- প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সংকল্প নিয়ে যে অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তার সাথেই উন্নয়নের আরেকটি নতুন পৃষ্ঠা যোগ করেছেন ফটিকরায় বিধানসভার বিধায়ক তথা মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।বিধায়ক থাকাকালীন সময়ে ফটিকরায় বিধানসভার পাঁচ বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিগত ২৫ বছরের সময়কালের কর্মকান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল।ফটিকরায় বিধানসভার অন্তর্গত জগন্নাথপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ত্রিপুরা সরকার তাদের জন্য ফিস মার্কেট নির্মাণ করে দিয়েছে।এই নবনির্মিত ফিস মার্কেটের আজ ফিতে কাটার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনের পর সকল মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে জগন্নাথপুর ফিস মার্কেট।ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এই ফিস মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী শ্রীদাস।যা আজ আনুষ্টানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিক বৃন্দ।উদ্বোধনী ভাষনে মন্ত্রী বলেন ফটিকরায়ের উন্নয়নের মুকুটে আরেকটি নতুন পালক হচ্ছে জগন্নাথপুর ফিস মার্কেট।মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।প্রতি শনিবার জগন্নাথপুরে সাপ্তাহিক বড় বাজার হয়ে থাকে।সেই সময়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ করে বর্ষার সময়ে বসে মাছ বিক্রি কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে।সেদিকটা মাথায় রেখেই এই ফিস মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন জগন্নাথপুর বাজারের সৌন্দর্যায়নের জন্য আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে বাস্তবায়িত হবে।তার পাশাপাশি তিনি বলেন মাছ বাজারের স্বচ্ছতার প্রশ্নে সকলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং মাছ বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেদিকেও মৎস্য ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।তিনি বলেন সম্প্রতি বন্যায় রাজ্যের যে যে ক্ষেত্রগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে ফিশারী সেক্টরে সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে।প্রায় ৭০ শতাংশ জলাশয়,পুকুর,নদী ইত্যাদি থেকে মাছ বেরিয়ে গেছে। তিনি বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের বাজারে মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।সেই মাছ বেশিরভাগ পরিমাণ ইমপোর্ট করতে হয় বহিরাজ্য থেকে।যার ফলে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা চলে আসে মাছগুলোকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখার জন্য। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় মৎস্যচাসীরা যত বেশি বেশি করে মৎস্য চাষে এগিয়ে আসবে ততই রাজ্যের মানুষের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে।তিনি বলেন রাজ্যের বুকে এই প্রথমবারের মতো লাইভ ফিস রেস্টুরেন্ট একাধিক জায়গায় খোলা হবে।যেখানে সব সময় জীবন্ত মাছ খেতে পাবেন গ্ৰাহকরা।সেই সাথে সাথে তিনি বলেন কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেভাবে বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় সেই মোতাবেক মৎস্য চাষীদের কল্যাণে এবং তাদের উৎসাহিত করার জন্য বাৎসরিক ৬০০০ টাকা সহ মাছের খাদ্য ইত্যাদি প্রদান করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যেখানে জলের উৎস কম পরিমাণে রয়েছে ঐ জায়গা গুলোতেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
ত্রিপুরা
বিশ্ববন্ধু সেনের ওয়ার্ড ভিত্তিক কাপড় বিলিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উদ্দীপনা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি … প্রাক পূজার প্রাক্কালে ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বমন্ত সেন ধর্মনগরের ৫১ টি ওয়ার্ডের পঞ্চাশ জনকে বেছে নিয়ে যে কাপড় বিলি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা প্রতিদিন উদ্দীপনা সহকারে দলে দলে মহিলারা যোগদান করে সার্থক করে তুলছে। এই কান্ড থেকে চারবার তিনি বিধায়ক পদে নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ জনগণের প্রতি ন্যূনতম দায়িত্ববোধ ওনার এসে গেছে। তাই তাদের দানে ঋণী বিধায়ক সামান্যতম কিছু একটা পড়তে যাচ্ছে এলাকার জীবন্ত দেবী দুর্গার প্রতি। প্রতিদিন আবাল বৃদ্ধ বণিতা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তিনি কাপড় বিলি করে চলেছেন। এখানে না আছে কোন ধর্মের সমারোহ কোন জাতির সমারহ। একদিকে যেমন সংখ্যাগুরু হিন্দুরা এই কাপড় পেয়ে উনাকে আশীর্বাদ করছেন তেমনি সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষ সহ উনাকে আশীর্বাদ করছেন। এ যেন এক বিভেদের মাঝে ঐক্যের সমারোহ আনতে চাইছেন এলাকার বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন এবং বলা যায় আনতে সমর্থক হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ। বয়স্ক মহিলারা যেভাবে প্রাণ ভরে উনাকে আশীর্বাদ করছেন তা দেখে মানুষের মন জুড়িয়ে যায়। সামান্য এক ধানের মাধ্যমে যে মানুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায় তা দেখিয়ে দিচ্ছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।
নব দূর্গার বিশেষ আকর্ষননিয়ে মায়ের পূজার আয়োজন করছে জোলাইবাড়ী ব্যাবসায়ীকমিটির সদস্যরা।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধ :শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত জোলাইবাড়ী ব্যাবসায়ী কিমিটির উদ্দ্যোগে এইবছরও শারদীয় দূর্গোৎসবকে কেন্দ্রকরে দূর্গাপূজার আয়োজনকরাহয়। এইবছর বন্যার প্রভাবে বড় আকারে পূজা নাকরে সমাজসেবামূলক কাজের মধ্যদিয়ে মায়ের আরধনায়ব্রতী হতেচলছে ব্যাবসায়ী কমিটির সদস্যরা। পূজার প্রস্তুতি চলছে দ্রুতগতিতে। পূজাসম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানাতেগিয়ে ব্যাবসায়ী কমিটির সম্পাদক সুদীপ গোপ জানান এই পূজা ১০০ বছরের পূরানো পূজা। এইবছর পূজার বিশেষ আকর্ষন হিসাবে রয়েছে নবদূর্গা পূজা। পূজা পেন্ডেলে মায়ের ৯ টি রূপের পূজা করাহবে। এইবছর প্রথমবারের মতো মায়ের নয়টি রূপের পূজায় মাতোয়ারা হতেচলছে কিমিটির সদস্যরা। এইবছর বন্যায় সকলের ব্যাপক ক্ষতিহয়েছে। তাই এইবছরের পূজায় জোলাইবাড়ী ব্যাবসায়ীকমিটির উদ্দ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদের মধ্যে বস্ত্র বিতরনের পরিকল্পনা হাতেনিয়েছে। কমিটির সদস্যরা আশাবাদী এইবছরে আয়োজিত পূজার মাধ্যমে সকলে আনন্দ উপভোগকরে বিগতদিনের দুঃখ কষ্ট ভুলেযেতে সক্ষমহবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। জোলাইবাড়ী ব্যাবসায়ী কমিটির উদ্দ্যোগে আয়োজিত পূজায় কমিটির মধ্যে রয়েছে ব্যাবসায়ী কমিটির প্রেসিডেন্ট গৌতম লোধ,সম্পাদক সুদীপ গোপ, কোষাধ্যক্ষ অসীম সাহা, সদস্য রামু দত্ত সহ অন্যান্যরা। জোলাইবাড়ী ব্যাবসায়ী কমিটি আয়োজিত পূজাকে কেন্দ্রকরে সকলেরমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়।
মুসলিম সম্প্রদায় এবং তাদের ধর্মগুরু বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটুক্তি।প্রতিবাদে কদমতলা থানায় মামলা।
ধর্মনগর প্রতিনিধ,৪ অক্টোবর :—— জাতিগত বিদ্বেষ ছড়াতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কিছু বখাটে যুবক ইদানীংকালে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু এবং ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে নিজের ধর্মকে বড় করে অন্য ধর্মকে ব্যঙ্গও ও ছোট্ট করায় আইনি জটিলতার শিকার হচ্ছেন।এমন ঘটনা দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতির রাজ্য ত্রিপুরাতেও নেহাত কম নয়।এ নিয়ে আইনি বেড়াজালে পড়েছেন অনেকেই।এবার রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে আশীষ পাল নামের এক যুবক বিগত কিছুদিন যাবত নিজের সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের মহানবী হযরত মোহাম্মদকে নিয়ে একের পর এক কটুক্তি সহ সংখ্যালঘুরদের দেশ ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে।বিষয়টি ইসলাম ধর্মাবলম্বী সচেতন মানুষের নজরে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় শুরু হয়েছে প্রতিবাদ,এমনকি ওই বখাটে যুবক আশীষ পালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করাও হচ্ছে বিভিন্ন থানায়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার কালাছড়া ব্লক এলাকা থেকে স্থানীয় জনগণ কদমতলা থানায় ডেপুটেশনের মাধ্যমে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।তাদের দাবি হিন্দু, মুসলিম ,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকল ধর্মই সমান এবং যার ধর্মে যে বিশ্বাসী তার প্রতি শ্রদ্ধা থাকা অবশ্যক।সর্ব ধর্মকে সম্মান করা উচিত মানব জাতির।তাই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান তারা।কারণ এভাবে কোন জাতি ধর্ম এবং ধর্মগুরুদের অসম্মান করে দুটি সম্প্রদায়ের ভাতৃত্ববোধকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে এক শ্রেণীর বখাটে যুবকরা।তাই প্রশাসন যদি অবিলম্বে দুষ্কৃতিকারী যুবকটিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে আগামী দিনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তারা আরো বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত করবে।
পুলিশের সাফল্যের বৃত্তান্ত সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরলেন খোয়াই জেলার পুলিশ
শুক্রবার নেশা বিরোধী অভিযান এবং বিভিন্ন অপরাধ মূলক ঘটনায় পুলিশের সাফল্যের বৃত্তান্ত সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরলেন খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার ড.রমেশ যাদব। এই দিন জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার ডঃ রমেশ যাদব জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গঠন করার যে অভিযান তারই অঙ্গ হিসাবে গতকাল খোয়াই জেলায় দুটো মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে মুঙ্গিয়া কামি থানায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুঙ্গিয়াকামি নাকা পয়েন্টে তেলিয়ামুড়া এসডিপিওর নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম চেকিং এ বসে। সংবাদের ভিত্তিতে পাথর বহনকারী একটি লরিকে আটক করা হয়। এবং তাতে তল্লাশি চালিয়ে ৯৯৭৫টি এস কফ সিরাফ এবং ফেনসিডিল এর বোতল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই ঘটনায় লরি সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। অপর ঘটনাটি ঘটে খোয়াই থানাধীন চেরমা এলাকায়। একটি নাম্বার বিহীন মারুতি সুজুকি গাড়িকে আটক করে তাতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৪৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা।খোয়াই থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা লিপিবদ্ধ হয়। এসপির বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায় যে ফেনসিডিল বুঝায় গাড়িটি মিজোরাম থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে আসছিল। অপরদিকে চম্পক নগর থেকে গাজা নিয়ে কমলপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল এক নতুন মারুতি সুজুকি গাড়ি। জেলা পুলিশ সুপার ডঃ রমেশ যাদব তিনি আরো জানান নেশা বিরোধী অভিযান ব্যতীত অপরাধ জনিত বিভিন্ন ঘটনায় সাফল্য পেয়েছে খোয়াই জেলা পুলিশ। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন 2016 এর 9 মে তেলিয়ামুড়া থানায় নাবালিকাকে গণ দর্শন এবং খুনের মামলা লিপিবদ্ধ হয়। আই ও ছিলেন আইপিএস অফিসার লাকি চৌহান। উনার অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষমেষ ঘটনার সাথে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে একজন অপরাধীর মৃত্যু হয় একজন জুভিনাল আইনে আটক হয়। অন্য অভিযুক্তরা খালাস পেলেও সালফা জমাতিয়া নামে এক যুবককে মাননীয় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বৎসর ছশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত করেন। এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এসপি রমেশ যাদব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর পাল সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৩ অক্টোবর:- আলোকচিত্রী ডক্টর শ্রীমন্ত রায়, যার আর একটা পরিচয় গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়-এর বাংলার সহযোগী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার তোলা একটি পাখির ছবি সম্প্রতি নেদারল্যান্ডের Queer Nature Photography Awards 2024-এ প্রথম ১০ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে স্থান পেয়েছে। ছবিটি পশ্চিমবঙ্গের পূর্বস্থলীতে তোলা I এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ওনাকে ইমেইল করে জানিয়েছেন এবং এই ছবি বিষয়ে ও রহস্যময়ী প্রকৃতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আরো কিছু তথ্য তার কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন I প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভালো প্রথম তিনজন স্থানাধিকারীর তালিকা কর্তৃপক্ষ আগামী ১৭-ই অক্টোবর নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত ফটোগ্রাফি এক্সিবিশনে ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার রাতে তারা শ্রীমন্ত বাবু সহ বাকি ৯ জন ফাইনালিস্টকেও এক্সিবিশনে যাওয়ার জন্য তাদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং আসা-যাওয়ার টিকিট পর্যন্ত উপহার দিয়েছেন I এ বিষয়ে অধ্যাপক মহাশয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এ ধরনের প্রাপ্তি উনার কাছে স্বপ্নের মত মনে হয় I এত বড় স্বীকৃতি তাকে আরো অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন I তিনি প্রতিবারের মতো এবারও বলেন যখন কোন প্রদর্শনীতে তার নামের পাশে ভারতবর্ষ বা ইন্ডিয়া লেখা থাকে তখন গর্বে তার বুক ভরে যায়। আর এটাই তার কাছে সব থেকে বড় সম্মান ও পাওনা বলে তিনি মনে করেন I তিনি আশাবাদী আগামী প্রজন্ম কু-নেশার কবল থেকে বেরিয়ে আসবে এবং এমন কোন রুচিশীল নেশার বসবর্তী হয়ে সৃজনশীল সৃষ্টির মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের সুনাম অর্জন করবে I সবশেষে তিনি এই ছবি তোলার সময় উপস্থিত তার স্ত্রী নিশিতা ভৌমিক ও নৌকার মাঝি রতন প্রামাণিক’কে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি। তার এই প্রাপ্তিতে গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা খুবই খুশি। এর জন্য শ্রীমন্ত বাবু তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন I
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২ অক্টোবর।।
মহালয়ার পবিত্র তিথিতে প্রতি বছর পথ সঞ্চালনের আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। বুধবার মহালয়া তিথিতে সারা দেশে সবগুলো জেলায় পথ সঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয়। এরই অঙ্গ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ সিপাহীজলা জেলার পথ সঞ্চালন অনুষ্ঠিত হয় কমলাসাগর বিধানসভায়। বিকাল তিনটায় সেকেরকোট মোটরস্ট্যান্ডে গৈরিক ধ্বজ উত্তোলন এবং সঙ্ঘ প্রার্থণা শেষে শুরু হয় সঞ্চালন। সেকেরকোট থেকে জাতীয় সড়ক ধরে গোকুলনগর রাস্তারমাথা স্পোর্টস মাঠে সঞ্চালনের সমাপ্তি ঘটে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে জেলার সবগুলো খন্ড এবং নগর থেকে পাঁচ শতাধিক স্বয়ং সেবক পূর্ণ গনবেশে পথ সঞ্চালনে অংশ নেন। রাজপথের দু’ধারে অসংখ্য নরনারী স্বয়ং সেবকদের সুশৃঙ্খল সঞ্চালন উপভোগ করতে হাজির ছিলেন। গৈরিক ধ্বজ বহনকারী বাহিনী সহ স্বয়ং সেবকদের উলুধ্বনি শঙ্খধ্বনি পুষ্পবৃষ্টিতে স্বাগত জানান মহিলারা।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- লাংমা নি হাদুক সমাজ এর উদ্যোগে জামজুরি বৃদ্ধাশ্রমে এক রক্তদান শিবির ,স্বাস্থ্য শিবির এবং বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তার শুভ উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এছাড়া ছিলেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, কাকড়াবন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুপ্রিয়া সাহা ও মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস সহ প্রমূখ । এদিনের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , গত কিছুদিন আগে ভারী বন্যা হওয়ার কারণে বিভিন্ন রক্তদান শিবির বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে জনগণ। কিন্তু এই রক্তের সংকট মেটাতে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে জামজুরি এলাকায় এই বৃদ্ধাশ্রমে একদিকে যেমন রক্তদান শিবির অন্যদিকে স্বাস্থ্য শিবির করা হচ্ছে তা খুবই বর্তমানে প্রয়োজন এবং সকলে এই ধরনের সামাজিক কাজে এগিয়ে আসার উচিত বলে তিনি বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই সাথে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সামাজিক সংস্থা থেকে দেওয়া হয় বস্ত্র বিতরণ । দুর্গাপূজার এই উৎসবের প্রাক্কালে এই ধরনের অনুষ্ঠান খুবই প্রশংসার যোগ্য বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী । পরে স্বাস্থ্য শিবির ঘুরে দেখেন অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিরা । এদিন কাকড়া বন কৃষি মহকুমা অধিকারীক রাজু মজুমদারের চেষ্টায় এই ধরনের অনুষ্ঠান সাফল্যের মুখ দেখতে পেয়েছে বলে বক্তব্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। পরে অতিথিদের হাত দিয়ে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জামজুরী এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বাঙ্গালীদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সেই উৎসবকে সামনে রেখে ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় নিজ উদ্যোগে রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের খিলপাড়া , ভাঙ্গারপাড় ও সোনামুড়া চৌমুহনী এলাকায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে অর্থমন্ত্রী নিজ হাতে গরীব অংশের সাধারণ মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দেন । এদিন মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , যে এক ভয়াবহ বন্যা কিছুদিন আগে তার তান্ডব লীলা চালিয়েছে গোটা রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে । এই বন্যার পরে সাধারণ মানুষ এখনো নিজেদেরকে এক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। কিন্তু তার মাঝেই এক বড় উৎসব সামনে এসে হাজির হয়েছে। সুখ দুঃখ নিয়েই চলতে হবে এই জীবন । তাই এই বছর ছোট্ট একটি উপহার দিয়ে এই বছর সকলে মিলে যেন দুর্গাপূজা উৎসবে আনন্দ করা যায় সেজন্য নিজ উদ্যোগে এই ধরনের বস্ত্র উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান বিধানসভা এলাকার সমস্ত অংশের জনগণ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ ২রা অক্টোবর।আমরা গর্বের সাথে মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী উদযাপন করছি,একই সাথে উদযাপন করছি ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ -এর ১০ম বর্ষপূর্তি। ২০১৪ সালের ২রা অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী এই মহৎ উদ্যোগের সূচনা করেছিলেন।মহাত্মা গান্ধী বিশ্বাস করতেন যে পরিচ্ছন্নতা শুধুমাত্র শরীরের নয়,পরিচ্ছন্নতা হওয়া উচিৎ সমাজ ও দেশেরও।তাঁর এই বিশ্বাসেরই প্রতিফলন হল ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জী দ্বারা চালু হওয়া স্বচ্ছ ভারত অভিযান।
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ দশ হাজার কোটি টাকার নতুন পরিচ্ছন্নতা প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন,যা দেশের বিভিন্ন স্থানে জল ও নিকাশি ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন “গত ১০ বছরে কোটি কোটি ভারতীয় এই অভিযানকে নিজেদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন।স্বচ্ছ ভারত অভিযান এখন একটি জন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।” এছাড়াও,তিনি উল্লেখ করেছেন যে,এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা শুধু পরিচ্ছন্নতা অর্জন করছি না, বরং এটি আমাদের সমাজের উন্নতি এবং নারীর ক্ষমতায়নের পথও প্রশস্ত করছে।এই মিশনের মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র লক্ষাধিক শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে।যা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ব্যাপক প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে।যাতে সাধারণ মানুষ পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং নিজেদের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখতে এগিয়ে আসে।স্বচ্ছ ভারত অভিযান কেবল একটি সরকারি উদ্যোগ নয়,এটি আমাদের সকলের প্রচেষ্টা এবং দায়িত্ব। আমাদের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা,প্লাস্টিক ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে মুক্তি পাওয়া, আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনা করা,প্রতিদিনের জীবনে পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং পরিবেশ ও জনজীবনে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব।স্বচ্ছতা এক দিনের কাজ নয়,এটি আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস হয়ে উঠুক।এই বার্তা নিয়েই গত ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হোওয়া স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির আজ পরি সমাপ্তি হয়েছে।কৈলসহর লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আজ মহালয়ার ভোরে স্বচ্ছতার এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।