ধর্মনগর প্রতিনিধি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ধর্মনগর দুর্গাপুর এলাকার সাধারণ বাসিরা একজন বাইক চোরকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিল। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ মঙ্গলবার মুস্তাপ আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে ধরে ধর্মনগর পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকাবাসীরা। একটি নাম্বার বিহীন পালসার বাইক রেলগেট এলাকার শামীম এর কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকায় একটি বাইক কিনেছে এবং দশ হাজার টাকার দিয়েছে বলে জানায় মুস্তাপ। উল্লেখ্য অভিযুক্ত চোর বলে মুস্তাপ আহমেদ শনি ছড়া বাজারে ভাড়া থাকে। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী আসাম রাজ্যের পাথারকান্দি এলাকায়। কিন্তু এলাকাবাসীরা জানায় সে নম্বরবিহীন এই বাইকটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীরা তাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধর্মনগরে চুরি এবং ডাকাতির যেসব ঘটনা ঘটছে তার অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী আসাম রাজ্য থেকে আসা চোর বা ডাকাতের কান্ড বলে অভিযোগ।
অপরাধ
রাতের অন্ধকারে নিরাপত্তাহীনতায় খোয়াই শহর। রাত দশটায় সাধারণ মানুষ পুলিশের সাহায্য চাইলোও পুলিশ বাবুরা ফোন ধরেন না। রাত হলেই চোরের উপদ্রব অপরদিকে সমাজদ্রোহীদের তাণ্ডবে ওষ্টাগত প্রাণ খোয়াইবাসীর। এর জন্য পুলিশের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতাইকেই দায়ী করছেন খোয়াই বাসি। সোমবার খোয়াই থানাধীন গৌরনগর এলাকায় স্বামীর হাতে নির্মমভাবে খুন হল বিমলা ঝড়া নামে এক গৃহবধূ। তাকে জলে ডুবিয়ে নিশংস ভাবে খুন করা হয়। ঘটনা জানতে পেরে পরের দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যায় খোয়াই থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার খোয়াই জেলা আদালত থেকে এনডিপিএস মামলায় অভিযুক্ত এক আসামি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । পরবর্তী সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পুলিশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার পেছনে পুলিশের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতাইকেই দায়ী করাহচ্ছে।জেলা পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করলে ঘটনার নেপথ্যে যে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা উদঘাটন হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
ডাকাতি করতে আসা কোবি উদ্দিনকে ধরে ডাকাতির প্ল্যান বানচাল করল ধর্মনগর থানার পুলিশ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। রবিবার রাতে ধর্মনগরে আসামের একটি অটো করে ডাকাতি করতে আসে জনাব এক ব্যক্তি। রাত্রি কালে ধর্মনগর থানার পুলিশ পেট্রোলিং করার সময় এই প্রচন্ড গতিতে আসা আসামের অটোটিকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অটো রিক্সাটি একটি সিগন্যাল ভেঙে চলে গেলেও অপর সিগনালে ধর্মনগর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তল্লাশিতে অটোরিকশাটি থেকে কোবি উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এই কবিরুদ্দিনের কাছে আরো দুই তিনটি নাম জানতে পারা যায় কিন্তু তদন্তের স্বার্থে নাম গুলি পুলিশ গোপন রাখে। এই অটো থেকে শাবল দা সহ বেশ কিছু ভাঙ্গার এবং কাটার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এই অপারেশনে বাগ বাসা থানার পুলিশ ধর্মনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করেছে বলে, ধর্মনগর থানার ওসি হিমাদ্রি সরকার জানিয়েছেন। যে কোবি উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের নিলাম বাজারে বলে জানা যায়। সোমবার কোর্টে তোলা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাকে আটক রেখেছে। ইদানিং ধর্মনগরে চুরি এবং ডাকাতির ঘটনা উত্তরোত্তর ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এবং পুলিশ এতে নির্বিকার বলে ধর্মনগরবাসী বারে বারে অভিযোগ তুলেছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর:- গত ছয় মাসের মধ্যে দুইটি অপহরণ কাঁকড়াবন থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে । গত সোমবার তথা জুনের ১০ তারিখ সকালে কাঁকড়াবন থানার অন্তর্গত মুড়াপাড়া এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় ১৫ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে । এই ঘটনায় বাড়ির সদস্যরা মেয়েকে খোঁজ করার জন্য বের হয়। কিন্তু দিনভর খোঁজাখুজি করার পরেও না পেয়ে অবশেষে ১১ তারিখ মঙ্গলবারে কাকরাবন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে নাবালিকা মেয়েটির পরিবার । পুলিশ অপহরণের মামলা হাতে পেয়ে খোঁজ শুরু করে । কিন্তু পুলিশ এই অপহরণ মামলায় তদন্তে নেমে অন্ধকারে প্রতিমুহূর্তে ধাবিত হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে গোমতী জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে কাঁকড়াবন থানার ওসি রাজিব ভৌমিকের নেতৃত্বে এক পুলিশের তদন্তকারীর দল গঠন করা হয় । পরে এই তদন্তকারী দলটি তদন্তে নেমে জানতে পারে এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে হদ্রা গর্জনমুড়া এলাকার ২২ বছর বয়সি প্রলয় ঘোষ নামে এক যুবক । জানা যায় , একটি ঔষুধ দোকানে কর্মরত উদয়পুরে । পুলিশ জানায় , ১০ তারিখ নাবালিকা মেয়েটিকে অপহরণ করার পর তাকে সেদিন দুপুরেই বেসরকারি বিমানে আগরতলা থেকে বহি: রাজ্য ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে যায় । পরবর্তী সময় পুলিশ ব্যাঙ্গালোর শহরের স্থানীয় থানা কুদ্দুগুড্ডি থানার পুলিশের সহযোগিতায় কাঁকড়াবন থানার পুলিশ একটি বেসরকারি হোটেল থেকে নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে ১৬ তারিখ তথা রবিবার সন্ধ্যা ছয়টায় আগরতলায় নিয়ে আসা হয় একটি বেসরকারি বিমানে করে । এই ঘটনায় পুলিশ প্রলয় ঘোষের বিরুদ্ধে ৩৬৬ এ / আই পি সি ধারায় মামলা গ্রহণ করে যার মামলা নম্বর ২৬ / ২০২৪ । ছয় দিনের মাথায় পুলিশ অপহরণ হওয়া ১৫ বছর বয়সী মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার ফলে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে আসে পরিবারের লোকজনের মধ্যে । পুলিশ জানিয়েছে , সোমবার দুপুরে অপহরণের ঘটনার সাথে যুক্ত প্রলয় ঘোষকে উদয়পুর জেলা দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হবে ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- গোপন খবরের ভিত্তিতে গাজা বিরোধী অভিযানের নামে সাফল্য পেল পুলিশ। ঘটনা সিধাই থানার অন্তর্গত ছোট কুত্না এলাকায়। শুক্রবার গভীর রাতে এই এলাকায় গাঁজা বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৮০ কিলো অবৈধ গাঁজা উদ্ধার করেছে সিধাই থানার পুলিশ।
সিধাই থানা এলাকাতে ব্যাপক পরিমাণ গাজার চাষ হয়ে বিগত দিনে। সর্বশেষ মরসুমেও আলু পটলের মত গাঁজার চাষ হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পাহাড় থেকে সমতল গাঁজার রমরমা ছিল প্রকাশ্যে। বর্তমানে সেই গাঁজা বিভিন্ন জায়গার লুকিয়ে বিক্রি করার প্রক্রিয়া চলছে। ছোট কুত্না এলাকাতেও ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা চাষ করার পর মজুদ করা হয়েছিল বিক্রির জন্য। গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে এলাকার কান্থামনি দেববর্মার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ২৮০ কিলো অবৈধ গাঁজা। পুলিশি অভিযানকে কেন্দ্র করে বাড়ির লোকেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গ্রেফতার করা হয় মেয়ের জামাই দুলন দেববর্মাকে। উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য আনুমানিক ২২ থেকে ২৩ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিধাই থানার ওসি মঙ্গেশ পাটারি। এদিন পুলিশের পাশাপাশি সিআরপিএফ জোয়ানরাও এই গাঁজা বিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৩ জুন।। বিশালগড় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ১১ টি বৈদ্যুতিক পাখা চুরি হয়ে যায়। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলাকালীন এই দুঃসাহসিক চুরি কান্ড সংগঠিত হয়েছে বলে স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে। ঘটনা নজরে আসতেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় স্কুল কতৃপক্ষ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। চুরি যাওয়া পাখা উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ । এদিকে পাখা চুরি যাওয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে বিদ্যার্থীদের। তীব্র গরমে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের। বিশালগড় আদালত সংলগ্ন জাতীয় সড়কের পাশেই এই স্কুলে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চুরি যাওয়া পাখা উদ্ধার সহ চোর চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে
এবার গভীর রাতে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির জানালা ভেঙে নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালঙ্কার লুঠ। আতঙ্কিত গ্ৰামবাসী।প্রাণ সংশয়ে প্রধান।তদন্তে পুলিশ।
চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি।১৪ জুন। অল্প কিছুদিন বিরতির পর ফের চোর আতঙ্কে কদমতলা ব্লক এলাকার জনগন।এবার ভয়ংকর চুরি কান্ড কদমতলা থানা এলাকায়।জানা গেছে নগদ অর্থসহ স্বর্নালংকার হাতিয়ে নিয়ে নিরবে গা ঢাকা দেয় নিশি কুটুম্বের দল। এই ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে কদমতলার ঝেরঝেরি গ্রামে। ঘটনা বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ ঝেরঝেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডে।ঘটনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বাড়ির মালিক তথা স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান খলিল আহমেদ বলেন প্রতিদিনের ন্যায় নিজেদের রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি সহ পরিবারের লোকজনরা। এমতাবস্থায় রাত দুইটা নাগাদ চোরের দল বাড়ির পেছনের জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে।তখন বারান্দায় লাগানো ইলেকট্রিক বাল্ব গুলো খুলে নেয় চোরেরা।পরে উনার ঘরে একটি ব্যাগে রাখা নগদ দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা ও দুটি স্বর্নের চুড়ি এবং অন্যান্য স্বর্ণালংকার মিলে প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় নিশি কুটুম্বের দল। তবে তারা প্রতিটি ঘরের দরজা ও জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে।
এদিকে বাড়ির মালিক খলিল আহমেদ জানান ওই সময় তিনি প্রাকৃতিক কাজের জন্য বাইরে বেরোলেও বাড়িতে চোরের দলের কোন আছ পাননি তিনি।অথচ চোরেরা তখন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে হাত সাফাই করছে।গৃহস্থের অনুমান চোরেরা এক প্রকার নেশা জাতীয় তরল ব্যবহার করেই এই কান্ড সংগঠিত করেছে। তাছাড়া তাদের ঘরের পেছনে একটি মৌচাক ভেঙে মধুও পান করে চোরের দল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, চোরের দল ঘরে প্রবেশ করার পর অনেক ভাঙ্গচোর চালালেও ঘরে থাকা লোকজনরা কিছুই টের পাননি। তাতেই স্পষ্ট নিজেদের সুকৌশলে তাদের কাজ সম্পূর্ণ করেছে নিশি কুটুম্বের দল। চুরি কান্ডের এই ঘটনা লিখিত আকারে কদমতলা থানায় জানানোর পর পুলিশ তড়িঘড়ি ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। তবে এখন পর্যন্ত চোরেদের টিকির নাগালও পায়নি পুলিশ।অপরদিকে বাড়ির মালিক খলিল আহমেদ জানান উনাকে হয়তো প্রাণনাশের চেষ্টাও করেছিল চেরেরা।কারণ তিনি যে ঘরে থাকেন সেই ঘরে কোন টাকা পয়সা বা মূল্যবান সামগ্রী ছিল না তবুও উনার ঘরের দরজার শাবল দিয়ে ভাঙ্গার অনেক চেষ্টা করেছে দুষ্কৃতিকারীরা।যদিও এতে সফল হয়নি।ফলে তিনি এখন প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। নেশা বিরোধী অভিযানে আবার সাফল্য আসলো দাম ছড়া থানা এলাকায়। ২৫ কোটি টাকার হেরোইন পাওয়ার 48 ঘন্টার মধ্যে ২৬ কেজি ওজনের শুকনো গাজা উদ্ধার হয় দান ছাড়া থানা এলাকায়। জানা যায় নরেন্দ্রনগর থেকে দুই মহিলাকে পুলিশ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে। দুজন মহিলা একজন হল শালিনী দাস 27 বছর বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা পশ্চিমবঙ্গ এবং অপরজন হল আজমেরি বেগম বয়স ৩২ বছর বাড়ি বৈশালী বিহার। তাদের কাছ থেকে দশটি প্যাকেটে মোট ২৬ কেজি শুকনো গাজা উদ্ধার হয়। যেগুলি কালো বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ধর্মনগর মহিলা পুলিশ স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে কোর্টে পাঠানো হবে। তাদের একটি এনডিপিএস মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কারণ জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বহুমূল্যবান তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা।
বনদস্যদের হাত থেকে কোনভাবেই রক্ষা পাচ্ছে না বনজ সম্পদ। প্রতিনিয়ত রাতের আঁধারে বনদুস্যরা বনের বিশাল আকার গাছ কেটে কাঠ তৈরি করে অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি করে মোটা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে এই বনদুস্যদের প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করতে চড়িলাম বনদপ্তরে কর্মীরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। বনদপ্তরে কর্মীরা বনজ সম্পদ রক্ষাকরতে প্রতিনিয়ত এই বনদস্যুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বনদস্যুরা বনের গাছ কেটে কাঠ তৈরি করে চোরাই পথে বিক্রি করার পথে বৃহস্পতিবার রাতে বিশালগড় চন্দ্রনগর টিলা এলাকার পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ২০ ফুট চোরাই কাঠ উদ্ধার করেন। বনকর্মীদের আসার আগাম খবর পেয়ে বনদুস্যরা ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে সমস্ত অবৈধ চোড়াই কাঠগুলি উদ্ধার করে চড়িলাম বনদপ্তর অফিসে নিয়ে আসেন বনকর্মীরা। এদিনের এই অভিযানে ছিলেন জম্পুইজলা ফরেস্ট প্রটেকশন ইউনিট ইনচার্জ তাপস দেবনাথ সহ বনঃকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুইটাই গাড়ি থেকে সমস্ত কাঠ নামিয়ে চড়িলাম বনদপ্তর অফিসে রাখেন বনকর্মীরা পাশাপাশি বনদুস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে বিস্তারিত জানান চড়িলাম বনদপ্তর অফিসে JFPU ইনচার্জ তাপস দেবনাথ। বনদুষ্যদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বন কর্মীদের অভিযান জারি থাকবে বলে জানান।
সিমেন্ট বোঝায় গাড়ি কর্তৃক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বাড়ি, আশঙ্কা জনক অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। বুধবার অর্থাৎ 12 ই জুন বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় শনি ছড়া বাজারের কাছে এক স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি দিয়ে পালায় একটি সিমেন্ট বোঝায় লড়ি। লরিটির নম্বর এ এস ০১ এফসি 655 5। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় পাঁচজন ছাত্রী ছিল তার মধ্যে তিনজন ছিল সামনে আর দুজন ছিল পেছনে।
দুজনের মধ্যে একজন বিদ্যালয়ের খাতা কিনার জন্য একটি দোকানে ঢুকে দোকান থেকে বের হতেই একটি সিমেন্ট বোঝায় লরি মেয়েটিকে বাড়ি দিয়ে ফেলে চলে যায়। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে যে নবম শ্রেণীর রুমানা বেগমকে বাড়ি দিয়েছে তাকে তার পিতা-মাতা পেশায় দিনমজুর হারিজ আলি সাথে সাথে শনি ছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। রুমানার বাড়ি শনি ছড়া ৫ নং ওয়ার্ডে।সেখানে রুমানা বেগমের অনর্গল বমি হচ্ছে বলে জানায় তার পিতামাতা। এদিকে চোরাই বাড়ি থানা ধর্মনগর থানার সাথে যোগাযোগ করলে সিমেন্ট বুঝায় গাড়িটিকে আটক করে ধর্মনগরে কিন্তু চালক পলাতক বলে জানায় পুলিশ। এদিকে নবম শ্রেণীতে পাঠরতা রুমানা বেগম মৃত্যুর সাথে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানায় রোমানার পিতা মাতা।