প্রতিনিধি মোহনপুর:- সোমবার দিনভর ঝড় বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের প্রভাবে ব্যাপক প্রভাবিত হয়েছে বামুটিয়া মোহনপুর এবং সিমনা বিধানসভা এলাকা। বিদ্যুৎ পরিসেবা,কৃষিজমি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ জনজীবনেও প্রভাব পড়েছে বৃষ্টিপাতের। বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। দিনভর গোটা মোহনপুর মহকুমা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিষেবা বেহাল হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে কৃষি জমিগুলোতে জল জমে বহু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন এলাকার কৃষকরা। রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। যার ফলে সাধারণ জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এইদিন।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৭ জুন।। রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থা এন বি ইনস্টিটিউট ফর রুরাল টেকনোলজি আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রবিবার সেকেরকোট স্থিত অর্কনীড়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সরকারী চারু ও কলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক ড: শান্তি পদ গণ চৌধুরী প্রমুখ । অর্কনীড়ের প্রজেক্ট অফিসার অনুপ দে প্রতিযোগিতার উদ্দ্যেশ্য এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করেন। অর্কনীড়ের সভাপতি ড: শান্তি পদ গন চৌধুরী কচিকাঁচা প্রতিযোগীদের বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে অর্কনীড় পরিচালিত
অর্ক গুরুকুলের ছাত্র ছাত্রীরা মনোমুগ্ধকর নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৪০ জন কচিকাঁচা অংশ নিয়েছিলেন। তিনটি বিভাগে মোট ১৭ জন বিজয়ীদের হাতে শংসাপত্র, মেমেন্টো, মেডেল এবং আর্ট সামগ্রী তোলে দেন অতিথিবৃন্দ। অর্কনীড়ের সহ – সভাপতি কপিল বরণ ভৌমিকের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৭ জুন।। স্বচ্ছতা হি সেবা মিশন বাস্তবায়নে নয়া প্রকল্প স্মার্ট টয়লেট। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সারা দেশে স্মার্ট কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমত সারা দেশে দশটি স্মার্ট টয়লেট নির্মাণ করা হবে। এরপর ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্মার্ট টয়লেট নির্মাণ হয় ত্রিপুরা রাজ্যের সেকেরকোট সংলগ্ন ছনখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিবপুরের আই আই ই এস টি এবং এন বি আই আর টি ( অর্কনীড়) সেকেরকোট যৌথ ভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করেছে। সহযোগিতায় ছিল অগ্নি গ্রিন পাওয়ার লিমিটেড। সোমবার রাজ্যের প্রথম স্মার্ট টয়লেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন এন বি আই আর টি এর সভাপতি ড: শান্তিপদ গন চৌধুরী, আই আই ই এস টি এর প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক কনিকা দাস ভট্টাচার্য, সহ ইনভেস্টিগেটর চন্দন কুমার চন্দ, অধ্যাপক সমরজিৎ সেনগুপ্ত, গ্রাম প্রধান দিপ্তী দে, ছনখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুনিতা দেববর্মা প্রমুখ । বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেনি। এনবিআইআরটি এর সভাপতি ড: শান্তিপদ গন চৌধুরী জানান স্বচ্ছ ভারত মিশনে সারা দেশে বহু কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু টয়লেটে জল, বিদ্যুৎ ইত্যাদি ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু স্মার্ট টয়লেটে সৌরশক্তির মাধ্যমে জল উত্তোলন হবে। সর্বক্ষণ ট্যাঙ্কে জল থাকবে। টয়লেটের দরজা খোলা মাত্রই আলো জ্বলবে, পাখা চলবে। আবার দরজা বন্ধ করলেই এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। টয়লেটের ট্যাঙ্কে জল উত্তোলন করার পরেও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে এই সৌরজল প্রকল্পের মাধ্যমে। তিনি জানান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও এই স্মার্ট টয়লেট নির্মাণ হবে। প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন হলে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সারা দেশে গণহারে স্মার্ট টয়লেট নির্মাণে হাত দেবে। অনুষ্ঠানে ছনখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সংগীত নৃত্য পরিবেশন করেন। শেষে স্কুল প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ করেন অতিথিরা।
বিধায়কের পরিকল্পনায় স্বপ্নের নার্সিং ইনস্টিটিউট খোলা হল বগাফা জনজাতি প্রত্যন্ত এলাকায়।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : শিক্ষাব্যাবস্থায় আরেকধাপ এগিয়ে গেলো শান্তির বাজার মহকুমা। শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াংএর প্রচেষ্টায় বেকার যুবক যুবতিদের জন্য নার্সিং প্রশিক্ষনের বিশেষ ব্যাবস্থা করাহয়েছে। বর্তমানসময়ে নার্সিক প্রশিক্ষনের জন্য রাজ্যর বিভিন্ন যুবক যুবতিদের বহিঃ রাজ্যে অধিক অর্থ ব্যায়করে যেতেহয়। এখন থেকে বিধায়কের প্রচেষ্টায় রাজ্যের যুবক যুবতিরা স্বল্প অর্থব্যায় করে এখানেই প্রশিক্ষন নিতে পারবে। এই প্রশিক্ষনের জন্য বেশি পরিমানের অর্থের প্রয়োজন হবেনা। প্রশিক্ষন চলাকালিন স্কলারশিপের টাকা দিয়েই যুবক যুবতিরা প্রশিক্ষন নিতে পারবে। বিধায়কের উদ্দ্যোগে গরিবশ্রেনীর লোকজনদের আশাপূরনের লক্ষ্যে রাজ্যসরকারের অনুমোদিত এ এন এম ও জি এন এম নার্সিং ইনন্সিটিউট খোলাহয়েছে। শান্তির বাজার বগাফা আশ্রম দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিং ৫ বছরের জন্য লিজে নিয়ে শুরু করাহচ্ছে এই প্রশিক্ষন কেন্দ্র। প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রথন পর্যায়ে এন এন এম এ ৬০ জন ও জি এন এম এ ৬০ জন ছাত্র ছাত্রীকে ভর্তিকরানোহবে। তাদের জন্য থাকা ও যাতায়তের বিশেষ ব্যাবস্থা করাহবে বলে জানান। প্রথম বছরে কোনোপ্রকার বাছাই ছারা ভর্তি করানোহচ্ছে। জুলাই মাস পর্যন্ত চলবে ভর্তির প্রক্রিয়া। আজকে সাংবাদিক সন্মেলনের মধ্যদিয়ে নার্সিং ইনষ্টিটিউটের বিভিন্ন দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেন শান্তির বাজার পৌর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অষ্ট লক্ষ্মী ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভানেত্রী জেনি রিয়াং, স্পোক পারসন দিব্যেন্দু চৌধুরী সহ অন্যান্য। এই প্রশিক্ষন কেন্দ্রথেকে যেসকল যুবক যুবতিরা উক্তিন্নহবে তাদেরজন্য ইনষ্টিটিউটের পক্ষথেকে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে দেওয়াহবে বলে জানান। শান্তির বাজার মহকুমায় এইধরনের ইনষ্টিটিউট খোলাহবে তা কোনোদিন ভাবতেপারেনি শান্তির বাজার মহকুমাবাসী। বর্তমান সময়ে বিধায়কের প্রচেষ্টায় সমগ্র রাজ্যের অনেক যুবক যুবতি এই প্রশিক্ষন কেন্দ্রথেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আগামীদিনে নিজের পায়ে দারিয়ে আর্থিক দিকদিয়ে সাবলম্বী হবে বলে সকলে আশাবাদী।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। হাসপাতাল রোডে নবরাগ সংঘের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ই জুন সোমবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাসদর ধর্মনগর শহরের হাসপাতাল রোডে সকাল আনুমানিক ৮টা ৩০মিনিট নাগাত এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন ডাক দিয়েছেন ক্লিন ধর্মনগর গ্রীন ধর্মনগর লাভ ধর্মনগর। এই ডাকে সারা দিয়ে ধর্মনগরের সকল অংশের জনগণ এগিয়ে এসেছেন। একে কেন্দ্র করেই নবরাগ সংঘ ক্লাবের এই উদ্যোগ। দারুন উৎসাহের সাথে সকলে বৃষ্টিস্নাত সকালে এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। যেখানে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, যুব মোর্চার ধর্মনগর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি রাহুল কিশোর রায়,নবরাগ সংঘ ক্লাবের সভাপতি,সম্পাদক সহ ক্লাবের সকল সদস্যরা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় অঝর বর্ষণ। বর্ষণে ধর্মনগরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। শহরের জেল রোড, নয়াপাড়া রোড, বাবুর বাজার, রাজবাড়ি শুধু তাই নয় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা জলের বর্ষণে প্লাবিত হয়ে যায়। মানুষের বাড়ি ঘরে জল ঢুকে পড়ে। শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ থাকায় অনেক লোকের ঘরের মধ্যে বৃষ্টির জল প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি করে। তাছাড়া আগে বিভিন্ন জায়গা খালি ছিল এখন সেই সব জায়গায় ঘন জনবসতির কারণে নতুন বাড়ি বানানো তে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল দাঁড়িয়ে পড়ে। নোয়াগাঙ বাজারে জলের কারণে বাজার স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বৃষ্টির কারণে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। দোকানপাট সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সকাল থেকে খোলেনি। সঙ্গে আজ ঈদের কারণে সরকারি অফিস কাছারি বন্ধ থাকায় শহর পুরোপুরি স্তব্ধ। বাজারের দোকানদারেরা দোকান খুলতে পারিনি এমন কি শহরতলীর লোকেরা দোকানপাট বন্ধ করে নিজের বাড়ির জল সামলাতে এবং নিজের বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। প্রশাসনিক উদ্যোগ কিছুটা লক্ষ্য করা যায়। বৃষ্টির জলে প্লাবিত ধর্মনগর কে দেখতে একটা শ্রেণীর মানুষ বের হয় কিন্তু জলের প্রকোপে তাদের উৎসাহ বিভ্রান্তিতে পরিণত হয়। বিকেলের দিকে বৃষ্টি কমে গেলেও বিভিন্ন এলাকায় জল দাঁড়িয়ে পড়ে। যেভাবে জলের নামার কথা সেভাবে জল নামতে পারছে না বলে এলাকাবাসীর অভিমত। এক কথায় জনবহুল ধর্মনগর বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে মানুষের জীবনের আতঙ্কর রূপে দেখা দেয়।
কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চীত শান্তির বাজার মহকুমাবাসী চাইছেন রাজ্য সরকারের সহযোগিতা।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :শান্তির বাজার মহকুমাবাসী বিগত বাম আমলে বিভিন্ন পরিষেবাথেকে বঞ্চীত হয়েছে। বর্তমান সময়ে শান্তির বাজার মহকুমার দুইবিধানসভা কেন্দ্রর জনপ্রীয় বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং ও শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার মহকুমার বিভিন্ন দিকদিয়ে উন্নয়নহচ্ছে। বিগত বাম আমলে বামনেতা বাদল চৌঁধুরীর জন্য শান্তির বাজারের বিভিন্ন উন্নয়নের দিকদিয়ে পিছিয়েছিলো। যারমধ্যে রেল পরিষেবায় পিছিয়েরয়েছে শান্তির বাজার মহকুমায়। রাজ্যে বামেদের অপশাসন থেকে শান্তির বাজার মহকুমাবাসী মুক্তি পাবার পর বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং এর প্রচেষ্টায় পূর্ত দপ্তরের উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার থেকে শান্তিকলোনী রেল ষ্টেশনে যাতায়তের জন্য নতুনকরে রাস্তা নির্মান করাহয়। বর্তমানসময়ে রাজ্যসরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টায় সাব্রুম পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা রেল পরিষেবা শুরুহচ্ছে। কিন্তু দেখাযায় শান্তির বাজার মহকুমাবাসী এই রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চীত থাকবে। শান্তির বাজার রেলষ্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা রেলের কোনোপ্রকার স্টপেজ নেই। তাই শান্তির বাজার মহকুমাবাসী চাইছে এই পরিষেবা যেন শান্তির বাজার মহকুমাবাসীকে প্রদানকরাহোক। সকলে আশাবাদী বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার উদ্দ্যোগে শান্তির বাজার মহকুমাবাসী রেল পরিষেবা পাবে। এইদিকে তাকিয়েআছে শান্তির বাজার মহকুমাবাসী।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।।
সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামী থানা এলাকায় একাধিক জায়গায় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় কিছুক্ষণ সময়ের জন্য ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচলে। মুঙ্গিয়া কামীর ৩৫ মাইলে জাতীয় সড়কের উপর বড়সড় ধ্বস পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই এর পরিপ্রেক্ষিতে সকাল প্রায় সাড়ে ১১ টা থেকে জাতীয় সড়কের উপর রাস্তার দুই ধারে অগণিত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ এভাবে মানুষ ধসের পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তায় আটকে পড়ার খবর মঙ্গিয়া কামি থানাতে আসার সাথে সাথেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। খবর যায় এনএইচডিসিএল এর নিকট। পুলিশ এবং এন এইচ ডি সি এল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার পর বন কর্মীরাও উপস্থিত হয়। এরপর কিছুক্ষণ পর ডজার দ্বারা ধস সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় এবং প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর পাশাপাশি জাতীয় সড়কের ৪৪ মাইল এলাকাতেও একইভাবে ধস পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবন দারুণভাবে প্রভাবিত হয় এবং যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়।
এখানে উল্লেখ্য পুলিশ এবং এনএসডিসিএল কর্তৃপক্ষ তৎপরতার সঙ্গে ধস সরিয়ে নেওয়াতে পুনরায় যানজট চালু হওয়াতে শ্রমিকদের মধ্যেও সন্তুষ্টি দেখা দেয়। এদিকে পুনরায় মুষলধারে বৃষ্টি আসার ও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তার জন্যও এনএসডিসিএল কর্তৃপক্ষ ও সতর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৫ জুন।। রাজন্য স্মৃতি বিজরিত ঐতিহ্যবাহী কমলাসাগর কসবেশ্বরী কালী মন্দিরে পুণ্যার্থীদের জন্য অন্ন প্রসাদের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রবিবার থেকে এই প্রসাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই প্রসাদ গ্রহণ করেছে কয়েকশত ভক্ত। প্রতিদিন বেলা দুই টায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে অন্ন প্রসাদ বিতরণ করা হবে। স্থানীয় বিধায়ক অন্তরা সরকার দেবের উদ্যোগে এই প্রসাদ বিতরণ কার্যক্রম চালু হয়েছে। রাজধানীর কয়েকজন ব্যবসায়ী এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। রবিবার প্রথম দিনের প্রসাদ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেন বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব। তিনি জানান প্রতিদিন দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। ঐতিহ্যবাহী কসবেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রতিদিন হাজারো পুন্যার্থীর সমাগম ঘটে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য এমনকি বিদেশ থেকেও মায়ের মন্দিরে পূজা দিতে আসেন ভক্তরা। ভক্তরা উপোস করে মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। কিন্তু পূজার পরে তাদের প্রসাদ গ্রহণের সুযোগ ছিল না। বাইরের হোটেল গুলোতে নিরামিষ ভোজনের ব্যবস্থা নেই। তাই ভক্তরা পূজা সেরে কষ্ট ভোগ করতেন। তাই ভক্তদের কথা চিন্তা করে প্রতিদিন অন্ন প্রসাদ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে কয়েকশো পুণ্যার্থী প্রসাদ গ্রহণ করেন। ভক্তরা এই মহতী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তবে বেলা ১২ টায় প্রসাদ বিতরণের প্রস্তাব রেখেছেন অনেক ভক্ত।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৬ জুন:- ধলাই জেলা লংতরাইভ্যালি মনু বনদপ্তরের সামনে বনদপ্তরের জায়গা দখল মুক্ত করার দাবিতে রবিবার এলাকাবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে। এদিন মনু রাবার বাগান এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে এলাকার লোকজনরা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আশা লোকজনরা লংতরাইভ্যালি ছামনু বিভিন্ন জায়গায় সরকারী জায়গা দখল করে বসে আছে। এলাকাবাসীদের দাবি তাদের যদি এই জায়গা থেকে তুলে দেওয়া না হয় তাহলে তারাও সরকারি জমির দখল করে বসে থাকবে। না হলে তাদের সরকারিভাবে জমি প্রদান করতে হবে। অবরোধকারীরা আরো জানান তারা ত্রিপুরার বাসিন্দা হয়েও আজ পর্যন্ত তাদের নিজস্ব কোন জায়গা নেই। এদিন রাস্তা অবরোধের ফলে রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য যান বাহন আটকে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ডিসিএম সহ আরক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আধিকারিকরা অবরোধকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেও কোন সমাধান সূত্র বের করতে পারেনি। শেষে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করা হবে বলে অবরোধকারীদের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধকারীরা রাস্তা অবরোধ তুলে নেয়।