রাজস্থানে নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ভোটকুশলী সুনীল কানুগোলু নিজস্ব সমীক্ষা চালিয়ে বলেছিলেন, সিংহভাগ মন্ত্রী-বিধায়কের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাঁদের সরিয়ে অন্যদের প্রার্থী করতে হবে। অশোক গহলৌত তা মানতে চাননি।মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেস চার বার সমীক্ষা চালিয়েছিল। চারটি সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছিল, কংগ্রেস জিতছে। কিন্তু সুনীল কানুগোলুর সমীক্ষা অন্য কথা বলেছিল। কমল নাথ মানতেই চাননি।একমাত্র তেলঙ্গানায় সুনীল কানুগোলুকে ভোটকুশলী হিসেবে নিয়োগ করে পুরো ক্ষমতা দিয়েছিল কংগ্রেস। একদা প্রশান্ত কিশোর ওরফে ‘পিকে’-র সহকর্মী সুনীল ভোটকুশলী হিসেবে আবার বাজিমাত করলেন। তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের পরে এই প্রথম সেখানে কংগ্রেস ক্ষমতায় এল। কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের পিছনেও সুনীল কানুগোলু প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। কর্নাটকে তিনি কংগ্রেসের প্রচারের রণকৌশল তৈরি করেছিলেন। ভোটের সাফল্যের পরে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁকে নিজের উপদেষ্টা নিয়োগ করে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়েছেন। অথচ রাজস্থানের অশোক গহলৌত, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ, ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল সুনীলের উপদেশ মেনে কাজ করতে চাননি। তাঁরা নিজেদের পরিকল্পনা মেনে প্রচার করেছিলেন। এঁদের মধ্যে দুই নেতা আবার অন্য একটি ভোটকুশলী সংস্থার উপরে ভরসা করেছিলেন। কংগ্রেস হাইকমান্ড আগামী লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরির ভার ভোটকুশলী সুনীল কানুগোলুর হাতে তুলে দিতে চাইছে। সুনীল ২০১৪-য় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে কাজ করেছেন। কিশোর বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার পরে সুনীলই ছিলেন বিজেপির ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস’-এর প্রধান। ২০১৭-য় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পিকে যখন কংগ্রেসের দায়িত্বে, তখন সুনীল বিজেপির ভোটের রণকৌশল তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠন হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন, ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র জয়ের পিছনেও ছিল সুনীলের মস্তিষ্ক।
রাজনীতি
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
২০২৪ সালে দেশের সবথেকে বড় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন । তৃতীয়বার ফের পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য দেশের শাসক দলে বিজেপি এখন থেকেই নিজেদের মধ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে । শনিবার ৩১ রাধা কিশোরপুর মন্ডলের উদ্যোগে মন্ডলের বারোটি শক্তি কেন্দ্রে হয় সাংগঠনিক সভা । খিলপাড়া শক্তি কেন্দ্রের সংগঠনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ৩১ আর কে পুর মণ্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ কুন্তল দাস সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা । এদিনের সংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বলেন , রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে শিক্ষার উন্নতির জন্য এই বিধানসভা এলাকায় সাতটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় এবং সিবিএস ই সিলেবাসের অন্তর্গত চারটি বিদ্যার জ্যোতি বিদ্যালয় গড়ে তুলে মানুষের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। জামজুরি , খিলপাড়া এবং উদয়পুর ইংলিশ মিডিয়াম বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ২২ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ চলছে । এছাড়া স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দলের উর্ধ্বে উঠে চাকুরী প্রদান , কিষান সম্মান নিধি , প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর প্রদান , পাকাসৌচালয় প্রদান , অটল জলধারার কানেকশন , উজ্জালা গ্যাস ও সৌভাগ্য যোজনার সুযোগ প্রদান , ২০০০ টাকা করে ৫০০ জনকে ভাতা প্রদান করা হয় । ৩৪৫ জন বেকার যুবককে অটো পারমিট প্রদান করে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে । এই সকল উন্নয়নের কাজকর্ম যেভাবে এই বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে চলছে সে উন্নয়নের প্রচার সাধারন ভোটারদের কাছে নিয়ে যেতে হবে প্রতিটি এলাকায় । তাই আগামী দিনে এই সকল প্রচার করে আরও বেশি করে ভোটের কাজে লাগাতে হবে বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস । এদিন দলীয় কর্মীদের মধ্যে আওয়াজ ওঠে ২০২৪ সালে মোদি সরকারকে তারা চাইছে ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
বুধবার ধর্মনগরের পদ্মপুর স্থিত জেলা কার্যালয়ে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড়া করিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত লোকসভা আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে এই সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর জেলা সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ, উত্তর জেলা প্রভারি তথা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস সহ জেলা এবং মন্ডলের সমস্ত কার্যকর্তারা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভিতকে আরো শক্তিশালী ও মজবুত করে কিভাবে লোকসভা নির্বাচনের এই আসনটিতে জয়লাভ করা যায় তার নিশ্চিত করতে এই সভায় মূলত আলোচনা করা হয়। এই সভা শুরু হওয়ার পূর্বে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুমিত দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শোক জ্ঞাপন করা হয়। বিজেপি নেতৃত্বরা প্রয়াত সুমিত দের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও পরিবারের সাথে থাকার আশ্বাস দেন। সুমিত দের পরিবারের লোকেরা যাতে সুখে ও শান্তিতে থাকে তার জন্য সর্বপ্রকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়। এই সভায় আগামী দিনে বিজেপির কার্যকর্তারা উত্তর জেলায় কিভাবে তাদের রণকৌশল তৈরি করবে এবং মানুষের পাশে জনসম্পর্ক অভিযানের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি বাস্তবায়ন এর মাধ্যমে মানুষের আস্থা বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আনা যায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কল্যাণপুর:
আগামী লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য শাসক বিজেপি দলের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকারের সাংগঠনিক কর্মসূচি অব্যাহত। এরকমই এক সাড়া জাগানো কর্মসূচি আজ অনুষ্ঠিত হয় কল্যাণপুরের লোটাস কমিউনিটি হলে। সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা বিজেপির খোয়াই জেলা সভাপতি বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে দলের নেতৃত্বরা কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আগামী দিনে সংগঠিত ভাবে জনসমর্থনকে বৃদ্ধি করার পক্ষে ময়দানে নামার জন্য আবেদন রাখেন।
এদিকে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করার সময় সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা দাবি করেন এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছে উন্নয়নের জন্য একমাত্র পথ হচ্ছে বিজেপি। তিনি দাবি করেন নিশ্চিতভাবে আগামী বিগত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট খোয়াই জেলাতে বিজেপি দল ভালো ফল করবে।
আজকের এই সাংগঠনিক সভা ঘিরে উপস্থিত দলীয় কর্মী সমর্থক এবং নেতৃত্বদের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়।
কার দিকে ঝুঁকবেন মরুরাজ্যের মানুষ, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই শনিবার রাজস্থানের ১৯৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ মোটামুটি নির্বিঘ্নেই শেষ হল। দিনের শেষে ভোট পড়ল ৬৮ শতাংশেরও বেশি। কংগ্রেসের আশা, গত তিন দশকের ধারা ভেঙে এ বারে ফের ক্ষমতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। অন্য দিকে বিজেপি আশা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তায় ভর করে তারা ফের দখল নেবে মরুরাজ্যের।
দিনভর ভোটদানের হার এবং জনতার মেজাজ দেখে গহলৌত আশাবাদী, তাঁর নেতৃত্বে রাজস্থানে ফের সরকার গড়বে কংগ্রেস। এ দিন ভোটপর্বের মধ্যেই এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানান তিনি। গহলৌত বলেন, এই সরকারই ফিরবে, আমি নিশ্চিত। কিন্তু কোন যুক্তিতে তিনি এমন দাবি করলেন? তারও জবাব ওই সাক্ষাৎকারে দিয়েছেন কংগ্রেসের যাদুকর-নেতা। এ প্রসঙ্গে কেরালার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘‘৭০ বছর ধরে কেরালায় পাঁচ বছর অন্তর কখনও সিপিএম, কখনও কংগ্রেস সরকার গড়েছে। কিন্তু সিপিএম ভাল কাজ করেছে বলেই সেখানকার মানুষ ২০২১ সালে তাদের দ্বিতীয় বারও ভোট দিয়ে জিতিয়েছে।’’ তাঁর সরকার ভাল কাজ করেছে বলেই মানুষ তাঁদের দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরাবে বলে আত্মবিশ্বাসী গহলৌত এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, গহলৌতের নিজস্ব জনপ্রিয়তার সঙ্গেই যোগ হয়েছে চিকিৎসা বিমা, কম দামে গ্যাস সিলিন্ডার, মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে স্মার্টফোন, জাতগণনার প্রতিশ্রুতির মতো বিষয়, যা দলের জয় নিশ্চিত করবে। যদিও গহলৌত বনাম সচিন পাইলটের দ্বন্দ্ব এবং শেষ বেলার কানহাইয়া লাল খুনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির ঝোড়ো প্রচার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে দলের একাংশের মধ্যে। কংগ্রেসকে ভাবাচ্ছে রাজস্থানের গত তিন দশকের সরকার বদলের ইতিহাসও।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
প্রতিদিন রাজ্য ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধী দলে ভাঙ্গন ধরাতে শুরু করেছে । ছোট ছোট সভার মাধ্যমে শাসক দল বিজেপি প্রতিনিয়ত সমতল থেকে পাহাড় সর্বত্র গ্রামীণ এলাকাগুলিতে দলীয়ভাবে যোগদান করবো শুরু করে দিয়েছে । এবার ৩০ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে সিমনা ৮ নং বুথে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া । এছাড়া ছিলেন মন্ডলের মন্ডল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে স্থানীয় স্তরের বিভিন্ন বিজেপি নেতৃত্বরা । এই যোগদান সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া বলেন , ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নয় বছর সময়কালে সেবা সুশাসন ও গরিব কল্যাণের জন্য কাজ করে গিয়েছে ভারত সরকার । প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ সুনিশ্চিত করা হয়েছে । তাছাড়া ১১.৮ কোটি ঘরে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছেছে এবং ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ পৌঁছেছে । সেই সাথে ৪৮.৩ কোটি জনগণ অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে দরিদ্রদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করা হয়েছে । এছাড়াও বর্তমান রাজ্য সরকার ত্রিপুরায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল , কলেজ , যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার ফলে দিনের পর দিন এই রাজ্য সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । এই উন্নয়নের ফলে তিপ্রা মথা ও সিপিআইএম দল ছেড়ে ছয় পরিবারের ১৫ জন ভোটার আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুলে যোগ দেয় । তাদেরকে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া । ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় স্লোগান দিয়ে দলে তাদেরকে বরণ করে নেওয়া হয় ।
কলনেল চৌমুহনী স্থিত ত্রিপুরা স্টুডেন্টস হেলথ হোমে প্রদেশ কংগ্রেস কর্তৃক আজ এক সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উক্ত বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা সহ অন্যান্য শাখা সংগঠনের একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব ও অনুগামীরা অপস্থিত ছিলেন। আগামী মাসেই রাজ্যে আসছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উনার রাজ্য সফর এবং রাজ ভবন অভিযান কে কেন্দ্র করে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করছে প্রদেশ কংগ্রেস। আজকের এই বৈঠকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এর প্রস্তুতি , ভোটার লিস্ট এর কাজে সকলের সক্রিয় ভূমিকা পালন সংক্রান্ত বিষয়ে ও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই বৈঠকে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা তেলুগু সিনেমার ‘লেডি অমিতাভের’! কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বিজয়শান্তি
তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোটের আগে আবার ভাঙনের ধাক্কা বিজেপিতে। এ বার দল ছাড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজয়শান্তি। তেলঙ্গানা বিজেপির সভাপতি জি কিসান রেড্ডিকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে ‘লেডি অমিতাভ’ হিসাবে পরিচিত জাতীয় পুরস্কারজয়ী নায়িকা এ বার কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন।
রুপোলি পর্দার পাশাপাশি, দক্ষিণী রাজনীতিতে বর্ণময় চরিত্র বিজয়শান্তি। ১৯৯৮ সালে বিজেপি থেকেই তাঁর রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা। প্রায় এক দশক পরে নিজের রাজনৈতিক দল গড়েন তিনি। নাম দেন ‘তাল্লি তেলঙ্গানা’। পরে দলটি মিশে যায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) ‘তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি’ (বর্তমানে ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস)-এর সঙ্গে। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি টিআরএস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন মেডক কেন্দ্র থেকে।আগামী ৩০ নভেম্বর এক দফায় তেলঙ্গানার ১১৯টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মিজোরামের সঙ্গেই। তেলঙ্গানায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস), বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। তবে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস ত্রিমুখী লড়াইয়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাসে একাধিক বিজেপি নেতা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পাঁচ বারের বিজেপি বিধায়ক এ চন্দ্রশেখর, প্রাক্তন সাংসদ কে রাজাগোপাল রেড্ডি, বিধানসভা ভোটে বিজেপির ইস্তাহার কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন সাংসদ জি বিবেকানন্দ বেঙ্কটস্বামী ওরফে বিবেক রয়েছেন সেই তালিকায়।
প্রতিনিধি,বিশালগড়,
১০ নভেম্বর।।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মহিলাদের নিয়ে অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশের সাথে ত্রিপুরার বিভিন্ন মন্ডলের মহিলা মোর্চার সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানায় । নীতিশ কুমার পবিত্র বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মহিলাদের উদ্দেশ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন , তা একজন মহিলার আত্মসন্মানে আঘাত করা ছাড়া আর কিছু নয় ।এরকম বিকৃত মস্তিষ্কের মুখ্যমন্ত্রী দেশ তথা রাজ্যের জন্য খুবই বিপদজনক। আগামী প্রজন্মের জন্য খুবই অশনিসংকেত।তাই অবিলম্বে এরকম মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছে মহিলা মোর্চার সকল সদস্যরা । বিধানসভার মতো পবিত্র স্থানে এরকম কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য খুবই নিন্দনীয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও যেখানে ভারতবর্ষকে ভারত মাতা রূপে পূজা করেন। মহিলাদের সন্মানন জানিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দেশের মহিলাদের নিয়ে এমন নিকৃষ্ট মন্তব্যে বরদাস্ত করা যায় না। শুক্রবার বিশালগড় মন্ডল মহিলা মোর্চার সদস্যরা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের মন্তব্যের বিরুদ্ধে তিব্র ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্লেকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদশর্ন করেন।এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও মন্ডল মহিলা মোর্চার বিভিন্ন পদাধীকারি ও সদস্যারা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ কৈলাসহর বিজেপি জেলা কার্যালয় ভবনে ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। মূলত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই আজ কৈলাসহর বিজেপি মন্ডলের সংখ্যালঘু মোর্চার মণ্ডল কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।উক্ত মণ্ডল কমিটিতে আশরাফুজামান রফিকে সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।অপরদিকে নজরুল ইসলাম গনি এবং আরিফ আলীকে কৈলাসহর মন্ডল সংখ্যালঘু মোর্চার সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।পাশাপাশি রুপ মিয়াকে মন্ডল সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্তি করা হয়। অনুরূপভাবে মইজুল আলী,কুদ্দুস আলী, বাসিদ আলী,মমতা বেগম, কৈলাসহর বিজেপি মন্ডলের সংখ্যালঘু মোর্চার সম্পাদক হিসাবে নিযুক্তি করা হয়। এছাড়াও আব্দুল নুর অফিস সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।আজ মোট ২১ জন নিয়ে বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর বিজেপি মন্ডলের সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতি আশরাফুজ্জামান রফি,জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আক্তারুল হোসেন, কৈলাসহর বিজেপি মন্ডলের সহ-সভাপতি মতাসির আহমেদ,কৈলাসহর বিজেপি মন্ডলের সম্পাদক মনসুর আলী,বি এল এ শ্যামল বার্মা থেকে শুরু করে আরো অনেকে।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ডল সংখ্যালঘু মোর্চার মন্ডল সভাপতি আশরাফুজ্জামান রফি বলেন নবাগতদের স্থান দেওয়া হয়েছে এই কমিটিতে।সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় সকলকে নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত এই দল।তাই আগামী দিনে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে একত্রিত হয়ে মাঠে নামবে সংখ্যালঘু মোর্চা।