লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভার ভোট হবে দেশ জুড়ে। নির্বাচন কমিশনের তরফে সোমবার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলার পাঁচটি আসন-সহ দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ। কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি।সংসদের উচ্চকক্ষের ৫২ সাংসদের মেয়াদ আগামী এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্যই এই নির্বাচন। বাংলায় মেয়াদ শেষ হওয়া পাঁচ সাংসদের মধ্যে চার জন তৃণমূলের— নাদিমুল হক, শুভাশিস চক্রবর্তী, আবির বিশ্বাস এবং শান্তনু সেন। এ ছাড়া রয়েছেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। পরিষদীয় অঙ্কের হিসাবে এ বার চারটি আসনে তৃণমূল এবং একটিতে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনীতি
‘আমাদের সাত বিধায়ককে কিনতে ২৫ কোটি টাকা করে টোপ দিচ্ছে বিজেপি’! অভিযোগ কেজরীওয়ালের
তাঁর সরকারকে ফেলতে বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি। শনিবার এই অভিযোগ তুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের সাত জন বিধায়কের দল বদলের জন্য বিজেপির তরফে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে।’’
টেলিফোনে আপ বিধায়কদের বিজেপির তরফে দেওয়া ঘুষের প্রস্তাব ‘রেকর্ড’ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেজরীওয়াল। এর আগে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিরোধীদের পরিচালিত সরকার ভাঙা নিয়ে বিজেপিকে দুষেওছেন। সেই সঙ্গে আপ প্রধানের প্রশ্ন, রাজ্য রাজ্যে ‘অপারেশন পদ্ম’-র জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল?৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদু সংখ্যা’ ৩৬। আপের বিধায়ক ৬২ জন। বিজেপির মাত্র আট। মাত্র সাত জন বিধায়ককে কিনে বিজেপি কী ভাবে সরকারের পতন ঘটাবে, সে বিষয়ে কোনও ‘ব্যাখ্যা’ মেলেনি আপ প্রধানের তরফে। প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগে কেজরী দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবের ১০ জন আপ বিধায়ককে কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। যদিও পরবর্তী সময় তেমন কোনও ‘তৎপরতা’র আঁচ দেখা যায়নি।
দশ বছর আগে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের সময় মনমোহন সিংহ সরকারের অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়েছিলেন, তিনি লোকসভা ভোটে লড়তে চান না। তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি আবার ভোটে লড়ার অনিচ্ছা জানিয়ে শারীরিক অসুস্থতা বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে আবার কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল কেরল থেকে ভোটে লড়তে চাননি।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার রাহুল গান্ধী চাইছেন, দলের সমস্ত তথাকথিত ‘হেভিওয়েট’ নেতারা লোকসভা ভোটের ময়দানে নামুক। কংগ্রেস সদ্য তিনটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সেই তিন রাজ্যের মধ্যে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত ও ভূপেশ বঘেলকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন রাহুল। তিনি চাইছেন, মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা কমল নাথ থেকে রাজ্যের দিগ্বিজয় সিংহের মতো প্রবীণ নেতারাও ভোটে লড়ুন। এমনকি, তাঁর ঘনিষ্ঠ কে সি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশের মতো সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতাদেরও ভোটে লড়াতে চান তিনি। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে যে সব গুরুত্বপূর্ণ বিধায়করা ভোটে লড়ে হেরে গিয়েছেন, তাঁদেরও প্রার্থী করতে চাইছে কংগ্রেস। আবার রাজস্থানে সচিন পাইলট নিজের আসনে জিতলেও কংগ্রেস হাই কমান্ড চাইছে, তিনিও ভোটে লড়ুন। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, তাঁর ছেলে দীপেন্দ্র হুডা, রণদীপ সিংহ সুরজেয়ালা ও কুমারী শৈলজা—চারজন প্রধান নেতানেত্রীকেই ভোটে প্রার্থী করাতে চাইছে কংগ্রেস।কংগ্রেসের অনেক নেতা একে ‘বিজেপির মডেল’-এর পথে হাঁটা হিসেবে দেখছেন। কারণ, বিজেপি সম্প্রতি তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদদের প্রার্থী করেছিল। এখন রাজ্যসভা থেকে সংসদে নির্বাচিত হয়ে এসে যাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন, বিজেপি তাঁদের অনেককে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করতে চাইছে। এতে তাঁদের নিজেদের নাম ও পদের ওজনে বাড়তি ভোট মেলার সুবিধা রয়েছে। কংগ্রেসও সেই পথে হাঁটতে চাইছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, অন্তত ২০০ আসনে কংগ্রেসের ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের প্রার্থী করা হবে। তাঁদের নামের জোরে এমনিতেই জেতার সম্ভাবনা বাড়বে। দলের কর্মীদের মনোবল বাড়বে। বাস্তবের জমিতে কার কত ক্ষমতা, তারও পরীক্ষা হবে।
ছামনু কেন্দ্রে তিপ্রামথা দলে ভাঙ্গন অব্যাহত। আবারও ৩৪ পরিবারের ৭৭ জন ভোটার আনারস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
ছামনু কেন্দ্রে তিপ্রামথা দলে ভাঙ্গন অব্যাহত। আবারও ৩৪ পরিবারের ৭৭ জন ভোটার আনারস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে।
বিস্তারিত খবরে জানা যায় লংতরাইভ্যালী মহকুমার ছামনু ধন্যরাম চৌধুরী পাড়ার ৬৩ নং বুথে বিজেপির এক সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে তিপ্রামথা দল ছেড়ে ৩৪ পরিবারে ৭৭জন ভোটার গেরুয়া শিবিরে সামিল হয়। তাদের হাতে দলীয় পতাকা দিয়ে বিজেপিতে বরন করেন স্হানীয় বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শম্ভুলাল চাকমা বলেন রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলছে । জনজাতিদের উন্নয়নও একমাত্র মোদি সরকারের আমলেই সম্ভব। ত্রিপুরায় যে দলগুলো নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভাজনের রাজনীতি করে তাদের দ্বারা জনকল্যাণমূলক কোনো কাজ সম্ভব নয়। তাই জনজাতিরাও বুঝে গেছে উন্নয়নের দ্বারা কি অব্যাহত রাখতে বিজেপি দল কি মজবুত করতে হবে।
প্রশাসনিক বৈঠকে বুধবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা, ঘোষণা করতে পারেন একাধিক প্রকল্পের
পূর্ব বর্ধমান সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় এক বছর পর এই জেলায় সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের গোদার মাঠে প্রশাসনিক সভা করার কথা তাঁর। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, ‘‘প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে।’’
প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর, সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যার আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৩৬৫.৪৫ কোটি টাকা। বেশ কিছু প্রকল্পের শিল্যান্যাস করারও কথা রয়েছে তাঁর। এই খাতে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ৮৩৭.৪১ কোটি টাকা।গত দু’বছর ধরে গোদার মাঠেই সভা করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ভিড়ের রেকর্ডে এ বারের সভা ছাপিয়ে যেতে পারে। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মাঠ পরিদর্শনেও যান জেলা প্রশাসনের কর্তারা। খতিয়ে দেখা হয়েছে নিরাপত্তার বিষয়টি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ বারের সভায় খরচে লাগাম টানা হয়েছে। গত বছর গোদার মাঠের সভায় খরচের পরিমাণ ছিল ৩ কোটির বেশি। এ বার তা কমিয়ে ১ কোটির মধ্যে রাখা হচ্ছে। রাশ টানা হয়েছে খাবারের প্যাকেটের খরচেও। গত বছরের মতো ৪০০ টাকার খাবারের প্যাকেট নয়। ২০০ টাকার মধ্যে রাখা হচ্ছে খাবারের প্যাকেটের দাম। সভার আয়োজনের খরচ নিয়ে জেলা প্রশাসন কড়া ভূমিকা নিয়েছে।’’
বৃহস্পতিবার অসম থেকে বাংলায় প্রবেশ করছে ‘ন্যায় যাত্রা’, ১৪ বছর পর ফের উত্তরের জেলায় রাহুল
অসম থেকে এ রাজ্যে আগামী ২৫ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার প্রবেশ করছে রাহুল গান্ধীর ‘ন্যায় ভারত জোড়ো যাত্রা’। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সকাল ১১টা নাগাদ কোচবিহারের বক্সীরহাটের অসম সীমানা দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করতে পারেন কংগ্রেস নেতা। সেই সময় সেখানে উপস্থিত থাকার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।
গত ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’ শুরু হয়েছে। তা এ রাজ্যে ঢুকছে ১১ দিন পর। বাংলায় রাহুলের কর্মসূচি যাতে সাফল্য পায়, সেই লক্ষ্যে সোমবার তুফানগঞ্জে মিছিলও করে কংগ্রেস। গোটা শহর পরিক্রমা করে তা শেষ হয় দলীয় কার্যালয়ে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় প্রবেশ করে কোচবিহারের জোরাই মোড়ে সভা করতে পারেন রাহুল। তার পর সেখান থেকে বেলা ১২টা নাগাদ তুফানগঞ্জের চামটামোর বসাকপাড়া এলাকায় এসে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন তিনি। এর পর দুপুর ২টো থেকে গাড়িতে আবার যাত্রা শুরু করে তিনি পৌঁছবেন কোচবিহারের রেলগুমটিতে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে। এর পর কোচবিহার শহরের মা ভবানী মোড় থেকে রাজবাড়ির গেট হয়ে খাগড়াবাড়ি চৌপতি পর্যন্ত পদযাত্রাও করার কথা রাহুলের। পদযাত্রার পর গাড়ি করে পুণ্ডিবাড়ি ও ঘোকসাডাঙা হয়ে তিনি পৌঁছে যাবেন ফালাকাটায়। সেখানেই রাহুলের রাত্রিযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
‘বিজেপি লাঠিসোঁটা নিয়ে এসেছিল’! মোদী-স্লোগানে চুমু ছুড়েও অসমে রাহুলের বক্তৃতায় ‘হামলার আতঙ্ক’
২০-২৫ জন বিজেপি কর্মী লাঠি নিয়ে ছুটে এসেছিলেন বাসের সামনে! রবিবার ন্যায় যাত্রার সময় ঠিক কী হয়েছিল, ঘটনার পরে অসমের নওগাঁওয়ে একটি জনসভায় জানালেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, অসমে ন্যায় যাত্রার উপর হামলা চালান বিজেপি কর্মীরা। লাঠি নিয়ে ছুটে আসেন তাঁর বাসের সামনে। রাহুল জানিয়েছেন, তিনি বাস থেকে নামতেই পালিয়ে যান তাঁরা। ‘মোদী মোদী’ স্লোগান শুনে বাস থেকে চুমুও ছোড়েন। সেই ভিডিয়ো পরে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করেছেন। বিজেপি দাবি করে, স্লোগান শুনে রাহুল বিব্রত হয়ে পড়েছিলেন। রাহুল পাল্টা জানান, বিজেপি বা সঙ্ঘকর্মীদের ভয় পায় না কংগ্রেস।নওগাঁওয়ের জনসভায় রাহুল বলেন, ‘’২০-২৫ জন বিজেপি কর্মী লাঠি হাতে বাসের সামনে ছুটে এসেছিলেন। আমি বাস থেকে নামতেই তাঁরা পালিয়ে যান। ওঁরা ভাবছেন, বিজেপি, আরএসএসকে কংগ্রেস ভয় পায়। ওঁরা স্বপ্ন দেখছেন। ওঁরা যত ইচ্ছা পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ছিঁড়তে পারেন। আমরা পাত্তা দিই না। আমরা কাউকে ভয় পাই না। প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও নয়, অসমের মুখ্যমন্ত্রীকেও নয়।’’ জনসভার আগে এক্সে সেই চুমু ছোড়ার ভিডিয়ো পোস্ট করেন রাহুল। সেখানে দেখা গিয়েছে, অসমের পথ দিয়ে চলছিল বাসটি। হঠাৎই ভেসে আসে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘মোদী মোদী’ ধ্বনি। যাঁরা ধ্বনি দিচ্ছিলেন, বাস থেকে তাঁদের উদ্দেশে চুমু ছুড়ে দেন। ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘‘সকলের জন্য আমাদের ভালবাসার দোকান খোলা রয়েছে। জুড়বে ভারত, জিতবে হিন্দুস্তান।’’
তিপ্রামথা দলে আবারো ভাঙ্গন। ৫৩ পরিবারের ১৩৫ ভোটার তিপ্রামথা ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে সামিল হয়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি, ।।
তিপ্রামথা দলে আবারো ভাঙ্গন। ৫৩ পরিবারের ১৩৫ ভোটার তিপ্রামথা ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে সামিল হয়।
বিস্তারিত খবরে বিজেপি করমছড়া মন্ডলের উদ্যোগে লংতরাইভ্যালী মহকুমার চিচিংছড়া ভিলেজের রথকুমার রোয়াজা পাড়ায় একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সেই যোগদান সভায় তিপ্রামথা দলের ব্লকস্হরের নেতা সহ ১৩৫ জন ভোটার পদ্ম শিবিরে সামিল হয়। তাদের হাতে দলীয় পতাকা দিয়ে দলে বরন করেন পূর্ব লোকসভা আসনের সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, প্রদেশ বিজেপির সহ সভানেত্রী পাতালকইন্যা জমাতিয়া, মনু-ছৈলেংটা আসনের এমডিসি সঞ্জয় দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বলেন দলত্যাগীরা অনেকটা স্বপ্ন নিয়ে তিপ্রামথা দল করেছিল। এডিসিতে ক্ষমতায় আশার কিছুদিন পরই তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। তারা বুঝতে পারে এলাকায় উন্নয়নের জন্য একমাত্র বিজেপি সরকারই প্রয়োজন। রেশনে ফ্রি চাল, কিষাণ নিধি যোজনা, এত বিপুলসংখ্যক বেনিফিসারিদের সরকারি ঘর প্রদান মোদি সরকার আছে বলেই সম্ভব। তাই পাহাড়ি জনপদে তিপ্রামথা দলের মোহ ত্যাগ করে উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিতে সামিল হচ্ছে জনজাতিরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-লোকসভা নির্বাচনকে টার্গেটে রেখে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঊনকোটি জেলা যুব মোর্চা।প্রতিটি মন্ডলে যুবমোর্চার সদস্যদের নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সাংগঠনিক কর্মসূচি জারী রেখেছেন যুবমোর্চা জেলা সভাপতি অরুপ ধর।বুথকে আরো শক্তিশালী ও সুসংহত করার লক্ষ্যে পেঁচারথল মন্ডল যুব মোর্চার উদ্যোগে আজ শুক্রবার এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি অরূপ ধর,পেঁচারতল মন্ডল যুব মোর্চা সভাপতি প্রনব চৌধুরী, প্রদেশ যুব মোর্চা সদস্য ধর্মেন্দ্র চাকমা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।অনুরূপভাবে চলতি সপ্তাহে ঊনকোটি জেলা যুব মোর্চা উদ্যোগে ফটিকরায় মন্ডল কার্যালয়ে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ যুব মোর্চা সম্পাদক কৃষাণ চক্রবর্তী,রাজ্য যুব মোর্চা অন্যতম সদস্য ধর্মেন্দ্র চাকমা, ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি অরূপ ধর, ফটিকরায় মন্ডল কমিটির সভাপতি নীলকান্ত সিনহা সহ অন্যান্যরা।
আপ কি বার মোদী সরকার।এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই সারা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও ইতিমধ্যেই বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সকল নেতৃত্ব বিভিন্ন ধরনের প্রচার কর্মসূচী শুরু করে দিয়েছেন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আপ কি বার মোদী সরকার।এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই সারা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও ইতিমধ্যেই বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সকল নেতৃত্ব বিভিন্ন ধরনের প্রচার কর্মসূচী শুরু করে দিয়েছেন।সবার সাথে মন্ত্রী টিংকু রায়ও উনার নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার কর্মসূচী শুরু করে দিয়েছেন। এরই অঙ্গ হিসাবে মন্ত্রী টিংকু রায় উনার নিজের ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের শ্রীরামপুর এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করেছেন।দেওয়াল লিখনের সময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নয়ন পাল, যুব মোর্চা চন্ডীপুর মন্ডলের সভাপতি বাবলু দেব, কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায়,যুব নেতা কপিল দাস সহ আরও অনেকে।দেওয়াল লিখন শেষে মন্ত্রী টিংকু রায় সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে,দুই হাজার চব্বিশে আবার মোদি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং নরেন্দ্র মোদীকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষ্যে শুধুমাত্র ৫২-চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রেই নয়, গোটা দেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচী শুরু হয়েছে। এই প্রচার কর্মসূচীতে রাস্ট্রীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা থেকে শুরু করে বুথ সভাপতি অব্দি সবাই একসাথে মিলে মিশে প্রচার করছেন বলে জানান।