প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ অক্টোবর।। সারা ভারতে ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে আইন-শৃংখলায় পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ত্রিপুরা। রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু এই আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। মঙ্গলবার কমলাসাগরে শিব মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বস্ত্র দান কার্যক্রমে অংশ নিয়ে কথাগুলি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এদিন কমলাসাগর কসবেশ্বরী মন্দিরের সন্নিকটে শিব মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এছাড়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্যী, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন ছন্দা দেববর্মা, জেলা পরিষদের সদস্য গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমূখ। শিব মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বস্ত্র বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন ৩৫ বছরে রাজ্যের মানুষ হিংসা খুন সন্ত্রাসের সংস্কৃতি দেখেছে। অপরাধ করেও অপরাধীরা পার পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র যারা করবে তারা পার পাবে না। কারণ রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সরকার সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এই সরকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। তাই ২৩ শে বিধানসভা পরবর্তী সময়ে লোকসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছে। অন্যান্য বিরোধী দলগুলি কোন ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না। তাই নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উৎসবের দিনগুলিতেও নানা ষড়যন্ত্র হতে পারে। দুষ্টচক্র এই আনন্দ উৎসব বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে। তাই তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি । মুখ্যমন্ত্রী বলেন পুলিশ প্রশাসন সজাগ রয়েছে। কোথাও কোন ষড়যন্ত্র হলে পুলিশকে খবর দিন। সাংসদ তথা বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি পায়ের তলার জমি হারিয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু মানুষ নরেন্দ্র মোদিজির সঙ্গে রয়েছে। এ রাজ্যের শান্তি এবং উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। মানুষের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না বিরোধীদের। তাই বিভেদের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই গাড়ি থাকবে বলে তিনি জানান।
ত্রিপুরা
- প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৮ অক্টোবর।। উৎসবের মরশুমেও আইনি সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বিশালগড় মহকুমা আইন সেবা কর্তৃপক্ষ । মঙ্গলবার বিশালগড় মহকুমার লেম্বুতলী গ্রাম পঞ্চায়েতে এক আইনি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। বিশালগড় মহকুমা আইন সেবা কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আইনি সচেতনতা শিবিরে আলোচনা করেন আইনজীবী সুমিতা রায় এবং লিপিকা দে সরকার। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল বিদ্যান সে সমাধান । সমাজের সকল অন্ধকার দূর করতে পারে একমাত্র শিক্ষা। ভারতবর্ষে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এরপরেও শিশুশ্রম বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অপরাধ ঘটছে। এসব সামাজিক অপরাধ দমন করতে পারে একমাত্র শিক্ষা। তাই আইনজীবীরা সকলের শিক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য উপস্থিত সকলের কাছে আহ্বান রাখেন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে চা বাগান শ্রমিকদের মন জয় করে নিয়েছে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব। তাদের যৌথ উদ্যোগে শারোদৎসবের প্রাক মূহুর্তে হাসি ফুটিয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ হাজারের উপর বাগান শ্রমিক,গরিব ও দুস্থদের মধ্যে।পুজো শুধু শহরের নয়,গ্রামের ও বটে। পুজো শুধু আমার আপনার নয়,ওদের ও বটে।ঠিক এই ভাবনাকে সামনে রেখে রবিবার চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত হালাইছড়া টি ই সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ কর্মসুচি মেগা লায়ন হাট বাজার ও পূজার আহার ২.০।সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হলেও অনুষ্ঠান চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। মোট বারটি স্টলে শিশু থেকে বৃদ্ধ,পুরুষ থেকে মহিলা সবার জন্য ছিল নতুন বস্ত্র। শিশুদের নতুন খেলনা,জুতা, ঘরে ব্যাবহারের জন্য বিভিন্ন রকমের সামগ্রী,মেয়েদের জন্য কসমেটিক্স,বাসনপত্র সহ একাধিক সামগ্রী বিতরণ করা হয়।সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের পছন্দ মত জিনিস নিতে পেরেছে আজ বাগান শ্রমিকরা।দ্বিতীয় বারের মত কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছে। অভিনব এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে হালাইছড়া টি ই সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। নিজের পছন্দের নতুন বস্ত্র, গৃহস্থের সামগ্রী,খেলনা, সাজগোজের জিনিস নিয়ে বাড়ি ফেরার যে তৃপ্তি ও আনন্দ তা প্রতিটি বাগান শ্রমিক ও পশ্চাদপদ অংশের মানুষের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে। আকাশ বাতাস মুখরিত হয়েছে বাচ্চাদের বাঁশি ও নানান খেলনার সুমধুর শব্দে।শুধু তাই নয় সকলের জন্য ছিল বিভিন্ন ধরনের আইটেম দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা।যার নাম দেওয়া হয়েছে পূজার আহার।অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা,লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর রাজেশ আগরওয়াল,কেবিনেট সেক্রেটারি দিলীপ কুমার সরব,ডেপুটি কেবিনেট সেক্রেটারি তাপস সাহা, কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি সুপ্রিয় দেবরায়, সম্পাদক প্রাণতোষ রায়, সার্ভিস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাবের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্য অতিথিরা। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ঝা-চকচকে শহরের কোলাহল থেকে হালাইছড়া গ্রামে সত্যিকার অর্থে যাদের দিন আনতে পান্তা ফুরায় ঠিক তাদের কাছে গিয়ে তাদের পাশে থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসবে সকলের মধ্যে একরাশ হাসি ফোটাতে আনন্দে মেতে উঠতে লায়ন্স ক্লাব অব কৈলাসহর ও লিও ক্লাবের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।প্রতিদিন বন্যা কবলিত এলাকা থেকে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছিল কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতেও অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান,বিনামূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবা সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব।স্বাস্থ্য শিবির,চক্ষু অপারেশন শিবির,রক্তদান, সচ্ছ ভারত অভিযান,বৃক্ষ রোপন সহ বিপর্যয় কিংবা আনন্দের অনুষ্ঠান সর্বদাই সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব।
ছোট মাঝারি মৎস্য চাষীদের স্বয়ং সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আর্থিকভাবে সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ ।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার : আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শান্তির বাজার মহকুমায় অন্তর্গত বকাফা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির হলঘরে বকাফা ব্লক এবং জোলাই বাড়ি ব্লকের ছোট মাঝারি গ্রামীণ মৎস্য চাষীদের
মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনায় নির্বাচিত মৎস্যজীবি এবং মৎস্য চাষীদের মধ্যে বরফের বাক্স, কুনি জাল , ও মৎস্য সহায়ক যোজনার থেকে ৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। জানা যায়- ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রায় 6 লাখ টাকা ব্যয় করে ৪০ জন মৎস্যজীবীকে কুনি জালের পাশাপাশি ১৬ জন মৎস্যজীবীকে মাছ রাখার জন্য বরফের বক্স, এবং ৬০ জন গ্রামীণ মৎস্যচাষীকে ৬ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়। আজকের এই অনুষ্ঠানের প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ৩৬ শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, উদ্বোধকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শান্তিরবাজার পৌর পরিষদের পৌর মাতা স্বপ্না বৈদ্য, বকাফা পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল পাটারি,
বকাফা মৎস্য তত্ত্বাবধায়ক, ওয়াটসন রিয়াং, অজয় দেবনাথ সহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।বিধায়ক আলোচনা করতে গিয়ে মৎস্য দপ্তর এবং সরকারের একাধিক জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনাগুলি জনসম্মুখে তুলে ধরেন। শ্রী বিধায়ক পাশাপাশি আরো বলেন যারা প্রকৃত মৎস্য চাষী এবং ছোট বড় মাঝারি ব্যবসায়ী তারা যাতে সরকারি এ ধরনের সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য মৎস দপ্তরের আধিকারিকদের পরামর্শ দেন। শান্তিরবাজার মৎস্য তত্ত্বাবধায়ক ওয়াটসন রিয়াং জানান রাজ্য সরকার এবং মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মৎস্য চাষীদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে এই ধরনের কর্মসূচি প্রতিনিয়ত জারি থাকবে। শান্তির বাজার বকাফা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে আজকের এই বিতরের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বকাফা এবং জোলাই বাড়ি ব্লক এলাকার ছোট মাঝারি মৎস্য চাষীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসব লক্ষ্য করা গেল।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ অক্টোবর।। চতুর্থীতেই উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা বিশালগড়। আকাশের মুখ ভার থাকলেও মন্ডপে মন্ডপে চলছে শেষ তুলির টান। দুর্গোৎসব উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ সহ নানা সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব। সোমবার বিশালগড়ের কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় করে শারদীয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিজেপির বিশালগড় মন্ডল কার্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুশান্ত দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ভবতোষ ঘোষ, সম্পাদক তাজুল ইসলাম সহ সকল সাংবাদিকরা। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বিশালগড়ের শান্তির সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি সার্বিক কল্যাণে সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। দিনগুলি যাতে সবাই আনন্দে মেতে উঠে। কোন নেতিবাচক প্রভাবে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিশালগড় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ভবতোষ ঘোষ বলেন সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা সহ এলাকার সকল সমস্যা সমাধানে বিধায়কের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি যে মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ তা বারবার তার কাজের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব সাংবাদিক বান্ধব। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে কোন অসুবিধা হলে তা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। সবশেষে বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ সাংবাদিকরা মিষ্টিমুখ করেন। সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেন উৎসবের উপহার।
মন্ত্রীর হাতধরে লতুয়া টিলা এলাকায় গ্রামীণ মানুষের স্বপ্নের সেডঘরের শুভসূচনা ।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের সার্বিক উন্নয়নে কাজকরেযাচ্ছে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া । বিগতদিনে বামশাসনে জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের তেমন কোনোপ্রকার উন্নয়নহয়নি বললেইচলে। বর্তমানসময়ে রাজ্যে বিজেপি ও আই পি এফ টি ও তিপ্রামথার জোট সরকার চলাকালিন সময়ে জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের সর্বত্রচলছে উন্নয়ন। জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের সার্বিক উন্নয়নে কাজকরেযাচ্ছে এলাকার জনপ্রীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। মন্ত্রীর অক্লান্তপ্রচেষ্টায় জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের অধীনে লতুয়াটিলা এলাকায় ১৯ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা অর্থব্যায়করে এলাকার লোকজনদের সুবিধার্থে একটি ওপেন বাজার সেডঘর নির্মানকরাহয়। শনিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নবনির্মিত সেড ঘরের শুভসূচনা করলেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। উদ্ভোধকের পাশাপাশি আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী ব্লকের সমষ্টিউন্নয়ন আধিকারিক মানস ভট্টাচার্য্য, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ভাইসচেয়ারম্যান কেশব চৌঁধুরী, জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েতসমিতির সদস্য পায়েল নাথ, এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী অজয় রিয়াং সহ অন্যান্যরা। আজকের এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া বিগত বাম আমলের বিভিন্ন কাজের তিব্র সমালোচনা করেন। মন্ত্রী উনার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে রাজ্যসরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর কথা বলতেগিয়ে জানান বিগত দিনে দক্ষিন জেলারমধ্যে জেলাভিত্তিক কোনো অনুষ্ঠান জোলাইবাড়ীতে হতোনা। জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের লোকজনেরা অন্য বিধানসভায় যেতেহতো। বর্তমানসময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকরারজন্য জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের অধীনে বাইখোড়ায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হলঘর নির্মানকরাহচ্ছে। এছারা জোলাইবাড়ী বিধানসভাকেন্দ্রের অধীনে বাইখোড়া, কোয়াইফাং, দেবদারু ও সাঁচীরাম বাজারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর কথা জনসন্মুখে তুলেধরলেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনায় লতুয়াটিলা এলাকায় দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাজার ওপেন সেটপেয়ে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রকরে উপস্থিত ঐ এলাকার লোকজনদেরমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরা যায়।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৫ অক্টোবর।। বিশ্রামগঞ্জ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় পেলো সর্বসুবিধা যুক্ত সুদৃশ্য নয়া পাকা ভবন। শনিবার বৃষ্টিস্নাত বিকালে সুদৃশ্য দ্বিতল স্কুল বিল্ডিং এর ফলক উন্মোচন করেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল যীষ্ণু দেববর্মন এবং মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার হাত ধরে। শেষে স্কুলের হল ঘরে হয় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: প্রফেসর মানিক সাহা। চড়িলামের বিধায়ক তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দায়িত্বে থাকাকালীন বিশ্রামগঞ্জ স্কুলটির উন্নয়নে হাত দেন যীষ্ণু দেববর্মন। আধুনিকীকরণের জন্য সরকার অর্থ মঞ্জুর করেন ৭ কোটি ৮০ লক্ষ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। নতুন স্কুল তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয় আরডি দপ্তরকে। ২০২২ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের মধ্যে স্কুলের কাজ শেষ হয়। সুদৃশ্য নতুন বিল্ডিং এ রয়েছে ১৪ টি ক্লাস রুম দুইটি স্টাফ রুম একটি ল্যাব এবং একটি ম্যাথমেটিক্স ল্যাব একটি কেমিস্ট্রি ল্যাব একটি ফিজিক্স ল্যাব একটি প্রিন্সিপাল রুম একটি ভাইস প্রিন্সিপাল রুম একটি বায়ু ল্যাব ক্যাশ একাউন্ট সেকশন অফিস রুম এবং ৭০০ ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্রামগঞ্জ স্কুল। স্কুলটিতে বর্তমানে রয়েছে ১৩০০ জন ছাত্রছাত্রী। স্কুলটিকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে সি বি এস ই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যপালকে বাঁশ বেতের তৈরি নীরমহলের স্মারক দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন স্কুলের প্রিন্সিপাল চিরকুমার দেববর্মা এবং ভাইস প্রিন্সিপাল সজল দেববর্মা। আলোচনা করতে গিয়ে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব বর্মন বলেন বিশ্রামগঞ্জ স্কুলের একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্কুলটি তে রয়েছে বাঙালি উপজাতি এবং মুসলিম সমস্ত অংশের ছাত্রছাত্রী। জাতি উপজাতির মেলবন্ধনের তীর্থস্থান বিশ্রামগঞ্জ এলাকা এবং বিশ্রামগঞ্জের এই স্কুল। এই স্কুল থেকে ভালোভাবে পড়াশোনা করে অনেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার খেলোয়ার রাজনীতিবিদ তৈরি হয়েছে । অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন শুধু ভালো লেখাপড়া করলেই মানুষ হওয়া যায় না। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা যোগা এবং সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা এবং চর্চা করতে হবে। লেখাপড়া করে বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে । মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রি প্রাইমারি শিক্ষা থেকে শুরু করে বুনিয়াদি শিক্ষা সহ রাজ্যের এবং রাজ্য সরকারের শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত পরিকল্পনা গুলো অনুষ্ঠানে তুলে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আদর্শ মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার ।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ডক্টর সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, চড়িলাম বিধানসভার বিধায়ক সুবোধ দেববর্মা, শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা, সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা সংগীত নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ৩রা অক্টোবর।খোয়াই জেলার অন্যতম বনেদি ক্লাব হিসেবে পরিচিত, তেলিয়ামুড়ার বুলেট ক্লাব শুধুমাত্র দুর্গাপূজাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে না। সারা বছরই বুলেট ক্লাবের সদস্যরা নানান সামাজিক কাজকর্ম ও করে থাকে। আজ বুলেট ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক রক্তদান শিবির। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে অনুষ্ঠিত আজকের রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়া মুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায়। বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায়, বুলেট ক্লাবের সামাজিক কাজের প্রশংসা করে বলেন, রক্তদানের থেকে মহান দান আর কোন কিছু হতে পারে না। রক্তের কোন বিকল্প নেই। সারা পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীরা নানান গবেষণা করছেন। কিন্তু আজও রক্তের বিকল্প বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করতে পারেননি। তাই রক্তদান মহানদান। আমরা যে রক্ত দান করি। সেই রক্ত কখন কোন জাতি ধর্ম বর্ণের মানুষের শরীরে রক্ত যায় তা আমরা আগে থেকে বলতেও পারিনা। তাই রক্তের কোন জাত ধর্ম বর্ণ কোন কিছুই নেই। রক্ত শুধু মানুষকে জীবন দান করে। রক্তদানে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য শ্রীমতি রায় সকলকে আবেদন রাখেন। আজকের রক্তদান শিবিরে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ইনচার্জ ডক্টর চন্দন দেববর্মা, বুলেট ক্লাবের সভাপতি সুখেন্দু বিকাশ দাস এবং সম্পাদক পার্থসারথি রায় সহ অন্যান্যরা। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর বুলেট ক্লাবের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। সম্পাদক পার্থসারথি রায় জানান, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ক্লাবের পক্ষ থেকে, এলাকাতে বিরুদ্ধে সচেতনামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
- প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সংকল্প নিয়ে যে অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তার সাথেই উন্নয়নের আরেকটি নতুন পৃষ্ঠা যোগ করেছেন ফটিকরায় বিধানসভার বিধায়ক তথা মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।বিধায়ক থাকাকালীন সময়ে ফটিকরায় বিধানসভার পাঁচ বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিগত ২৫ বছরের সময়কালের কর্মকান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল।ফটিকরায় বিধানসভার অন্তর্গত জগন্নাথপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে ত্রিপুরা সরকার তাদের জন্য ফিস মার্কেট নির্মাণ করে দিয়েছে।এই নবনির্মিত ফিস মার্কেটের আজ ফিতে কাটার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনের পর সকল মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে জগন্নাথপুর ফিস মার্কেট।ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এই ফিস মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী শ্রীদাস।যা আজ আনুষ্টানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিক বৃন্দ।উদ্বোধনী ভাষনে মন্ত্রী বলেন ফটিকরায়ের উন্নয়নের মুকুটে আরেকটি নতুন পালক হচ্ছে জগন্নাথপুর ফিস মার্কেট।মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।প্রতি শনিবার জগন্নাথপুরে সাপ্তাহিক বড় বাজার হয়ে থাকে।সেই সময়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ করে বর্ষার সময়ে বসে মাছ বিক্রি কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে।সেদিকটা মাথায় রেখেই এই ফিস মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন জগন্নাথপুর বাজারের সৌন্দর্যায়নের জন্য আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে বাস্তবায়িত হবে।তার পাশাপাশি তিনি বলেন মাছ বাজারের স্বচ্ছতার প্রশ্নে সকলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং মাছ বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেদিকেও মৎস্য ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।তিনি বলেন সম্প্রতি বন্যায় রাজ্যের যে যে ক্ষেত্রগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে ফিশারী সেক্টরে সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়েছে।প্রায় ৭০ শতাংশ জলাশয়,পুকুর,নদী ইত্যাদি থেকে মাছ বেরিয়ে গেছে। তিনি বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের বাজারে মাছের বিপুল চাহিদা রয়েছে।সেই মাছ বেশিরভাগ পরিমাণ ইমপোর্ট করতে হয় বহিরাজ্য থেকে।যার ফলে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা চলে আসে মাছগুলোকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখার জন্য। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় মৎস্যচাসীরা যত বেশি বেশি করে মৎস্য চাষে এগিয়ে আসবে ততই রাজ্যের মানুষের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে।তিনি বলেন রাজ্যের বুকে এই প্রথমবারের মতো লাইভ ফিস রেস্টুরেন্ট একাধিক জায়গায় খোলা হবে।যেখানে সব সময় জীবন্ত মাছ খেতে পাবেন গ্ৰাহকরা।সেই সাথে সাথে তিনি বলেন কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যেভাবে বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় সেই মোতাবেক মৎস্য চাষীদের কল্যাণে এবং তাদের উৎসাহিত করার জন্য বাৎসরিক ৬০০০ টাকা সহ মাছের খাদ্য ইত্যাদি প্রদান করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যেখানে জলের উৎস কম পরিমাণে রয়েছে ঐ জায়গা গুলোতেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
বিশ্ববন্ধু সেনের ওয়ার্ড ভিত্তিক কাপড় বিলিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উদ্দীপনা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি … প্রাক পূজার প্রাক্কালে ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বমন্ত সেন ধর্মনগরের ৫১ টি ওয়ার্ডের পঞ্চাশ জনকে বেছে নিয়ে যে কাপড় বিলি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা প্রতিদিন উদ্দীপনা সহকারে দলে দলে মহিলারা যোগদান করে সার্থক করে তুলছে। এই কান্ড থেকে চারবার তিনি বিধায়ক পদে নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ জনগণের প্রতি ন্যূনতম দায়িত্ববোধ ওনার এসে গেছে। তাই তাদের দানে ঋণী বিধায়ক সামান্যতম কিছু একটা পড়তে যাচ্ছে এলাকার জীবন্ত দেবী দুর্গার প্রতি। প্রতিদিন আবাল বৃদ্ধ বণিতা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তিনি কাপড় বিলি করে চলেছেন। এখানে না আছে কোন ধর্মের সমারোহ কোন জাতির সমারহ। একদিকে যেমন সংখ্যাগুরু হিন্দুরা এই কাপড় পেয়ে উনাকে আশীর্বাদ করছেন তেমনি সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষ সহ উনাকে আশীর্বাদ করছেন। এ যেন এক বিভেদের মাঝে ঐক্যের সমারোহ আনতে চাইছেন এলাকার বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন এবং বলা যায় আনতে সমর্থক হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ। বয়স্ক মহিলারা যেভাবে প্রাণ ভরে উনাকে আশীর্বাদ করছেন তা দেখে মানুষের মন জুড়িয়ে যায়। সামান্য এক ধানের মাধ্যমে যে মানুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায় তা দেখিয়ে দিচ্ছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।