প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই একটি বসতঘর । ঘটনা শনিবার রাত আনুমানিক প্রায় আটটা নাগাদ । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , গোমতী জেলা উদয়পুর মহকুমা অন্তর্গত মুড়াপাড়া পঞ্চায়েতের অধীন অমর সরকারের স্ত্রী লক্ষ্মী সরকার তার নিজের মেয়েকে নিয়ে জামজুরি বাজারে যায় । তার কিছু মুহূর্তের মধ্যে হঠাৎ একটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার শব্দ শুনতে পায় গ্রামবাসীরা । এই সিলিন্ডারের একটি অংশ পাশের বাড়ির প্রায় ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে তার সঙ্গে আরও একটি সিলিন্ডার ঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে । আশেপাশে লোকজন খবর দেয় বাড়ির মালিক কে এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় উদয়পুর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের । অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে উদয়পুর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের দুটি ইঞ্জিন কাকরাবন অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের একটি ইঞ্জিন এবং পালাটানা পাওয়ার হাউসের একটি ইঞ্জিন মোট চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বাড়ির মালিক লক্ষ্মী সরকার জানান , ঘর থেকে কোন কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। বাড়ির মালিক জানান প্রায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নগদ ও কিছু স্বর্ণালংকার ছিল। শীতের রাতে এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় গ্রাম জুড়ে । ঘটনার খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে যান বিধায়ক অভিষেক দেবরায়।
দেশ
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম স্বর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ কমল জুয়েলার্স ( আগরতলা ও উদয়পুর ) এর দুর্গাপূজা ও ধানতেরাসের ডেইলি লাকি ড্র ও মেগা লাকি ড্র ও বাম্পার লাকি ড্রতে বিজয়ী ক্রেতা বন্ধুদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় উদয়পুর শোরুমে । বিজয়ী ক্রেতা বন্ধুদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আলোকিত করে মোট তিনজন দশ গ্রাম করে মেগা লাকি ড্রতে সোনার নেকলেস ( দুর্গাপূজা ও ধনতেরাস উৎসব মিলিয়ে) । বাম্পার লাকি ড্র তে হীরের নেকলেস জিতেন ধনতেরাস উৎসব বিজয়ী । দূর্গা পূজাতে প্রতিদিন লাকি ড্রতে হোম এপিলেন্স ২২ জন আগরতলা , ১১ জন উদয়পুরের বিজয়ী হন । ধনতেরাসে প্রতিদিনের লাকি ড্র তে আগরতলা ২৪ জন গোল্ড কয়েন ও উদয়পুরে ১২ জন বিজয়ী হন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বর্ণকমল জুয়েলার্সের কর্ণধার গোপাল চন্দ্র নাগ ও সংস্থার ডাইরেক্টর জয় নাগ ও দীবাকর নাগ সংস্থার মুখপাত্র সুরজিৎ চক্রবর্তী । স্বাগত ভাষণে সংস্থার ২৪ বছরের যাত্রার নানা দিক তুলে ধরেন ও আগামী দিনে এই পথ চলাতে সকল ত্রিপুরাবাসীর ভরসা ও বিশ্বাসের উপর জোর দেন । সকল ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উৎসব উপলক্ষে উপস্থিতির জন্য ।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ৮ই ডিসেম্বর।ধামাইল আমাদের গ্রাম ত্রিপুরা বা গ্রাম বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতির সাথে ঐতিহ্যগতভাবেই জড়িত। আধুনিক এই সময়েও প্রায় প্রতিটা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে ধামাইল গুরুত্বের সাথে তার স্থান করে নেয়। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই কালের বিবর্তনে এই চিরাচরিত ঐতিহ্যশালী ধামাইল বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে বা অনেকটাই বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর ধামাইলকে পুন: জাগরিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো তেলিয়ামুড়াতে রাজ্যভিত্তিক ধামাইল উৎসব এবং মেলা শুরু হয়েছে। ব্যাপক সারম্বরে এবং সাধারণ মানুষের উচ্ছাসকে পুঁজি করে দুদিনব্যাপী ধামাইল উৎসব এবং মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন-পর্ব আজ সম্পন্ন হয় তেলিয়ামুড়ার চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে। এই মহতী অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নিচ্ছে শিল্পীরা।আজ দুপুর একটায় সংস্কৃতি অনুরাগীদের সাথে রেখে উদ্বোধনী পর্বকে আলোকিত করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই জেলার জেলাশাসক চাঁদনী চন্দ্রন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ভাইস চেয়ারমেন সব্রত চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বক্তবা রাখতে গিয়ে মুখ্য সচেতক কল্যানী সাহা রায় বলেন,আমাদের জাতির বা সভ্যতার এগিয়ে চলার পথে ধামাইলের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অপরিসীম। আধুনিক সময়ে যাতে কোনভাবেই ধামাইলের মত ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতি হারিয়ে না যায়, তার জন্য রাজ্য সরকার এই যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে ইতিবাচক ফল বহন করে আনবে এই আশা প্রকাশ করার পাশাপাশি কল্যানী সাহা রায় আগামী দিনে সকলের সহযোগিতায় এই প্রকারের উদ্যোগগুলো বাস্তবের মাটিতে সাফল্যমন্ডিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও এই আয়োজন মঞ্চে ব্যাপক উৎসাহের সাথেই গোটা খোয়াই জেলার বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের দ্বারা কবি সম্মেলন এবং আলোচনা সভা যেমন আয়োজিত হয়, ঠিক একই রকম ভাবে কবি গানের আসর, সবমিলিয়ে বলা চলে দুদিনের এই জম জমাটি আয়োজন থেকে অন্য বার্তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাজ্য সরকার তথা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।
সিস্টার ভগিনী নিবেদিতার মর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী
প্রতিনিধি, উদয়পুর : উদয়পুর ভগিনী নিবেদিতা গার্লস স্কুলে বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী কমিটির উদ্যোগে সিস্টার ভগিনী নিবেদিতার মর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া ছিলেন জেলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়,পৌরপিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার, মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার সহ অন্যান্যরা। এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক । পরে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে যারা ভালো স্থান করে নিয়েছে বিশেষভাবে পুরস্কার দেওয়া হয় অর্থমন্ত্রী এবং জিলা পরিষদের সভাধিপতির হাত ধরে । এদিনের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন , ভারত মাতার সন্তান না হয়েও ভারত মাতার কন্যা রূপে, সকলের ভগিনী রূপে আমাদের সেবা করে গেছেন, আমাদের সকল দুঃখ আচল পেতে কুরিয়েছেন, সিস্টার নিবেদিতা বা ভগিনী নিবেদিতা। স্বামী বিবেকানন্দের মহান ভারতবর্ষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপবান করার কান্ডারী যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম সিস্টার নিবেদিতা। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অর্থমন্ত্রী জানান এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে হল ঘরের একটি সমস্যা রয়েছে । তা খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধান করা হবে । পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জন্য নতুনভাবে যে দালান ঘর তৈরী করা হচ্ছে। সে কাজটি বর্তমানে কেন বন্ধ রয়েছে তা নিয়ে শনিবার দুপুরে গোটা বিষয়টির জন্য খোঁজ নেওয়া হবে বলে তিনি মঞ্চ থেকেই জানিয়ে দেন সকলের উদ্দেশ্যে। এদিনের অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে ব্যাপক সারা লক্ষ্য করা যায় বিদ্যালয়ের বর্তমান বিদ্যালয় ছাত্রী এবং প্রাক্তনী থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- শীতের রাত যত গভীর হতে থাকে তত চোরা কারবারিদের অবৈধ ব্যবসার আদান-প্রদান বাড়তে থাকে উদয়পুরের বুক চিরে যাওয়া জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে। অবৈধভাবে কোন সামগ্রী যাতে না যেতে পারে তার জন্য গোমতী জেলার পুলিশ সর্বত্র করা নজরদারি চালিয়েছে রাতের আধারে। এবার বাগমা ফাঁড়ি থানার ওসি সমর দাস ফাঁড়ি থানার নাকা পয়েন্টে পুলিশ বাহিনী নিয়ে শীতের ঘন কুয়াশার মধ্যে পশ্চিম জেলা , সিপাহীজলা জেলা ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা থেকে যে সকল ছোট বড় গাড়ি আসা-যাওয়া করছে জাতীয় সড়ক ধরে । সে সকল গাড়িকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে । ব্যাপকভাবে বিভিন্ন গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও সঠিক কাগজপত্র গাড়ি রয়েছে কিনা এবং বিভিন্ন বহি:রাজ্যের মালবাহী গাড়ি দিয়ে অবৈধ কোন মালপত্র অন্য মহকুমায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিনা ? সেই সকল বিষয় নজর রেখে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি সমর দাস । বাগমা ফাঁড়ি থানা সামনে পুলিশের এই ধরনের তল্লাশি অভিযানের ফলে অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত একশ্রেণীর মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে বলে মনে করছে সচেতন মহল ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জেলা শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে রাধাকিশোর ইনস্টিটিউশনে শুরু হয় দু’দিনব্যাপী বাল বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী এবং এক দিনের সেমিনার।অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা জাগানো এবং সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়,জেলা শিক্ষা আধিকারীক প্রশান্ত কিলিকদার এবং রাধাকিশোর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক নীতিশ বিশ্বাস।
বক্তরা তাদের বক্তব্যে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করে বিজ্ঞানের অপব্যবহার থেকে দূরে থাকার জন্য এবং উৎসাহিত করেন বিজ্ঞানের ইতিবাচক দিকগুলো ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।মন্ত্রী টিংকু রায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার বার্তা দেন।বাল বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মেধার প্রকাশের মঞ্চ নয়,এটি তাদের ভবিষ্যৎ উদ্ভাবকের পথে এক শক্তিশালী পদক্ষেপ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- বৃহস্পতিবার উদয়পুর চন্দ্রপুর কলোনি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী গোমতী জেলা ভিত্তিক বাল বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী ও এক দিন ব্যাপী বিজ্ঞান সেমিনার ২০২৪-২৫ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ সূচনা করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতলচন্দ্র মজুমদার, মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার, জেলা শিক্ষা আধিকারিক বিকাশ নাথ, চন্দ্রপুর কলোনি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সাহা সহ আরো অনেকে। উদ্বোধন শেষে বিজ্ঞান প্রদর্শনীর ফিতা কেটে শুভ সূচনা করে অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় সহ অতিথিবর্গরা। । অনুষ্ঠানে গোমতী জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ৬৫ টি বিজ্ঞান প্রদর্শনী এবং প্রায় ২৫ টি বিজ্ঞান সেমিনারের আয়োজন করা হয় । ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন থিম যেমন স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ এবং পরিবহন ব্যবস্থা, গাণিতিক ধারণা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও থাকবে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।
অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, এইসব কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মেধা বৃদ্ধির পাশাপাশি চারিত্রিক বিকাশও ঘটে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীদের অবশ্যই গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। এইক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর জোড় দেওয়া যেতে পারে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের পরামর্শ দেন।
এছাড়া আরো বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিষয়ক নিয়ে রাজ্য সরকারের বহু চিন্তাধারা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
নারিকেল কুঞ্জের ঝুলন্ত ব্রিজ সুরক্ষিত, গুজবে কান না দেওয়ার আহবান পূর্ত কর্তার
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৪ ডিসেম্বর:- বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার নারিকেল কুঞ্জ ঝুলন্ত ব্রিজের পথ চলা শুরু হয়। এদিন রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা পলক উন্মোচন এবং পিতা কেটে ঝুলন্ত ব্রিজের শুভ সূচনা করেন। এই সময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, এলাকার বিদায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং সহ পূর্ত দপ্তরের উচ্চপ্রদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ঝুলন্ত ব্রিজ উদ্বোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে নারিকেল কুঞ্জে প্রথমবারের মতো আয়োজিত প্রমো ফেস্টিবলে অংশ নেন। এদিন প্রমো ফেস্টিবল’কে ঘিরে নারিকেল কুঞ্জ দ্বীপে হাজার হাজার পর্যটকরা ভিড় জমায়। নবনির্মিত ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে শত শত পর্যটকরা একসাথে আসা-যাওয়া করার সময় হঠাৎ ব্রিজটি একদিকে একটু কাত হয়ে পড়ে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী’কে বদনাম করে সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে একটা চক্র মাঠে নেমে পড়ে এবং তারা প্রচার করতে থাকেন ঝুলন্ত ব্রীজটি নাকি ভেঙ্গে পড়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বুধবার আমাদের প্রতিনিধি নারিকেল কুঞ্জে ছুটে যান এবং ঝুলন্ত ব্রিজের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দেখেন। শেষে এলাকাবাসী এবং পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন ব্রিজটি সুরক্ষিত অবস্থায় আছে। বর্তমানে ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে পর্যটকদের আসা যাওয়া করতে কোন ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। এ বিষয়ে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিৎ দেববর্মা সংবাদ মাধ্যমের সামনে উনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন ব্রিজ উদ্বোধনের কিছু সময়ের পর একটা মহল থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে। তিনি বলেন একচুয়ালি সত্যিকারের ঘটনা এমনটা নয়। এদিন তিনি ব্রিজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন ঝুলন্ত ব্রিজ’টা টোটালি কেবলের উপরে। যে কোন ব্রিজ একটা ক্যাপাসিটির উপর নির্ভর করে ডিজাইন করা হয়ে থাকে। গতকাল ব্রিজ উদ্বোধনের পরপরই স্বাভাবিকভাবে পর্যটকদের উৎসাহ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তখন ক্যাপাসিটির বাইরে অধিক সংখ্যক পর্যটক ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াতের ফলে নারিকেল কুঞ্জের শেষ অংশে কেবলের সাপোর্ট’টি ডিল হয়ে যায়। যেটা ব্রীজের উপর দিয়ে পর্যটকদের যাতায়াত করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। খুব অনায়াসে যাতায়াত করা যায়। কোন ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ারও কথা নয়। শুধু একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের ২১ তারিখ ত্রিপুরা রাজ্যে এক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল । তার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গোমতী জেলার অমরপুর মহকুমা । গোমতী নদীর বন্যার জল সমস্ত মহকুমায় প্লাবিত করে । এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এবং সরকারি বিভিন্ন সম্পত্তি । বন্যার জলে ভেঙে পড়ে রাস্তাঘাট , অঙ্গনওয়ারী সেন্টার , বিভিন্ন সরকারি অফিস এবং গোমতী নদী লাগুয়া বিভিন্ন সরকারি রাস্তা । মঙ্গলবার দুপুরে গোমতী জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা ও অমরপুর কেন্দ্রের বিধায়ক রঞ্জিত দাস , অমরপুরের বিডিও এবং বীরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের নিয়ে অমরপুরের বিভিন্ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন জেলা শাসক। বীরগঞ্জ সেতুর কাছে এবং মধ্যপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা প্রদর্শন করেন বিধায়ক ও জেলাশাসক । গোমতী জেলা শাসককে এদিন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন বিধায়ক এবং জেলা শাসকের কাছে বিধায়ক জানিয়েছেন আগামী দিনে অমরপুর মহকুমাকে পুনরায় আগের মত সাজিয়ে তুলতে হলে প্রচুর অর্থরাশির প্রয়োজন তার জন্য জেলাশাসক যেন উদ্যোগ গ্রহণ করে এই জেলার মহকুমাকে যেন পুনরায় সাজিয়ে তুলতে পারে । এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের নজরে গোটা বিষয়টি যেন নিয়ে যাওয়া হয় এই বিষয়ে জেলাশাসক সম্পূর্ণ বিষয়টি জানাবেন বলে জানা গিয়েছে এদিন প্রশাসনিক সূত্রে। যেভাবে বিভিন্ন সড়ক পথ গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যার কারণে তার ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন অমরপুর মহকুমাবাসী । পাশাপাশি গোমতী নদী সংলগ্ন যে সকল রাস্তাঘাট বর্তমানে বালুর চড়ে পরিণত হয়েছে এর ফলে বিভিন্ন সড়কের অবস্থা বর্তমানে খারাপ রয়েছে। খুব শীঘ্রই যেন পূর্ত দপ্তর থেকে এই সকল রাস্তাঘাট কে নতুনভাবে সারাই করা হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা যায় ।
- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৩০ নভেম্বর ।। অনুষ্ঠিত হয় চড়িলাম ব্লক ভিত্তিক কৌশল মেলা । শনিবার চড়িলাম লীলাদেব স্মৃতি কমিউনিটি হলে “কৌশল মেলার ” আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন করে মেলার উদ্বোধন করেন সিপাহীজলা জেলা পরিষদের এডুকেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি সীমা ভৌমিক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চড়িলাম ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৃত্তিকা সাহা, চড়িলাম পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান রাধা বল্লব দেবনাথ, চড়িলাম বি এ সির ভাইস চেয়ারম্যান রামমোহন দেববর্মা, উওর চড়িলাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সরস্বতী দেবনাথ। অনুষ্ঠানে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনার মাধ্যমে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবক যুবতীদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং সার্টিফিকেট প্রাপ্ত বিকলাঙ্গ বেকারদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা হয়। এছাড়া সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, ন্যাশনাল কেরিয়ার সেন্টার, আই টি আই হেল্প ডেক্স সহ বিভিন্ন দপ্তরের ষ্টল খোলা হয়। প্রতিবন্ধী যুবক-যুবতীদের বিকল্প রোজগারের দিশা দেখানোর জন্য প্রশিক্ষণে ইচ্ছুকদের নথিভুক্ত করা হয়। চড়িলাম ব্লক ভিত্তিক কৌশল মেলায় চড়িলাম ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি থেকে যুবক-যুবতীরা অংশগ্রহণ করেন।