কাঞ্চনপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই একাধিক বসত বাড়ি থেকে আসবাবপত্র। রবিবার রাতে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার সদর এলাকার কাঞ্চনপুর থানা সংলগ্ন বসত বাড়িতে আচমকা বিধ্বংসী অগ্নি কান্ড সংগঠিত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে হয়েছে বলে অনুমান। তবে এই অগ্নিকাণ্ড থেকে কাঞ্চনপুর অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের বেহাল চিত্র ধরা পড়েছে।এই দপ্তরের কর্মীরা সারা বছর বসে সবে বেতন গুনছেন। কেবল দুর্যোগের সময় তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু দেখা গেল রবিবার কাঞ্চনপুরের অগ্নি কান্ডে অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের ইঞ্জিন আসার পর দুইটি ইঞ্জিন বিকল । অন্যদিকে দপ্তরের এই অপদার্থতার কারণে অগ্নিকাণ্ডে কাঞ্চনপুর অটো স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা কিছু বাড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের গাফিলতিতে ধীরে ধীরে আগুন আয়ত্বের বাইরে চলে যেতে থাকে। কাঞ্চনপুর অগ্নিনির্বাপন দপ্তরের নির্ধারিত মোবাইলে ফোন করলেও মোবাইল ধরার কেউ ছিল না। শেষ পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ মিনিট পর কাঞ্চনপুর অগ্নিনির্বাপক দপ্তর থেকে দুইটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে । ততক্ষণে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরও কাঞ্চনপুর অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরের অপদার্থতা দেখা গেল । আগুন নেভানোর কাজে আসার পর দেখা গেল কাঞ্চনপুর অগ্নিনির্বাপন দপ্তরের কোন ইঞ্জিন
কাজই করতে পারল না। ফলে আগুনের লেলিশিখা ছড়িয়ে পড়ে কাঞ্চনপুর সদর এলাকার পিএনবি ব্যাংকের কাঞ্চনপুর শাঁখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শশাঙ্ক চাকমা এবং তার বড় ভাই দেবব্রত চাকমার প্রায় দশ বার টি ঘর। অগ্নিনির্বাপক দপ্তর নিরব হয়ে বসে থাকে। আগুনের লেলিশিখা দেখে কিছু যুবক ক্ষুব্ধ হয়ে অগ্নিনির্বাপক কর্মিদের গনধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও কিছু মানুষ ক্ষুব্ধ যুবকদের আটকায়। আশপাশের এলাকার মানুষের চিৎকারে আশপাশ এলাকার যুবকরা এবং কাঞ্চনপুর থানার আরক্ষা কর্মিরা আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়। সবচেয়ে নজিরবিহীন ঘটনা হলো আগুন যখন আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছিল এবং অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় তখন এলাকার মানুষ টি এস আর ১৩ নম্বর ব্যাটালিয়নে ফোন করে আগুন নেভানোর কাজে তাদের সাহায্য চাইলেও কাঞ্চনপুর সুভাষনগরস্থিত ১৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন থেকে কোন সাহায্য করা হয় নি। যদিও কাঞ্চনপুর থানার আরক্ষা কর্মি ও কিছু যুবকের চেষ্টা ও তৎপরতা এবং ঘন্টা খানেক পর কাঞ্চনপুর পুলিশ স্টেশনের পুকুর জল এনে এলাকার যুবকরা এবং আরক্ষা কর্মিরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে । কিন্তু এর আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দশবারটি বাড়ি ঘর । পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন আয়ত্বে আসে । প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। শশাঙ্ক চাকমার তিন তালা দালান বাড়ির বেশ ক্ষতি হয়েছে । আগুনে দুইটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেঁটে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে । এদিকে আগুন লাগার কারণ হিসাবে বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত শশাঙ্ক চাকমা দাবি করেন। তবে এলাকার মানুষের অভিমত মোমবাতি ফেক্টরি থেকে আগুন লেগেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । এদিকে কাঞ্চনপুর অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের কাজ কর্মে এলাকার মানুষ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ । কাঞ্চনপুর অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের কাউকে রাতে কোন ডিউটিতে পাওয়া যায় না। । মদ জুয়ায় মজে থাকে কাঞ্চনপুর মহকুমা অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের অফিসটি । আগুন যেখানে লাগে সেখান থেকে অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের দূরত্ব এক কিলোমিটার থেকে কম। আর এই এক কিলোমিটার পথ যেতে অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের সময় লেগেছে এক ঘন্টা। জানা গেছে কাঞ্চনপুর অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের এই অপদার্থতার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসকের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গনডেপুটেশন দেবে।
দেশ
সংবাদ প্রকাশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রিয়াং জনজাতীয় অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থা এবং তিপ্রা মথা্র প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার : ঘটনার বিবরণে জানা যায় তাকমাছড়া এডিসি ভিলেজের ৫২ কলোনী খন্ডলপাড়ায় প্রায় ৫০টি রিয়াং জনজাতি অংশের পরিবারের বসবাস। প্রায় সকল পরিবারই কৃষি এবং রাবার উৎপাদনের মধ্যে তাদের জীবন জীবিকা করে। ৫২ কলোনির খন্ডলপাড়া এক রিয়াং অসহায় পরিবার দীর্ঘদিন এই জমিতে ফসলের পাশাপাশি গত দু’বছর আগে একটি রাবার বাগান করেন। প্রায় ৩৫০টি চারা রোপণ করেন। বিবরণী জানা যায় কিছুদিন আগে হঠাৎ শান্তির বাজার বনদপ্তর গিয়ে এবং তাকমা ছড়া টিএফডিপিসির তিনজন অস্থায়ী শ্রমিককে নিয়ে সেই বাগানটিকে কেটে ধ্বংস করে বলে অভিযোগ। এই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় গরিব পরিবারের এই দুরবস্থার কথা খবর পেয়ে ছুটে যান বীরচন্দ্র মনু দক্ষিণ জুনাল জয়েন চেয়ারম্যান হরেন্দ্র বিয়াং এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল। এই ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটি পরিদর্শন শেষে এই অসহায় পরিবারটিকে আগামী দিন সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি অসহায় পরিবারটির যারা ক্ষতি করেছে এইভাবে রাবার এবং জুমের সবজি কেটে এই ধরনের অমানবিকতার করেছেন, তাদের চিহ্নিত করার দাবিতে ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার রাজ্য কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং এক প্রতিনিধি দল নিয়ে তাকমা ছড়া রাবার ফ্যাক্টরি ডিএম জিন্দাল দেববর্মা সঙ্গে দেখা করেন। কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করা যায় তা নিয়েও বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা করেন এই প্রতিনিধি দল। অপরদিকে তাকমাছড়া টিএফডিপিসির অফিসার ইনচার্জ ফটিক জমাতিয়া ঐদিন উনি ছুটিতে ছিলেন কিন্তু তারপরেও উনার বিরুদ্ধে কিছু লোক বৃত্তিহীন অভিযোগ করার চেষ্টা করছে বলে উনার এবং তাকমা ছড়া টিএফডিপিসির দপ্তরের তরফ থেকে জানা যায় । সব মিলিয়ে অসহায় পরিবার চাইছেন তাদের পুনরায় ওই জাগাতে রাবার বাগান করে দেয়া হোক সরকার বা দপ্তরের তরফ থেকে।
উদয়পুরে ৫ টি ক্লাবকে শারদ সম্মান দেওয়া হয় স্বর্ণকমল জুয়েলার্সের উদ্যোগে
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- প্রতি বছরের মতো এই বছরও স্বর্ণকমল জুয়েলার্সের উদ্যোগে শারদ অর্ঘ্য শারদ সম্মান ২০২৪ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এই বছর প্রথম উদয়পুরে পাঁচটি ক্লাবকে শারদ সম্মান করে পুরস্কারে ভূষিত করা হয় । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বর্ণকমল জুয়েলার্সের কর্ণধার গোপাল চন্দ্র নাগ । শুক্রবার স্বর্ণালী সন্ধ্যায় উদয়পুর শোরুমের সামনে এক অনুষ্ঠিত হয় শারদ সম্মান। এবছরের দুর্গাপূজায় উদয়পুরে পাঁচটি ক্লাবকে বাছাই করা হয় । তার মধ্যে টপ দুই – শিরোপা অর্জন করে নিয়েছে দুইটি ক্লাব । যথাক্রমে সুব্রত ক্লাব ও ইয়ুথ ক্লাব । এছাড়া আরো বাকি তিনটি ক্লাবকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয় । এরমধ্যে রয়েছে ফ্লাওয়ার্স ক্লাব, রবীন্দ্র সংঘ ও জুয়েল ক্লাব । ২ টি ক্লাবকে পাঁচ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয় । কখনো কোনো স্বর্ণ প্রতিষ্ঠান এইভাবে ক্লাবগুলিকে পুরস্কারে ভূষিত করেনি বিগত দিনে। যা এই বছর প্রথম স্বর্ণকমল জুয়েলার্স লাগিয়ে দিয়েছে এই ধরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করে । গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদয়পুর সেন্ট্রাল রোডে স্বর্ণকমল জুয়েলার্স এর শোরুমের সামনে ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায় ।
- প্রতিনিধি মোহনপুর:- রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ব্রহ্মকুন্ড মেলা প্রাঙ্গণকে নতুন কলেভরে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ নিল দপ্তর। উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে শুক্রবার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বৈঠক। মন্ত্রী, ইএম সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের উপস্থিতিতে করা হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা।
- ব্রহ্মকুন্ডু মেলা ইতিমধ্যেই রাজ্যের গণ্ডি ছারিয়ে বহিঃ রাজ্যে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। প্রতিবছর রাতে ভিড় বাড়ছে ধর্মপ্রাণ এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষদের। বর্তমান রাজ্য সরকার পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে এই মেলা প্রাঙ্গণকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শুক্রবার লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের নিয়ে মন্ত্রী উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বৈঠক। এই বৈঠকে দপ্তরের তরফে যে সমস্ত পরিকল্পনা রয়েছে এই মেলা প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তোলার জন্য সে প্রসঙ্গে প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিন এই কর্মসূচি সম্পর্কে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন গোটা পৃথিবীতে পর্যটন একটি আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে। ভারতবর্ষের বেশ কিছু রাজ্য পর্যটনের উপর ভর করে তাদের অর্থনীতি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ত্রিপুরার এই ব্রহ্মকুন্ডু মেলাকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে নেয়া হয়েছে এক গুচ্ছ প্রকল্প। পর্যটন দপ্তরের তরফে ব্রহ্ম কুণ্ড মেলা প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তুলতে ১৪.৪৯ কোটি টাকার খরচ অর্থ ধার্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি আরো জানান এই মেলা প্রাঙ্গণকে আকর্ষণীয় করে তুলতে টুরিস্ট সেড, পার্কিং জুন, শ্লুইচ গেটের উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এদিনের সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, টিটি এএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
খোয়াই জেলা সফরে আসেন কেন্দ্রীয় পরিবহন ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় রাজ্য প্রতিমন্ত্রী অজয় তমন্টা
প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারত সংকল্প প্রকল্প খতিয়ে দেখতে খোয়াই জেলা সফরে আসেন কেন্দ্রীয় পরিবহন ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় রাজ্য প্রতিমন্ত্রী অজয় তমন্টা। আজ সকাল দশটা নাগাদ খোয়াইতে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। প্রথমে খোয়াই জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে রিভিউ বৈঠকে শামিল হন তিনি । এই বৈঠকে খোয়াই জেলার স্বাস্থ্য, সড়ক, যোগাযোগ,জলজীবন মিশন সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই দিনের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা শাসক চাঁদনী চন্দ্রন, কৃষি,হটিকালচার, স্বাস্থ্য দপ্তর সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ। এদিন পর্যালোচনা বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ব্লক লেভেলে গড়ে ওঠা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলো সরোজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। পরিশেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে বিকশিত ভারত গঠনে যে সংকল্প নেওয়া হয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার জন্য তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চল সফর করছেন। আজ খোয়াই জেলা কার্যালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠক থেকে যেখানে যেখানে দুর্বলতা রয়েছে সেগুলিকে কাটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৩ অক্টোবর।। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত কয়েদির নাম দিলীপ দেববর্মা। বুধবার সকালে শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় দিলীপ দেববর্মাকে। ঘটনা জানাজানি হতেই বিশালগড় প্রভুরামপুর স্থিত কেন্দ্রীয় সংশোধনে প্রশাসনিক দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত। খবর দেয়া হয় মৃত দিলীপের বাড়িতে। বেলবাড়ি থেকে সংশোধনাগারে ছুটে যান দিলীপের পরিবারের লোকজন। জানা যায়, ২০১৬ সালে একটি মামলায় দিলীপ দেববর্মকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে আদালত। প্রায় নয় বছর সাজা ভোগ করে নিয়েছে সে। আর কিছুদিন পরেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা৷ কিন্তু কী কারণে হঠাৎ আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো সে তা জানা যায়নি। এদিনই ময়নাতদন্তের পর দিলীপের নিথর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। দিলীপের স্ত্রী তিন কন্যা এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কারা আবাসিক দিলীপের অকাল প্রয়াণে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে কী করে একজন কারা আবাসিক আত্মহত্যা করলো তা বোধগম্য হচ্ছে না। সংশোধনাগরে মাদক পাচার, কয়েদি পলায়ন সহ নানা বেআইনি কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারে কয়েদি আত্মহত্যার ঘটনায় সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান কুমারঘাটে
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান নিয়ে আজ ২৩শে অক্টোবর আর জিএম হাসপাতালে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেসকা কর্মসূচির ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার ড:অয়ন রায় এবং সাব ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডঃ পাপিয়া রুদ্রপাল। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ২৪ শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি শূন্য থেকে নয় বছর বয়সের শিশুদের রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে শহর এবং গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়,অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার,নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি স্থানে ০-১৯ বছরের শিশুদের যথাযথ বিকাশ এবং সম্পূর্ণভাবে রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুপরামর্শ এবং ঔষধ খাওয়ানো হবে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডক্টর অয়ন রায় জানান টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া টিকাকরণ কর্মসূচি,আয়রন ও ফলিক এসিড পরিপূরক, মাতৃদুগ্ধপান বিষয়ে সচেতনতা,এইচ বি এন সি এবং এইচবি ওয়াইসি, ভিটামিন এ পরিপূরক,পোষন অভিযান,কৃমিনাশক কর্মসূচি,হাম-রুবেলা কর্মসূচি,এএফপি নজরদারি, কিশোরী বিবাহ ও গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ,নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ, আইডিসিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ঔষধ এবং এনসিডি স্ক্রিনিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৭.০ এর সফল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের অঙ্গীকারে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি চলতে থাকা এই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ্য শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের ষষ্ঠ পর্যায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং রাজ্যের মধ্যে ঊনকোটি জেলা সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে।২৪শে অক্টোবর রাজ্য ভিত্তিক এই কর্মসূচির শুভ সূচনা করবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে ঊনকোটি জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতিকে সম্মানিত করা হবে বলে জানা যায়।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার সব থেকে বড় উৎসব মাতাবাড়িতে আগামী ৩১ শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে দেওয়ালি মেলা । এই মেলাতে সার্বিক সুন্দর রূপ দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে । সোমবার দুপুরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় মাতাবাড়ি প্রসাদ প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন । সাথে ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ প্রমুখ । এদিন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ঘুরে দেখলেন গোটা প্রসাদ প্রকল্পের কাজ । সেই সাথে প্রসাদ প্রকল্পের কাজের সাথে যে সকল ঠিকাদাররা জড়িত রয়েছে তাদেরকে নির্দেশ দেন খুব তাড়াতাড়ি যেন কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দেওয়া যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে । একই সাথে এদিন মন্ত্রী খোঁজ নেন এই বছরের দেওয়ালী মেলার কাজকর্ম নিয়ে। এদিন মন্ত্রী জেলাশাসকের সাথে কথা বলেন এবং জানতে চান মূল মেলার কেন্দ্রবিন্দু থেকে শুরু করে অন্যান্য আনুষঙ্গিক অন্যান্য যে বিষয়গুলি রয়েছে সেগুলি কখন এবং কিভাবে কাজ করা হবে। গোটা বিষয়ে কথা বলেন তিনি জেলা শাসকের সাথে। পরবর্তী সময় গোমতী জেলা শাসকের কনফারেন্স হলঘরে জেলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ও অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ কনফারেন্স হল ঘরে এক জরুরী বৈঠক বসে মাতারবাড়ির দেওয়ালি মেলা কে নিয়ে । মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মায়ের মূল মন্দির সাজানো নিয়ে কথা হয় এদিন। সেই সাথে মায়ের মন্দিরের চারদিক আলোকমালা সাজানো নিয়ে কথা বলা হয়। মেলার তিন দিন যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য জেলা শাসক কে বলা হয়েছে বলে জানা যায় বৈঠকের সূত্রে । দিনভর এই দিন ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে দেওয়ালি মেলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ব্যস্ততা দেখা যায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের মধ্যে ।
বজ্রপাতে আহত এক মহিলা। ঘটনা শুক্রবার সন্ধ্যায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এই দিন সন্ধ্যা রাতে বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত তৈরি হয়। সেই সময় মিলন দাস নামে এক মহিলা খোয়াই এর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। বজ্রপাতের কারণে উক্ত মহিলা গুরুতর ভাবে আহত হয় । আহত মহিলা কে কল্যাণপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে উনাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে উনি খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- কাঁকড়াবন- উদয়পুর সড়কে সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে গোমতী জেলা প্রশাসন । শনিবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে এক নির্দেশিকার মধ্য দিয়ে । কেন কাকরাবন সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ? এই নিয়ে সরজমিনে খোঁজ নেয় আমাদের প্রতিনিধি । জানা যায় , সোনামুড়া সীমান্তপুরের সাথে বাণিজ্যিক কাজকর্ম শুরু হবে আগামী দিনে। এর ফলে পণ্যবাহী লরি কাকরাবন সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করবে । পাশাপাশি কাকরাবন সড়কটিকে আরো বড় আকারে তৈরি করা হবে। কিন্তু কাকরাবন সেতুটির ক্ষমতা কতটুকু রয়েছে বিশাল আকার পন্যবাহী লরির ওজন ধারণ করতে পারবে কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ দানা বাদে ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে । ২০০৪ সালে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল । তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে কুড়িটি বছর । সেতুটি দৈর্ঘ্যে রয়েছে ১২৭ ফুট ও পাশে রয়েছে সাত দশমিক ৫০ ফুট । বর্তমানে এই সেতুর ক্ষমতা কতটুকু রয়েছে তা দেখার জন্য জেলা প্রশাসন এক নির্দেশিকা জারি করে। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল । আগামী একশো কুড়ি ঘন্টা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। শনিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয়েছে সেতুর পরীক্ষার কাজ । ইতিমধ্যেই সেতুর ২ পাশে বালির বস্তা ও পুলিশের বেরিগেইট দিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে । যদি সেতুটি সম্পূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যায় তাহলে বিকল্প কোন আর সেতু তৈরি হবে না বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে যদি পরীক্ষায় কোন ধরনের ভালো রিপোর্ট না আসে তাহলে আরো একটি সেতু নির্মাণ করা হতে পারে তার পাশে এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে । কাঁকড়াবনে সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ রাখার ফলে সমস্যায় পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা । বর্তমানে আগামী পাঁচ দিন দূরপাল্লার যাত্রীরা অন্য সড়ক ধরে উদয়পুর এবং সোনামুড়া ও মেলাঘরে যেতে হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে জানানো হয়েছে । প্রতিদিন নানারকম ভাবে সেতুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা যায় ইঞ্জিনিয়ারদের সূত্রে। সেতু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে কোন ধরনের যাতে সমস্যা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশের নাকা পয়েন্ট বসানো হয়েছে কাকরাবন সেতুর পাশে ।