প্রতিনিধি কৈলাসহর:-নয় বছর পূর্বের ভারত আর বর্তমানের ভারত অনেক বিস্তৃতি নিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে।যে দেশের মন্ত্র সবকা সাত কা বিকাশ। এই মন্ত্রে শাণিত হয়ে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের সার্বিক উন্নয়ন এবং দেশের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে মাইল ফলক তৈরি করে একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দেশের যুব প্রজন্ম থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশের মানুষকে স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। একটা সময় কেন্দ্রে থাকা ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীরা যেখানে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল যেখানে টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি থেকে কয়লা কেলেঙ্কারি সহ আরো অনেক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত হয়ে পড়েছিল সরকার।সেই সময়গুলোতে বিদেশের কাছে ভারতের মুখ পুড়েছে।আর আজ দেশের সর্বকালের সেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র দেশের অগ্রগতি এবং প্রগতির স্বার্থে সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় কাজ করে চলেছেন।আজ পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের পক্ষ থেকে বিজেপি সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে কৈলাসহর স্থিত ঊনকোটি জেলা বিজেপি কার্যালয়ে বিকাল ৩ ঘটিকায় এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ রেবতী মোহন ত্রিপুরা, মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন,বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস, শম্ভুলাল চাকমা,বিনয় ভূষণ দাস,যাদব লাল নাথ, মাইলাফ্রু মগ সহ প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী ও অস্মিতা বণিক। সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ রেবতী মোহন ত্রিপুরা বলেন স্বাধীনতার পর অনেক সরকার এসেছে।মোদির নেতৃত্বে নয় বছরে যে উন্নতি হয়েছে তা আগে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পূর্বে আগের সরকারের আমলে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছেন।আগে বিদেশে গিয়ে ভারতীয় বলে পরিচয় দিতে লজ্জা হতো।এরকম পরিস্থিতি থেকে সেবা সুশাসন উন্নয়নের সরকার গঠন হয়েছে।এই সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে চলেছে।বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে বর্তমানে দেশের শান্তি এসেছে।বর্তমানে অগ্রগতি এবং প্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধনধান্য পুষ্প ভরা এই ভারতবর্ষ।করোণা মহামারীর সময় যখন পুরো বিশ্ব স্তব্ধ ছিল,বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। সেসময় ভারত তার অর্থনীতির ভিতকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল।বর্তমানে ভারত পঞ্চম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।যা প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে গৌরবের।তেমনি প্রবাসী ভারতীয়দের কাছেও অনেক বেশি গৌরবের।ইউক্রেন এবং রাশিয়া যুদ্ধের সময়ে প্রবাসী ভারতীয়দের শরীরে একটুকু আজ রাখতে দেয়নি মোদি সরকার।তেমনিভাবে উদারতা প্রদর্শন করতে গিয়ে ভারত সরকার করোণাকালীন সময়ে ভ্যাকসিন মৈত্রী নামে ১০ লক্ষ ভ্যাকসিন নেপাল রাষ্ট্রকে উপহার হিসেবে দিয়েছেল। বর্তমানে মোদি সরকারের নেতৃত্বে নয় বছরে একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।দুর্নীতি যেমন বন্ধ হয়েছে তেমনি উন্নয়ন হয়েছে।সারাদেশে অর্থনৈতিকভাবে নিচুস্তরের যারা রয়েছেন তাদেরকে থেকে শুরু করে গ্যাস, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ঘর,সৌভাগ্য জ্যোতির মাধ্যমে গ্রামীন বিদ্যুতায়ন, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য আয়ুষ্মান ভারত থেকে শুরু করে সবকিছুর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।দেশে মোট ১১ কোটি ১২ লক্ষ শৌচালয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে ২০১৪ সালের আগে ৩৯ শতাংশ শৌচালয় ছিল। মোদিজীর নেতৃত্বে নয় বছরে ২০২৩ সাল অব্দি ১০০ শতাংশ শৌচালয় নির্মাণের কাজ আজকে হয়ে যাচ্ছে। বিশুদ্ধ পানীয় জল সম্পর্কে তিনি বলেন সমস্ত দেশে জল জীবন মিশনে বার কোটি জলের কানেকশন দেওয়ার কাজ চলছে এবং অনেক কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। সারাদেশ নয় কোটির উপর লোকের বাড়ি গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।৮০ কোটি মানুষকে খাদ্য সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। করোনার সময় মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে সারা দেশে জনঔষধি কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। কম মূল্যে ঔষধ সরবরাহ করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। করোণা কালে এই দেশে কেউ না খেয়ে মারা যাননি। করোণা কালেও কৃষকরা কাজ করে গেছেন। বর্তমানে বিনামূল্যে অনেক খাদ্যশস্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০১৪ সালের পূর্বে দেশে মোট মেডিকেল কলেজ ছিল ৬৪১ টি। বর্তমান সরকারের নয় বছরে নতুন ৭০০টি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী …
রাজনীতি
প্রতিনিধি মোহনপুর:-যুব মোর্চার কর্মীদের সেবা পরায়ন মনোভাব রাখতে হবে। মানুষ, রাজ্য এবং দেশকে সবচেয়ে প্রথম ভালবাসতে হবে। প্রত্যেকের বিপদে এগিয়ে যেতে হবে। যাদের মধ্যে এই গুণগুলো নেই উনারা যুব মোর্চার সদস্য হওয়ার যোগ্য নয়। মঙ্গলবার যুব মোর্চা মোহনপুর মণ্ডল কমিটির কার্যকরণী বৈঠকের প্রধান বক্তার ভাসনে বলছিলেন মোহনপুরের বিধায়ক তথা কৃষি ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মোহনপুর বিধানসভাতেও ভারতীর জনতা পার্টির বিভিন্ন শাখা সংগঠন গুলোর কার্যকারিণী বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার মোহনপুর বাজারের নাট মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় যুব মোর্চার মোহনপুর মন্ডলের কার্যকারিণী বৈঠক। এই বৈঠকে রতনলাল নাথ বলেন বিজেপি দল মানেই সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করা। যারা দল করার বিনিময়ে কিছু পেতে চায়, লাভ লোকসানের হিসাব করেন উনারা ভারতীয় জনতা পার্টির নিষ্ঠাবান কার্যকর্তা হতে পারবেন না বলে মন্তব্য করলেন মন্ত্রী। তিনি আহ্বান করেন নিজ নিজ এলাকা, রাজ্যকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে প্রত্যেকেই নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোকে সমাধান করার উদ্যোগ নিতেও যুব মোর্চাকে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন বিজেপি চিন্তা করে সমাজের অন্তিম ব্যক্তির জন্য। যাদের বাড়িতে ঘর নেই, যাদের বাড়িতে জল দেই, যাদের বাড়িতে সোচালয় নেই তাদের প্রত্যেকের ঘরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছে এই সরকার। একইভাবে যুব মোর্চার সমেত সমস্ত ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তা দেরকেউ মানুষের সহযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৪ মে ।। বিজেপির সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার কার্যকারিনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার চড়িলাম অটল বিহারী বাজপেয়ী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক। প্রদীপ প্রজ্বলন করে বৈঠকের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, ওবিসি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সমীর রঞ্জন ঘোষ, ওবিসি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তাপস মজুমদার, বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ প্রমুখ। বৈঠকে সাংগঠনিক জেলার জেলা কমিটির সকল সদস্য, পাঁচটি মন্ডলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, মোর্চার জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অংশ নেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্ণ হয়েছে। এই নয় বছরে দেশ এবং রাজ্যের জন্য মোদিজীর জনমুখী প্রকল্প গুলো এক মাস ব্যাপি প্রচার করা হবে। আগামী ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর্তারা জনসম্পর্ক অভিযানে অংশ নেবে। জনতার কাছে নয় বছরে গৃহীত প্রকল্প গুলো তুলে ধরা হবে। কার্যক্রম সফল করতে প্রদেশ কার্যকারিনী বৈঠক হয়েছে। এবার জেলা কার্যকারনী বৈঠক হচ্ছে। এরপর হবে মন্ডল কার্যকারনী বৈঠক। এরপর ৩০ মে থেকে বুথে বুথে ঝাঁপিয়ে পড়বে কার্যকর্তারা। জনসম্পর্কের মাধ্যমে জনভিত মজবুত করে চব্বিশে রাজ্যের দু’টি লোকসভা আসনে জয় সুনিশ্চিত করা হবে।
নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে ২৭ মে দিল্লিতে আসার সম্ভাবনা খুবই কম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের শীর্ষ স্তর সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল না হলে এখনই রাজধানীতে আসছেন না তিনি। যদিও এর আগে দিল্লির রাজনৈতিক হাওয়ায় গুঞ্জন ভাসছিল যে, ২৭ তারিখের ওই বৈঠকে যোগ দিতে রাজধানীতে আসবেন মমতা।
মঙ্গলবার আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর বৈঠক হয়েছে কলকাতায়। এর আগে মমতা কলকাতায় বসেই বৈঠক সেরেছেন আরও চার অ-কংগ্রেসি বিরোধী নেতার (এসপি-র অখিলেশ যাদব, জেডিএস-এর কুমারস্বামী, জেডিইউ-এর নীতীশ কুমার এবং আরজেডি-র তেজস্বী যাদব) সঙ্গে। এ দিন এক দিকে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আনা অধ্যাদেশের বিষয়টিকে সামনে এনে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে বিজেপিকে রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে হারানোর ডাক দিয়েছেন মমতা। তেমনই অন্য দিকে আবার রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, চব্বিশের লোকসভা ভোটের দামামা এ ভাবেই আজ বাজিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তা বলে এখনই দিল্লিতে এসে কর্নাটক-বিজয় পরবর্তী কংগ্রেসের রমরমা বাজারে গৌরবে বহুবচন হতে চান না তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেস সম্পর্কে ‘অ্যালার্জি’ বজায় রেখেই তিনি নিজের মতো করে সাজাতে চাইছেন মোদী বিরোধিতার কৌশলের ঘুঁটি। ঘটনাচক্রে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের সমনের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছেন, শুক্রবার দিল্লিতে তারও শুনানি রয়েছে।
এক দিকে জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যের বাধ্যবাধকতা, অন্য দিকে দিল্লি ও পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের প্রবল আপত্তি। দুইয়ের মাঝে পড়ে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্র যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, তা নিয়ে আম আদমি পার্টি (আপ)-এর পাশে দাঁড়ানো হবে কি না, এই প্রশ্নে কংগ্রেস দ্বিধাবিভক্ত।
কেজরীওয়াল চাইছেন, এই অধ্যাদেশ যখন সংসদে পাশ করানো হবে, তখন সব বিরোধী দল রাজ্যসভায় এককাট্টা হয়ে এর বিরোধিতা করুক। সংসদের উচ্চকক্ষে শাসক শিবিরের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। কাজেই সব বিরোধী দল এক হলে অধ্যাদেশ আটকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু কংগ্রেস না থাকলে তা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে অধ্যাদেশ পাশ হয়ে গেলে পুরো দোষ কংগ্রেসের উপরেই পড়বে।
এ দিকে, অজয় মাকেন, অনিল চৌধুরী, সন্দীপ দীক্ষিতের মতো দিল্লির কংগ্রেস নেতা থেকে পঞ্জাবের প্রতাপ সিংহ বাজওয়ার মতো নেতারা কেজরীকে সমর্থনের ঘোর বিরোধী। তাঁদের বক্তব্য, এই কেজরীওয়ালই ২০১৪-র ভোটের আগে সনিয়া গান্ধীর গ্রেফতারি চেয়েছিলেন। ৩৭০ রদের প্রশ্নে তিনি বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের ‘ইমপিচমেন্ট’ প্রস্তাব বা রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবেও তিনি বিরোধীদের পাশে থাকেননি। এখন দুর্নীতির অভিযোগের ঠেলায় চাপে পড়ে সকলকে পাশে চাইছেন।
দিল্লিতে পরিষেবা ও আমলাতন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার বনাম দিল্লির কেজরীওয়াল সরকারের বিবাদে সুপ্রিম কোর্ট কেজরীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তার পরেই মোদী সরকার অধ্যাদেশ জারি করে ফের সেই ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছে। কেজরীওয়াল তার বিরুদ্ধেই বিরোধীদের এককাট্টা করতে আজ নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। এর পরে তিনি মহারাষ্ট্রে এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার সঙ্গে দেখা করবেন। অন্য বিরোধী দলগুলিরও সাহায্য চাইবেন। তৃণমূলের সমর্থন পাবে আপ। কারণ তৃণমূল মনে করছে, রাজ্যসভায় বিজেপিকে হারানো গেলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিরোধী ঐক্যের বার্তা দেওয়া যাবে। যদিও রাজ্যসভার সমীকরণ বলছে, অধ্যাদেশ আটকাতে গেলে নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল এবং ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থন প্রয়োজন। কারণ রাজ্যসভায় এখন ২৩৮ জন সাংসদ রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১১৯ জন। বিজেপির রয়েছে ৯৩ জন। আপ-এর সাংসদ ১০ জন। কংগ্রেসের ৩১ জন সাংসদকে নিয়ে বিরোধী সাংসদদের সংখ্যা ১০৮-এ পৌঁছয়। তার পরে বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মোট ১৮ জন ভোট পেলেই অধ্যাদেশ আটকানো যায়।
Advertisement
‘নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাননি রাষ্ট্রপতি’! প্রতিবাদে বয়কটে তৃণমূল, আপ
আগামী রবিবার (২৮ মে) নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কর্মসূচিতে যোগ দেবে না তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন। সেই কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বলে সোমবার অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে!
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার টুইটারে ডেরেক লিখেছেন, ‘‘সংসদ শুধুমাত্র একটি নতুন ভবন নয়, এটি একটি পুরানো ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, নজির এবং বিধিবদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিকতা। এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী তা মানেন না। তাঁর জন্য, রবিবারের নতুন ভবনের উদ্বোধন হল ‘আমি, আমি, আমার’। তাই আমরা নেই।’’
প্রসঙ্গত, তৃণমূলই দেশের প্রথম দল যারা প্রকাশ্যে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট করল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-ও সংসদ ভবন উদ্বোধন কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঙ্গলবার। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ টুইটারে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদেই তাঁদের এই বয়কট।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংসদের অভিভাবক হলেন রাষ্ট্রপতি। কারণ, সংবিধানের ৭৯ ধারায় বলা হয়েছে, সংসদ রাষ্ট্রপতি, লোকসভা ও রাজ্যসভা নিয়ে গঠিত। তাই তাঁরই উচিত নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা। কিন্তু উদ্বোধন দূর অস্ত্, রবিবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
রাহুল আর ভিআইপি নন! কূটনৈতিক পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে ‘আম আদমি’ হওয়ার আর্জি জানালেন
মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের দায়ে গুজরাতের সুরাত আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ পদ হারানোর পরেই লুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো ছেড়েছিলেন তিনি। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এ বার ফেরত দিলেন তাঁর কূটনৈতিক (ডিপ্লোম্যাটিক) পাসপোর্ট।সাংসদ হিসাবে পাওয়া কূটনৈতিক (ডিপ্লোম্যাটিক) পাসপোর্ট জমা দিয়ে রাহুল সাধারণ পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য দিল্লির আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাই বিধি মেনে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি)-এর জন্য এই আবেদন জানাতে হয়েছে তাঁকে।রাহুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে দিল্লির মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বৈভব মেহতা এ বিষয়ে ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর মামলাকারী সুব্রহ্ম্যণম স্বামীর জবাব চেয়েছেন মঙ্গলবার। বুধবার আবার এই মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অভিযুক্ত রাহুলকে ২০১৫০-র ১৯ ডিসেম্বর জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মাস ব্যাপি গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি। সোমবার চড়িলাম অটল বিহারি বাজপেয়ী দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন এই স্কুলেই প্রদেশ কার্যকারিনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন এবারের কার্যকারিনী বৈঠক ভিন্ন আঙ্গিকে হয়েছে। কারণ কার্যকারিনী বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক রাজনৈতিক প্রতিবেদন আলোচনা হয়। এবারের কার্যকারিনী বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ জনসম্পর্ক অভিযানের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কর্মসূচী আমজনতার কাছে তুলে ধরা। তিনি বলেন ইতিমধ্যে বুথ সশক্তিকরণের কাজ চলছে। বুথ জয় করাই মূল লক্ষ। রাজ্যের তিন হাজারের অধিক বুথ জয়ের মাধ্যমে দুটি লোকসভা আসনে জয় সুনিশ্চিত করার সংকল্প নিয়ে আগামী এক মাস কাজ করবে বিজেপির কার্যকর্তারা। তিনি আরও বলেন বিগত নয় বছরে দেশের গরীব মানুষ তার মৌলিক অধিকার ভোগ করার সুযোগ পেয়েছে। ত্রিপুরা আজ সারা দেশের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। ত্রিপুরায় হিরা মডেল বাস্তবায়ন হয়েছে। একটি জাতীয় সড়ক ছিল। আজ আটটি জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়েছে মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের নামে। ২২ টি বিমান প্রতিদিন ওঠানামা করছে। রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি বলেন ত্রিপুরা ডবল ইঞ্জিনের সুফল ভোগ করছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন কার্যকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই দ্বিতীয় বারের মতো বিজেপির সরকার হয়েছে। এবার কার্যকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমে চব্বিশে দুটি আসনে জয়লাভ করবে বিজেপি। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন বিনামূল্যে ঘর, বিনামূল্যে রেশন, বিনামূল্যে শৌচাগার, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফসল বিমা, স্বাস্থ্য বিমা ইত্যাদি প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের কারণে রাজ্যের গরীব মানুষ উপকৃত হয়েছে। এখন সরকারি সহায়তার জন্য মিছিল মিটিং করতে হয়না। চাঁদা দিতে হয়না। ভয়মুক্ত ত্রিপুরা হয়েছে। তাই বিগত নয় বছরের জনমুখী প্রকল্প গুলো আমজনতার কাছে নিয়ে যাবে কার্যকর্তারা। আগামী ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বুথে বুথে কাজ করবে বিজেপির কার্যকর্তারা।
সারদা, নারদ মামলায় সিবিআই কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না শুভেন্দুকে? সুর চড়িয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
নিয়োগ-মামলায় কড়া পদক্ষেপ থেকে অব্যাহতি পেতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন, সে দিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে চাপ বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের তরফে সোমবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও সারদা ও নারদ মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা শুভেন্দুকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না? শুভেন্দুর আবার পাল্টা প্রশ্ন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলে তৃণমূল আদালতে যাচ্ছে না কেন?
দুর্নীতির অভিযোগে অভিষেককে নিশানা করছেন শুভেন্দু-সহ বিরোধীরা। নিয়োগ-মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্রে শনিবার সিবিআই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই সূত্রেই সারদা ও নারদ মামলার পুরনো অভিযোগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। কাঁথি পুরসভার একটি প্রকল্পের জন্য সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের দেওয়া ৫০ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফটের নথি দেখিয়ে এ দিন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, ‘‘এই লেনদেন হয়েছিল কি না, শুভেন্দু বলুন। যদি এই তথ্য ঠিক হয়, তা হলে তাঁর অন্য অভিযোগ নিয়েও তদন্ত দরকার। আর যদি মিথ্যা হয়, তা হলে সবটাই মিথ্যা।’’ সেই সময়ে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।
একই ভাবে এ দিন নারদ প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেছেন তৃণমূলের আর এক নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এই নেতার অভিযোগ, ওই তদন্ত থেকে ছাড় পাওয়ার শর্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম টেনে জয়প্রকাশের দাবি, ‘‘ক্ষমতার লোভ আর জেল এড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের ইচ্ছায়।’’ তিনি দাবি করেছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে একটি বৈঠকে গিয়ে শুভেন্দু জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলির কী হবে? বিজেপির তৎকালীন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সে দিন শাহের নাম করে তাঁকে আশ্বস্ত করেন। শুভেন্দু ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে থাকাকালীন সাংবাদিক বৈঠকে নারদের যে ভিডিয়ো তিনি প্রকাশ করেন, তাতে শুভেন্দুকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, ৫০০ টাকার গ্যাস, ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্প! প্রতিশ্রুতি মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের
চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু কর্নাটক জয়ের পর উজ্জীবিত কংগ্রেস এখন থেকেই নেমে পড়েছে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দলের তরফে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিপত্র প্রকাশ করেছেন। কর্নাটকে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার অনুকরণ করে তাতে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের ঘোষণা মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখল করলে প্রতিটি পরিবারকে ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবার ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাবে বিনামূল্যে। ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম অর্ধেক করে দেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, সোমবারই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শিবরাজ তাঁর স্ত্রীর পাশে বসে রয়েছেন। আর কয়েক জন সহযোগীকে নিয়ে মাটির উনুন জ্বালিয়ে রান্না করছেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী।