প্রতিনিধি শান্তিরবাজার : আজ এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানে মধ্যেদিয়ে শান্তির বাজার মহকুমা অন্তর্গত উত্তর তাকমা হাই স্কুল মাঠে শুরু হলো ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের ২৬ তম বাৎসরিক
দক্ষিন হাঙংকর কের পূজা। এই কের পূজা উপলক্ষে ১৬ টি পাড়া থেকে বিভিন্ন লোকজন উপস্থিত হন। আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রথমে সমাজের জন্য কাজ করে যারা বলিদান দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার পাশাপাশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
২৬ তম বাৎসরিক
দক্ষিন হাঙংকর কের পূজা শুভ সূচনা করেন ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি যোগেন্দ্র দেববর্মা, উদ্বোধক এর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন এই সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মনোজ দেববর্মা, সেন্ট্রাল কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ইন্দ্রহরি জমাতিয়া, ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের দক্ষিণ হাঙংকর সভাপতি নিকাশ দেববর্মা, দক্ষিণ হাঙংকর সম্পাদক বিদ্যুৎ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। । ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
২৬ তম বাৎসরিক
দক্ষিন হাঙংকর কের পূজা অতিথির আলোচনা করতে গিয়ে এই ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
দক্ষিন হাঙংকের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাজে পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষের প্রতি এই দক্ষিণ হাঙংকর প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এবারকার বন্যায় দুর্গতদের পাশে ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গেছেন দক্ষিণ জেলার এই
হাঙংকর। তাই আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদেরও বিশেষভাবে উৎসাহক সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের
দক্ষিন হাঙংকের তরফ থেকে। আজকের এই ২৬ তম কের পুজোতে উপস্থিত সমস্ত অতিথি বিভিন্ন প্রার্থীকে উপস্থিত দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আজকের এই ২৬ তম বাৎসরিক পুজোকে কেন্দ্র করে উপস্থিত লোকজনদের ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল ।
ত্রিপুরা
সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে প্রগ্রেসিভ ইউথ ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন শুরু।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। ১৯জানুয়ারি।খোয়াই জেলার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব প্রোগ্রেসিভ ইয়ুথ ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন শনিবার সন্ধ্যায় ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌর পরিষদের পৌর পিতা রূপক সরকার, ক্লাবের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দাস সম্পাদক পিন্টু দাস সহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা।
দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তেলিয়ামুড়া প্রোগ্রেসিভ ইয়ুথ ক্লাব সুনামের সাথে বিভিন্ন সমাজসেবক মূলক কাজকর্ম করে আসছে। বিশেষ করে দুস্থ গরিব মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিগত দিনগুলিতে সুনামের সাথে কাজকর্ম করে আসছে।
দুস্থ গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রোগ্রেসিভ শিশু তীর্থ নামে একটি স্কুল বর্তমানে সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। ১৫ দিনব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ অনুষ্ঠানটি পালন করতে যাচ্ছে ক্লাব সদস্যরা। এদিনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণ রাখেন ক্লাবের সম্পাদক পিন্টু দাস। ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক এর ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় বলেন,,, এ ক্লাবের মতো তেলিয়ামুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব যাতে সামাজিক কাজকর্মে এগিয়ে আসে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর যাবৎ এই ক্লাবটি গোটা খোয়াই জেলার মধ্যে সুনামের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করে আসছে। আগামী দিন গুলিতে ক্লাবের কর্মকর্তারা বিগত দিনের সুনাম ধরে রাখতে পারে তার আহব্বান ও করেন বিধায়িকা।
বিধায়িকা ছাড়া আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিরা ক্লাবের সমাজ সেবামূলক কাজকর্মের দীর্ঘ আয়ু কামনার্থে বক্তব্য রাখেন। ক্লাবের এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ক্লাবের প্রবীণ সদস্যদের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া মহকুমার সাংবাদিকদের ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ক্লাবের উদ্যোগে।আজ সকালে ক্লাব সদস্যরা করিলং ও তার আশপাশ এলাকা গুলিতে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি রূপায়ণ করে।
প্রতিনিধি,বিশালগড়, ১৯ জানুয়ারি।। বস্তাবন্দি গাঁজার গোদামে হানা দিলো বিশালগড় থানার পুলিশ। রবিবার পুলিশের টিম রামছড়া গ্রামের প্রবীর ভৌমিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বস্তা এবং ড্রামে মজুত করা প্রায় ৩০৩ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়েছে । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় গাঁজা কারবারি প্রবীর ভৌমিক। শেষে গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিশালগড় থানার ওসি সঞ্জিত সেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় বলে জানান ওসি। অভিযানে ছিলেন ডিএসপি ডিআইবি কেশব হরি জমাতিয়া, বিশালগড় থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যা দেববর্মা, সাব ইন্সপেক্টর মৃদুল মজুমদার সহ মহিলা পুলিশ এবং টিএসআর জওয়ান। অভিযুক্ত প্রবীর ভৌমিকের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে বিশালগড় থানা।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৮ জানুয়ারি।। ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন । এই উপলক্ষে রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে আরক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে। এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার বিশালগড় আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বিশালগড় থানা পরিদর্শন করে। একদিনের জন্য পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব পালন করে ছাত্রছাত্রীরা।
মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীকে এদিন বিশালগড় থানার আধিকারিকরা পুলিশের বিভিন্ন অভিযান, থানার বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য প্রদান করেন । এমনকি পুলিশ কর্তৃক ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র সম্পর্কেও ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করা হয়। এছাড়া যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার পাশাপাশি ডিজিটাল বা অনলাইন জালিয়াতির ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটির বিষয় সহ শিশুদের সাথে জড়িত অপরাধ, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার সময় গৃহীত সতর্কতা, ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা, মাদকবিরোধী আইন প্রভৃতি বিষয়ে আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষার্থীদের অবগত করেন বিশালগড় থানার কর্মকর্তারা।
“শিক্ষার্থীদের সাথে এদিন তাদের শিক্ষকরাও ছিলেন ।
জনগণের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে পুলিশ স্টেশনগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে বোঝার সুযোগ দেওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশালগড় মহকুমা আধিকারিক দুলাল দত্ত । এদিন অভিনয়ের মাধ্যমে থানার ওসি থেকে শুরু করে ডিউটি অফিসার ইত্যাদি বিভিন্ন পদে কিছু সময়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বসানো হয়। তাদের সহযোগিতা করেন ওসি সঞ্জিত সেন। একটিং ওসি সাজে বিশালগড় আনন্দ মার্গ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অপূর্ব আচার্য ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৮ জানুয়ারি।। সিপাহীজলা জেলা শিক্ষা আধিকারিক কার্যালয়ের উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার কমলাসাগর বিধানসভার পূর্ব গোকুলনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত শিবিরের উদ্বোধন করেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব , বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, জেলা পরিষদের সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জেলা শিক্ষা আধিকারিক মলয় ভৌমিক প্রমুখ। রক্তদান শিবিরে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা এসএমসি সদস্য রক্তদান করেন। অতিথিরা রক্ত দানে এগিয়ে আসার জন্য সমাজের সকল অংশের নাগরিকদের আহবান জানান।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৭ জানুয়ারি ।। এ বছর রাজ্যের শ্রেষ্ঠ থানা হিসাবে পুরস্কার পায় সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জ থানা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি সুবিমল দেবনাথ। শুক্রবার চড়িলাম মন্ডলের পক্ষ থেকে থানার ওসি সুবিমল দেবনাথকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। শুক্রবার চড়িলাম মণ্ডল সভাপতি তাপস দাস, সিপাহী জলা জেলা সহ-সভাপতি অমল দেবনাথ, মন্ডল কোষাধক্ষ্য সুমন দেবনাথ সহ চড়িলাম মন্ডলের এক প্রতিনিধি দল বিশ্রামগঞ্জ থানায় গিয়ে ওসি সুবিমল দেবনাথ কে উত্তরীয় এবং পুষ্পস্তবক সহ রাধাকৃষ্ণের এক ছবি দিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন। চড়িলাম মণ্ডল সভাপতি তাপস দাস বলেন আমাদের গর্বের বিষয় চড়িলাম মন্ডলের অধীন বিশ্রামগঞ্জ থানা রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে। অন্যদিকে বিশ্রামগঞ্জ থানার ওসি সুবিল দেবনাথ বলেন আমাদের থানা জনগণকে সাথে নিয়ে এলাকায় অপরাধ দমনে কাজ করছে। তিনি ২০২২ সালে বিশ্রামগঞ্জ থানায় কর্মস্থলে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে অপরাধের মাত্রা কমেছে। সকলের সহযোগিতায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি অপরাধ দমনে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- প্রতিবছরের মত এই বছরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদয়পুর সৈকত বিয়ে বাড়িতে লংতরাই উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ডিলারমিট । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তার শুভ উদ্বোধন করেন উদয়পুর পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার। এছাড়া ছিলেন লং তরাই গুড়া মশলার ডিরেক্টর কৃষ্ণধন দেবনাথ থেকে শুরু করে উদয়পুর বাজার ব্যবসায়ী সভাপতি সহ প্রমূখ । এদিনের অনুষ্ঠানে উদয়পুর শহর ছাড়িয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ বাজারের ব্যবসায়ীরাও অংশ নেন । বক্তব্য রাখতে গিয়ে পৌর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কোম্পানির ডিরেক্টর সহ সকল অতিথিরা বলেন , লংতরাই গুঁড়া মশলা ২০১৪ সাল থেকে এই রাজ্যে কাজ করে চলেছে । ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে আরো নানা ধরনের সামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে বাজারে। গুণমানে উন্নত গুড়া মশলা প্রতিটা সময় তৈরি করার জন্য কাজ করে চলেছে গোটা কোম্পানি । বর্তমানে ৫০০ অধিক কর্মচারী কাজ করছে কোম্পানিতে। ছেলেমেয়েদেরকে আত্মনির্ভর করে তুলতে সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে লংতরাই গুড়া মশলা । এদিন এই অনুষ্ঠানে সমস্ত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ডিলারদের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক একটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির ইলেকট্রিক সরঞ্জাম পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ও উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসকে সামনে রেখে ভারতীয় সংবিধান প্রনেতা ডাঃ বি আর আম্বেদকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গোটা ভারতবর্ষে শুরু হয়েছে সংবিধান গৌরব দিবস উদযাপন।তার-ই অঙ্গ হিসেবে চন্ডীপুর মন্ডলের উদ্যোগে সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন মাঠে।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে।উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর,জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডঃ সুশান্ত সিনহা ও চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সম্পা দাস পাল।স্বাগত বক্তব্য রাখেন চন্ডিপুর মন্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ।১১ই জুন থেকে ২৪শে জুন অব্দি চলবে এই সংবিধান গৌরব দিবস কর্মশালা।আগামী ২৫শে জানুয়ারি প্রত্যেক বুথের ইনচার্জদের সংবিধান সম্পর্কে অবগত করা হবে এবং তার বার্তা প্রতিটি বুথে নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, স্বাধীনতার ৭৮ বছর এবং ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে দলীয়ভাবেই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।নিজেদের স্বার্থে বহু রাজনৈতিক দল তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার ভাঙ্গার জন্য ৯০ বার অবৈধভাবে সংবিধানকে ব্যবহার করা হয়।কিন্তু বিজেপি সরকার ১১ বছরের এই সময়ে কোনভাবেই সংবিধানের গৌরব ভুলণ্ঠিত হতে দেয়নি বরঞ্চ গণতন্ত্রকে মজবুত করা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তিনি বলেন,বাবা সহেব ভীম রাও আম্বেদকরের বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।মধ্যপ্রদেশে উনার জন্মস্থানকে তীর্থক্ষেত্র দিল্লিতে ওনার কর্মভূমিকে তীর্থক্ষেত্র এবং আরো অন্যান্য জায়গাকে নামাঙ্কিত করে পঞ্চক্ষেত্র ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।তিনি বলেন ভারতীয় সংবিধান অধিকার দিয়েছে বলেই সাধারণ মানুষরা মন্ত্রী হতে পারছেন এবং একজন চা ওয়ালা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন।এই সংবিধানের মধ্যে সার্বভৌমত্বের কথা বলা হলেও বিগত সরকার তার ধার মারেনি।বিজেপি সরকার বাগিচা শ্রমিকদের জমির পাট্টা,অন্ন,বস্ত্র বাসস্থান,শিক্ষা স্বাস্থ্য ইত্যাদির মৌলিক অধিকার এই ১১ বছরের সময়ে মানুষকে দিতে পেরেছে।এখন অব্দি পাঁচ লক্ষ ঘর গ্রামীণ এবং শহর এলাকায় মানুষ পেয়েছে।যে সমস্ত পরিবার রেশন কার্ড আলাদা করেছে যারা ঘর পায়নি তাদের জন্যও নতুন করে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ঘর পাবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।২০২৫ সালের মধ্যে জলের সংযোগ ১০০ শতাংশ পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।তিনি বলেন,যারা ৬০ শতাংশ দিব্যংগ তাদের সামাজিক ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে এক দিনে আটটি জেলায় কাউন্টার করে মোট তিন হাজার দিব্যাঙ্গ ভাই বোনকে একই দিনে সেংশন লেটার দেওয়া হয়েছে যা ভারতবর্ষের বুকে রেকর্ড করেছে ত্রিপুরা।ইদানিং সম্পন্ন হওয়া সরস মেলায় ১১ কোটি টাকার বিক্রয় হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং মহিলাদের আত্ম নির্ভরতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ২৭০০ টি স্ব-সহায়ক গ্রুপের মাধ্যমে ৯১ হাজার দিদিকে লাখপতি করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার কোটি টাকা তার জন্য বরাদ্দ করেছে ত্রিপুরা সরকার।ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে এ রাজ্য এগিয়ে চলেছে।একের পর এক সফলতা রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে।সংস্কৃতির অঙ্গনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন সম্প্রতি জাতীয় ক্ষেত্রে ভারত মন্ডপমে অনুষ্ঠিত হওয়া যুব উৎসব এ রাজ্যের লোকনৃত্য দল অংশগ্রহণ করে তৃতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয় এবং সাইন্স ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান লাভ করে ত্রিপুরা।আজকের এই অনুষ্ঠানের অন্যতম সংযোজন চন্ডিপুর বিধানসভা এলাকার তপশিলি শ্রেণীর প্রবীণ সমাজপতিদের সম্মানিত করেন ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়।
ত্রিপুরার লাখপতি দিদি ৯১ হাজার চন্ডিপুর ব্লকের উদ্যোগে আয়োজিত পিঠে পুলি উৎসবে:টিংকু
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-চন্ডিপুর ব্লক এলাকার স্ব-সহায়ক দলের দিদিদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী এবং নিজেদের তৈরি করা নানান ধরনের পিঠে পুলি উৎসবের আয়োজন হয় চন্ডিপুর ব্লক এলাকার জারুলতলী গ্রামীণ মাঠে।মন্ত্রী টিংকু রায়ের হাত ধরে চন্ডীপুর ব্লক ভিত্তিক পিঠে পুলি উৎসব ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্য জারুলতলি এলাকায়।চন্ডিপুর আর ডি ব্লক ও ভিলেজ অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে ব্লক ভিত্তিক এই পিঠে পুলি উৎসব চলবে তিন দিন ব্যাপী।উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,ঊনকোটি জেলা পরিষদের তিন সদস্য বিমল কর,শ্যামল দাস ও অহি রানী দেববর্মা,চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল, ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় সিংহ,বিশিষ্ট সমাজসেবী পিন্টু ঘোষ,অবসরপ্রাপ্ত টিসিএস অফিসার ডঃ কেডি সিনহা,চন্ডীপুর ব্লকের বিডিও প্রসেনজিত মালাকার সহ অন্যান্যরা।চন্ডীপুরে প্রথমবারের মত আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এই পিঠে পুলি উৎসবে চন্ডীপুর ব্লকের অধীনে থাকা ২২টি স্ব-সহায়ক দল অংশ নিয়েছে।স্টলে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যারা নিজেদের তৈরি করা সামগ্রী সহ রকমারি পিঠে পুলি নিয়ে হাজির হয়েছে।এই পিঠে পুলি উৎসবে আমাদের উৎসব ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।গ্রামীণ সংস্কৃতি এবং চিরাচরিত ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে রাখতে তৈরী করা হয়েছে বুড়ির ঘর।উদ্ধোধনী অনুষ্টানে চন্ডীপুর ব্লকের অধীনে থাকা বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মিনি পাওয়ার টেইলার,স্প্রে মেশিন সহ বিভিন্ন কৃষি সহায়ক যন্ত্রপাতি তুলে দেন মন্ত্রী টিংকু রায়।জাতীয় স্থরে খুখু খেলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের এবং কোচকে সংবর্ধিত করেন মন্ত্রী শ্রী রায়। বিভিন্ন স্ব-সহায়ক দলকে লোনের সেংশন মেমো এবং চেকও তোলে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সহ সকল অতিথিরা স্ব-সহায়ক দলের স্টল গুলো পরিদর্শন করেছেন। স্ব-স্বহায়ক দলের তৈরি করা পিঠে পুলি ক্রয় করে তার স্বাদ নিয়েছেন।অনুষ্টানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন যে,এইসব উৎসবের মাধ্যমে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ধরে রাখা যায়।বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রামীণ মহিলারা স্ব-সহায়ক দল করে আত্মনির্ভরশীল। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পনেরোশো কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যাদের হাতে তোলে দিয়েছে।রাজ্যে বর্তমানে ৯১ হাজার লাখপতি দিদিরা রয়েছেন।যাদের রোজগার বছরে এক লক্ষ টাকারও বেশি।রাজ্যে বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের মহিলারা প্রকৃত অর্থেই সন্মান পাচ্ছেন।রাজ্যের যেকোনো জায়গায় বাজার শেড হলে সেই শেডের অর্ধেক মহিলাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়।রাজ্যে বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে যত নতুন সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকান দেওয়া হয়েছে সেগুলো সবগুলো মহিলাদের দেওয়া হচ্ছে। দীপা কর্মকার,অস্মিতা, আরশিয়ারা আজ ত্রিপুরার নাম ভারত তথা বিশ্বের কাছে পোঁছে দিয়েছে।এতকিছুর পরও যখন দেখা যায় যে, ছেলে মেয়েরা নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হবার পর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। চন্ডিপুর ব্লক ও ভিলেজ অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ব্লক লেবেল পিঠাপুলি উৎসব কে কেন্দ্র করে ১৭ই জানুয়ারি শিশুদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং মহিলাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মজাদার খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৮ই জানুয়ারি অব্দি চলতে থাকা এই পিঠে পুলি উৎসবে প্রতি সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লোকগানের অনুষ্ঠান থাকবে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৩ জানুয়ারি:- পৌষ সংক্রান্তি হিন্দু বাঙালির চিরাচরিত সংস্কৃতির বিশেষ উৎসব। বলা চলে বাঙালির তেরো পার্বণের অন্যতম পার্বণ। বাংলা পৌষ মাসের অন্তিমদিনে এই উৎসবকে অনেকে মকর সংক্রান্তি হিসাবেও পালন করে থাকে। সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষ যতোই এগিয়ে যাচ্ছে হারিয়ে যেতে বসেছে চিরাচরিত সংস্কৃতির। হারিয়ে যাচ্ছে পুরানো রীতি রেওয়াজ। আগের মতো এখন আর পৌষ সংক্রান্তির তেমন জৌলুস, আমেজ নেই। তবু গ্রামাঞ্চলে আবেগ উচ্ছ্বাসকে অনেকটাই আগলে রেখে প্রতিটি ঘরে ঘরে রাত জেগে পিঠেপুলি বানানো হয়। কচিকাঁচারা জমির পাকাধান কাটা শেষে নাড়া কেটে বুড়ির ঘর বা ভেলাঘর তৈরি করে। বুড়ির ঘরেই রান্নাবান্না করে খাবার বানিয়ে পিকনিক করা, নাচ গানের আসর বসানো হয়ে থাকে। পুরোনো রীতি রেওয়াজ সংস্কৃতির টানে আজও চোখে পড়ে গন্ডাছড়া মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় নানাবিধ কর্ম প্রচেষ্টার। মঙ্গলবার পঞ্জিকা মতে মকর সংক্রান্তি। কিন্তু সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দৃশ্যায়িত হচ্ছে চিরাচরিত সংস্কৃতিক বুড়ির ঘর। পৌষ পার্বণে বুড়ির ঘর বানানোর আনন্দ উল্লাসের দৃশ্য আমাদের ক্যামেরায় বন্দী করা হয়েছে। কচিকাঁচা থেকে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীরাও বুড়ির ঘর তৈরি করে চলেছে। সোমবার দিবারাত্র এই বুড়ির ঘরে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়ার কোনো খামতি থাকছে না। অনেক এলাকাতেই বয়স্করাও বুড়ির ঘরে কীর্ত্তনের আসর, হরির লুঠের আসর বসে। কনকনে শীতের মরশুমে এই পার্বণে বিভিন্ন প্রকৃতির বুড়ির ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানের আধুনিকতার ছোঁয়ার মাঝেও হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির বাহারিয়ানায় গ্রামীণ মানুষের অবদান ও ভূমিকা অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। পৌষ পার্বণ মানেই আলাদা একটা অনুভূতি। এই পার্বণের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আলাদা বন্ধন, একাত্ম হয়ে বুড়ি ঘর, নগর কীর্তন, লুট ধরা, বাড়ি বাড়ি পিঠে পুলির নিমন্ত্রণ, আরো কত কি আনন্দ। বুড়ি ঘরে সারারাত ব্যাপী হৈ-হুল্লোড় শেষে রাত্রিযাপনের পরদিন ভোরে বুড়ি ঘর পুড়িয়ে সবাই পূণ্যস্নান করা। মকর সংক্রান্তির সকালে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা।