ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির আশঙ্কা, শীতের মরসুমে নতুন করে বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে সোমবার তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘‘বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় আমাদের সকলকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’’রাশিয়ার এই কৌশল বুঝে গত সপ্তাহে জ়েলেনস্কি জানিয়েছিলেন, দেশ জুড়ে বিশেষ আশ্রয় শিবির খোলা হবে। সেখানে বিদ্যুৎ থাকবে, ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা থাকবে, জল, ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ওষুধ, বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সেই মতো আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির সহায়তায় আশ্রয়শিবির খোলার কাজও শুরু হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন সরকার কত জনের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান পশ্চিমী দুনিয়া।
আন্তর্জাতিক
সম্প্রতি জাপানের উপকূলে পরমাণু অস্ত্রবাহী হোয়াসং সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বিশ্বের নজর কেড়েছে উত্তর কোরিয়া। সেনাবাহিনীর পুনর্বিন্যাস ঘটিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পরমাণু শক্তির নতুন সম্ভার নিয়ে বিশ্বদরবারে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা করছেন কিম। পরমাণুশক্তি দেশের মর্যাদা এবং সার্বভৌমত্বের পরিচায়ক বলে জানিয়েছেন তিনি। কিম আরও জানিয়েছেন, হোয়াসং-১৭ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার পর তিনি বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরির দিকেও ইঙ্গিত করেছেন।
কিম বলেছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে বহু দূর এগিয়ে রয়েছেন। উত্তর কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তির সম্ভার হিসাবে হাজির হবে।’’
কোভিড মহামারির আগেই ক্যানসার বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। নতুন এক গবেষণার ইঙ্গিত কোভিডের পর এ বার ক্যানসারও নিতে পারে মহামারির আকার। কোভিডের প্রভাবে ইউরোপের ক্যানসার চিকিৎসাক্ষেত্রটি এক দশকের মধ্যে আরও সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
ল্যানসেট অনকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, ক্যানসার গবেষণায় ইউরোপের গ্রাউন্ডশট কমিশন গত ১২ বছরে ইউরোপ জুড়ে ক্যানসার রোগীদের উপর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে গত দুই বছরে ইউরোপ জুড়ে আনুমানিক ১০ লক্ষ রোগীর ক্যানসারের চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। গত দু’বছর ধরে হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া ঘিরে বিশ্ব জুড়েই তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। হাসপাসালে বা চিকিৎসকের কাছে গেলেই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল অনেকের মনে। আতঙ্ক সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনও ছিল না। ইউরোপের সরকারি তরফে বার বার সতর্ক করা হয়েছিল, ভিড় এড়িয়ে চলতে। হাসপাতালও ভিড়ের জায়গা। তাই সেই স্থানও এড়িয়ে চলেছিলেন ক্যানসার রোগীরাও।