প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১০ জানুয়ারি।। ঐতিহ্যবাহী বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । শনিবার বিশালগড় নতুন টাউন হলে সাড়া জাগানো অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ছিলেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, বিশালগড় ব্লক শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তপন দাস, স্কুলের এসএমসি চেয়ারম্যান নিতাই চৌধুরী, সম্পাদক ভাস্কর চক্রবর্তী, জেলা শিক্ষা আধিকারিক মলয় ভৌমিক, রাউৎখলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমারানী সাহা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিচার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি বিশ্বজিৎ দেববর্মা। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তথা অনুষ্ঠানের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার দাস প্রতিবেদন পেশ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে রাজ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের তথ্য তুলে ধরেন। বিধায়ক তথা এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সুশান্ত দেব ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। আর বাবা যতই গরীব হোক তিনি সন্তানের স্বপ্ন পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে। তাই জীবনে যত বড়ই হও না কেন মা-বাবার স্থান যেন বৃদ্ধাশ্রমে না হয়ে হৃদয়ে থাকে। এছাড়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের শ্রদ্ধা সম্মান জানাতে হবে । সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্বপ্ন জাগিয়ে তোলার জন্য অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ভারতবর্ষ ছিল একমাত্র শিক্ষার পিঠস্থান। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষার্থীরা এসে নালন্দা তক্ষশীলায় পড়াশোনা করতেন । নালন্দা কে পুনরাই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেনি কেউ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের বাহক নালন্দা কে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকার চলে যাওয়ার পরেও ব্রিটিশের দ্বারা চালু করা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই উপনিবেশিক ভাবধারা থেকে বেরিয়ে নয়া শিক্ষা নীতি চালু করেছেন। অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একক এবং দলগত সংগীত নৃত্য পরিবেশন করেন। সংগীত, নৃত্য, আকস্মিক ভাষণ, আবৃতি ইত্যাদি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গুলি আগেই স্কুলে সম্পন্ন হয়েছিল। এদিন প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানাধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথি এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাছাড়া স্কুলের প্রতিটি শ্রেণীতে বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। গত বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। তাদের স্মারক এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। সবশেষে বর্ষসেরা দুজন ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। বর্ষসেরা ছাত্র নির্বাচিত হয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের দেবজিৎ দেবনাথ। বর্ষসেরা ছাত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী মৌসুমী পাল। স্কুলের এনসিসি এবং এনএসএস ইউনিটের ছাত্রছাত্রীদের সহায়তায় সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিরলস প্রচেষ্টায় অত্যন্ত শৃঙ্খলা পরায়ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এ বছরের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
দেশ
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১১ জানুয়ারি:- নারিকেল কুঞ্জে আবারো যাত্রী নিয়ে উল্টে যায় নৌকা। ঘটনা শনিবার বিকাল চারটায় ডুম্বুর জলাশয়ের নারিকেল কুঞ্জ এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় এদিন ১৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি মেশিনের নৌকা নারিকেল কুঞ্জ পর্যটন কেন্দ্রে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নৌকাটি নারিকেল কুঞ্জের কাছাকাছি আসতেই উল্টে যায়। দূর থেকে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পেরে আশপাশ এলাকার লোকজনেরা দ্রুত ছুটে এসে সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। যদিও দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন অল্পবিস্তর আহত হয়। উল্লেখ্য গত মাস থেকে এ পর্যন্ত তিন তিনটি যাত্রী বোঝাই নৌকা দুর্ঘটনার শিকার হয়। নারিকেল কুঞ্জে পরপর নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেক পর্যটক এই ভয়ে নৌকায় উঠতে চাইছে না। পর্যটকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে নৌকার মাঝিদের আরো বেশি করে সতর্কতা অবলম্বনের।
প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জানুয়ারি৷৷ দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বিকশিত ভারত ইয়ং লিডার্স ডায়ালগ ও রাষ্ট্রীয় যুব উৎসবে লোকনৃত্য বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করলো ত্রিপুরার লোকনৃত্য দল৷ গতকাল থেকে রাজধানী দিল্লিতে শুরু হয়েছিল বিকশিত ভারত ইয়ং লিডার্স ডায়ালগ-২০২৫৷ আগামীকাল জাতীয় যুব দিবসের মধ্যে দিয়ে তিনদিনব্যাপী এই উৎসবের সমাপ্তি হবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত হতে চলা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন যেখানে সারা ভারত থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩ হাজার যুবাকে বাছাই করা হয়েছে৷ তাদের নিয়েই চলছে এই অনুষ্ঠানটি৷ সেখানে চলছে বিভিন্ রাজ্যের নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে উপস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতা৷ এই প্রতিযোগিতায় ত্রিপুরার প্রতিযোগীরা ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য করে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছে৷
রাষ্ট্রীয় মঞ্চে ত্রিপুরাকে গৌরবান্বিত করায় লোকনৃত্য দলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। এদিন তিনি সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, ত্রিপুরার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির এই উজ্জ্বল প্রতিনিধিত্ব আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে।
গোমতী জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতি উদ্যোগে ব্যাপক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ক এবং জেলা ভিত্তিক আশা কনভেনশনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বুধবার উদয়পুর রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে গোমতী জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতি উদ্যোগে ব্যাপক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ক এবং জেলা ভিত্তিক আশা কনভেনশনের কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে ছোট্ট চারা গাছে জল দিয়ে শুভ সূচনা করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, এই ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা,উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতলচন্দ্র মজুমদার, গোমতী জেলার চিফ ম্যাডিকেল অফিসার ডঃ কমল রিয়াং সহ আরো অন্যান্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকগন। এই অনুষ্ঠানে আশা ও আশা ফ্যাসিলিটেটর সেরা পারফর্মিং এবং যারা বন্যা সমাধানের সময় অনায়াসে কাজ করেন ১৩ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করেন । অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, আশা কর্মীদের উৎসর্গের প্রশংসা করেন। “আশা কর্মীরা যেভাবে প্রতিটি গ্রামে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। যে তারা আগামী দিনে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিকে জনগণের কাছে নিয়ে আসতে থাকবে।
তিনি আরোও বলেন , রাজ্য আশা কর্মীরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আশা কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। আশা কর্মীরা তাদের পরিষেবার উন্নতির জন্য সরকারের কাছে অনেক দাবি করে, এবং তাদের চাহিদাগুলি স্বীকার করতে এবং সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের চলমান সহায়তার লক্ষ্য এই প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের আরও ক্ষমতায়ন করা। গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে আশা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৭ জানুয়ারি ।। ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষামুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১০০ দিনের মধ্যে যক্ষা মুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প নেয়া হয়েছে । গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা রাজ্যেকে ১০০ দিনের মধ্যে যক্ষা মুক্ত করার ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন । এরপর থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে যক্ষামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সেই কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা চলছে জেলা ভিত্তিক। মঙ্গলবার সিপাহীজলা জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে জেলার পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ড: সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দেবাশীষ দাস সহ দুই মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক, সকল পি এস সি ইনচার্জ, জেলার সবগুলি ব্লকের বিডিও এবং লাইন দপ্তরের আধিকারিকরা। সরকার বিনামূল্যে যক্ষার পরিক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা প্রদান করছে। এছাড়া পিএম নিক্ষয় যোজনায় মাসে ১০০০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। যক্ষার লক্ষণ যাদের শরীরে রয়েছে তাদের দ্রুত পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে জেলার সবগুলি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। রাজ্যে রক্ষায় মৃত্যুর হার ৬.১২ শতাংশ। সিপাহীজলা জেলায় মৃত্যুর হার সাত শতাংশ। গোমতী জেলায় সর্বাধিক দশ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে। সঠিক সময়ে রক্ষা সনাক্তকরণ করে চিকিৎসা সম্পন্ন করতে পারলে যক্ষার মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য এর জন্য রোগীদের ১ হাজার টাকা করে প্রদান করছে সরকার। এছাড়া যক্ষায় আক্রান্ত রোগীদের নিক্ষয় মিত্র হিসেবে নিযুক্ত হয়ে বহু গুণীজন প্রতিমাসে রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করছেন। এদিন জেলাশাসক ডাক্তার সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার দেবাশীষ দাস দুইজন যক্ষা আক্রান্ত রোগীর জন্য নিক্ষয় মিত্র হিসাবে পুষ্টিকর খাদ্য তুলে দেন। এছাড়া সমাজের বিভিন্ন অংশের নাগরিকদের কাছে নিক্ষয় মিত্র হিসেবে রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান জেলাশাসক ডাক্তার সিদ্ধার্থ শীব জয়সওয়াল।
উদয়পুর :- রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও মাতারবাড়ি আরডি ব্লক এবং উত্তর মহারানী গ্রাম পঞ্চায়েতের যৌথ উদ্যোগে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের মহারানীর জল উৎসব । বুধবার বিকেল চারটায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় মহারানী জল উৎসবের শুভ উদ্বোধন করবেন । এছাড়া থাকবে সমস্ত বিধায়কগন । এই দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , বিগত কুড়ি বছর যাবৎ মহারানী জল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । বর্তমানে এই জল উৎসব ভারত সরকার এই বছর থেকে শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের সাদামাটা ভাবে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে মহারানীতে। কিন্তু গত দুই বছরে যাবত এই জল উৎসব বিশাল পরিসরে এক জায়গা করে নিয়েছে সকলের মনে । এই বছর জল উৎসবে প্রথমে গোমতী নদী পূজন হবে এবং পাঁচজন পুরোহিত সেখানে থাকবেন । এছাড়া জল পূজন করা হবে । এছাড়া গোমতী নদীতে ছাড়া হবে মাছের পোনা । তাছাড়া থাকবে মাটির পাত্রের প্রদর্শনী। এছাড়া দুই কেজির উপরে থাকা বিভিন্ন মাছগুলিকে নিয়ে হবে প্রদর্শনী তাছাড়া থাকবে আর আটটি প্রদর্শনী স্টল । উৎসবের রূপ দেওয়া হচ্ছে এই বছর । কিন্তু বর্তমানে শুকা মরশুম চলছে । গোমতী নদীতে জলের পরিমাণ অনেকটাই কম রয়েছে। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক বলেন যদি জলের পরিমাণ নদীতে কমে থাকে তাহলে মহারানী ব্রিজের বাঁধ খুলে দেওয়া হবে । তারপরেও এই জল উৎসবকে আরো সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে সকলের প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে। সবমিলিয়ে এক উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে মহারানী জল উৎসব।
স্বস্তি হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে ১লা ফেব্রুয়ারী বিনামূল্যে মেগা অস্ত্রোপচার শিবির।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-স্বস্তি হেলথ কেয়ারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিশেষ মেগা অস্ত্রোপচার শিবিরের আয়োজন করতে চলেছে। এই বিষয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।উপস্থিত ছিলেন স্বস্তি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার ডাঃ সুমিত দাস এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য কিষানু সিনহা।ডাঃ দাস সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে এই মেগা শিবির অনুষ্ঠিত হবে।শিবিরে রাজ্যের প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপরোস্কোপিক সার্জন ডাঃ জে এল বৈদ্য এবং মেজর ডাঃ মাহবুর রহমান উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া,শিবিরে অংশ নেবেন ডাঃ সুমিত দাস নিজেও। রোগীদের ওপেন ও ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানা যায়।শিবিরের আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রোগীদের স্বস্তি হেলথ কেয়ারে যোগাযোগ করে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। আগ্রহীরা ৮১৩২৯৫৫১৯৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এবারও গরিব ও দুস্থ রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
একই দিনে স্বস্তি হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরও অনুষ্ঠিত হবে।প্রতিষ্ঠানটি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রসারে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে এবং আগামীতেও করবে বলে জানান ডাঃ সুমিত দাস।উল্লেখ্য যে,এই হাসপাতাল সূচনা লগ্ন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজেরাই সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়ে আসছে।
ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে মহামান্য রাজ্যপাল
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মনু নদীর অববাহিকায় সবুজ বনানীর কোলে আজ থেকে ৭৫ বছর আগে যে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল অনেক চড়াই-উৎরাই অতিক্রম করে আজ সেই বিদ্যালয় মহীরুহের মতো দাঁড়িয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের জীবনে শিক্ষার আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলিত করেছে।ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষের আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে মহামান্য রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লুর হাত ধরে। বিদ্যালয়ের এই স্বর্ণজ্জ্বোল মুহূর্তে সাক্ষী ছিলেন অনেক গুণীজনেরা।মহামান্য রাজ্যপালের আগমনের সাথে সাথেই জাতীয় সংগীতের সুরে সকলেই দেশমাতৃকার প্রতি অভিবাদন জানিয়েছেন।এরপর মঙ্গল শিখা প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন এবং ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ত্রিপুরার মহামান্য রাজ্যপাল। উপস্থিত ছিলেন ফটিকরায় বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুধাংশু দাস,সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ রঞ্জন পাল।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি নীলকান্ত সিনহা।উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ফটিকরায় কালচারাল সেল ও নৃত্য পরিবেশন করেন ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর ছাত্রীবৃন্দ। ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এই বিদ্যালয়টির প্রারম্ভিক সময়ের কথা প্রসঙ্গত উল্লেখ করেছেন।এই বিদ্যালয় তৈরীর ক্ষেত্রে যিনি মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রাক্তন বিধায়ক সমাজকর্মী সংস্কৃতিমনস্ক শিক্ষানুরাগী প্রয়াত গোপেশ রঞ্জন দেব। এছাড়াও অসংখ্য শিক্ষানুরাগী গুণীজনদের ঐকান্তিক প্রয়াস ও নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে এই ফটিকায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় তার ক্রমোন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার শক্তি সঞ্চারিত করেছিল।এই বিদ্যালয় বর্তমানে শিক্ষা, সংস্কৃতি,ক্রীড়া,বিজ্ঞান, প্রযুক্তি,জ্ঞান চর্চা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই জেলা তথা রাজ্যের অন্যান্য বিদ্যালয় কে টেক্কা দিয়ে চলছে। বিদ্যালয়ের ঝুলিতে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্তি হয়েছে।২০১৪ এবং ২০১৯ সালে ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক বেস্ট স্কুল অফ ত্রিপুরা এওয়ার্ড ফটিকরায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পেয়েছে। দুবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক সুজিত কুমার চৌধুরী ও কল্যাণ কুমার পুরকায়স্থ। যেখানে এই বিদ্যালয়টি রয়েছে সেখান থেকেই ফটিকরায় আম্বেদকর কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল তৎকালীন সময়ে। বর্তমানে বিধানসভার বিধায়ক তথা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের হাত ধরে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ত্বরান্বিত হচ্ছে। নতুনভাবে শুরু হয়েছে হেরিটেজ বিল্ডিং এর কাজ। যা কিছুদিনের মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে এই স্কুলের সৌন্দর্যায়নকে আরো পল্লবিত করবে।মন্ত্রী সুধাংশু দাস তার বক্তব্যে বিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং বর্তমান সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা সাথে যুক্ত হয়ে এই স্কুলের ক্রমোন্নয়ন এবং গুনগত শিক্ষা চর্চার প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করেন। মহামান্য রাজ্যপাল বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত বিধায়ক গোপেশ রঞ্জন দেবের স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামগত উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ফটিক রায় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় স্বমহিমায় আজ মহীরূহের মতো দাঁড়িয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে অগণিত বিদ্যার্থীদের মধ্যে। কেননা একটি স্কুলই হচ্ছে জীবন মুখরতার বিরলতর চত্বর,যেখানে মানুষ মানুষ হয়ে ওঠে মানুষের মধ্যে মানবিকতা বোধ জেগে ওঠে। মানুষের মধ্যে জীবনচর্চার সমস্ত উপাদান ভরে দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পর্ব শেষে তারপর আর্ট এক্সিবিশনের আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক উন্মোচন করেন মহামান্য রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-লোক সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে এবং কৈলাসহর পুর পরিষদের সহযোগিতায় আজ থেকে আইটিআই ময়দানে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী রাজ্য ভিত্তিক বাউল উৎসব-২০২৫। আজ সন্ধ্যা ৭টায় এই সাংস্কৃতিক আয়োজনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী টিংকু রায়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন,ত্রিপুরার সংস্কৃতির সঙ্গে বাউল সংগীতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।বাউল গান আমাদের লোকসংস্কৃতির একটি অপরিহার্য অংশ।এই আয়োজন রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করবে।তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন যে এই উৎসব রাজ্যের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে।এই বাউল উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য ত্রিপুরার লোক সংগীতের প্রচার ও প্রসার। দুদিনের এই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বাউল শিল্পীরা তাঁদের পরিবেশন করবে।রাজ্য ভিত্তিক এই বাউল উৎসব শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক উপভোগের ক্ষেত্রেই নয়,বরং ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মহাশ্মশান ঘাটে বিদ্যুৎ চালিত চুল্লির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ২রা জানুয়ারি। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশান ঘাটের বৈদ্যুতিক চুল্লির আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে। রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর, তেলিয়ামুড়ার উন্নয়নের পালকে যুক্ত হবে নবতম আরেকটি সংযোজন।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৩ ই জানুয়ারি তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি বসানোর জন্য রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উপস্থিতিতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন পর্ব সম্পন্ন হয়। এরপর যথারীতি দ্রুত গতিতে কাজ চলার পর বিগত বছরে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহার হাত ধরে উদ্বোধন পর্বও সম্পন্ন হয। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা মাথায় রেখে জেনারেটরের জন্য এতদিন চালু করা যাচ্ছিল না এই ইলেকট্রিক চুল্লি চালিত তেলিয়ামুড়ার মহাশ্মশান।
এবার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে আর কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হতে চলেছে তেলিয়ামুড়া মহা শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লি। এ বিষয় টি জানান তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার। শ্রী সরকার আরো জানান,মোট ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই ইলেকট্রিক চুল্লি চালু হয়ে গেলে তেলিয়ামুড়া বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে এবং তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশানের এই আধুনিকীকরণের জন্য রূপক সরকার রাজ্য সরকার সহ বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার সময়কালে তেলিয়ামুড়াতে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সেই সময়ে মৃতদেহগুলিকে সৎকারের জন্য আগরতলা শ্মশানে পাঠাতে পৌর পরিষদ কর্তৃপক্ষকে এবং প্রশাসনকে যথেষ্ট ব্যাগ পেতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার থেকেই তৎকালীন পুরো পরিষদ কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের নিকট প্রস্তাব পেশ করেছিল তেলিয়ামুড়াতে চুল্লিচালিত শ্মশান ঘাট নির্মাণের। রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়া মুড়ার বিধায়িকা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি করে আসে। এর ফলে ই আজ তেলিয়ামুড়া উন্নয়নের পালকে আরো একটি পালকের যাত্রা শুরু হতে চলেছে। এদিকে, তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির পাশাপাশি শ্মশান ঘাটের চারিদিকের আনুসঙ্গিক উন্নয়নের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।