প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া 5 নভেম্বর:- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে শুক্রবার রাতে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন গঙ্গানগর বাটা পাড়ায় সিপিএম এবং তিপ্রা মথা দল ত্যাগ করে ৩৫ পরিবারের ৯৩ ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা সহ স্থানীয় নেতৃত্ব মন্ত রায় রিয়াং, রমেঞ্জয় রিয়াং, মতেন্দ্র রিয়াং প্রমুখরা। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। সেখানে মন্ডল সভাপতি কেন্দ্র এবং রাজ্য বিজেপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন দীর্ঘ বাম জামানায় বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতিরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা সবদিক থেকে পিছিয়ে ছিল। ২০১৮ সালে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় প্রথম বারের মতো বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিশেষ করে জনজাতি’দের আত্ম’সামাজিক মান উন্নয়নে একের পর এক কাজ শুরু করে। মাত্র ছয় বছরে বর্তমান সরকারের শাসনে জনজাতি এলাকা গুলিতে পানীয় জল,বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভালো রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হয়। এমনকি জনজাতিরা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পেরও সুবিধা পাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ জনজাতিরা এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বিজেপি সরকারের একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজে জনজাতিরা দারুন খুশি। তাইতো প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী দল ত্যাগ করে প্রচুর সংখ্যক ভোটার বিজেপি দলে সামিল হচ্ছেন। মন্ডল সভাপতি জানান যে গতিতে বিরোধী দলের ভাঙ্গন চলছে তাতে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে রাইমাভ্যালীতে বিরোধী শূন্য এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
প্রথমবারের বিধায়ক হয়ে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে সারা ফেলে দিয়েছে বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। একদিকে যেমন জেলা সভাপতি হিসেবে দলের সমস্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে গোটা গোমতী জেলা জুড়ে । আর অন্যদিকে বিধায়ক হিসেবে এলাকার উন্নয়নে চলছে প্রতিদিন নানা কাজকর্ম । ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২৫ বছরের বাম শাসনকে হারিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে । গত পাঁচ বছর কাটিয়ে পুনরায় ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে আবার দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে বিজেপি। টানা দ্বিতীয়বারের সরকারে এবার মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী অভিষেক দেবরায় জয়লাভ করে একের পর এক বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ পেতে পারে তার জন্য সরাসরি প্রতি সপ্তাহে জনগণের দুয়ারে চলে যাচ্ছে অভিষেক। দলীয় প্রচারে এগিয়ে রয়েছে সামাজিক মাধ্যমে মাতারবাড়ি বিধানসভা। আর এবার সমতল ছাড়িয়ে পাহাড়ে দলের ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত চষে বেড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লাভ স্টোরি তৌহর চুং পাড়ার নিবাসী তথা ভারতের জনতা পার্টির কর্মী রাজভক্ত জমাতিয়ার বাড়িতে বাবা গরিয়ার এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বিধায়ক । পরবর্তী সময় এলাকার বিভিন্ন বাড়ির মধ্যে ছোট্ট করে দলীয় প্রচার ও সেরে নেন তিনি । দলীয় বছরের ফাঁকে উপজাতি ভোটারদের সাথে সেলফিতে ফ্রেমবন্দি করে বিধায়ক নিজেকে। এই ধরনের বিগত দিনে কখনো কোন বিধায়ককে উপজাতি ভোটারদের সাথে মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে মিশে যেতে কখনো দেখিনি মাতার বাড়ি এলাকার ভোটাররা। যা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এক নজির সৃষ্টি করেছে গোটা মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব শেষ হতে না হতেই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়লেন শাসকদল বিজেপি। আগামী বছর গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । একই সাথে রাজ্যে দুইটি আসনে লড়াই করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই নিজেদের সাংগঠনিক কাজকর্ম গুছিয়ে নিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে গোমতী জেলা হিসেবে নেতৃত্ব । মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুরে বিজেপির জেলা অফিসে এক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই দিন গোমতী জেলা বিজেপির পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি , এই জেলার মোর্চার বিভিন্ন সভাপতি গন ও সাধারণ সম্পাদক , জানার অন্তর্গত সকল মন্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণদের নিয়ে এই বৈঠক করেন গোমতী জেলা বিজেপি সভাপতি অভিষেক দেবরায়। এছাড়া বৈঠকে ছিলেন , অমরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রঞ্জিত দাস , বিজেপি প্রদেশ সম্পাদক রতন ঘোষ সহ প্রমুখ । সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপির জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায় দলীয় নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , আগামী লোকসভা কে কেন্দ্র করে এখন থেকেই প্রতিটি মন্ডল ভিত্তিক সংগঠনকে সাজিয়ে তুলতে হবে । সেই সাথে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান প্রতিটি অঞ্চলভিত্তিক সাধারণ ভোটারদের কাছে নিয়ে যেতে হবে । পাশাপাশি সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে দলীয় কর্মসূচি বাড়িয়ে তুলতে হবে এই গোমতী জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে । সেই সাথে বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রী সকলেই যেন সংগঠনের কাজের উপর জোর দেয় সেই সাথে ছোট ছোট আকারে সভা ও মিছিল শুরু করতে হবে। একই সাথে নতুন ভোটারদের নাম সঠিকভাবে ভোটার লিস্টে উঠেছে কিনা সেইসব বিষয়গুলি নজর রাখতে হবে । গোমতী জেলার বিজেপির এই সাংগঠনিক বৈঠকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতৃত্বদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা বাস্তবায়িত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। রাজস্থানে ১৭, মধ্যপ্রদেশে চার এবং ছত্তীসগঢ়ে তিনটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে তারা। তেলঙ্গানায় আসন সমঝোতার বিষয়ে এখনও চেষ্টা চলছে।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে কংগ্রেস শক্তিশালী। সেখানে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক কোনও অ-বিজেপি দলকেই তারা যে আসন ছাড়তে চাইছে না, সেই সমস্যার কথা উঠে এসেছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনের সদ্যসমাপ্ত বৈঠকে। কংগ্রেস ‘নমনীয়’ মনোভাব না দেখালে সিপিএমকে একাই লড়তে হবে বলেও ঠিক হয়েছিল বৈঠকে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পরের দিন, সোমবার দিল্লিতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘আমরা ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তার পরে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তেলঙ্গানায় আসন সমঝোতা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।’’ রাজস্থানে গত বিধানসভা নির্বাচনে ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। ইয়েচুরির দাবি, বামেদের অবস্থান আখেরে কংগ্রেসকে সরকার গঠনে সাহায্য করেছিল। সিপিএমের এখন দুই বিধায়কও আছেন
রাজস্থানে। সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা না হলেও ওই রাজ্যগুলির বিধানসভায় বামেদের লড়াইয়ের অভিমুখ থাকবে বিজেপির বিরুদ্ধেই।
রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলের উৎস জানার অধিকার নেই আমজনতার! সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি কেন্দ্রের
দেশের রাজনৈতিক দলগুলি কোন পথে তহবিল সংগ্রহ করছে তা জানার অধিকার সাধারণ মানুষের নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করলেন কেন্দ্রের আইনজীবী তথা অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘সংবিধানের তিন নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিষয়টি ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।’’
শীর্ষ আদালতে নির্বাচনী বন্ডের পক্ষে সওয়াল করে জমা দেওয়া লিখিত জবাবে কেন্দ্রের আইনজীবীর দাবি, নির্বাচনীয় বন্ডে রাডজনৈতিক দলগুলির তহবিলে ‘অনামা দাতা’ সম্পর্কে গোপনীয়তা রয়েছে তা যুক্তিসঙ্গত। সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারা অনুযায়ী এক জন নাগরিকের রাজনৈতিক দলগুলির আয় সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে। অন্য দিকে, নির্বাচনী বন্ড ১৯(২) ধারার অধীন। তিনি বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে ‘যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ’ বলবতের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে।’’ এমনকি, প্রয়োজনে মৌলিক অধিকারের উপরেও তেমন বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা যেচে পারে বলে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
গাধার পিঠে চেপে বিধানসভা ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলেন মধ্যপ্রদেশের দুই প্রার্থী। দু’জনেই নির্দলের প্রতীকে ভোটে লড়বেন। শনিবার তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেখা যায় একটি গাধার পিঠে চেপে।
মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী প্রিয়ঙ্ক ঠাকুর। শনিবার তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন। গাধার পিঠে তাঁকে আসতে দেখে আশপাশের মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়। কেন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরিবহণ হিসাবে এমন একটি পশুকে বেছে নিলেন? প্রশ্নের জবাবও তৈরি ছিল প্রিয়ঙ্কের কাছে।তিনি জানান, এই গাধা প্রতীকী। এর মাধ্যমে বিশেষ বার্তা তিনি দিতে চেয়েছেন। প্রিয়ঙ্কের কথায়, ‘‘সমস্ত রাজনৈতিক দলই স্বজনপোষণের শিকার। সাধারণ মানুষকে তারা গাধা (বোকা) বানাচ্ছে। সেই কারণেই আমি গাধায় চেপে মনোনয়ন জমা দিতে এলাম।’’
বঙ্গ সিপিএমের সাংগঠনিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, নিচু তলায় শুদ্ধিকরণ অভিযান সফল: দিল্লিকে আলিমুদ্দিন
বাংলায় সিপিএমের সাংগঠনিক অবস্থা আগের থেকে ভাল হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ব্লকের, বিবিধ ঘটনার উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের নেতারা। গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সিপিএমের এক দিনের পলিটব্যুরোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনের বৈঠক। সিপিএম সূত্রে খবর, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছেন, সাংগঠনিক যে দৈন্যদশা ছিল, তা বেশ কিছু জায়গায় কাটানো গিয়েছে। আবার এ-ও ঠিক, বেশ কিছু জায়গায় তা অব্যাহত রয়েছে। যেখানে স্বাভাবিক সাংগঠনিক কাজ করা যাচ্ছে না সেখানে দু’টি কারণের কথা বলেছেন সিপিএম নেতারা। এক, সেই অংশের কর্মীদের মানসিকতা। দুই, পরিবেশ পরিস্থিতি।
সিপিএমের এই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয়, গোটা দেশের সংগঠন এবং পার্টির অভ্যন্তরে শুদ্ধিকরণ অভিযান। বছর আটেক আগে সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পার্টিকে গড়ে তোলা হবে গণ-লাইন সম্পন্ন বিপ্লবী পার্টি হিসেবে। সেই সময়েই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, একেবারে নিচু তলায় কী হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়মিত ‘চেক আপ’ করবে। সেই শুদ্ধিকরণ অভিযানেও বাংলার নেতারা আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির কথা শুনিয়েছেন বলে খবর।
দলীয় সংগঠনকে পদ্মশিবিরের মতো সাজাতে চান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছেন তিনি। তাই দলীয় সংগঠনকে পদ্মশিবিরের মতো সাজাতে চান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। দলের মরচে ধরা সংগঠনকে তৈলাক্ত করে নতুন সভাপতি কতখানি দৌড় করাতে পারবেন, তা নিয়ে অবশ্য কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে।
হায়দরাবাদে গত কাল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরে আজ বসেছিল বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটি। সেখানে সব রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় দলনেতারা যোগ দেন। বৈঠকের শেষে খড়্গের কড়া নির্দেশ, কংগ্রেস নেতাদের নিজের নিজের এলাকায় ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে হবে। সাংগঠনিক সম্পাদককে এ নিয়ে বৈঠক ডাকারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপি সভাপতি হওয়ার পরে গোটা দেশে বিজেপির সংগঠনে ‘পন্না প্রমুখ’ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। তাতে ভোটার তালিকার এক একটি পৃষ্ঠায় থাকা ভোটাদাতাদের দায়িত্ব এক এক জন বিজেপি নেতার উপরে থাকত। কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করছেন, তাঁদেরও একই ভাবে ভোটার তালিকা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। অনেক বিজেপি শাসিত রাজ্য, এমনকি কেরলেও দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস সমর্থকদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ চলে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-বামুটিয়া বিধানসভার জয়রাম মুদিপাড়া এলাকায় তিপ্রা মথার ঘরে হাত দিল বিজেপি। এক যোগদান সভাতে ৮০ জন ভোটার সিপিআইএম এবং মথা ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন।
গ্রেটারি পোল্যান্ড আর থানচার চটপটা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর তা ধীরে ধীরে ভঙ্গ হতে শুরু হয়েছে জনজাতি এলাকাতে। মানুষ মথার বিভ্রান্তিকর পথ ছেড়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে আসার উদ্যোগ নিচ্ছেন। শুক্রবার লেফুঙ্গা ব্লক এলাকার অন্তর্গত জয়রাম মুদিপাড়ায় জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান সভাতে তিপ্রা মথা এবং সিপিআইএম দল ছেড়ে ভোটাররা যোগ দিলেন বিজেপিতে। নবাগতদের বক্তব্য এলাকার, পরিবারের এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে উনারা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন। এছাড়াও বিগত দিনে তিপ্রা মাথা এবং সিপিআইএম ভুল বুঝিয়ে উনাদের দলে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন নবাগতরা। এদিনের যোগদান সভাতে জনজাতি মোর্চার পশ্চিম জেলা সভাপতি রঞ্জিত দেববর্মা নবাগতদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে উন্নয়ন মুখি কাজ করে যাচ্ছে তার প্রশংসা করেন। অন্যদিকে প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধন দাস দাবি করেন জনজাতি এলাকার আক্ষরিক অর্থে এবং স্থায়ী উন্নয়ন করতে হলে একমাত্র বিজেপির উপর আস্থা রাখতে হবে। কারণ বিজেপি দল রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পাহাড় থেকে সমতল এক যুগে উন্নয়নমূলক কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এদিন নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বরণ করে নিলেন বিজেপি দলের নেতৃত্বরা।
জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন দুই সেনা এবং এক পুলিশকর্তা। আর একই দিনে জি২০ সম্মেলনের সাফল্য উদ্যাপনে মহা ধুমধামে পুষ্পবৃষ্টি করে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে স্বাগত জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই বৈপরীত্যকে সামনে রেখেই আজ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-এর মতো বিরোধী দলগুলি।
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সময় থেকে মোদী প্রশাসন দাবি করে আসছে যে, কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরার কথায়, “এই সরকার শুধুমাত্র প্রচার অনুষ্ঠান আর খবরের শিরোনাম তৈরি করায় বেশি উৎসাহী। শান্তি তো কোনও প্রচার অনুষ্ঠানে ফেরানো যায় না, তার কোনও শিরোনামও হয় না। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপূরক হতে পারে না। এটা ঘটনা যে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি আদৌ স্বাভাবিক নয়।”