প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারত সংকল্প প্রকল্প খতিয়ে দেখতে খোয়াই জেলা সফরে আসেন কেন্দ্রীয় পরিবহন ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় রাজ্য প্রতিমন্ত্রী অজয় তমন্টা। আজ সকাল দশটা নাগাদ খোয়াইতে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। প্রথমে খোয়াই জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে রিভিউ বৈঠকে শামিল হন তিনি । এই বৈঠকে খোয়াই জেলার স্বাস্থ্য, সড়ক, যোগাযোগ,জলজীবন মিশন সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই দিনের এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা শাসক চাঁদনী চন্দ্রন, কৃষি,হটিকালচার, স্বাস্থ্য দপ্তর সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ। এদিন পর্যালোচনা বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ব্লক লেভেলে গড়ে ওঠা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলো সরোজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। পরিশেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে বিকশিত ভারত গঠনে যে সংকল্প নেওয়া হয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার জন্য তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চল সফর করছেন। আজ খোয়াই জেলা কার্যালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠক থেকে যেখানে যেখানে দুর্বলতা রয়েছে সেগুলিকে কাটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশ
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৩ অক্টোবর।। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত কয়েদির নাম দিলীপ দেববর্মা। বুধবার সকালে শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় দিলীপ দেববর্মাকে। ঘটনা জানাজানি হতেই বিশালগড় প্রভুরামপুর স্থিত কেন্দ্রীয় সংশোধনে প্রশাসনিক দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত। খবর দেয়া হয় মৃত দিলীপের বাড়িতে। বেলবাড়ি থেকে সংশোধনাগারে ছুটে যান দিলীপের পরিবারের লোকজন। জানা যায়, ২০১৬ সালে একটি মামলায় দিলীপ দেববর্মকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে আদালত। প্রায় নয় বছর সাজা ভোগ করে নিয়েছে সে। আর কিছুদিন পরেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা৷ কিন্তু কী কারণে হঠাৎ আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো সে তা জানা যায়নি। এদিনই ময়নাতদন্তের পর দিলীপের নিথর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। দিলীপের স্ত্রী তিন কন্যা এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কারা আবাসিক দিলীপের অকাল প্রয়াণে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে কী করে একজন কারা আবাসিক আত্মহত্যা করলো তা বোধগম্য হচ্ছে না। সংশোধনাগরে মাদক পাচার, কয়েদি পলায়ন সহ নানা বেআইনি কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারে কয়েদি আত্মহত্যার ঘটনায় সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান কুমারঘাটে
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান নিয়ে আজ ২৩শে অক্টোবর আর জিএম হাসপাতালে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেসকা কর্মসূচির ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার ড:অয়ন রায় এবং সাব ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডঃ পাপিয়া রুদ্রপাল। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ২৪ শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি শূন্য থেকে নয় বছর বয়সের শিশুদের রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে শহর এবং গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়,অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার,নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি স্থানে ০-১৯ বছরের শিশুদের যথাযথ বিকাশ এবং সম্পূর্ণভাবে রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুপরামর্শ এবং ঔষধ খাওয়ানো হবে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডক্টর অয়ন রায় জানান টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া টিকাকরণ কর্মসূচি,আয়রন ও ফলিক এসিড পরিপূরক, মাতৃদুগ্ধপান বিষয়ে সচেতনতা,এইচ বি এন সি এবং এইচবি ওয়াইসি, ভিটামিন এ পরিপূরক,পোষন অভিযান,কৃমিনাশক কর্মসূচি,হাম-রুবেলা কর্মসূচি,এএফপি নজরদারি, কিশোরী বিবাহ ও গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ,নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ, আইডিসিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ঔষধ এবং এনসিডি স্ক্রিনিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৭.০ এর সফল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের অঙ্গীকারে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি চলতে থাকা এই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ্য শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের ষষ্ঠ পর্যায় সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং রাজ্যের মধ্যে ঊনকোটি জেলা সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে।২৪শে অক্টোবর রাজ্য ভিত্তিক এই কর্মসূচির শুভ সূচনা করবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে ঊনকোটি জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতিকে সম্মানিত করা হবে বলে জানা যায়।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার সব থেকে বড় উৎসব মাতাবাড়িতে আগামী ৩১ শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে দেওয়ালি মেলা । এই মেলাতে সার্বিক সুন্দর রূপ দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে । সোমবার দুপুরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় মাতাবাড়ি প্রসাদ প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন । সাথে ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ প্রমুখ । এদিন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ঘুরে দেখলেন গোটা প্রসাদ প্রকল্পের কাজ । সেই সাথে প্রসাদ প্রকল্পের কাজের সাথে যে সকল ঠিকাদাররা জড়িত রয়েছে তাদেরকে নির্দেশ দেন খুব তাড়াতাড়ি যেন কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দেওয়া যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে । একই সাথে এদিন মন্ত্রী খোঁজ নেন এই বছরের দেওয়ালী মেলার কাজকর্ম নিয়ে। এদিন মন্ত্রী জেলাশাসকের সাথে কথা বলেন এবং জানতে চান মূল মেলার কেন্দ্রবিন্দু থেকে শুরু করে অন্যান্য আনুষঙ্গিক অন্যান্য যে বিষয়গুলি রয়েছে সেগুলি কখন এবং কিভাবে কাজ করা হবে। গোটা বিষয়ে কথা বলেন তিনি জেলা শাসকের সাথে। পরবর্তী সময় গোমতী জেলা শাসকের কনফারেন্স হলঘরে জেলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ও অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ কনফারেন্স হল ঘরে এক জরুরী বৈঠক বসে মাতারবাড়ির দেওয়ালি মেলা কে নিয়ে । মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মায়ের মূল মন্দির সাজানো নিয়ে কথা হয় এদিন। সেই সাথে মায়ের মন্দিরের চারদিক আলোকমালা সাজানো নিয়ে কথা বলা হয়। মেলার তিন দিন যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য জেলা শাসক কে বলা হয়েছে বলে জানা যায় বৈঠকের সূত্রে । দিনভর এই দিন ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে দেওয়ালি মেলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ব্যস্ততা দেখা যায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের মধ্যে ।
বজ্রপাতে আহত এক মহিলা। ঘটনা শুক্রবার সন্ধ্যায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এই দিন সন্ধ্যা রাতে বৃষ্টিপাতের সাথে বজ্রপাত তৈরি হয়। সেই সময় মিলন দাস নামে এক মহিলা খোয়াই এর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। বজ্রপাতের কারণে উক্ত মহিলা গুরুতর ভাবে আহত হয় । আহত মহিলা কে কল্যাণপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে উনাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে উনি খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- কাঁকড়াবন- উদয়পুর সড়কে সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে গোমতী জেলা প্রশাসন । শনিবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে এক নির্দেশিকার মধ্য দিয়ে । কেন কাকরাবন সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ? এই নিয়ে সরজমিনে খোঁজ নেয় আমাদের প্রতিনিধি । জানা যায় , সোনামুড়া সীমান্তপুরের সাথে বাণিজ্যিক কাজকর্ম শুরু হবে আগামী দিনে। এর ফলে পণ্যবাহী লরি কাকরাবন সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করবে । পাশাপাশি কাকরাবন সড়কটিকে আরো বড় আকারে তৈরি করা হবে। কিন্তু কাকরাবন সেতুটির ক্ষমতা কতটুকু রয়েছে বিশাল আকার পন্যবাহী লরির ওজন ধারণ করতে পারবে কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ দানা বাদে ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে । ২০০৪ সালে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল । তারপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে কুড়িটি বছর । সেতুটি দৈর্ঘ্যে রয়েছে ১২৭ ফুট ও পাশে রয়েছে সাত দশমিক ৫০ ফুট । বর্তমানে এই সেতুর ক্ষমতা কতটুকু রয়েছে তা দেখার জন্য জেলা প্রশাসন এক নির্দেশিকা জারি করে। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল । আগামী একশো কুড়ি ঘন্টা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। শনিবার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয়েছে সেতুর পরীক্ষার কাজ । ইতিমধ্যেই সেতুর ২ পাশে বালির বস্তা ও পুলিশের বেরিগেইট দিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে । যদি সেতুটি সম্পূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যায় তাহলে বিকল্প কোন আর সেতু তৈরি হবে না বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে যদি পরীক্ষায় কোন ধরনের ভালো রিপোর্ট না আসে তাহলে আরো একটি সেতু নির্মাণ করা হতে পারে তার পাশে এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে । কাঁকড়াবনে সেতুর উপর যান চলাচল বন্ধ রাখার ফলে সমস্যায় পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা । বর্তমানে আগামী পাঁচ দিন দূরপাল্লার যাত্রীরা অন্য সড়ক ধরে উদয়পুর এবং সোনামুড়া ও মেলাঘরে যেতে হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে জানানো হয়েছে । প্রতিদিন নানারকম ভাবে সেতুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা যায় ইঞ্জিনিয়ারদের সূত্রে। সেতু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে কোন ধরনের যাতে সমস্যা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশের নাকা পয়েন্ট বসানো হয়েছে কাকরাবন সেতুর পাশে ।
কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মারঘেরিতা। এদিন সহায়ক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভায়
খোয়াই জেলাশাসক কার্যালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক শেষ করে তোলাশিখর ব্লকে স সহায়ক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা অংশগ্রহণ করলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মারঘেরিতা। এদিন সহায়ক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা শাসক চাঁদনী চন্দ্রন, খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। পরবর্তীতে তুলা শিখরে টি আর এল এম পরিচালিত মহিলাদের দ্বারা তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী দেখে মুগ্ধ কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী। এদিন তিনি ঘুরে দেখেন বিভিন্ন মহিলাদের দ্বারা তৈরি করার সামগ্রী গুলি। এর মধ্যে রয়েছে পাচরা, রিসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী। এরপর তুলাশিখরে বিভিন্ন কর্মসূচি শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হাতে হাত রেখে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি জি এবং রাজ্যে মানিক সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরা আরো অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। রেললাইনে কাটা পড়ে প্রাণ হারায় এক যুবক। যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে বিশালগড় থানার অন্তর্গত মধ্য ব্রজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আগরতলা সাব্রুম রেল পথে । আগরতলা থেকে সাব্রুম গামি ট্রেনের চাকার নিচে কাটা পড়ে দেহ দু টুকরো হয়ে যায় যুবকের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়ে রেললাইনে দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় কয়েকজন। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশ এবং বিশালগড় থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে রেল পুলিশ এবং বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় । পুলিশ প্রশাসন এবং রেলওয়ে পুলিশ মৃতদেহটি রেল রাস্তা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। যুবকটির পরিচয় জানা যায়নি। মৃতদেহটি ৭২ ঘন্টা সংরক্ষণ করে রাখা হবে। ৭২ ঘন্টা পর সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসারে পুলিশ প্রশাসন মৃতদেহটি তাদের নিজস্ব উদ্যোগে সৎকার করবে বলে জানিয়েছে বিশালগড় থানার পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশ এবং মহকুমা প্রশাসন।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ অক্টোবর।। দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাগ্রত থাকবে হাজারো পুলিশ টিএসআর বাহিনী। মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে উৎসবের দিনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি। পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর। জেলা পুলিশ সুপার জানান এবছর সিপাহীজলা জেলায় ৩৫৩টি পূজা হচ্ছে। গতবারের তুলনায় একটি পূজা বেড়েছে। এরমধ্যে ৩০১ টি পূজা হচ্ছে গ্রামীন এলাকায়। বড় বাজেটের পূজা হচ্ছে বিশালগড় এবং মেলাঘরে। এ দুটি শহরে দর্শনার্থীদের সংখ্যাও থাকে বেশি। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ১০০০ এর ও বেশি পুলিশ টিএসআর অফিসার জাগ্রত থাকবে। এরমধ্যে মহিলা পুরুষ মিলিয়ে ৫৬৮ জন টিএসআর মোতায়েন থাকবে। ৪৫ টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। ১২ টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩২ টি সিসিটিভি থাকবে। তিনি জানান পূজা আয়োজকদের সঙ্গে দফাই দফায় বৈঠক হয়েছে। মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাতে বলা হয়েছে আয়োজকদের। এছাড়া উৎসবের দিনগুলিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা সঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যানবাহন চালালে চালককে গ্রেফতার করা হবে গাড়ি এবং বাইক বাজেয়াপ্ত করা হবে। দূর্গা পূজার পরে এসব গাড়ি এবং বাইক ছাড়া হবে। দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে কোথাও কোন সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়ার আহ্বান জানান জেলা পুলিশ সুপার।
- প্রতিনিধি কৈলাসহর:-স্বচ্ছতার অঙ্গীকারে অঙ্গীকারবদ্ধ কৈলাসহর পুর পরিষদের স্বচ্ছতার কর্মসূচি এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে স্বচ্ছতা হি সেবা কর্মসূচিতে।১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে ২রা অক্টোবর অব্দি স্বচ্ছতা হি সেবা সপ্তাহ কর্মসূচিতে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে কৈলাসহর পুর পরিষদের স্বচ্ছ ভারত মিশন 2.O এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।যে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার কর্মসূচিতে যারা অংশগ্রহণ করেছেন পুর পরিষদের সকল কাউন্সিলর সহ ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৬০ জনকে সম্মানিত করা হয় এবং তার পাশাপাশি কৈলাসহর প্রেসক্লাব সহ ১২টি সংস্থাকে সংবর্ধিত করা হয়েছে।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলাশাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা।ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চ্যায়ারপার্সন চপলা দেবরায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিইও বিশ্বজিৎ দাস, জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস,এসবিএম এক্সপার্ট সৌরভ দাস এবং আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় সহ অন্যান্যরা।স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুর পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার বলেন সমস্ত সামাজিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের যৌথ অংশগ্রহণে এই কর্মসূচির জোরালো প্রচার এবং তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।তার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন সকলকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডিকে চাকমা বলেন, ঊনকোটি জেলার মধ্যে কুমারঘাট,কৈলাশহর এবং ফটিকরায় স্বচ্ছতার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাজারকে যেভাবে স্বচ্ছ রেখেছেন সেইভাবে পেচারথল কেও স্বচ্ছ রাখতে সেখানকার সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।তিনি তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন কেননা স্বচ্ছতা হি সেবা এই কর্মসূচিকে মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন সাংবাদিকরাই। তিনি বলেন ঊনকোটি জেলার মধ্যে ১০০টি এলাকাকে হটস্পট চিহ্নিত করে ১৫ দিনের চলমান এই কর্মসূচিতে সেই জায়গা গুলোকে চিহ্নিত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ করা হয়েছে।সবশেষে সভাপতির ভাষনে পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় বলেন এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং এই কর্মসূচিতে আগামী দিনেও সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান রাখেন তিনি।সবশেষে সেদিনের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কাউন্সিলর সিকিম সিনহা জানান আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের বুকে সবচাইতে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে কৈলাসহরকে তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কৈলাসহর পুর পরিষদ।ঐ দিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।