প্রতিনিধি, উদয়পুর :-প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে শুক্রবার মহারানীর লাভ স্টোরি বাজারে অনুষ্ঠিত হয় এক রক্তদান শিবির এবং স্বাস্থ্য শিবির। এই শিবিরের আয়োজন করে অল ত্রিপুরা গভারমেন্ট গ্যাজেটেড ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার সকাল ১১ টায় এই স্বাস্থ্যশিবির ও রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায় এবং এমডিসি সম্রাট জমাতিয়া!
লাভ স্টোরি বাজারের এই স্বাস্থ্য শিবিরে মোট ২৬৪ জন রোগী স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করেন। মোট কুড়িজন রোগীকে আলট্রাসাউন্ড করা হয়, অস্ত্রোপ্রচারের জন্য ১৫ জন রোগীকে ইসিজি করা হয়। ৩০ জনকে মুখ্যমন্ত্রী আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য শিবিরের স্বাস্থ্য পরিষেবা নেওয়ার অনেক আমজনতা থাকলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রক্তদানে আগ্রহী লোকের সংখ্যা পাওয়া যায়নি। রক্তদান শিবির থেকে পাঁচ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। “সকলের জন্য স্বাস্থ্য” এই স্লোগানকে কাজে সামনে রেখে এই স্বাস্থ্য শিবির এবং রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে অল ত্রিপুরা গভারমেন্ট গ্যাজেটেড ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।এই রক্তদান শিবির এবং স্বাস্থ্য শিবিরের উদয়পুর মহকুমার এক ঝাঁক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য । চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন গোমতী জেলা হাসপাতালের এমএস, তথাস্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কাজল দাস, ডক্টর বিশ্বজিৎ পাল, প্রদীপ মল্লিক, অর্পণ মিত্র, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী , প্রসেনজিৎ দেবনাথ, সৌমিক চক্রবর্তী, জয় শংকর মজুমদার , অভিষেক বর্মন , শ্যামুয়েল দেববর্মা, পার্থ তলাপাত্র প্রমুখ। এই স্বাস্থ্য শিবির এবং রক্তদান শিবির কে কেন্দ্র করে প্রত্যন্ত ওই এলাকাবাসীর মধ্যে বিশেষ উৎসাহ এবং উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ২৯ শে মে।মুঙ্গিকামি ব্লকের আওতাধীন আঠারমুড়া এডিসি ভিলেজ কমিটির অন্তর্ভুক্ত
ত্রিপুরা বস্তি এলাকায় আজ অনুষ্ঠিত হয় মেগা ম্যালেরিয়া সচেতনতা মূলক কর্মসুচি।
এদিনের এই কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের বি ডি ও দিপ্তনু দেববর্মা, এডিশনাল বিডি ও স্টিফেন রিয়াং, মুংঙ্গিয়াকামি ব্লকের বি এ সি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা ।উল্লেখ্য মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধিন বিভিন্ন এডিসি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় এই মরসুমে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখাদেয়। একটা সময় ছিল এই সমস্ত এলাকার মানুষের ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মেগা ম্যালেরিয়া সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
মুঙ্গিয়াকামি আরডি ব্লক.। ব্লকের আওতাধীন আঠারমুড়া ভিলেজ কমিটির অন্তর্ভুক্ত
ত্রিপুরা বস্তি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই মেগা ম্যালেরিয়া সচেতনতা মূলক কর্মসুচি।
এদিনের এই কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের বি ডি ও দিপ্তনু দেববর্মা, এডিশনাল বিডি ও স্টিফেন রিয়াং, মুংঙ্গিয়াকামি ব্লকের বি এ সি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা ।উল্লেখ্য প্রতি বছর ই মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধিন বিভিন্ন এডিসি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় বর্ষা মরসুমে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখাদেয়। একটা সময় ছিল এই সমস্ত এলাকার মানুষের ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর ছিল প্রতিটি সংবাদপত্রের পাতার নিয়মিত । বাদ যেত। না শিশু থেকে বৃদ্ধ কেওই, তাই এই সমস্ত এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে সরকারি ভাবে আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। যাতে পুর্বের ন্যায় ম্যালেরিয়াএই সমস্ত অঞ্চলের গিরিবাসিদের ক্ষতি করতে না পারে। আজকের সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত মুঙ্গিয়া কামির ব্লকের বিএসসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা বলেন, আঠার মোড়া এডিসি ভিলেজ এলাকায় আগে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর খবর আমরা পেতাম। সময় পেরিয়েছে অনেক, বর্তমানে মুঙ্গিয়া কামি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোলে বড় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষও এখন স্বাস্থ্য পরিষেবা আগের থেকে অনেক বেশি পাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের থেকে কিছুটা হলে ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে আরো বেশি করে মানুষকে সচেতন করে তুলতে আরো বেশি করে এ ধরনের শিবির করার জন্য আবেদন রাখেন।
পূর্ণশ্লোক রানী অহলাবাই হল কারের ৩০০ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করলো উদয়পুর পৌর পরিষদ
- প্রতিনিধি , উদয়পুর :- পূর্ণশ্লোক রানী অহলাবাই হল কারের ৩০০ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করলো উদয়পুর পৌর পরিষদ উদয়পুর রাজশ্রী কলা কেন্দ্রের প্রেক্ষাগৃহে। বুধবার প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সমাজসেবী সবিতা নাগ , উদয়পুর পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার , সহকারী চেয়ারম্যান প্রদীপ দেবনাথ, গোমতী জেলা পরিষদের এডুকেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হরে কৃষ্ণ গোস্বামী সহ প্রমূখ। এদিন অতিথি বর্গের উপস্থিতিতে রানী অহলাবাদের ৩০০ তম জন্মদিন পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদয়পুর পৌর এলাকার শুভাকাঙ্কী নাগরিকের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। অতিথি বর্গদ্বয় আলোচনা করতে গিয়ে রানী অহলাবায়ের জীবনী সকলের সামনে তুলে ধরেন এবং আগামী দিনে ইতিহাসকে স্মরণ করে ভারতের নারী শক্তিকে এগিয়ে যেতে উদ্বৃত্ত করেন ।
নচিকেতার গানের ছন্দে চলছে শান্তিরবাজার বিদ্যু দপ্তর বারোটায় অফিস আসি দুটোই টিফিন ।দুর্ভোগে গ্রাহক।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : শান্তির বাজার বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেও দেখামিলছেনা অফিসার বাবুদের। শান্তির বাজার বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসের বেহাল অবস্থা। বিদ্যুৎতের বিল দেওয়াথেকে সংযোগের নানান বিষয়ে মহকুমার বিভিন্নপ্রান্তথেকে লোকজনেরা ছুটেআসে দপ্তরের মহকুমার কার্যালয়ে। দপ্তরের আধিকারিক ছারা এইসকল সমস্যা সমাধানকরা অসম্ভব। তাই সকলে নিজেদের কাজ ছেরেদিয়ে বিদ্যুৎ সক্রান্ত সমস্যা সমাধানেরজন্য অফিসে ছুটে আসে। কিন্তু দেখাযায় অফিসশুরুর সময় অতিক্রান্ত হবার ১ ঘন্টাপরেও দপ্তরের আধিকারিকদের কোনোপ্রকার খোঁজখবর নেই। মঙ্গলবার শান্তির বাজার বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে এমনটাই চিত্রলক্ষ্যকরাযায়। বেলা ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ পর্যন্ত অফিসারবাবুদের অফিস কক্ষ ফাঁকা লক্ষ্যকরাযায়। অফিসকক্ষে ফাঁকা চেয়ারে চলছে পাঁখা। এতেকরে দপ্তরের আধিকারিকরা নিজেরাই বিদ্যুৎতের অপচয় করেযাচ্ছে। অপরদিকে মহকুমার বিভিন্নপ্রান্তথেকে আগত বিদ্যুৎ গ্রাহকরা আধিকারিকদের নাপেয়ে নিরাশহয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসেথাকতে দেখাযায়। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা দপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জানান দপ্তরের সমস্ত প্রকারের অর্থ মিটিয়ে দেওয়াসত্বেও বাঁকাপথে অর্থ উপার্জনের জন্য গ্রাহকদের কাছথেকে টাকাচেয়ে থাকে কর্মীরা। গ্রাহকরা দপ্তরের কর্মীদের আবদার নামেটাতে পারলে গ্রাহকদের সঠিকভাবে পরিষেবা প্রদানকরাহয়না। চা খাঁওয়ার নামে এই অর্থ আদায়করে দপ্তরের কর্মীরা এমনটাই অভিযোগ। এখন দেখার বিষয় দপ্তরের কর্মীদের এইভাবে দেরিতে আসার বিষয়ে ও লোকজনের কাছথেকে চা খাওয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী কিপ্রকার পদক্ষেপগ্রহনকরে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার সাথে সখ্যতা।মনের রং আর মননের চর্চার মাধ্যমে ছবি জীবন্ত হয়ে উঠে শিল্পীর তুলিতে।সেভাবেই শিক্ষার আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে এই মেধাবীর মননে।কৈলাসহর রাধাকিশোর ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সায়ন্ত বিশ্বাস এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে দর্শন শাস্ত্রে ৯৭ নম্বর পেয়ে গোটা রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে।যে রাজ্যের বুকে প্রথম হয়েছে মন্তোষ গোপ তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ সেও এই স্কুলের-ই ছাত্র।ত্রিপুরা বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সায়ন্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৫ এবং বাংলায় ৯৩ পেয়েছে।৫টি সাবজেক্টের মধ্যে সংস্কৃতে লেটার মার্ক পেলেও বাকি তিনটি বিষয়ে স্টার পেয়েছে সে।রাধা কিশোর ইনস্টিটিউশনে এবারের ফলাফলে গৌরবময় অবস্থানে রয়েছে সায়ন্ত। আগামীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স দিয়ে কৈলাশহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে পড়তে চায় সে।পাশাপাশি আগামীর লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানায় পলিটিক্যাল সাইন্স নিয়ে পিজিটি করে শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত হতে।পড়াশোনার পাশাপাশি চিত্রশিল্পী হিসেবেও সুনাম রয়েছে সায়ন্ত বিশ্বাসের।বিশেষ করে প্রতিকৃতি মূলক ছবি তাকে অনেক সম্মান উপহার দিয়েছে।২০২৪ সালে কলা উৎসবে ত্রিপুরা থেকে জয়ী হয়ে জাতীয় স্তরে ত্রিপুরার প্রতিনিধি হয়ে রাজ্যকে রিপ্রেজেন্ট করেছিল।২০২৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল আইকন অ্যাওয়ার্ড ফর আর্ট এন্ড ক্রিয়েটিভিটি এই বিশেষ শিরোপা অর্জন করেছিল সে।যা অনলাইন কম্পিটিশন হয়েছিল।সায়ন্তের দর্শনশাস্ত্রে এই ব্যতিক্রমী সাফল্যের জন্য তার পরিবারের পাশাপাশি গর্বিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
গন্ডাছড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু, বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে মানুষের জন্য মানবিক উদ্যোগ
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২২মে:- গন্ডাছড়া মহকুমার সাধারণ মানুষের জন্য এক উল্লেখযোগ্য পরিষেবা চালু হলো বৃহস্পতিবার। ৪৪ রাইমাভ্যালী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং তাঁর বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন জগবন্ধু পাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে। এই অ্যাম্বুলেন্সটি গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকাগুলির সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিন এই উপলক্ষে গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের অফিস প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পতাকা নেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার উদ্বোধন করেন বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং। তাঁর এই মানবিক উদ্যোগকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে এক বিশেষ উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াং, ডিসিএম দিলীপ দেববর্মা, জগবন্ধু পাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমওআইসি, সমাজসেবী ক্ষত্রজয় রিয়াং, হরিশ দেববর্মা সহ বিশিষ্টজনেরা। সবাই বিধায়িকার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং একে সাধারণ মানুষের জন্য একটি কল্যাণময় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।
বিধায়িকা জানান, এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জরুরি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। এর ফলে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং অনেকের জীবন রক্ষা পাবে।
এই উদ্যোগকে ঘিরে এলাকায় ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। সাধারণ মানুষ বিধায়িকার এই উদ্যোগে খুশি এবং কৃতজ্ঞ। তাঁরা আশাবাদী, আগামী দিনেও এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এ ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জন্য এক আশার আলো হয়ে উঠছে।
উন্নয়নের কাজে আরো বেশি গতি আনতে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রিভিউ মিটিং জোলাই বাড়ি।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :আজ জোলাই বাড়ি ব্লকের এই অর্থ বর্ষের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম গুলিকে আরো বেশি দ্রুত সম্পন্ন করতে বৃহস্পতিবার জোলাই বাড়ি ব্লকের কনফারেন্স হলে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং বিভিন্ন ভিলেজ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান , ভাইস চেয়ারম্যান ,সহ ,পঞ্চায়েত সচিবদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠীত করাহয় মন্ত্রী শুক্লাচরণের নেতৃত্বে । জোলাই বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার পাশাপাশি আজকের এই রিভিউ মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন জোলাই বাড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত,জোলাই বাড়ি ব্লকের বিএসসি চেয়ারম্যান অশোক মগ,জোলাই বাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান কেশব চৌধুরী , বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত ,জোলাই বাড়ি বিএসএফ ভাইস চেয়ারম্যান জিতিরাম ত্রিপুরা, জোলাই ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক
নবব্রত দত্ত, সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও আজকের এই রিভিউ মিটিং এ জোলাই বাড়ি ব্লকের বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।এই মিটিং এ ব্লকের অধীনে থাকা সব কয়টি পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি , পঞ্চায়েত সচিব, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারী গন সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনা জনগণের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ ভাবে আলোচনা করেন। পাশাপাশি যে সকল বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ গুলি অর্ধসমাপ্ত রয়েছে তা কেন অর্ধসমাপ্ত রয়েছে এবং কিভাবে কাজে আরো বেশি গতি এনে এই অর্থ বর্ষের মধ্যে কাজগুলিকে
সম্পূর্ণ করা যায় তানিয়েও
এই রিভিউ মিটিং এ বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। আজকের এই আলোচনাশেষে বিভিন্ন দিকগুলি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। পাশাপাশি আজকের রিভিউ মিটিং এ মন্ত্রী আলোচনা করতে গিয়ে বলেন আমরা সকলে এক পরিবারের লোক হয়ে সরকারের এই ধারাবাহিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । সাধারণ জনগণের কাছে সরকারের এই উন্নয়ন্মুখী প্রকল্পগুলি পৌঁছে দিতে সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে । এতে প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন সবকা সাথ সবকা বিকাশ সেটি পরিপূর্ণ হবে।
- আগরতলা: ভাবগম্ভীর এবং নান্দনিক একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল ১৮ মে অনুষ্ঠিত হলো বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের ত্রিপুরা রাজ্যভিত্তিক বার্ষিক সমাবর্তন ২০২৫। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের দুই নম্বর হলে সকাল থেকেই শুরু হয় সমাবর্তনের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান। এতে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. দেবব্রত দেবরায় এবং বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রীতা চক্রবর্তী। দুজন বক্তাই শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে সংগীতের অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। স্বাগত সম্ভাষণ রাখেন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল গাঙ্গুলি। এই পর্বে খোয়াই, গোমতী, দক্ষিণ ত্রিপুরা, ঊনকোটি, ধলাই এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলার পঞ্চম ও সপ্তম বর্ষে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞান পত্র তুলে দেওয়া হয়।
সমাবর্তনের দ্বিতীয় পর্বটি ছিল অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। এই পর্বের উদ্বোধন করেন ভবনস ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের প্রধান অধ্যক্ষ স্বপ্না সোম। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন
লংতরাই গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর রতন দেবনাথ এবং বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী তপতী ভৌমিক মজুমদার। বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের রীতি অনুযায়ী এই পর্বে রাজ্যের বিশিষ্ট উদ্যোগপতি এবং লংতরাই গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর রতন দেবনাথ কে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। অভূতপূর্ব আয়োজনের মধ্য দিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “এসো আমার ঘরে এসো” গান এবং নৃত্য সহযোগে তাঁকে মঞ্চে বরণ করে নেওয়া হয় বিভিন্ন উপাচারে। পরবর্তী সময়ে ত্রিপুরার বাণিজ্যক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানকে স্মরণ করা হয় মানপত্র এবং বিশেষ ক্রেস্ট প্রদানের মধ্য দিয়ে। এছাড়াও শিল্প সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় রতন দেবনাথের অবদানের কথা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বার বার উল্লেখ করা হয়। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রতন দেবনাথ আয়োজকদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে শিশুদেরকে ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির আঙিনায় যুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, এখানে এসে এ’কথা তিনি আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করছেন। তিনি বলেন, পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। আজকের এই অর্জনকে তিনি তাঁর সতীর্থ এবং ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপ্না সোম এবং তপতী ভৌমিক মজুমদার শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের স্ব-স্ব অভিজ্ঞতার কথা ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের বিশিষ্ট কেন্দ্রাধ্যক্ষ অনুপম চৌধুরী এবং বন্দনা নন্দীকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী নির্মল দেব। তিনিও তাঁর বক্তব্যে সংগীতের ক্ষেত্রে ড্রপ আউটের সমস্যাকে অভিভাবকদের নতুন করে ভেবে দেখতে বলেন। এই পর্বে পশ্চিম ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অভিজ্ঞান পত্র বিতরণ করা হয়। দুটি পর্ব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ ছাত্রছাত্রী অভিজ্ঞান পত্র গ্রহণ করেন। এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নতুন কুঁড়ি এবং ভবন্স কলা কেন্দ্রের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, আগরতলা থেকে গুয়াহাটিতে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পাচারকারীরা যেগুলি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করেছিল তার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য সুদূর আগরতলা থেকে এক প্রতিনিধি দল ছুটে আসেন চুরাইবাড়ি থানায়। তারা সরজমিনে ট্রান্সফরমার গুলি দেখে ও বিভিন্ন পরীক্ষা করে জানান এগুলি ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তরের কোন ট্রান্সফর্মার নয়। এক কথায় বলতে গেলে নেশা পাচারকারীরা নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করছে ইদানিং কালে এর ফলে ট্রান্সফরমার গুলোকে ব্যবহার করেছিল। গত ১২ মে সোমবার দুপুরে ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি পাচারের পথে ট্রান্সফর্মারের ভেতর থেকে চুরাইবাড়ি থানার সামনে থাকা পুলিশ নাকা পয়েন্টে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল UP58AT/1128 নম্বরের একটি গাড়ি থাকা দশটি ট্রান্সফর্মারের ভেতর থেকে ৯৬ প্যাকেটে মোট ৯৬০ কেজি শুকনো গাঁজা সহ দুই গাড়ি চালক ও সহচালক । তারা হল যথাক্রমে গাড়ি চালক অদ্রেশ কুমার সাচ্চান (৪২,পিতা মৃত অশোক কুমার সাচ্চান ) ও সহ চালক প্রমোদ কুমার (৫৯,পিতা মৃত রাম ভরসে)। তাদের বাড়ি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর জেলার বিধু থানাধীন কানপুরনগর এলাকায়। ট্রান্সফর্মারের সাথে কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই খবর চাউর হতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার স্বপন দেববর্মা, পানিসাগরের ডিজিএম দেবাশীষ দাস, কদমতলা বিদ্যুৎ দপ্তরের এস ডি ও দীপায়ন দাস সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে চুরাইবাড়ি থানাতে এসে ট্রান্সফর্মার গুলি সরজমিনে তদন্ত করেন। তখন উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেরেমিয়া ডার্লং সহ থানার ওসি খোকন সাহাও। সরজমিনে পরিদর্শন শেষে জেনারেল ম্যানেজার শ্রী দেববর্মা জানান,এই ট্রান্সফর্মার গুলি দফতরের কাজে ব্যবহৃত হয়নি। তাছাড়া এই সাইজের ট্রান্সফর্মার ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তর ব্যবহার করে না। উনার মতে এই ট্রান্সফর্মার গুলি গাঁজা পাচারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া ট্রান্সফর্মারের সাথে উদ্ধারকৃত কাগজে যে সই রয়েছে সেটিও নকল বলে জানান তিনি। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেরেমিয়া ডার্লং জানান,ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তর এর তরফে পরবর্তীতে পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তাঁরা জানিয়েছেন ট্রান্সফর্মার গুলি তাঁদের দপ্তরের নয়। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু তিনি বলেন নি।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বৃহস্পতিবার করবুক মহকুমা শাসকের অফিসে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী , রেশন ডিলার এবং স্থানীয় বাজারের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষিতে প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থার উপর আলোকপাত করা হয়েছে । জরুরী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পন্য সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সম্ভবিত প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এদিন বিস্তারিত আলোচনা করা হয় । পাশাপাশি যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করার জন্য সক্রিয় পরিকল্পনা সময়োপযোগী যোগাযোগ এবং কার্যকর সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই দিনের বৈঠকে মহকুমা শাসক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী থেকে শুরু করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। অনেকের মতে এই ধরনের বৈঠক আগাম করার ফলে অনেকটাই সচেতন হবে বিভিন্ন দপ্তর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা খুব দ্রুত গতিতে করা যেতে পারে বলে মনে করছে সকলে।