প্রতিনিধি মোহনপুর:-দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছরের পূর্তি উপলক্ষে বিকাশ তীর্থযাত্রার অঙ্গ হিসেবে সংস্কৃতি ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে নেতৃত্বে গোটা দেশে উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রশংসা করলেন মুখ্য মন্ত্রী।
বিগত নয় বছরে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনকালে গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি ছোট্ট পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরাতেও ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। পশ্চিম জেলা যুবতারা স্থিত সংস্কৃত ইউনিভার্সিটি তার মধ্যে অন্যতম। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর মানিক সাহা বিকাশ তীর্থযাত্রার অঙ্গ হিসেবে সংস্কৃত ইউনিভার্সিটির পরিষেবা এবং পরিকাঠামোকে ঘিরে অত্যন্ত আপ্লুত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন এই ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাদানের জন্য সমস্ত ধরনের পরিকাঠামো এবং পরিবেশ বিদ্যমান। রাজ্যের জনজাতি জাতি ও অন্য মানুষ থেকে শুরু করে গহিঃ রাজ্য থেকেও শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটিতে এসে পড়াশোনা করছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী ভাষা সংস্কৃতকে আঁকড়ে ধরে যারাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হচ্ছেন উনাদেরকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি মানেই উন্নয়ন। উনার নেতৃত্বেই যুবতারায় নতুন সংস্কৃত ইউনিভার্সিটি, জাতীয় সড়ক, মেডিকেল কলেজ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যালয় গঠিত হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী নেতৃত্বরা এবং জনপ্রতিনিধিরা যে সমস্ত কর্মসূচি রাজ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে সেগুলো পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া কাজগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। এদের মুখ্যমন্ত্রী সফরকালে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রতন ঘোষ, দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য এবং অন্যান্যরা।
রাজনীতি
প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া,৮ই জুন। দেশের যষশ্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নয় বছর বেমি শাল কার্যকালের বিভিন্ন দিক জনসাধারণের মধ্যে তুলে ধরার জন্য দেশজুড়ে বিজেপি দল নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে বিকাশ তীর্থ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বিভিন্ন জেলায় জেলায়। আজ খোয়াই জেলা বিজেপির উদ্যোগে বিকাশ তীর্থ কার্যক্রমের কর্মসূচি পালিত হয় কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নোনা ছোড়া এডিসি ভিলেজ এ। নোনাছোড়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রাজ্যের পর্যটকদের আকর্ষণ করছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে ভিলেজের মনতাং ভেলি ইতিমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমাদের রাজ্যের নাগরিকদের কাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মেঘ কুয়াশায় ঘেরা সিলংকেই আমরা বেশি পছন্দ করি। মন্টান ভেলির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন শিলং কেও হার মানায়। আজ খোয়াই জেলা বিজেপির উদ্যোগে বিকাশ তীর্থ কার্যক্রমে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, কল্যাণপুরের বিধায়ক তথা জেলা বিজেপি সভাপতি পিনাকী দাস চৌধুরী মন টাঙের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করেন। এবং নেতৃবৃন্দরা রাজ্যের বহি রাজ্যের পর্যটকদের প্রতি আহ্বান রাখেন মনটাং ভেলিতে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। এই ব্যাপারে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় বলেন, গত নয় বছর দেশের যশোশ্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জির কার্যকাল বেমিসাল করেছে দেশের উন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রীর মার্ক দর্শন এ ই আজ মনটাং ভেলি পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে। মন তাংগের মেঘ কুয়াশায় ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই সকলের নজর কেড়েছে। আগামী দিনে এই পর্যটন কেন্দ্রটি শুধুমাত্র রাজ্যেই নয় বহি রাজ্যের পর্যটকদেরও আকর্ষণ করবে এবং এই এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন শ্রী মতি রায়। একই ধরনের বক্তব্য রাখেন রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। আজকের কর্মসূচিতে অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলার বিজেপি দলের দুইজন সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সাহা এবং সমীর দাস, কল্যাণপুরের মন্ডল সভাপতি জীবন, কৃষ্ণপুর মণ্ডল সভাপতি তপন নমঃ দাস সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-গেরুয়ার প্রবল ঝড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ছে লাল দুর্গ।দশরথ-নৃপেন-বীরেন দত্ত দের তৈরি করা ২৫ বছরের লাল ত্রিপুরা আজ গেরুয়া ঝড়ে বিধ্বংস।তেমনি বিধ্বংস প্রবাদ প্রতিম কমিউনিস্ট নেতা বৈদ্যনাথ মজুমদারের হাতে গড়া চন্ডীপুর।নেতাদের অহং মনোভাব আর পঞ্চায়েত স্তরে মারিং সংস্কৃতি দুর্বল করেছে বাম ভিতকে।প্রায় ৪৫ বছর পরে লাল দুর্গ বলে কথিত চন্ডিপুরে আজ ভারতীয় জনতা পার্টির বিজয় পতাকা উত্তোলিত হচ্ছে। জীবন বাজি রেখে সিপিএম দলের প্রতি আত্মত্যাগী বাম কর্মীরাও বুঝে গেছেন এই দলে থেকে কোন ভবিষ্যত নেই।তাই সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় বাম শিবিরের যুবকর্মীরা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি ভরসা রেখে এই দলে যোগদান করছেন।শুধু সিপিএমই নয় ত্রিপ্রা মথা কিংবা কংগ্রেসের অল্পস্বল্প যে ভোট ব্যাংক ছিল তাও ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছেন মন্ত্রী টিংকু রায়। ইতিমধ্যেই চন্ডীপুর মন্ডলের অন্তর্গত শ্রীরামপুর বাজারে এক সুবিশাল জনসভার মধ্য দিয়ে ৫৪ পারিবারের ১৭২ জন ভোটার বামগ্রেস এবং ত্রিপ্রা মথা দল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন।তাদেরকে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বিজেপিতে বরণ করে নেন মন্ত্রী টিংকু রায়।এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি শ্যামকুমার সিনহা, জেলা সহ সভাপতি ডাক্তার সুশান্ত সিংহ,রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর এবং বরিষ্ট নেতৃত্ব বাবুলাল সিংহ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৬ জুন।। ওড়িষ্যার
বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করে ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন বিশালগড় মহকুমা কমিটি। সোমবার রাতে বিশালগড় সূর্য কিরণ মিলনায়তন প্রাঙ্গনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ছিলেন সংগঠনের মহকুমা সম্পাদক খোকন ঘোষ, সহসম্পাদক জীবন সাহা, সহসভাপতি বিশ্বজিৎ দেব, কোষাধ্যক্ষ অজয় পাল সহ সকল সদস্যরা। প্রয়াতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে প্রদীপ প্রজ্বলন করে সকলে। প্রয়াতদের বিদেহি আত্মার চিরশান্তি কামনা করে এক মিনিট মৌনব্রত পালন করা হয়। প্রয়াতদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এসোসিয়েশনের মহকুমা সম্পাদক খোকন ঘোষ। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রায় একান্ন ঘন্টা ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি নিরিক্ষণ করেছেন।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে চলছে দলবদলের পালা।পাহাড় থেকে সমতল এখন সকলেই বিজিপি মুখী। সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল এবং মোদিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে দলে মানুষ ভীড়ছেন বিজেপি পতাকা তলে। সোমবার আশারাম বাড়ি বিধানসভার কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘটিয়া তল এলাকায় ৬৫ পরিবারের ১৮৮ জন ভোটার সিপিআইএম, তিপ্রা মথা দলত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করে। দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাদের বরণ করে নেন, বিজেপির খোয়াই জেলা সভাপতি পিনাকী দাস চৌধুরী। যোগদান সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির খোয়াই জেলা সম্পাদক সমীর দাস, আশারাম বাড়ি মন্ডল সভাপতি প্রদীপ দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এদিন দল ত্যাগীরা এক সাক্ষাতে জানান বিজেপি দলের বিকল্প কোন দল হতে পারে না। জাতীয় এবং রাজ্য স্তরে মোদীজির নেতৃত্বে যে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড চলছে সেই কর্মযজ্ঞে শামিল হওয়ার জন্য আমরা দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে সামিল হয়েছি। আগামী দিনে সেই কর্মযজ্ঞ কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাব। এদিন যোগদান সভায় জেলা সভাপতি পিনাকী দাস চৌধুরী বলেন গত ৯ বছরে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে মোদিজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার একটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এই যে মাইলস্টোন তৈরি হয়েছে তা কেউ ভাঙতে পারবে না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ,সবকা সাথ সবকা বিকাশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। জলের ব্যবস্থা বিদ্যুৎ সংযোগ উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস, রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণ, শৌচালয়, মায়েদের জন্য এস এইস জি গ্রুপ তৈরি করে স্বাবলম্বী করতে বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মিশন মুডে কাজ করছে এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সবশেষে তিনি এখনো যারা বিভ্রান্ত হয়ে বিরোধী শিবিরে রয়ে গেছেন তাদের প্রতি সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল হওয়ার জন্য উদাত্ত কণ্ঠে আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-নরেন্দ্রর মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে মোহনপুরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মোহনপুর এলাকার ব্লগার, ইউটিউবার, শিক্ষক কর্মচারী, জনপ্রতিনিধ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এলাকার উন্নয়নে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই কর্মসূচিতে মোহনপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের সাথে এই মতবিনিময় সভাতে খোলাখুলি আলোচনা করেন। মোহনপুরকে কিভাবে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায় তার উপর বিভিন্ন প্রস্তাব আসে এদিন। পরবর্তী সময়ে বিগত নয় বছরে মোহনপুর রাজ্যের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের সরকার যে সমস্ত উল্লেখযোগ্য কাজগুলো সম্পন্ন করেছে সে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করে রতন লাল নাথ। তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণেই কাশ্মীরের ৩৩৪ ধারা বাতিল, তিন তালাক বাতিল, দেশের প্রতিটি মানুষকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন প্রদান, দেশের প্রতিটি মানুষকে খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া, দেশের প্রতিটি মানুষকে ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও জনধন যোজনা, কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ, অর্থনীতিতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করা থেকে শুরু করে বহু বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন রতন লাল নাথ। এই দিন সরকারের এই উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে প্রচার প্রসার করতে ইউটিউবার এবং ব্লগারদের প্রতি আহ্বান করেন মন্ত্রী। তিনি আশ্বাস দেন এদিন এই আলোচনা সভা থেকে যে সমস্ত প্রস্তাব এসেছে সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তার উপর আগামী কিছুদিনের মধ্যেই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ জুন।। তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তীব্র দাবদাহে হাসফাস অবস্থা। কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করেই শুক্রবার দিনভর চড়িলাম চষে বেড়ালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজেপির মাস ব্যাপি জনসম্পর্ক অভিযান চলছে।
কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার চড়িলাম মন্ডলের আমতলী, আড়ালিয়া, দক্ষিণ চড়িলাম প্রভৃতি এলাকায় জনতার কাছে সরকারি প্রকল্প গুলো তুলে ধরেছেন। মহা জনসম্পর্ক অভিযানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ছাড়াও ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, সহ-সভাপতি অমল দেবনাথ, জনজাতি মোর্চার জেলা সভাপতি কানুরাজ দেববর্মা, জেলা কমিটির সম্পাদক তাপস দাস, চড়িলাম মন্ডল অফিস সম্পাদক অনুপ দেবনাথ প্রমুখ। এদিন বিশ্রামগঞ্জ মোটর স্ট্যান্ডে প্রান্তিক ভবনে নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। নতুন ভোটারদের ফুল দিয়ে বরণ করেন তিনি। এছাড়া চড়িলাম লীলাদেব স্মৃতি হলে অঙ্গনওয়াড়ী আশা এবং স্ব সহায়ক দলের মহিলাদের নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সভায় ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমী দাস, মহিলা মোর্চার মন্ডল সভানেত্রী কাকলি দেব, মন্ডল সভাপতি রাজ কুমার দেবনাথ,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পক্ষে সম্পা দত্ত, আশা কর্মীদের পক্ষে রূপালী সরকার, স্ব সহায়দলের পক্ষে জ্যোৎস্না ভৌমিক। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন মায়েরা হাঁস মোরগ গরু এবং ছাগল পালন করুন। জনজাতি মায়েরা শুকর পালন, মাছ চাষ করুন। ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং শুরু করুন। এতে একদিকে আপনারা স্বনির্ভর হবেন। অন্যদিকে ত্রিপুরা রাজ্য দুধ এবং মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। আপনাদের এই কাজের জন্য যাবতীয় সহযোগিতা সরকার করবে। অন্যদিকে ব্রজপুর পঞ্চায়েত মাঠে লাভার্থীদের নিয়ে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। দক্ষিণ চড়িলাম ইংলিশ মিডিয়াম উচ্চ বিদ্যালয়ে সকল মোর্চার পদাধিকারীদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা করেন তিনি। সর্বশেষ বৈঠক হয় লালসিংমুড়া হলে। মন্ডল কমিটি, শক্তি ইনচার্জ, বুথ সভাপতি, জনপ্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চড়িলামের দুই ভাই উৎপল নমঃ এবং রাকেশ নমঃ সম্প্রতি গুয়াহাটিতে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারায়। শোকাহত পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি পরিবারটিকে এই বিয়োগ ব্যথা সহ্য করার শক্তি প্রদানের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থণা করেন। অসহায় শোকগ্রস্ত পরিবারকে প্রয়োজনীয় সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২ জুন ।। বিশালগড় বিধানসভার কৃষ্ণ কিশোর নগর, প্রভুরামপুর, ঘনিয়ামারা গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিধায়ক সুশান্ত দেব। একটি মহাশ্মশান এবং রাস্তা নির্মাণের দাবি নিয়ে দশকের পর দশক নেতাদের দুয়ারে কড়া নেড়েছে সেখানকার নাগরিকরা। ভোটের বাজারে বাম নেতারা দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বহুবার। কিন্তু ভোট শেষে বেমালুম ভুলে যেতেন প্রতিশ্রুতির কথা। এবার সেই দাবি পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশালগড়ের জনপ্রিয় বিধায়ক সুশান্ত দেব। দাবি নিয়ে বিধায়কের দরজায় কড়া নাড়তে হয়নি। বরং খোদ বিধায়ক ছুটে গিয়েছেন জনতার দুয়ারে। শুক্রবার দুপুরে বিধায়ক সুশান্ত দেব বিশালগড় মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাসকে সঙ্গে নিয়ে কে কে নগর, প্রভুরামপুর, ঘনিয়ামারা এই তিন গ্রামের নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়। মহাশ্মশান নির্মাণ কাজ অতিশীঘ্রই শুরু হবে। একটি গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান, বামেরা শুধু রাজনীতি করে পঁচিশ বছর শাসন করেছে। মানুষের জন্য কিছু করার সদিচ্ছা ছিল না। এই তিন গ্রামের মানুষ মৃত্যুর পরেও শান্তি পায়নি। শ্মশান না থাকায় অন্তিমক্রিয়া সম্পন্ন করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের। এই সমস্যা চিরদিনের মতো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পরিচালিত প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ৯ বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি যুব মোর্চার উদ্যোগে এক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার দুপুর ১ টায় উদয়পুর ব্রম্মাবাড়ী স্থিত বিজেপির জেলা অফিসে । সাংগঠনিক সভা শুরু হওয়ার আগে প্রত্যেকে ভারত মাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন । এদিনের সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ভিকি প্রসাদ, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা , যুব মোর্চা প্রদেশ সম্পাদক অঙ্কুশ চক্রবতী ও গোমতি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা সহ প্রমূখ । এদিন সংগঠনিক সভায় আলোচনা রাখতে গিয়ে প্রদেশ যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ভিকি প্রসাদ বলেন , মোদি সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী মহা জনসম্পর্ক অভিযান ৩১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে । যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সূচি দেওয়া হয়েছে । লাভার্থিদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা , নতুন ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করা , নব ভোটারদের সম্মান অনুষ্ঠান সংঘটিত করা , বাইক যাত্রা ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মসূচি আগামী একমাস অনুষ্ঠিত হবে । তাকে সামনে রেখে শুক্রবার প্রদেশ যুব মোর্চা দুইটি ভাগে ছয়টি জেলাকে নিয়ে উদয়পুর বিজেপি জেলা অফিসে এবং চারটি জেলা নিয়ে আমবাসাতে এই সাংগঠনিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে । ভিকি প্রসাদ বলেন , গত নয় বছরে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে যে জনকল্যাণমুখী কাজ করা হয়েছে ত্রিপুরা সরকারকে সাথে নিয়ে। সে সকল উন্নয়ন কে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা তা হচ্ছে মূল লক্ষ্য । আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আবারও বিজেপি সরকার গঠিত হবে এই ভারতের মাটিতে । এমনটাই বক্তব্য তুলে ধরেন প্রদেশ যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ভিকি প্রসাদ । এদিনের এই সাংগঠনিক সভায় বিজেপির জেলা অফিসে বড় মাত্রায় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
‘হিংসা ঠেকাতে সক্রিয়তা দেখাননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন’! অভিযোগ ‘ঘরে-বাইরে’
২০০২ সালের গুজরাতের পরে ২০২৩-এর মণিপুর। নরেন্দ্র মোদীর পরে এন বীরেন সিংহ। গোষ্ঠীহিংসা রুখতে ব্যর্থতায় অভিযুক্ত আরও এক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর মতো শুধু একপক্ষ নয়, বীরেনের ‘ভূমিকা’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে কুকি, জ়োর মতো খ্রিস্টান জনজাতি গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি হিন্দু মেইতেইরাও।কুকি-সহ জনজাতি গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ, গত এক মাসের গোষ্ঠীহিংসার সময়ে বীরেনের সরকারের আচরণ পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট। জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড় অঞ্চলগুলিতে নিরাপত্তার বিষয়টি মণিপুর সরকার অবহেলা করেছে বলে অভিযোগ তুলে ওই অঞ্চলে ‘পৃথক প্রশাসনের’ দাবি তুলেছে তারা। অন্য দিকে, রাজধানী ইম্ফল-সহ সমতল এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানো কুকি জঙ্গিদের মোকাবিলায় সময়োচিত পদক্ষেপ করা হয়নি।এই পরিস্থিতিতে বীরেনকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হতে পারে বলে ধীরে ধীরে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মণিপুর সফরের সময়েও বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক রঘুমনি সিংহ-সহ পরিষদীয় দলের অনেক সদস্যই বীরেনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন দলের অন্দরে।