। চলবে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।
গণেশ পূজাকে কেন্দ্র করে আমবাসা জুড়ে ইতিমধ্যেই এক বিশেষ উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাট উৎসাহ ও অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পূজার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মসূচি এবং সামাজিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ফলে উৎসবটি একদিকে ধর্মীয় ভক্তিকে উজ্জীবিত করছে, অন্যদিকে সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে নতুন বার্তাও পৌঁছে দিচ্ছে।
এই উদ্যোগের ফলে আমবাসা ও ধলাই জেলা সদর এলাকায় এক ভিন্ন ধরনের আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী বছরগুলোতেও এই পূজা আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে।
স্বর্ণকমল জুয়েলার্স সফলভাবে আয়োজন করল দ্য গোল্ডেন রান – সিটি ম্যারাথন ২০২৫
আগরতলা, ত্রিপুরা – ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ স্বর্ণকমল জুয়েলার্স, কিসনা ডায়মন্ড ও গোল্ড জুয়েলারির সহযোগিতায় সফলভাবে আয়োজন করল দ্য গোল্ডেন রান – সিটি ম্যারাথন ২০২৫-এর দ্বিতীয় সংস্করণ। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই এ ইভেন্টটি সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ফিটনেস ও সামাজিক সমাবেশের একটি হয়ে উঠেছে। এতে ত্রিপুরা, আসাম এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ থেকেও উৎসাহী অংশগ্রহণ দেখা গেছে। ম্যারাথনটি উদ্বোধন করেন মাননীয় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী, শ্রী টিঙ্কু রায়, যেখান থেকে দৌড় শুরু হয় উমাকান্ত একাডেমি স্কুল ময়দান থেকে এবং সমাপ্ত হয় এলবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল পার্ক, আগরতলায়। প্রতিযোগিতাটি তিনটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল – পুরুষ, মহিলা ও সিনিয়র ক্যাটাগরি, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা অসাধারণ উদ্যম, ক্রীড়াত্মক মানসিকতা এবং দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করেন।
শান্তিরবাজারে সেকেন্ডারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ইন-সার্ভিস শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
শান্তিরবাজার, দক্ষিণ ত্রিপুরা: TRESP-TPD 2025-26-এর অন্তর্গত জেলা স্তরের ইন-সার্ভিস টিচার প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট (TPD) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সোমবার, শান্তিরবাজার বিআরসি হলে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শিক্ষা আধিকারিক (DEO)-এর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই কর্মসূচি জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) 2020-এর লক্ষ্য অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছিলেন শ্রী সুদিপ দাস (BRC coordinator) উদ্বোধনী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতি স্বপনা মজুমদার, মাননীয়া চেয়ারপার্সন, শান্তিরবাজার পৌর পরিষদ।সম্মানীয় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রী দিলীপ কুমার দেববর্মা, জেলা শিক্ষা আধিকারিক (দক্ষিণ ত্রিপুরা) সহ প্রমুখ ।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল— মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আধুনিক শিক্ষণ কৌশল ও উদ্ভাবনী শ্রেণিকক্ষ কার্যপদ্ধতিতে দক্ষ করে তোলা। শিক্ষাদানের ধারা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করা।দক্ষিণ ত্রিপুরাজুড়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সমতা নিশ্চিত করা।কর্মসূচির বিন্যাস মোট ৩২টি ব্যাচে ১,৩৩৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ দুই ধাপে আয়োজিত হয়েছিল—১৮–২৩ আগস্ট : ১৬ ব্যাচ ২৫–২৯ আগস্ট : ১৬ ব্যাচ এই প্রশিক্ষণ জেলার ৮টি ব্লক রিসোর্স সেন্টারে (BRC) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছিলেন ২৪ জন মাস্টার ট্রেইনার, যাঁরা এসসিইআরটি ত্রিপুরা ও ট্রান্সফর্ম ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন। প্রশিক্ষণের মান পর্যবেক্ষণ করছেন শ্রী ইকবাল হোসেন (ইমপ্লিমেন্টেশন কো-অর্ডিনেটর, ট্রান্সফর্ম ট্রাস্ট), দক্ষিণ ত্রিপুরা ডিইও ও পেডাগজি কো-অর্ডিনেটরের সহযোগিতায়। এনইপি ২০২০-এর লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দক্ষিণ ত্রিপুরায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি, সমস্যা সমাধান এবং সমগ্রতাবাদী শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছিল।
কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে, স্বামী ও শাশুড়ির,শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে নিখোঁজ গৃহবধ।
বক্সনগর প্রতিনিধি :-বিগত৪/৮ ২০২৫ , ইং তারিখ থেকে, কলসি মোরা রতন দোলা নিবাসী,প্রদীপ নম এর স্ত্রী বাসন্তী বৈদ্য, নিখোঁজ। সূর্য মনি নগর ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রঞ্জিত বৈদ্যের কন্যা বাসন্তী বৈদ্যের সহিত সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুসারে সামাজিকভাবে প্রদীপ নম্ঃ শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। আজ থেকে নয় বছর পূর্বে, তৎকালীন সময়ে আশা বাড়ি নিবাসী নির্মল নম র, পুত্র প্রদীপ নম ঃ সহিত। বর্তমানে কলসি মোরা গ্রাম প্রদীপ নম বসবাস করছে। বাসন্তী বৈদ্যের বিয়ের দু বছরের মাথায় ফুটপুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার কারণেই সংসারে অশান্তি কলহ বিরাজ করছে। নির্মম ভাগ্যের কি পরিহাস পরপর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কখন থেকেই সংসারে শুরু হয়ে যায় অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন শারীরিক-মানসিক টর্চার। প্রদীপ নমো এবং তার মা র মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে বাসন্তীর কোলে কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার কারণে। প্রদীপ নমঃ একজন গাঁজা ব্যবসায়ী, দুই নম্বরি পাচারকারী এবং সমাজের দুষ্ট প্রকৃতির লোক হিসেবে গোটা কলসি মোরা, বক্স নগর তার নাম ছড়িয়ে রয়েছে। সে তার ব্যবসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে সাত দিন আট দিন অন্যত্র চলে যায়, কিন্তু সংসারের খরচাপাতি দেবার এবং ছোট শিশু কন্যা সন্তানের দায়িত্ব কর্তব্য বলতে কিছুই খবর রাখে না, খাবার দাবার টিফিন এমনকি সংসারের খরচ কিছুই দিচ্ছে না। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে এসে বাড়িতে এসেই বাসন্তী বৈদ্যের শহীদ ঝগড়াঝাটি মারপিঠ করত বলে প্রতিবেশী সূত্র থেকে জানা যায়। এরকম অত্যাচার নিপীড়, নির্যাতন অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে পূর্বে আরো দুই দুইবার বাবার বাড়িতে চলে যেত। সরকারি আইনি প্রশাসনের সহযোগিতা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সালিশি সভার মাধ্যমে আরো দুইবার প্রদীপ ন মঃ হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুনভাবে সংসার করার জন্য বাসন্তী বৈদ্যকে। মা ও ছেলে মিলে আমার মেয়ে বাসন্তী বৈদ্য কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু পাষণ্ড প্রদীপ নম ঃ,অসুর এবং পশুর মত উগ্র ব্যবহার অত্যাচারে নির্যাতন শারীরিক-মানসিক দিন থেকে দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘটনার আড়ালে অনেক কিছু ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। প্রদীপ নমঃ র মতিগতি বোঝা বড় দায়।
তাই আজ ৯ দিন অতিক্রান্ত হইয়া গেলে ও প্রদীপ নম ঃ আমার মেয়েকে খোঁজ এবং সন্ধান করার জন্য আমাদের কে কোন সহযোগিতা সাহায্য করেনি, এমনকি পুরো ঘটনা জানান নি ।তাই আমি একজন হতদরিদ্র পিতা হিসেবে আমার মেয়ে কে উদ্ধার করার জন্য নিখোঁজ ডায়েরি করেছি,কলম চৌড়া থানা, প্রশাসনিক তদন্তক্রমে, রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নিকট বিনম্র আবেদন করছি।