মোদিজীর জন কল্যাণমুখী এবং দেশ হিতৈষী চেহারা দেখেছে দেশবাসী। ভারতকে বিকাশের পথে যেমন নিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি দেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আসনে নিয়ে যাবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারতবাসী সেই নিরিখেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদীজি কে ভোট দেবেন। এ রাজ্যের দুটি আসনেও বিজেপি দলের প্রার্থীরা ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে। ভারতীয় জনতা পার্টির নিজস্ব সাংগঠনিক একটা ভীত রয়েছে। নির্বাচন আসলে নির্বাচনের দিন সকল ভোটারকে একত্রিত করা এটা আমাদের দলের সাংগঠনিক কাজ। শুক্রবার বিজেপি খোয়াই জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক নির্বাচনী সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করলেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সম্পাদক অমিত রক্ষিত। এই দিন জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, জনজাতি মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি জয়দেব দেববর্মা, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি হরি শংকর পাল সহ জেলার ছয়টি মন্ডলের মন্ডল সভাপতিগণ, বিভিন্ন বুথের বুথ সভাপতি, পৃষ্ঠা প্রমুখ, বিস্তারক এবং পৌর পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিগন। এই দিন অমিত রক্ষিত বলেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় দুই প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান বাড়াতে দলীয় কার্যকর্তাদের কি কি করনীয় প্রদেশ কমিটির সেই নির্দেশ প্রতিটি কার্যকর্তার সামনে তুলে ধরা হয়েছে। বুথে বুথে দলীয় কার্যালয় তৈরি করা, সন্ধ্যায় বিভিন্ন বুথে স্কোয়াডিং করা, সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া তাদের প্রত্যাশা এবং অভিযোগগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা, লাভাথি সম্পর্ক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা। সর্বোপরি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পর্কে ভোটারদের অবগত করানো সব কাজগুলো নিষ্ঠা ও দায়িত্ব সহিত পালন করার জন্য সকল কার্যকর্তাদের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
আগামী মাসের ১৯ শে এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে । বিজেপির দলীয় প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের গর্জনমুড়া গ্রামীন এলাকায় বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানে বের হয় বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া । শুক্রবার সকাল থেকে গর্জনমুড়া এলাকার প্রতিটি বাড়িতে এই জন সম্পর্ক অভিযান করেন বিধায়ক । কথা বলেন যুবক শ্রেণী থেকে শুরু করে বাড়িতে থাকা বিভিন্ন গৃহবধূ ও বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সাথে । রাজ্য সরকার গত পাঁচ বছর এবং বর্তমানে ক্ষমতায় আসার পর এক বছরে কি কি কাজ করা হয়েছে সকল বিষয়ে প্রচারের আলোতে নিয়ে যান তিনি । রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার থেকে যে সকল প্রকল্প গুলি দেওয়া হয়েছে সেই সকল বিষয় নিয়েও এদিন কথা বলেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া । এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার জন্য নতুন ভোটার থেকে শুরু করে বাড়ির অভিভাবক ভোটারদের সাথেও কথা বলেন তিনি। তৃতীয় বারের জন্য কেন্দ্রে এনডিএ সরকার যাতে প্রতিষ্ঠিত করা যায় সে বিষয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান সাধারণ ভোটারের কাছে বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া
। এই দিনের দলীয় প্রচারে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় গ্রামীণ এলাকার বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২১ মার্চ।। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় লোকসভা নির্বাচনে বিশালগড়ে জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির কার্যকর্তারা। প্রতিটি ভোটারের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে ভোট চাইবে কার্যকর্তারা৷ লক্ষ্য পূরণ করতে বিশালগড়ে ডোর টু ডোর প্রচার শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার বিশালগড় বিধানসভার ৩৩ নম্বর বুথে ডোর টু ডোর প্রচারের সূচনা করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হয়ে প্রণাম জানান। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আবেদন জানান। ডোর টু ডোর প্রচার কার্যক্রমে প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় কার্যকর্তা অংশ নেন। প্রথমে মুড়াবাড়ি রেল ব্রিজ সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রচারের কাজ শুরু করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব । আঠারো নির্বাচনের আগে এই অফিস ভেঙে তছনছ করে দিয়েছিল সিপিএমের গুন্ডা বাহিনী। আজ সেখানে সিপিএমের ঝান্ডা ধরার লোক নেই। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান সাধারণ মানুষের দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাবে জনতা। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প কেউ নেই। দেশের সুরক্ষা শান্তি উন্নতির জন্য বিজেপিকে ভোট দেবে জনতা। তিনি জানান প্রতি বুথে ডোর টু ডোর প্রচার হবে। কার্যকর্তারা বেরিয়ে পড়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় আরও অনেক ভোট লোকসভা নির্বাচনে পাবে বিজেপি। বিশালগড়ে রেকর্ড ভোটে বিজেপি জিতবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গোমতী জেলা বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করলেন দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে নেতৃত্বদের সাথে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া এই বৈঠকে ছিলেন বিজেপি গোমতি জেলা সভাপতি অভিষেক দেবরায়, একত্রিশ রাধাকিশোরপুর মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস সহ প্রমূখ। এদিনের বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বে এবং কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন , ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে জয়ী করার লক্ষ্যে এই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে জনসম্পর্ক অভিযান শুরু করতে হবে। একই সাথে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক চিত্রগুলি দলীয়ভাবে ভোটারদের কাছে প্রতিটি এলাকায় নিয়ে যেতে হবে । একই সাথে পঞ্চায়েত করে যে সকল কাজ হয়েছে সেই সকল কাজগুলি গ্রামীণ এলাকা মিছিল এবং মিটিং এর মধ্য দিয়ে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি দলীয়ভাবে সংগঠনকে আরো মজবুতভাবে কাজ করতে হবে ভোটকে সামনে রেখে । সে সাথে বৃহস্পতিবার দুপুরে উদয়পুরে এক সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে সেখানে দলের সমস্ত শাখা সংগঠনে নেতৃত্বরা এবং কর্মীরা সেই জায়গায় উপস্থিত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে এই দিনের বৈঠক থেকে। সন্ধ্যাকালীন যে যদিও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে আর কেপুর মন্ডলের অধীনে সমস্ত বুথ সভাপতি, শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ, পঞ্চায়েত প্রধান ,কাউন্সিলার, রাজ্য কমিটির সদস্য, মন্ডল কমিটি এবং জেলা কমিটির সকল সদস্যরা এদিনের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেয় ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২০ মার্চ।। লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখ থুবড়ে পড়ছে আইএনডিআইএ জোট। চারশো আসনের লক্ষ্যে লড়াই করছে বিজেপি। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে সিপিএমের প্রার্থী নেই। জোটের হয়ে লড়াই করছে কংগ্রেস। এতে সিপিএমের নীচু স্তরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। প্রতিবাদে দল ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। বুধবার চড়িলাম এবং কমলাসাগর বিধানসভায় পৃথক দু’টি সভায় সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ১০০৬ ভোটার। এদিন কমলাসাগর বিধানসভার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ফুলতলী গ্রামে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৪২ পরিবারের ৫৫৪ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। দলত্যাগীদের মধ্যে সিপিএমের এলসিএম খলিল মিয়া রয়েছে। তাদের বরন করেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী প্রমুখ। এই বিশাল দলত্যাগের ফলে সিপিএমের তথাকথিত দুর্গ ফুলতলী মরুভূমিতে পরিনত হলো। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ভাষণে বলেন এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিজেপি। তিনি কংগ্রেস সিপিএমের জোট নিয়ে বলেন একসময় এই কমলাসাগরে কংগ্রেস সিপিএমের লড়াই মারামারি দেখেছে সবাই। আজ দু’টো দলের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই একে অপরের হাত ধরে টিকে থাকতে চাইছে। তিনি বলেন দেশের মানুষ আবার বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন। কারণ বিজেপি সকল অংশের মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। কংগ্রেস সিপিএম গত বিধানসভা নির্বাচনে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। এবার সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির ফাঁদে পা দেবেনা। অন্যদিকে চড়িলাম বিধানসভার বিশ্রামগঞ্জ মোটরস্ট্যান্ডে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, সংখ্যালঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া, জনজাতি নেতা ডেভিড দেববর্মা প্রমুখ। সভায় ১২২ পরিবারের ৪৫২ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। দলত্যাগীদের মধ্যে সিপিএমের পরিচিত নেতা অরুন দেববর্মা, প্রদীপ দত্ত প্রমুখ রয়েছে। সংখ্যালঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া বলেন মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মানুষ চায় উন্নয়ন আর শান্তি। উন্নয়ন এবং শান্তি দিতে পারে একমাত্র বিজেপির সরকার।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে মোহনপুর বিধানসভা এলাকাতে অনুষ্ঠিত হলো বাইক রেলি। বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথ এই বাইক রেলির নেতৃত্ব দেন বিপ্লব কুমার দেবকে সাথে নিয়ে।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক দল বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রচারে ঝড় তুলেছে। মঙ্গলবার মোহনপুর বিধানসভা এলাকাতে বিপ্লব কুমার দেবকে সঙ্গে নিয়ে বাইক রেলি সংগঠিত করে।এই দিন ফটিকছড়া এলাকা থেকে শুরু হয় এই বাইক রেলি। তাঁর পড়
এলাকার বিভিন্ন পথ পরিপূর্ণ করে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি তিপ্রা মথা দলের কর্মী সমর্থকরা ও উপস্থিত ছিলেন এই বাইক রেলিতে। এই বাইক রেলি থেকে রতন লাল নাথ আহ্বান করেন সর্বস্তরের মানুষ উন্নয়নের স্বপক্ষে বিপ্লব কুমার দেবকে ভোট দেবে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিপ্লব কুমার দেবকে ভোট দেওয়ার আহবান করেছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এর পাশাপাশি তিনি আসা ব্যক্ত করেন এবারের এই লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রে পুনরায় সরকার গঠিত হওয়ার পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যেও দুটি আসনে এক ছত্র ভোট পেয়ে বিজয়ী হবে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা। এইদিনের বাইক রেলিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিটিএএডিসির ইএম রুনিয়াল দেববর্মা, লেফুঙ্গা বিএসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা এবং অন্যান্যরা।
অন্যদিকে বিধানসভা এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুণীজন বার্তালাপ। মঙ্গলবার দুর্গা বাড়ি চা বাগানে অবস্থিত শ্যামলী গেস্ট হাউসে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লব কুমার দেব, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধন দাস, মন্ডল সভাপতি বিজু পাল সহ অন্যান। এদিনের সভাতে বিপ্লব কুমার দেব এলাকার প্রাক্তন শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত সেনা, অবশ্য প্রাপ্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং অন্যান্যদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বিপ্লব কুমার দেব।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে উনকুটি জেলার কিষান মোর্চার সাংগঠনিক বৈঠক
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে উনকুটি জেলার কিষান মোর্চার সাংগঠনিক বৈঠক | বৈঠকে উপস্তিত ছিলেন প্রদেশ কিষান সাধারণ সম্পাদক তথা উনকুটি জেলার প্রাভারি বীরেন্দ্র দাস উনকুটি জেলার বিজেপি সভাপতি পবিত্র দেবনাথ উনকুটি জেলার কিষান মোর্চার সভাপতি হিরন্ময় সিনহা পাঁচ মন্ডলের কিষান মোর্চার সভাপতিগণ | সভায় আলোচনা করতে গিয়ে প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক রাজ্য কিষান সবাবেশের প্রস্তুতি হিসাবে আগামী 26সে মার্চের মধ্যে প্রতিটি মন্ডলে ওয়ান বুথ টেন কিষান কমিটি নিয়ে এক কিষান সম্মেলনের আহ্বান করেন সর্বশেষ আলোচনায় জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ কৃষকদের জন্য যশস্বী প্রধান মন্ত্রী মোদীজির ঘোষিত প্রত্যেকটি যোজনা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে মোদীজি এবং মাননীয় মুখ্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং প্রতি মন্ডলে কিষান সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করে দেন | সর্বশেষে কিষান মোর্চার জেলাসভাপতি হিরণ্ময় সিনহা জেলা বিজেপি সভাপতিকে তার গঠনমূলক আলোচনার স্বাগত জানান এবং জেলার সমস্ত মন্ডলে কিষান সমাবেশের সফলতার জন্য সবার সহযোগিতা কামনার মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন |
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া,১৯মার্চ। রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বিজেপি। সঙ্গে আমরা সম্মানও দিচ্ছি। কংগ্রেস সিপিএমের কাছে কোন ইস্যু নেই। কি নিয়ে ওরা রাস্তায় বেরোবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী রোজই রাজ্যের জন্য কিছু না কিছু দিচ্ছেন। আজ তেলিয়ামুড়ায় পৃষ্ঠা প্রমুখদের সম্মেলনে এ কথাগুলি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। দুপুর সাড়ে বারোটায় তেলিয়ামুড়া টাউন হল চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে তে লিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ৫৪টি বুথ থেকে ১০৬৬ জন পৃষ্ঠা প্রমুখ বুথ সভাপতি শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ সহ মন্ডল এবং জেলার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় পৃষ্ঠা প্রমুখদের ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, ২০১৮ সালে এবং ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে পৃষ্ঠা প্রমুখদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা জন্যই জনপ্রতিনিধি হতে পেরেছেন। পৃষ্ঠা প্রমুখরী দলের মূল কান্ডারী বলেও উল্লেখ করেন এবং আগামী দিনে ও পৃষ্ঠা প্রকরাই দলের কান্ডারী হিসেবে থাকবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। পৃষ্ঠা প্রমুখ প্রদেশ ইনচার্জ সুবল ভৌমিক বলেন, সিপিএমের মতো একটি জগদ্দল পাথরকে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে সরাতে পৃষ্ঠা প্রমুখদের ভূমিকা অপরিসীম। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে পৃষ্ঠা প্রমুখদের গুরুত্ব সিপিএম বোঝার আগেই ওরা চলে গেছে। আগামী দিনে ও প্রমুখরাই দোলের দিক নির্দেশ করবে বলে মাথা ব্যক্ত করেন শ্রী ভৌমিক। সম্মেলনের অপর বক্তা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য আর রাজ্যের প্রতিটি বুথেই একটি করে পদ্মফুল ফোটানোর জন্য পৃষ্ঠা প্রমুখদের উদ্দেশ্যে আহ্বান রাখেন। লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসনে ই জয়ী করে মোদীজি কে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী আসনে বসানোর আশা ব্যক্ত করেন। সম্মেলনের প্রধান বক্তা আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরো বলেন, মোদি জি রোজী রাজ্যের জন্য কোন না কোন কিছু দিচ্ছেন। আমরা কোনদিন ভাবতেই পারিনি আমাদের রাজ্য থেকে এতগুলি ট্রেন বহির রাজ্যে চলবে। এতগুলো জাতীয় সড়ক হবে। মোদি জি মানেই উন্নয়ন। মোদিজীর হাতকে শক্ত করতেই আর রাজ্য থেকে দুটি আসনে বিপুল ভোটে আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। আজকের তেলিয়ামুড়া টাউন হল চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে পৃষ্ঠা প্রমুখ সম্মেলনে তিল ধারানোর জায়গা ছিল না। তিস্তা প্রমুখ থেকে দলের প্রতিটি কর্মীর ই উৎসাহ ছিল লক্ষণীয়। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, প্রভারই রাজুজি, মন্ডল সভাপতি রঞ্জিত সূত্রধর, প্রদেশ পৃষ্ঠা প্রমুখ কো ইনচার্জ সুভাষ সরকার প্রমুখ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব । লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই শাসক দল বিজেপির নেতৃত্বরা দলীয় প্রচারে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন শহর থেকে গ্রাম ও পাহাড়ের বিভিন্ন জনজাতি এলাকায় । সোমবার সকাল ৯ টা থেকে ৩৩ কাকড়াবন শালগড়া মন্ডলের উদ্যোগে গ্রামে চলো অভিযান শুরু হয় । দলীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে যুব মোর্চা থেকে শুরু করে মহিলা মোর্চা ও অন্যান্য বিভিন্ন শাখা সংগঠনের কর্মীরা দলীয় স্লোগানের মধ্য দিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার জন্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ ও দলীয় প্রচার শুরু করে । বিভিন্ন বাঙালি এলাকা থেকে শুরু করে পাহাড়ের জনপদে শুরু হয় ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন উঁচু-নিচু পাহাড়ি বাড়িগুলিতে দলীয় প্রচার । দলীয় প্রচার চলার পথে আবার কখনো ছোট আকারে যোগদান করিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন বিরোধী দলের কর্মীদেরকে। ভোটাররা দুহাত তুলে এই দলীয় প্রচারের মধ্য দিয়ে সমর্থন জানিয়ে চলেছে শাসকদলকে। কখনো চলছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্রকে সামনে রেখে প্রচার আবার কখনো কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরা হচ্ছে ভোটারদের কাছে। ছোট ছোট আকারে বাজার গুলিতে সভা করা হচ্ছে কাকরাবন বিধানসভায় । গত ২৫ বছরের এই রাজ্যে দুইটি লোকসভা কেন্দ্রে বামেদের আধিপত্য থাকা সুবাদেও কখনো উন্নয়নের জোয়ার দেখতে পায়নি কাকড়াবনবাসী। তাই বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই রাজ্যের বর্তমান সরকার যে কাজ করেছে সে কাজের নিরিখে যেন ভোটাররা বিপুল ভোট দিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে সে আবেদন রাখেন স্থানীয় বিজেপি মন্ডল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বরা এদিনের এই প্রচার অভিযানের মধ্য দিয়ে। কাকড়াবন শালগড়া মন্ডলের দলীয় প্রচারকে কেন্দ্র করে দলের কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
প্রতিনিধি খোয়াই।
সম্প্রতি লোক সভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরা রাজ্যের পূর্ব আসনে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ শে এপ্রিল এবং পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ২৬ এপ্রিল। পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসন এবং পশ্চিম সাধারণ কেন্দ্রে ইতিমধ্যে শাসক দল প্রার্থী ঘোষণা করেছে ও প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলেছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন রাজ্যের প্রতিটি মন্ডলে মিছিল সংঘটিত করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জেলার প্রতিটি মন্ডলে ও অনুরূপ মিছিল সংঘটিত হয়েছে। যদিও নির্বাচনের পূর্বে শাসকদল তাদের দলীয় কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছিল। এখন চলছে গোটা জেলায় সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে প্রচার কর্মসূচি। আজ খোয়াই বিধানসভার উত্তর সিঙ্গিছড়া গাওসভার ১৭ নং বুথে সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে অংশ নিয়ে স্থানীয় কার্যকর্তা গন। বাড়িতে গিয়ে লিফলেট বিলি করা, দলীয় পোস্টার সাঁটানো এবং ভোটারদের সাথে মতবিনিময় চলছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারের সাথে নিবিড় সংযোগ রক্ষা করে চলছে শাসক দল। অন্যদিকে বিরোধীদল এর কোন পতাকাই লক্ষ্য করা যায়নি এবং কোন কর্মসূচি ও নেই। আজকের এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ভারতীয় জনতা পার্টি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র গোপ যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সম্পাদক, খোয়াই মন্ডল সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ নাগ এসসি মোর্চার জেলার সভাপতি অনুকূল দাস ওবিসি মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত দেবনাথ উত্তর সিঙ্গিছড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কিশোর পাল, বিজেপি নেতা বিজয় কুমার দেবনাথ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।