প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২ জানুয়ারি:- ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন গন্ডাছড়া প্রেস ক্লাবের হাতে নববর্ষের উপহার হিসেবে সাব ডিভিশনাল ওয়েলফেয়ার অফিসার তথা ডিসিএম দিলিপ দেববর্মা কেরাম বোর্ড তুলে দেন। এদিন এই উপলক্ষে মহকুমা শাসক অফিসে ওনার কক্ষে মহকুমা সাংবাদিকদের সাথে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ডিসিএম দিলীপ দেববর্মা শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গন্ডাছড়া প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে একটি বড় আকারের ক্যারাম বোর্ড তুলে দেন। সেখানে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামু দেবনাথ, রবি সিং, নারায়ন ত্রিপুরা, সমীর কপালী, চন্দন লাল রায়, অনিমেষ দাস। ট্রাভেল ওয়েলফেয়ার অফিসার দিলীপ দেববর্মা জানান খেলাধুলার মান উন্নয়নে সাব ডিভিশনাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে এসটি বয়েস হোস্টেল এবং এসটি গার্লস হোস্টেলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন। তাতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়। তিনি আরো জানান আগামী কিছুদিনের মধ্যে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মান উন্নয়নে প্রেসক্লাবেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন আগামী দিনে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রেসক্লাব দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ্য সাব ডিভিশনাল ওয়েলফেয়ার অফিসার তথা ডিসিএম দিলীপ দেববর্মা ভাল মানসিকতা সম্পূর্ণ একজন অফিসার। তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহকুমা এলাকার বন্যা আক্রান্ত পরিবারের পাশে তৎক্ষণাৎ যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সত্যি তাহা প্রশংসার দাবি রাখে। দিলীপ বাবুর একের পর এক এহেন কাজে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
দেশ
শান্তির বাজার প্রতিনিধি: মনু ইয়ুথ সোসাইটি প্রতিনিয়ত নানান সামাজিক কর্মসূচী করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এই সোসাইটির উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার মহকুমার কচিকাঁচা শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠীত করাহয় শিশুমেলা। অন্যান্যবছরেরন্যায় এইবছরও মনু ইয়ুথ সোসাইটির উদ্দ্যোগে তৈকর্ম স্কুল সংলগ্ন এলাকায় শিশু মেলা ও ফুড ফেষ্টিবেলের আয়োজন করাহয়। দুইদিনব্যাপী চলবে এইমেলা। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে আজকের অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করলেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। মন্ত্রীর পাশপাশি আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, শান্তির বাজার পুর পরিষদের চেয়ারম্যান সপ্না বৈদ্য, পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশিষ ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতে গিয়ে বক্তারা মনু ইয়ুথ সোসাইটির উদ্দ্যোগে এইধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনকরাতে সকলে সাধুবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্যশেষে ক্ষুদে শিশুদেরনিয়ে বিভিন্নপ্রকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করাহয়। মনু ইয়ুথ সোসাইটির উদ্দ্যোগে আয়োজিত আজকের এই মেলায় বগাফা ব্লকের অধীনে বিভিন্ন স্ব সহায়ক দলের সদস্যরা বিভিন্ন প্রকারের পিঠাপুলি নিয়ে নিজেদের ষ্টল সাজিয়ে তুলেন। দুইদিনের এই মেলাকে কেন্দ্রকরে মহকুমার বিভিন্নপ্রান্তথেকে ব্যাপকহারে লোকসমাগমঘটে।
প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে উন্নয়ন হচ্ছে মাতাবাড়ি । বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- রবিবার সকালে উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে আসেন কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণ বন্টন ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন , রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, গোমতী জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ প্রমূখ । এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রথমে মাতার বাড়িতে এসে চলে যান মায়ের মন্দিরে। মন্দিরে গিয়ে মায়ের কাছে পুজো দেন মন্ত্রী । পূজো শেষে মায়ের মন্দিরের চারদিক প্রদক্ষিণ করেন এবং মন্দিরের পাশে থাকা মহাদেব মন্দিরে পুজো দেন তিনি । পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন , মায়ের মন্দিরে এসে দেশ ও রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনা করেন এবং যে দ্রুত প্রসাদ প্রকল্পের কাজ চলছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তাতে উন্নয়ন খুবই সুন্দরভাবে হচ্ছে মাতা বাড়িতে। পরে ঘুরে দেখেন মাতার বাড়িতে প্রসাদ প্রকল্পের কাজ। ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী পরে মায়ের মন্দিরে পূজো অর্চনা শেষ করে চন্দ্রপুর কলোনি বিদ্যালয়ের হলঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দেন । সাথে ছিলেন অর্থমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক । মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে গোটা উদয়পুরে ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ২৯ডিসেম্বর।তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় আতঙ্ক টিউমার নামে পরিচিত হাতিটি রেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত।আগরতলা থেকে শিলচরগামী দ্রুতগতি সম্পন্ন রেলের ধাক্কায় মৃতপ্রায় দৈত্যাকৃতির বণ্য দাঁতাল হাতিটি । রেলের ধাক্কায় দৈত্যাকৃতি সেই হাতির কোমর এবং পেছনে পায়ে গুরুত্বর আঘাত লাগে, উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বণ দপ্তরের অধীন লক্ষ্মীপুর এ.ডি.সি ভিলেজের চামপ্লাই রেল রাস্তা সংলগ্ন গভীর বনাঞ্চলে।
খবরে প্রকাশ, আগরতলা থেকে শিলচরগামী দ্রুতগতি সম্পন্ন রেল তেলিয়ামুড়া রেলস্টেশন হয়ে ধর্মনগর অভিমুখে যাবার পথে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন লক্ষ্মীপুর এ.ডি.সি ভিলেজের চামপ্লাই স্থিত রেল পারাপারের সময় একটি বণ্য দাঁতাল হাতিকে সজোড়ে ধাক্কা দেয় ওই যাত্রীবাহী রেল। এতে ওই দৈত্যাকৃতির হাতি তথা লোকমুখে যে কিনা “টিউমার”- নামে পরিচিত সে কোমরে এবং পেছনের পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এবং দীর্ঘক্ষন রাস্তার পাশে পড়ে ছটফট করতে থাকে এই বন্য হাতিটি। এ প্রসঙ্গে খোয়াই জেলা বন আধিকারিক সাংবাদিকদের প্রসঙ্গক্রমে বলতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এলাকাটি হাতির বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এখানে রেলের গতি কম হওয়ার কথা। তবে যেভাবে হাতিটি আহত হয়েছে, রেল এর গতি দ্রুত বেগে ছিল। হাতি আহত হওয়ার খবরটিও বনদপ্তরকে জানানো হয়নি। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়া মহকুমাতে কুড়িটি উপর হাতি রয়েছে। আহত টিউমার নামে পরিচিত হাতিটি কৃষ্ণপুর ও তার আশপাশ এলাকাতে সাধারণ মানুষের আতঙ্কের কারণ ছিল। প্রায় রোজই হাতিটি কোন না কোন এলাকাতে বাড়িঘর ভাঙচুর সহ জমির ফসল নষ্ট করে আসছিল। বনদপ্তর হাতির লোকালয়ে প্রবেশ রোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কোন কিছুতেই হাতির লোকালয়ে প্রবেশ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে আহত হাতি টিকে আজও বনদপ্তরের চিকিৎসকরা চিকিৎসা করে এসেছে। বনদপ্তরের কর্মীরা ও হাতির ধারে কাছেই রয়েছে প্রয়োজনীয় সেবা সুস্রতা দেওয়ার জন্য।
উদয়পুর প্রতিনিধি : রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত সাহা আগরতলা রবীন্দ্র ভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদয়পুরে আইতরমা পেট্রোলিয়াম এজেন্সি এর দ্বারুদ্ঘাটন করেন lউদয়পুর ছনবন এলাকায় ভারত সরকার ও এইচ পি সি এল এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই পেট্রোল পাম্প উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যাক্ষ রাম প্রসাদ পাল l এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতি জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, এইচ পি সি এল এর আঞ্চলিক ম্যানেজার রাহুল কুমার সিংহ, টি এস সি সি এফ এর চেয়ারম্যান টুটন দাস l
ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যাক্ষ রাম প্রসাদ পাল বলেন, রাজ্যে এই প্রথম সরকারি উদ্যোগে পেট্রোল পাম্প চালু হচ্ছে l রাজ্যে এরকম ২০টি পেট্রোল পাম্প গড়ে তোলা হবে l ২ বছর আগে এক চুক্তির মধ্য দিয়ে রাজ্যে এরকম পেট্রোল পাম্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় l তিনি আরও বলেন, কপারেটিভ হল জনগণের আন্দোলন l কপারেটিভ গ্রামকে উন্নত করে l কিছুদিনের মধ্যে উদয়পুরে আরও একটি আইতরমা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গোমতী জেলায় গড়ে তোলা হবে l এদিন উদ্বোধন শেষে নিজ হাতে ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল এই পাম্পের প্রথম ক্রেতা বিপ্লব দে -কে পেট্রোল দিয়ে তার শুভ সূচনা করেন।
মহারাজা বীর বিক্রম (এম.বি.বি) কলেজের এন.এস.এস ইউনিটের উদ্যোগে ৭ দিনব্যাপী বিশেষ শিবিরের শুভ সূচনা
মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে এন.এস.এস শিবিরের উদ্বোধন মহারাজা বীর বিক্রম (এম.বি.বি) কলেজের এন.এস.এস ইউনিটের উদ্যোগে ৭ দিনব্যাপী বিশেষ শিবিরের শুভ সূচনা হয় আজ। শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। এই শিবিরটি আগামী ৭ দিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র দীপক মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, “এন.এস.এস স্বেচ্ছাসেবকরা সমাজের বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাদের এই সেবামূলক কার্যক্রম আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।” অনুষ্ঠানে চলতি বছরের আগস্ট মাসে রাজ্যে ঘটে যাওয়া বন্যা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ৬ জন এন.এস.এস স্বেচ্ছাসেবককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের মানবিক অবদানের জন্য মেয়র দীপক মজুমদার তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এন.এস.এস শিবিরের উদ্দেশ্য শুধু স্বেচ্ছাসেবী কাজ নয়, বরং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করা। শিবিরের প্রথম দিনে রক্তদান শিবির, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। শিবিরটি আগামী ৭ দিন ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, বৃক্ষরোপণ, এবং অন্যান্য সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ, এন.এস.এস কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। স্থানীয়দের মতে, এই শিবিরটি শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়, বরং সমাজের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দ্রুতগতিতে বাইক চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক খাদে, চালকসহ বাইকে থাকা আরোহী গুরুতর আহত।
দ্রুতগতিতে বাইক চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক খাদে, চালকসহ বাইকে থাকা আরোহী গুরুতর আহত।
ঘটনার বিবরনে জানাজায় শান্তির বাজার মহকুমায় অন্তর্গত বীরচন্দ্র মনু সাপ্তাহিক বাজার আজ। এই সাপ্তাহিক বাজারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে ক্রেতা বিক্রেতা। জানা যায় রুপেশ ত্রিপুরা তৈইবান্দাল থেকে বীরচন্দ্র মনু সাপ্তাহিক বাজার আসে পরবর্তী সময়ে বাজার থেকে তৈই বান্দাল নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে বাইক চালক এবং আরোহী উভয় গুরুতর আহত হন বীরচন্দ্র মনু লাচিকেম সংলগ্নে ৮ নং জাতীয় সড়কের । জানাযায় এতে করে বাইক চালক রুপেশ ত্রিপুরার পা ভেঙ্গে যায় এবং গুরুতর আহত হয়। পাশাপাশি বাইকে থাকা আরোহীও অল্প বিস্তার আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে যান মন পাথর থানার ওসি জয়ন্ত দাস , খবর দেন শান্তির বাজার অগ্নি নির্বাপক দপ্তরকে। অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে কর্মীরা ছুটে এসে আহত দুজনকে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উদয়পুর প্রতিনিধি : দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে গোটা উদয়পুর মহকুমা জুড়ে । নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত গঙ্গাছড়া দুর্গা চৌহমুনি এলাকায় দুর্ঘটনা গ্রস্থ হয় সন্তোষ সরকার নামে এক ব্যক্তি । দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উদয়পুর টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসা করানোর জন্য । দমকলকর্মীরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান দুর্ঘটনা স্থলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তার মাথা ফেটে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে । কিন্তু ঘটনাস্থলে কোন ধরনের গাড়ি অথবা বাইক পাওয়া যায়নি। যা ইতিমধ্যেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে আহত অবস্থায় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্তোষ সরকার।
উদয়পুর প্রতিনিধি : মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উদয়পুর পৌর পরিষদের নবনির্মিত জলের ডিপ টিউবেলের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এ ছাড়া ছিলেন পৌর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে মহকুমা শাসক এবং পানীয় জল দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কমিশনার সহ প্রমূখ অংশ নেন এই দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কিন্তু এদিন প্রথমে মন্ত্রী পানীয় জলের ডিপ টিউবেলটি উদ্বোধন করতে গিয়ে ব্যাপক পরিমাণে পৌরপরিষদ ও পানীয় জল দপ্তরের উপর ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সঠিক কাজ না করার ফলে এদিন ক্ষিপ্ত হন অর্থমন্ত্রী। প্রকাশ্যে ধমক দেন দপ্তরের আধিকারিকদের এবং নির্দেশ দেন যে সকল ভুল গুলি করা হয়েছে সেটা যেন খুব তাড়াতাড়ি সঠিকভাবে পুনরায় কাজ করা হয়। অপরদিকে রাজর্ষি কলা কেন্দ্রের ভেতর যে উদ্বোধনী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে সেখানে কোন ধরনের মূল অনুষ্ঠানের ফ্লাক্স পর্যন্ত লাগানো হয়নি। সেই সাথে শোকসভার মতো সাদা মোমবাতি দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এদিন পানীয় জল দপ্তর এবং পৌর পরিষদের আধিকারিক থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত এই মঞ্চে ছিলেন কিন্তু কোথাও অনুষ্ঠানের ফ্লাক্স না লাগানোর ফলে তা নিয়ে কানাঘুষা চলতে থাকে । সব মিলিয়ে এক অগোছালো অনুষ্ঠান করা হয় এদিন। অনুষ্ঠানে আসা সাধারণ মানুষ মিষ্টিমুখ এবং পানীয় জল পর্যন্ত সঠিকভাবে পাননি বলে খবর। শুধু তাই নয় ওয়ার্ড কাউন্সিলারের ভূমিকাও ছিল একেবারে দায়সারা মনোভাব । রাজ্য সরকার চাইছে সাধারণ মানুষ পরিষেবা যেন হাতের কাছে পেয়ে যেতে পারে কিন্তু তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে উদয়পুরে। যে যার মর্জিনাফিক বিভিন্ন সময় চালিয়ে যাচ্ছে অফিস এবং কোন সরকারি অনুষ্ঠান। শুভবুদ্ধি সম্পূর্ন জনগণের মধ্যে এক গুঞ্জন উঠেছে উদয়পুর কেন এই ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা বুঝে উঠতে পারছে না নাগরিকরা। সব মিলিয়ে এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একেবারে হাসির পাত্র গড়ে উঠেছে জনমনে