প্রতিনিধি মোহনপুর:-এক নং সিমনা বিধানসভার বড় কাঠাল এলাকায় তিপ্রামথা দলের ঘরে ভাঙ্গন ধরাল বিজেপি। সোমবার এক যোগদান সভার মধ্য দিয়ে ২৭৯ জনভোট ভোটার তিপ্রা মথা ও সিপিআই(এম) দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন।
সিমনা বিধানসভা এলাকাতে প্রতিনিয়ত যোগদান সভা সংগঠিত করছে বিজেপি।সোমবার টিটিএএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মার খাস তালুক হিসেবে পরিচিত রুবরি তুইসা এডিসি ভিলেজ এলাকায় তিপ্রা মথা ও সিপিআইএম ভোট ব্যাংকে থাবা বসাল বিজেপি। এই দিন এলাকায় এক প্রকাশ্য যোগদান সভার মধ্য দিয়ে ৮৭ পরিবারের ২৭৯ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। এই যোগদান সভাকে কেন্দ্র করে আলোচনা করতে গিয়ে দলীয় নেতৃত্বরা টিটিএএডিসির কাজ কর্মকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা করেন। অভিযোগ তোলা হয় এডিসি এলাকাতে তিপ্রা মথা ক্ষমতা দখল করার পর উন্নয়নমূলক কাজ একেবারেই হয়নি। অন্যদিকে রাজ্য সরকার একের পর এক যে সমস্ত উন্নয়নমুখী সিদ্ধান্ত এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তাকে ঘিরেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ দলীয় নেতৃত্ব। এদিনের এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন সিমনা বিধানসভার মন্ডল সভাপতি যোগেন্দ্র দেববর্মা, যুব মোর্চার নেতা বিনোদ দেববর্মা, এসটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মঙ্গল দেববর্মা এবং অন্যান্যরা।
রাজনীতি
তেলিয়ামুড়া মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই মথার মোহ ভাঙছে জনজাতিদের মধ্যে
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া
তেলিয়ামুড়া মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জনজাতিদের মধ্যে তিপ্রা মথা দলের প্রতি মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে মথা ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি দলে যোগদান অব্যাহত রয়েছে। আজ বিকালে ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হদ্রাই এলাকায় হদ্রাই কমিউনিটি হলে এক যোগদান সভা হয়। এই যোগদান সভাতে ৪২ পরিবারের ১০৯ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করে। নবাগতদের দলে পদ্ম ছাপ গেরুয়া পতাকা দিয়ে বরন করে নেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায়। তাছাড়া এদিনের এই যোগদান সভাতে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়ার পৌর পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিজেপি নেতৃত্ব নিতীন কুমার সাহা, মন্ডল সাধারণ সম্পাদক নন্দন রায় সহ অন্যান্যরা নেতৃত্ব’রা।
আজকের যোগদান সভাতে উপস্থিত থেকে বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় বলেন, সারা ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতিদের মধ্যে এখন একটা আওয়াজ উঠেছে, যারা ভারতীয় জনতা পার্টির দলের বাইরে রয়েছে তারা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করবে। জনজাতি’রা বুঝতে পারছে গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড কখনোই ত্রিপুরা রাজ্যের সম্ভব নয়। তাছাড়া তিপ্রা মথা’র সুপ্রিমো এখন নিজেও গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ডের কথা বলেন না। এখন উনার মুখে শোনা যায়, সংবিধানিকভাবে জনজাতিদের উন্নয়ন। আর তা কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার কখনোই অস্বীকার করেন না।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শহর-সরল জনজাতি ভাই-বোনদের মথা নেতৃত্বরা ভুল বুঝিয়ে আজ ওরা বিধায়ক হয়েছে। গাড়ি বাড়ি হয়েছে। এখন ওরা জনজাতিদের কথা বেমালুম ভুলে গেছে। এখন ওরা আর আপনাদের এলাকাতে দেখা যায় না। আজকের যোগদান সভাতে হ্দ্রাই ও তার আশপাশ এলাকা থেকে প্রচুর জনজাতি মোর্চার সমর্থকরা উপস্থিত হয়। জনজাতিদের উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি উপস্থিত বিজেপি মন্ডল নেতৃত্বরা। নন্দন রায়, নীতিন সাহারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই মথা দলে আরো বড় ধরনের ভাঙ্গন ধরানোর ইঙ্গিত দেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
কুমার ঘাটে জগন্নাথ দেবের উল্টোরথে হাইভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল আট জন জগন্নাথ ভক্তের । যার রীতিমতো গোটা ভারতবর্ষে এক শীর্ষক সংবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এই বিদ্যুৎ পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু পুণ্যার্থী । ঐদিন রাতেই আগরতলা থেকে ট্রেনে চেপে কুমারঘাটে রওনা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । পরবর্তী সময় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের অন্যান্য বিধায়ক এবং মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্যরা আহতদের দেখতে কখনো কুমারঘাটে আবার কখনো জিবি হাসপাতালে ছুটে যান । শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা রাজ্যবাসী । এই ঘটনায় শাসকদল বিজেপি ৩১ রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মন্ডলের উদ্যোগে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোমবাতি জ্বালিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন বিজেপি মন্ডলের কর্মীরা । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদয়পুর জগন্নাথ চৌহমুনীতে হয় এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান । শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় ।
রাইমাভ্যালীর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মাঠে নামল ব্লক কংগ্রেস। বুধবার রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে পাঁচ দফা দাবির সমর্থনে গন্ডাছড়া বাজারে এক বাজার সভার আয়োজন করা হয়। মূলত দাবি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার বেহাল রাস্তাগুলি অতি দ্রুত মেরামত করা, এসপিও কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা, ডুম্বুর জলাশয় তিন মাস বন্ধ থাকাকালীন সময় মৎস্যজীবীদের মাসিক ৫০০০ টাকা এবং এক কুইন্টাল করে চালের ব্যবস্থা করা, গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে স্পেশালিস্ট, সুপার স্পেশালিস্ট এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগের ব্যবস্থা করা সহ মহকুমা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জিত ত্রিপুরা, ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার, ব্লক সেবা দলের সভাপতি যতীন্দ্র ত্রিপুরা, ব্লক কংগ্রেসের সহ-সভাপতি কিশোর চাকমা, ধলাই জেলা কমিটির যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাজীব চাকমা প্রমুখ।
সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার বলেন বিজেপির শাসনে রাজ্যের মানুষ অতিষ্ঠ। এখনো সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাট ,পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এর দাবিতে লড়াই আন্দোলন করতে হয়। এমনকি নিত্যদিন রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করতে হচ্ছে। যুব কংগ্রেস সভাপতি আরো বলেন কেন্দ্রে ৬০ বছর কংগ্রেসের শাসনে যে উন্নয়ন হয়েছে বিজেপি ৫০০ বছর শাসন করলেও তাহা করতে পারবে না। দেশের মানুষ কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখেছে। তাইতো ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা একজোট হচ্ছে। তিনি বলেন বর্তমান সরকারের শাসনে গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার রাস্তাঘাট গুলি ভেঙ্গে চুরমার। অথচ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। তার মতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তিনি বলেন গন্ডাছড়া- আমবাসা রাস্তা সহ ভগীরথ, কল্যাণ সিং, দলপতি, রতননগর, কসরাই পাড়া, রাবণ পাড়া, হনুমান পাড়া, বিশ্বরাম পাড়া, ইন্দ্র জয় পাড়া, বোয়ালখালী, সদাইনন্দ পাড়া প্রভৃতি রাস্তা বর্তমানে মারাত্মক অবস্থা। বিশেষ করে বর্ষার সময় এইসব রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের অসুবিধা হয়। এর মধ্যে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে সদাইনন্দ পাড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এরপরেও রাস্তা সংস্কারের পূর্তকর্তাবাবুদের কোন হেলদুল নেই। যুব কংগ্রেস সভাপতি এদিন তার ভাষনে পূর্তকর্তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন চোরের ১০ দিন আর গৃহস্থের একদিন। তিনি বলেন যেদিন তাদের কেলেঙ্কারি হাতেনাতে ধরা পারবে সেই দিন আর তাদের বাঁচার সুযোগ থাকবে না। তিনি বলেন আগরতলা, উদয়পুর, অমরপুর, খোয়াই, আমবাসা প্রভৃতি এলাকা থেকে ঠিকাদাররা মহকুমায় কাজ করতে এসে কোটি কোটি টাকার ঘোটালা করছে। এমত অবস্থায় তিনি পূর্ত দপ্তরের প্রতিটি কাজের সঠিক তদন্তের দাবি জানান। এদিনের কংগ্রেসের বাজার সভাকে ঘিরে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
মণিপুরের মতোই চলছে জোরজুলুম’, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে অরুণাচলের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বেশ কিছু দিন ধরেই অরুণাচল প্রদেশের বিজেপির সরকারের কার্যকলাপের সমালোচনা করছিলেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে পদ্ম-শিবিরের আগ্রাসী রাজনীতির। এ বার মণিপুরে হিংসার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসে যোগ দিলেন অরুণাচলের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমার ওয়াই।
বুধবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালের উপস্থিতিতে বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন কুমার। মণিপুর পরিস্থিতির সঙ্গে অরুণাচলের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর অপপ্রয়োগ চলছে। বিজেপি সরকার জনতার টাকা লুট করছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে।’’এরই মধ্যে বুধবার থেকে ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে কংগ্রেস। দিল্লিতে রাহুল গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বঘেল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মোহন মকরাম, প্রবীণ মন্ত্রী টিএস সিংহদেও-সহ সে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দিল্লিতে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
আগামী বছর ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে ভারতবর্ষে সাধারণ নির্বাচন । নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই শাসক দল বিজেপি গোটা দেশের সাথে রাজ্যে ও প্রচারের নেমে পড়েছে । একপ্রকার বিরোধীদের কে পেছনে ফেলে রাজ্যে এগিয়ে রয়েছে শাসক বিজেপি । বুধবার মাতারবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত কালাবন বাজারে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন , মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা । এদিনের যোগদান সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি আগের তুলনায় অনেকটাই উন্নত হয়েছে। আগামী দিনেও ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের কাজ চলবে গোটা বিধানসভা জুড়ে । তিনি বলেন , মুখ্যমন্ত্রী মাত্রু পুষ্টি উপহার প্রকল্পে গর্ভবতী মহিলাদের চারবার পুষ্টি জনক খাদ্যের কীট দেওয়া হচ্ছে । একজন গর্ভবতী মহিলা ৫০০ টাকা মূল্যের পুষ্টিকর খাদ্য পাওয়ার অধিকারী । এখনো পর্যন্ত ৪৭৭৫ জন গর্ভবতী মহিলা উপকৃত হয়েছে । এছাড়া গত চার বছরে গ্রামীণ এলাকায় ৩,৫৯,১৫৮ এবং শহর এলাকায় ১০,৪৭৪ টি ট্যাপের মাধ্যমিক জল সংযোগ দেওয়া হয়েছে । এছাড়া টুয়েপ প্রকল্পে দৈনিক মজুরীর হার বাড়ানো হয়েছে । প্রথমবার ১৫৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৭ টাকা করা হয়েছে তারপর করা হয়েছে ১৮৫ টাকা । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শহর বাস্তবায়নে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম এবং দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে । সেজন্য ভারত সরকার ত্রিপুরাকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ পুরস্কৃত করেছে । এদিন বিধায়ক আরো বলেন , গত নয় বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকার গোটা ভারতবর্ষে উন্নয়ন করেছে তার সুফল গুলি মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে বর্তমান সময়ে । তিনি বলেন জনজাতি গৌরব দিবসে জনজাতি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহালয় স্থাপন এবং দশটি জনজাতি মিউজিয়াম তৈরি সম্পন্ন হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার অধীনে ৩৪.৪ লক্ষ হকারদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে ২৭.৬ কোটি মহিলা সুবিধাভোগী ঋণ পেয়েছে বলে জানান বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । এই উন্নয়নের গতি দেখে রাজ্যে ও বিভিন্ন বিরোধী দল ত্যাগ করে প্রতিদিন যোগদান করছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে । এদিন ১৪ পরিবারের ৪৩ জন ভোটার তিপ্রা মথা ও সিপিআইএম দল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে ।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া,২৭জুন.২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশেই ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা মাঠে নেমে পড়েছে। আজ মধ্যপ্রদেশে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি সারা ভারতবর্ষের থেকে নির্বাচিত কার্যকর্তাদের নিয়ে,মেরা বুধ সবচেয়ে মজবুত – এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে বক্তব্য রাখেন. সারা ভারতবর্ষের বিজেপি কার্যকর্তাদের সাথে সাথে আজ তেলিয়ামুড়াতেও ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা মোদিজীর বক্তব্য শোনেন। তেলিয়ামুড়া নেতাজি নগর স্থিত অশ্বিনী ঘোষ স্মৃতি কমিউনিটি হলে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী রায় মন্ডল এবং বুথের কার্যকর্তাদের সাথে নিয়ে মেরা বুথ সবচেয়ে মজবুত কর্মসূচিতে মোদিজীর বক্তব্য শোনেন.
এদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জির গত ৯ বছরের কার্যকালের সময়ে দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে, সেই দিকগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরার জন্য সারা রাজ্যের সাথে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ও চলছে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ কর্মসূচি. রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধানিকা কল্যাণী রায় মন্ডলের নেতৃত্ব বিভিন্ন বুথ শক্তি কেন্দ্রের কার্যকর্তাদের নিয়ে গত কয়দিন ধরেই বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক গড়ে তুলছেন। এব্যাপারে মুখ্য সচেতক তথা এলাকার বিধায়িকা কল্যাণী রায় বলেন, গত নয় বছরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ভারত বর্ষকে অর্থনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক, বৈদেশিক নীতি সব ক্ষেত্রেই বিশ্বে উদাহরণ তৈরি করেছেন. এক কথায় বলা যায় গত নয় বছর বেমিসাল। ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের সাথে নিয়ে বুথে বুথে জন সম্পর্কের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য আরো কি কি করা যায় তা আমরা জেনে নিচ্ছি. আগামী দিনে যে সমস্ত কাজ এখনো করে হয়ে ওঠেনি সেগুলি আমরা করার আপনার চেষ্টা করব.
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সময়কাল নয় বছর পূর্ণ হওয়ার কারণে গোটা ভারতবর্ষের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি ত্রিপুরায় একমাস ব্যাপী চলছে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি । তারই অঙ্গ হিসাবে সম্পর্ক থেকে সমর্থন কর্মসূচির মাধ্যমে আরকেপুর মন্ডলের অন্তর্গত জামজুরি পঞ্চায়েতে গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে জন সম্পর্ক অভিযানে নামেন ৩১ রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। জনসম্পর্ক অভিযানে এদিন যুবক থেকে বৃদ্ধ সকলের সাথে মতবিনিময় করেন অর্থমন্ত্রী । পরে জন সম্পর্ক অভিযানে বের হয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন , উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে এক ঐতিহাসিক উন্নয়ন হয়েছে বর্তমান নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে । তিনি বলেন উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে জঙ্গি ঘটনা ৭৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে । আসামের দীর্ঘতম বগিবিল সেতু নির্মাণ এবং সুবন সিরি লোয়ারে ২০০০ মেগা ওয়ার্ড জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করা হয়েছে । সেই সাথে আসাম শান্তি চুক্তি এবং বোড়ো, নাগা ,কারভি, শান্তি চুক্তি উত্তর- পূর্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে । জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের গতি প্রতিদিন ১২ কিমি থেকে ২০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন ৩৭ কিমি হয়েছে । একই সাথে বিশ্বমানের বন্দেভারত ট্রেন চালু হয়েছে, আগামী দিনে মোট ৪০০ টি তৈরি হবে । এছাড়া মন্ত্রী আরো বলেন, আরকে পুর বিধানসভা কেন্দ্রে এক অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র কেন্দ্রে মোদি সরকার থাকার কারণে । তিনি বলেন উদয়পুর জগন্নাথ দিঘীকে পর্যটন ক্ষেত্র উন্নয়ন এবং মাতাবাড়ীকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে স্থান দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। মহাদেব দীঘির উন্নয়নের জন্য ১১ কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । এই মহকুমাতে রোপওয়ে তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় মঞ্জুরি পাওয়া গিয়েছে । পৌর এলাকাসহ এই বিধানসভার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছয়টি যাত্রী শেড নির্মাণসহ বহু সিসি রোড ড্রেনই ও দশটি পানীয় জলের ট্যাংক ও পাঁচটি পাকা ঘাট তৈরি করার জন্য এক কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে । তাছাড়া রাজারবাগ বাস স্ট্যান্ডকে উন্নত বাস পোর্টে উন্নীত করার ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে । এছাড়া কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অতি শীঘ্র গোমতী নদীতে জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা করে গোমতি ব্রিজের কাছে একটি জাহাজ ঘাটি তৈরি করা হবে এতে জল পথে উদয়পুরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগের সুবিধা হবে ইতিমধ্যে উদয়পুরের সাথে দক্ষিণ ত্রিপুরাসহ ভারতের বহু স্থানে রেলপথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা চালু হয়েছে । এছাড়া অর্থমন্ত্রী বলেন , ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী উদয়পুরের বনদুয়ারে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে এবং অতি শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে । তিনি আরো বলেন, জামজুরি গ্রাম পঞ্চায়েত কে আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এ জামজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দশটি সিসি রোড ২৮ টি ইট সলিং রাস্তা এবং ১৩৩৬ টি নতুন জলের কানেকশন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ২৩৩ টি উজ্জ্বলা গ্যাস এবং ২৬২টি পরিবারকে পিএম কিষান দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সবথেকে বড় উল্লেখযোগ্য হলো স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের সহ স্বরোজগারী করার জন্য একটি বাজার শেড তৈরি করা হয়েছে এলাকায় । এদিনের জনসম্পর্ক অভিযানে দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ,।। বিজেপির সম্পর্ক সে সমর্থন কার্যক্রম চলছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি মানুষের সমর্থন নিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠা করার যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। মন্ত্রী বিধায়ক নেতা কার্যকর্তা সবাই নতুন করে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে সরকারের নয় বছরের সেবা সুশাসন গরিব কল্যাণে গৃহীত প্রকল্প গুলো তুলে ধরছেন। এতে সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন বাড়ছে। সেই সঙ্গে সারা রাজ্য কার্যত দলবদলের হিড়িক লেগেছে। সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগর বিধানসভায় সিপিএমে ধ্বস নেমেছে। বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬নং বুথে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বক্সনগর মন্ডল সহ সভাপতি শ্যামল কান্তি দাস,বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজিত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন ও জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ কুমার সিংহ,মন্ডল প্রভারী ময়নাল হোসেন, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি জিমুল হক, বুথ সভাপতি সুবাস চন্দ্র দেব প্রমুখ। সভায় সিপিএম সমর্থিত ১১ পরিবারের ৪৭ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দলীয় পতাকা দিয়ে নবাগতদের বরণ করে নেন। দল ত্যাগীদের মধ্যে সি পি আই এম এর দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মীরা হলেন প্রাক্তন সিপিআইএম অঞ্চল সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তপন বিকাশ পাল,নারী সমিতির প্রাক্তন অঞ্চল সম্পাদিকা বন্দনা দাস সরকার।এছাড়া দুই জন ব্রাঞ্চ সম্পাদক রয়েছে। দলত্যাগী সিপিএম নেতা তপন বিকাশ পাল জানান আমার বাবার খুনীদের সঙ্গে জোট করেছে সিপিএম। এই দলটি ক্ষমতা হারিয়ে আদর্শ বিসর্জন দিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত সিপিএম কর্মীরা। অথচ লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য একমঞ্চে উঠছে সিপিএম তৃণমূল। ত্রিপুরার ইতিহাস সবাই জানে। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুধু ক্ষমতার লোভে নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়েছে সিপিএম।
জনসংযোগ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মোহনপুরে নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করলেন মন্ত্রি রতন লাল নাথ। রবিবার দুই নং মোহনপুর বিধানসভা এলাকার ঐরান চৌমুনী টিলাবাড়ী এবং বিভিন্ন এলাকায় মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে কথা বললেন মন্ত্রী। এছাড়াও বিজেপি মোহনপুর মন্ডল কমিটির উদ্যোগে মোহনপুরে অনুষ্ঠিত হয় বুদ্ধিজীবী সম্মেলন।
নরেন্দ্র মোদি নেতৃতাদিন কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে যে জনসংযোগ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে রবিবার তারই অঙ্গ হিসেবে মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী যত লাল নাথ নিজ এলাকার ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়ে অবগত হলেন তিনি। মানুষের সাথে কথা বলে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সেগুলো সম্পর্কে মানুষকে অবগত করেন। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মোহনরপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারম্যান শংকরদেব, যুব মোর্চা মোহনপুর মন্ডল সভাপতি চন্দ্র কুমার শীল দাস এবং অন্যান্যরা।
অন্যদিকে এদিন বিকালে মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির কনফারেন্স হলে এলাকার বিশিষ্টজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বুদ্ধিজীবী সম্মেলন। মোহনপুর বিধানসভা এলাকার বৈষ্ণব, তাদের ভক্তরা, শিক্ষক, আইনজীবী, সাহিত্যিক সমেত অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনে এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় আখরা থেকে আগত বৈষ্ণবরা সংগীত পরিবেশন করেন। এদিনের এই বুদ্ধিজীবী সম্মেলন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন আমরা নিজেদের সংস্কৃতি,কৃষ্টি, ধর্ম বিসর্জন দিলে চলবেনা। নিজেদের সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিয়ে নেশার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে সমাজকে রক্ষা করতে আহ্বান করেন মন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুরে মন্ডল সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ, বিশিষ্ট আইনজীবী অরবিন্দু দেব, যুবনেতা জয় লাল দাস এবং অন্যান্যরা।