- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৩০ নভেম্বর।। উন্নয়নের ক্ষেত্রে শহরের সঙ্গে গ্রামের ফারাক কমিয়ে আনার কাজ করছে সরকার। এক সময় সিসি রোড, পেবার ব্লকের রাস্তা ইত্যাদি শুধু শহরে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে গ্রামে হচ্ছে অত্যাধুনিক রাস্তা। মানুষের দুর্ভোগ রাঘবের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বিশালগড় বিধানসভার প্রতিটি গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার এবং নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। বিশালগড় পৌর পরিষদ সহ বিধানসভার ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়নের ছোঁয়ায় সেজে উঠছে। স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেব প্রতিটি নির্মাণ কাজ তদারকি করছেন। বিশালগড় বিধানসভার বাইদ্যারদিঘি পঞ্চায়েতের মনিপুরী পাড়ায় নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক মানের পেবার ব্লকের রাস্তা। শনিবার স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেব গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে নির্মীয়মান রাস্তা পরিদর্শন করেন। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান মানুষের কাছে আধুনিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। এই পাড়ায় এক সময় ইটের সলিং রাস্তা ছিল। কিন্তু বর্ষাকালে এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এই পাড়ার নাগরিকদের। এবার ব্লকের রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে চিরতরে দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ত্রিপুরা
পানিসাগর PM শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য AI & ML -এর উপর ইন্টার্নশিপের আয়োজন।।
পানিসাগরের PM SHRI কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ তাদের ছাত্র ছাত্রীদের উন্নত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি,সঙ্গীত, নৃত্য, অভিনয় সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে পারদর্শী করে তুলে তাদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের ভূমিকায় প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ও সফলতা অর্জন করে যাচ্ছে। একে কেন্দ্র করেই উত্তর ত্রিপুরা জেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিসাগরের
PM শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় গত 18 থেকে 22শে নভেম্বর পর্যন্ত তাদের ক্লাস 8 এর ছাত্রদের জন্য একটি যুগান্তকারী Artificial Intelligence বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং (ML) এর উপর ইন্টার্নশিপের আয়োজন করে। সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির লক্ষ্য তরুণদের AI -এর গতিশীল বিশ্বের সাথে পরিচিত করা এবং মেশিন লার্নিং এর উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি। এই ইন্টার্নশিপের সূচনা করেন প্রিন্সিপাল ইনচার্জ সানু ত্রিপাঠী। তিনি জানান প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বের চাহিদা মেটাতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ দক্ষতায় সজ্জিত করার গুরুত্বের উপর উনারা জোর দিয়েছেন। 23 শে নভেম্বর 2024-এ স্কুলটি 8 তম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র এবং শিক্ষকরা আগরতলার NIELIT অর্থাত National Institute of Electronics and Information Technology সেন্টারে একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণও পরিচালনা করে। যেখানে গিয়ে ছাত্ররা আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো জ্ঞান লাভ করতে পারে। PM শ্রী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, পানিসাগর, উদ্ভাবনী শিক্ষার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত করার মাধ্যমে ছাত্রদের লালনপালনের ক্ষেত্রে মানদণ্ড নির্ধারণ করে চলেছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন বিএসএফ ১১৪ নং ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগে ।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :আজ শান্তির বাজার মহকুমায় অন্তর্গত বকাফা বিএসএফ ১১৪ নং ব্যাটেলিয়ানের উদ্যোগ বকাফা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী এবং সাব্রুম বুদ্ধ দামাদিপা ইউনিভারসিটির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একদিনের শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। এতে করে সাব্রুম এলাকার সীমান্তবর্তী মৈত্রী সেতুর পাশাপাশি বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করানো হয় ১১৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের তরফ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের। মূলত লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেশ প্রেম নিয়ে আরো বেশি সচেতনতার পাশাপাশি তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা । আইনশৃঙ্খলা এবং দেশ রক্ষার পাশাপাশি শান্তির বাজার মহকুমা অন্তর্গত বকাফা বিএসএফ ১১৪ নং ব্যাটেলিয়ানের এই ধরনের সামাজিক কর্মসূচি দেখে খুশি ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক অভিভাবক সকলে।
উদ্ভাবনী সামাজিক সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও উত্তর ত্রিপুরা জেলা যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের সহযোগিতায় এবং ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির উদ্যোগে আজ উত্তর ত্রিপুরা জেলার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে জেলা ভিত্তিক রেড রান ২০২৪ । এই রেড রান ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উক্ত প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ। সভাপতিত্ব করেন ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান মিতালী দাস (সেন)। এছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুণাল গৌতম জিলা যুব আধিকারিক নেহরু যুব কেন্দ্র উত্তর ত্রিপুরা, তমাল দেব ডেপুটি ডিরেক্টর ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি, ডঃ মামপি শুক্লবৈদ্য ও ডঃ বিবেক সিধু মেডিকেল অফিসার, অঞ্জন বর্ধন আধিকারিক উত্তর ত্রিপুরা জেলা যুব ও ক্রীড়া দপ্তর , শিফন চন্দ্র দাস ফায়ারম্যান ধর্মনগর ফায়ারসার্ভিস , আতিকা রঞ্জন দাস এসআই ট্রাফিক ইউনিট ধর্মনগর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রণদীপ রুদ্র পাল। প্রতিযোগিতায় মোট ১০০জন ছেলে ও মেয়ে অংশগ্রহণ করেন। রেড রান ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারি দুই বিভাগের ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে বিজয়ী প্রথম স্থান অর্জনকারিকে ৫০০০ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারিকে ৩০০০ টাকা, তৃতীয় স্থান অর্জনকারিকে ২০০০ টাকা এবং ১২জন করে দুই বিভাগের ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে ১০০০টাকা করে ক্যাশ ওয়ার্ড রাশি ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয় উদ্যোগতাদের পক্ষ থেকে। দুই বিভাগের মোট ৩০জন প্রতিযোগী আগামী ১লা ডিসেম্বর ২০২৪ আগরতলায় অনুষ্ঠিত রাজ্য ভিত্তিক রেড রান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানে উদ্ভাবনী সামাজিক সংস্থার সদস্য, উত্তর ত্রিপুরা জেলা যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের এবং ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির কর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন।
- প্রতিনিধি,বিশালগড়, ২৮ নভেম্বর।। হরিয়ানার এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোলাঘাটিতে । বিশালগড় থানাধীন গোলাঘাটি বিধানসভার কলকলিয়া স্থিত বনদপ্তর এর পরিত্যক্ত বিট অফিসের জঙ্গলে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে । খুন করে মৃতদেহ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছে । বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বিশালগড় থানায় খবর দেয় স্থানীয় মানুষ। পুলিশ গিয়ে জঙ্গল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বিশালগড় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয় ।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় ডগ স্কোয়ারেটের কর্মীদের। মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে একটি ট্রেনের টিকিট পাওয়া গিয়েছে । একটি মোবাইল নম্বর ছিল কাগজে লেখা । সে মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে মৃত যুবকটির বাড়ি হরিয়ানায়। তার নাম রামধাই। ২০১৩ সালে টাকারজলা থানাধীন জনৈক গীতা রানীর দেব্বরমাকে রামধাই বিয়ে করে হরিয়ানায় নিয়ে যায়। সেখানে গীতা রানী কয়েক বছর তার সঙ্গে সংসার করেন। এরপর ত্রিপুরায় ফিরে আসেন। ত্রিপুরায় ফিরে আসে সুমিত দেববর্মার সঙ্গে তার প্রেম হয়। ২০২৩ সালের সুমিত দেবরমার সঙ্গে গীতা রানীর বিবাহ হয়। হঠাৎ করে হরিয়ানা থেকে রামধাই আবার যোগাযোগ করেন গীতা রানীর সঙ্গে। এবং তাদের পারিবারিক বিষয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে হরিয়ানা থেকে রামধাইকে ত্রিপুরায় আসতে বলেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই দিল্লি থেকে ট্রেনে করে গতকাল সন্ধ্যায় আগরতলা স্টেশনে এসে নামেন রামধাই। সেখান থেকেই সুমিত তাকে টাকারজলা বাড়িতে আনতে যায়। বাধারঘাট স্টেশন থেকে কাঞ্চনমালা হয়ে কলকলিয়া ফরেস্ট অফিসের সামনে এসে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে । বিশালগড় থানার পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া গুটিয়ে এনে অভিযুক্তদের জালে তোলার চেষ্টা করছে ।
কবি গোকুলানন্দ গীতি স্বামীর জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে দুই দিনের একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্ত ককবরক এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা দপ্তর ও ধর্মনগরের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সমাজের বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ও কবি গোকুলানন্দ গীতি স্বামীর জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে দুই দিনের একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬শে নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয় একটি বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগর মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মিতালী রানী দাস,বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান প্রশান্ত সিনহা,নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী মহাসভা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি ডঃ কৃষ্ণদাস সিংহ শাস্ত্রী,কাকেই পত্রিকার সম্পাদিকা অনিতা সিনহা, ত্রিপুরা সংস্কৃত কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা নিরুপমা সিনহা সহ অনেকেই।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মিতালী রানী দাস।স্বাগত ভাষণ রাখেন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা উন্নয়ন কমিটির সদস্য মধু মঙ্গল সিনহা।তিনি তার বক্তব্যে ত্রিপুরা সরকারকে ধন্যবাদ জানান।সমাপ্তি ভাষণে প্রশান্ত সিনহা বলেন ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সবার সহযোগিতা চাই।তবেই কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হবে।র্যালির পরে মন মুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও কবি সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্গদা মিউজিক কলেজের ছাত্র ছাত্রী , নৃত্যাঞ্জলী ডান্স একাডেমীর শিক্ষিকা গহীনা সিনহা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গার শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেন । ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, “জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর আলোকে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার উন্নয়ন” বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।এই সেমিনারে গবেষক, ভাষাবিদ এবং বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সমাজের শিক্ষক শিক্ষিকা,বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছেন।এই দুই দিনের অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হলো বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার সংরক্ষণ ও বিকাশে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে এর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
এই সেমিনার বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে।ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাষা সংরক্ষণের গুরুত্ব ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অমিত ও অমৃতা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৭ নভেম্বর:- ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে পালন করা হল সংবিধান দিবস। মূলত বিদ্যালয়ের এন এস এস ইউনিটের উদ্যোগে হয় এই অনুষ্ঠান। সেখানে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন এন এস এস স্বেচ্ছাসেবী জেকি দত্ত ও লক্ষী রায়। সংবিধান দিবসের গুরুত্ব আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল খজেন্দ্র ত্রিপুরা। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র -ছাত্রীরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও জাতীয় সেবা প্রকল্প ইউনিটের সমষ্টিগত উদ্যোগে পালিত হয়েছে ৭৫ তম সংবিধান দিবস।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ পিনাকী পাল,আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়,অধ্যাপিকা শান্তশ্রী মজুমদার সহ অন্যান্য রা।অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সংবিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সংবিধানের মূল্যবোধ ও অধিকার সংরক্ষণের প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করাপ্রধান অতিথি আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় সংবিধান দিবসের তাৎপর্য ও সংবিধানের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন।তিনি সংবিধানের মূল নীতি,অধিকার ও কর্তব্যের উপর আলোকপাত করেন এবং বর্তমান সমাজে সংবিধানের ভূমিকা তুলে ধরেন।অধ্যাপিকা শান্তশ্রী মজুমদার তার বক্তব্যে সংবিধানের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ পিনাকী পাল অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে সংবিধান দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য এবং সংবিধানের গণতান্ত্রিক মানষিকতার প্রসার সম্পর্কে আলোচনা করেন।পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল শিক্ষামূলক এবং অনুপ্রেরণামূলক। সংবিধান দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংবিধানের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে উপলব্ধি করতে সক্ষম হন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উদয়পুর শহরে আরো একটি নতুন ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন হলো মঙ্গলবার দুপুরে । এদিন সেন্ট্রাল রোডে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা নামে একটি ব্যাংকের নতুন শাখার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করলেন উত্তর-পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ের ব্যাঙ্ক অফ বরোদা আঞ্চলিক প্রমুখ সোনম টি ভুটিয়া ও গৌহাটি ক্ষেত্রীয়ও কার্যালয়ের রঞ্জিত কুমার ঝা এবং উদয়পুর পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার সহ প্রমূখ । এদিন উত্তর পূর্বাঞ্চলের ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার সোনম টি ভুটিয়া বলেন , দীর্ঘদিন ধরে উদয়পুরের সেন্ট্রাল রোডে এই শাখাটি খোলার জন্য আরো আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল । কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যে আজকে সফল হয়েছে । এই ব্যাংকের শাখা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। তাছাড়া কুড়িটি দেশের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে এই ব্যাংকের শাখা। তারমধ্যে ব্যাংকের মোট সম্পত্তি রয়েছে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা । যা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই ব্যাংক। আগামী দিনে উদয়পুরে তার গ্রাহক সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। এই দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাপক সারা লক্ষ্য করা যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৈলাসহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আজ এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠ আশা কর্মী ও আশা ফ্যাসিলেটরদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।এই অনুষ্ঠানে ৫ জন শ্রেষ্ঠ আশা কর্মী এবং ৩ জন শ্রেষ্ঠ আশা ফ্যাসিলেটর কে পুরস্কৃত করা হয়।তাদের কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের হাতে তিন হাজার টাকার চেক ও সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শীর্ষেন্দু চাকমা,জেলা নোডাল অফিসার ডক্টর অয়ন রায়,কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় এবং অন্যান্যরা।জেলা নোডাল অফিসার ডক্টর অয়ন রায় তার বক্তব্যে আশা কর্মী ও আশা ফ্যাসিলেটরদের ত্যাগ ও নিরলস পরিশ্রমের প্রশংসা করেন।তিনি বলেন,আশা কর্মীরা গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনে দিয়েছেন।তাদের পরিশ্রমের কারণে স্বাস্থ্য পরিষেবা আজ সাধারণ মানুষের দৌড় গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।তবে তাদের কাজের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত সাম্মানিক যথেষ্ট নয়।আগামি দিনে তাদের সাম্মানিক অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করার দাবি জানান তিনি।অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল পুরস্কার প্রদান পর্ব।গোটা ঊনকোটি জেলার মধ্য থেকে বিভিন্ন প্যারামিটার অনুযায়ী নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ আশা কর্মী এবং ৩ জন শ্রেষ্ঠ আশা ফ্যাসিলেটরকে মঞ্চে ডেকে পুরস্কৃত করা হয়।মঞ্চে উপস্থিত অতিথিবর্গ তাদের হাতে চেক ও সম্মাননা তুলে দেন।পুরস্কৃত আশা কর্মীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।তারা জানান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়-ই আর্থিক ও মানষিক চাপের মুখোমুখি হতে হয়। তবুও তারা তাদের কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।