- প্রতিনিধি শান্তির বাজার: ঘটনার বিবরন জানাযায় শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত বাইখোড়া এলাকায় ও এন জি সির বোম ফাঁটানোর কাজ চলছে। এই কাজে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ এর অধিক শ্রমিকরা কাজে নিযুক্ত রয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ কাজে যোগদানকরার পূর্ব এগ্রিমেন্ট করাহয়েছে শ্রমিকদের ৫৮০ টাকা মজুরি ও সপ্তাহে একদিন ছুটি দেওয়াহবে। কিন্তু দেখাযায় দীর্ঘ দিন কাজকরার পর শ্রমিকদের দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি দেওয়াহচ্ছে এবং সপ্তাহে একদিন ছুটি দেওয়ার কথা থাকলেও তাদেওয়াহচ্ছেনা। এইনিয়ে শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকলে আন্দোলনে সামিল হয়ে কর্মবিরতির ডাকদেয়। সকলের দাবি শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা করেদিতেহবে। তানহলে সকলে অনিদিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতিতে সামিলহবে। তথাকথিক বর্তমানসময়ে শ্রমিক দরদী ভারতীয় মজদুর সংঘ শ্রমিকদের দাবিনিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। জানাযায় এই অর্থথেকে মোটা অঙ্কের অর্থ শান্তির বাজার শ্রমিক সংগঠনের দুইজন নেতৃত্বের পকেটে যাচ্ছে । উনারা এই কাজের সঙ্গে জরিত বলে জানাযায়। ভারতীয় মজদুর সংঘ সর্বদা শ্রমিকদের স্বার্থে কাজকরতে দেখাগেলেও কয়েকজন নেতৃত্ব অর্থের লোভে নিজেদের বিক্রিকরেদিয়েছে বলে অভিযোগ এবং উনারাই শ্রমিকদের উপার্জিত অর্থের লাভের অংশ নিজেদের পকেটেভরছে। আজকের এই আন্দোলনের খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটেযায় বাইখোড়া থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতহয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের দাবি জানালেও শ্রমিকরা উনাদের ন্যায্যপাওনার দাবিতে আন্দোলন জারী রাখেন। এখন দেখার বিষয় শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিতে প্রসাশন ও রাজ্যস্তরের ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতৃত্বরা কোনোপ্রকারের পদক্ষেপগ্রহন করেনকিনা।
ত্রিপুরা
সর্বনাশা জুয়ায় সর্বশান্ত হচ্ছেন খোয়াইয়ের সাধারণ অংশের জনগণ। পাহাড় এবং সমতল সর্বত্র চলছে জোয়ার রমরমা। পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার। খোয়াই শহরে চলছে এন্ডিং নামক জুয়া। আর পাহাড়ে চলছে তির এবং জান্ডি মুন্ডা নামক সর্বনাশা জুয়া। নিজের ঘাটের পয়সা জোয়ায় হারাচ্ছেন গরীব বংশের সাধারণ জনগণ। খোয়াই শহরের সুভাষ পার্ক কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ। সকাল হতেই কোহিনুর কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে শুরু হয় জুয়ারীদের আনাগোনা। এছাড়া পুরান বাজার, মোটর স্ট্যান্ড, নতুন বাস টার্মিনাল পয়েন্ট সকাল হতেই দখল নিয়ে নেয় জুয়ারীরা। একই অবস্থা পাহাড়ের। পাহাড়ে জান্ডি মুন্ডা এবং তির নামক জোয়ায় সর্বস্বান্ত হচ্ছেন জনজাতি অংশের জনগণ। দিনভর শ্রম করে যতটুকু উপার্জন করে তার অধিকাংশ অর্থই জোয়ায় হেরে খালি হাতে ফিরতে হয় গরিব এবং শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের। তাতে করে ওই সব পরিবারগুলিতে অভাব অনটন নেমে আসে। সৃষ্টি হয় পারিবারিক অশান্তি। আর এইসব হচ্ছে পুলিশের জ্ঞাত সারে। গরিব শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের পাশাপাশি একাংশ সরকারি কর্মচারী এই জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়ছেন। খোয়াইয়ের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের অভিমত এই সর্বনাশা জোয়া থেকে সমাজকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পুলিশের সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- আমরা সবাই জানি আলোকচিত্রী শ্রীমন্ত রায় তথা গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের তোলা একটি ছবি সম্প্রতি ‘কুইর নেচার ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’-এ প্রথম ১০ জনের মধ্যে স্থান পেয়েছিল। এই বিষয়ে অধ্যক্ষ মহাশয়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায় যে পরবর্তীতে এই ছবিটি অষ্টম স্থান অধিকার করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার এক অভূতপূর্ব অনুভূতি ও ঘটনার সাক্ষী আমরা সাংবাদিকরা হয়ে রইলামI অধ্যক্ষ মহাশয় হঠাৎ আমাদের ফোন করে উনার কলেজে আসার আমন্ত্রণ জানান। আমরা আসার পর উনি আমাদের হাতে উক্ত ছবিটির একটি করে বাঁধানো কপি ও মিষ্টান্ন আমাদের হাতে তুলে দিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন I এই ঘটনায় আমরা প্রত্যেকেই অভিভূত হয়েছি I উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি বলেন যে “আপনারা সাংবাদিকরা সারা দিনরাত নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন I সুতরাং এই স্বীকৃতিটুকু আপনাদের প্রাপ্য I এই সম্বর্ধনা দিতে পেরে আমি নিজেকে কৃতার্থ মনে করছি। বিশ্বের দরবারে আমার এই সাফল্য আমার একার নয়, এ প্রাপ্তি আমাদের মহাবিদ্যালয়, দপ্তর, সম্পূর্ণ গন্ডাছড়া তথা গন্ডাতুইসা সাব ডিভিশন, রাজ্য ও দেশের সবার প্রাপ্তি; এবং আপনাদের মাধ্যমে সেই বার্তা রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে গেছে I তাই আমার এই আনন্দটুকু আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নিলাম।” উনার সাথে আরো কথা বলে জানতে পারি যে গন্ডাছড়ার সবার প্রাপ্তি মনে করে, উনি গতকাল এখানকার মাননীয় এস.ডি.এম মহাশয়ের হাতে এমনই একটি ছবি প্রতীকি হিসাবে দিয়ে এসেছেন I শ্রীমন্ত বাবুর কাছ থেকে জানতে পারা যায় যে উনার এই সাফল্যে মাননীয় এস.ডি.এম মহাশয়ও খুব খুশি ও গর্বিত I শুধু তাই নয় শ্রীমন্ত বাবু জানান মাননীয় এস.ডি.এম স্যার উনাকে নানান ভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন যা উনাকে আরো স্বপ্ন দেখাবে I একটি ক্ষুদ্র ও ব্যক্তিগত প্রাপ্তিকে সার্বিক রূপ দেওয়ার ওনার এই প্রচেষ্টায় আমরা সাংবাদিকরা সত্যিই অনুপ্রাণিত।
খোয়াই ২০৮ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইক ও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি। আহত বাইক চালকের নাম সুমন মজুমদার। বাড়ি খোয়াই চা বাগান এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে আজ বিকেল চারটা নাগাদ খোয়াই এর মহাদেব টিলা এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, যে গাড়ির সাথে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সেই গাড়িটি ছিল পানিসাগরের এসডিএম এর কনভয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে খোয়াই অগ্নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা। সেখান থেকে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে খোয়াই জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে জেলা হাসপাতালে।,
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১০ নভেম্বর:- প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই বছরও বুদ্ধ রীতি অনুযায়ী রবিবার গন্ডাছড়া অমূল্য ধন পাড়ায় দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শত শত পুণ্যার্থীর সমারোহে গিরিমানন্দ আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূলত এই স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। বুদ্ধের বাণী হচ্ছে দান,শীল ও ভাবনা। তার মধ্যে ভাবনা ছাড়া বুদ্ধের প্রকৃত পথ নির্বান লাভ করা সম্ভব নয়। তাই নির্বান লাভের পূণ্য অর্জন করার জন্য শত শত পুণ্যার্থী এই ভাবনা কেন্দ্রে গিয়ে বুদ্ধের আশীর্বাদ গ্ৰহণ করে থাকে। আজকের এই মহতি পূণ্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমার চাকমা সমাজের সম্পাদক – জয়মনি চাকমা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক -বিকাশ চাকমা,সাগর জিৎ চাকমা,নিপন চাকমা, চন্দ্র জয় চাকমা, দূর্গা চরণ চাকমা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক পূণ্যার্থীর সমাগম ছিল লক্ষণীয়।
বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে। শনিবার খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারে বাংলা আকাডেমি খোয়াই জেলা কমিটির উদ্যোগে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতিবাদ জানানোহয় । এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক মনোরঞ্জন গোপ বলেন, বর্তমান প্রজন্মে বাংলা ভাষার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির মাতৃভাষা, আর এই মাতৃভাষাকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে । তাছাড়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুরো পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী রূপে গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ দিনের এই অনুষ্ঠানে খোয়াই এর বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। এদিন কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশিস নাথশর্মা, বাংলা একাডেমির জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন গোপ, উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর পিযুশ কান্তি চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবী অভিজিত দত্ত ভৌমিক সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যের ফটিকরায় বিধানসভা এলাকার পেঁচারডহর গ্রামে গত ৬ই অক্টোবর এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরী হয়।ঘটনার সূত্রপাত পশ্চিম বাংলার এক ফেরিওয়ালাকে ঘিরে।আলটপকা অভিযোগ করে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর টার্গেট।তাকে কলুষিত করতেই বিভিন্ন চক্রান্ত সাজানো হচ্ছে বলে মন্ত্রীর অনুগামীদের ধারনা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন মুর্শিদাবাদ থেকে আসা যুবক মতিবুর রহমান পেঁচারডহর গ্রামে ফেরি করতে আসে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন মতিবুরের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে পরিচয়পত্র দেখাতে বললে সে তাতে অমত প্রকাশ করে। স্থানীয়দের সন্দেহের মধ্যে আরও ইন্ধন দেয় সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অবৈধ অনুপ্রবেশের গুঞ্জন। পরিস্থিতি গড়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে।যা পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে এবং মতিবুরকে কৈলাসহর থানায় নিয়ে আসা হয়।বহিঃরাজ্য থেকে আসা এই ফেরিওয়ালার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে গ্রামবাসীদের অভিমত।তবে পরবর্তীকালে তার দেওয়া বক্তব্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।৭ই অক্টোবর একটি ভিডিও বার্তায় দেখা যায় মতিবুর নতুনভাবে দাবি করছে যে,মন্ত্রী সুধাংশু দাসের উপস্থিতিতে তার ওপর হামলা হয়েছে।যা সে ৬ই অক্টোবর দেওয়া বক্তব্যে উল্লেখ করেনি।ভিডিওটি খুব দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাতে গ্রামবাসী ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় মতিবুর।তবে কৈলাসহরের টিলাবাজার স্থিত ভাড়া বাড়িতে বসে যে বক্তব্য ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দিয়েছে সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে রেকর্ড করে মন্ত্রীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করতেই করা হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা এটিকে মন্ত্রীর সম্মানহানির একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন।তারা অভিযোগ করেন বহিঃরাজ্যের এই ফেরিওয়ালা তৃনমূল সমর্থক এবং কিছু অনুগামী এ ধরনের উস্কানিমূলক ঘটানোর পেছনে আছেন। ভিডিওটি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন সকলেই।সন্দেহ করা হচ্ছে মতিবুর কে ব্যবহার করে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার জন্য বড়সড় ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য মন্ত্রী সুধাংশু দাসের নামে এভাবে মিথ্যা কুৎসা রটানো খুবই দুঃখজনক।তাদের দাবি, বহিঃরাজ্যের ওই যুবক যদি আবার এ ধরনের উস্কানিমূলক কাজ করে তবে তারা তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।যদিও এখন পর্যন্ত মন্ত্রী সুধাংশু দাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।তবে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৮ নভেম্বর:- বিবেকানন্দ সেবান্যাস ধলাই জেলা পক্ষ হইতে ডুম্বুর নগর খন্ডে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় শুক্রবার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিন জমাতিয়া পাড়া এসবি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য শিবিরে এলাকার শত শত মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করেন। বিবেকানন্দ সেবান্যাসের এক কর্মকর্তা জানান সম্প্রতি বন্যায় গোটা রাজ্যের সাথে গন্ডাছড়া মহকুমাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর মধ্যে রমেশ কবিরাজ পাড়া, নাইরোহা চৌধুরী পাড়া ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যা কবলিত এই সব এলাকার মানুষের সাহায্যার্থে বিবেকানন্দ সেবান্যাসের এ উদ্যোগ বলে জানান। স্বাস্থ্য শিবিরে এলাকার জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের শত শত মানুষজন’দের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধপত্র বিতরণ করা হয়। এদিন গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাস্থ্য শিবির করার ক্ষেত্রে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তার জন্য বিবেকানন্দ সেবান্যাসের পক্ষ হইতে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরকে ঘিরে এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
তিন দিবসীয় লাইফ স্কিল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ ধর্মনগর সরকারী মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এ
ধর্মনগর স্টেট ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (SIPARD) এর উদ্যোগে ও সহায়তায় এবং কদমতলা ব্লকের ও ধর্মনগর সরকারী মহাবিদ্যালয় এলুমনি অ্যাসোসিয়েশন এর ব্যবস্থাপনায় ৪ই থেকে ৬ই অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত চলা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে তিন দিবসীয় লাইফ স্কিল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ ধর্মনগর সরকারী মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এ গতকাল সমাপ্ত হয়। আজ ট্রেনিং এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দীপঙ্কর বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ডিরেক্টর, ডিআরডিএ, উত্তর ত্রিপুরা, গৌতম দাস, প্রিন্সিপাল , ধর্মনগর সরকারী মহাবিদ্যালয়। উত্তর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৩৭জন স্বেচ্ছাসেবককর্মী এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল স্বেচ্ছাসেবকদের জীবন দক্ষতার বিকাশ ও পরিচালনা, যা প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগানো । প্রশিক্ষণের কোর্স ডাইরেক্টর অর্পিতা চৌধুরী , এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর , কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ও হেড অফ ট্রেনিং উইং, SIPARD এবং প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রীতম মালাকার ও রণদীপ রুদ্র পাল। তিনদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে লাইফ স্কিলের বিভিন্ন বিষয়ের উপর স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রশিক্ষকদের দ্বারা। অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবিকা নবমিতা নাথ ট্রেনিং এর ফিডব্যাক প্রদান করেন । পরিশেষে উপস্থিত অতিথিদের দ্বারা প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীদের হাতে সংশাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
কলা উৎসব ২০২৪ আয়োজিত হয় খোয়াই জেলা শিক্ষা আধিকারিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায়
খোয়াই পুরাতন টাউনহলে জেলাভিত্তিক কলা উৎসব ২০২৪ আয়োজিত হয় খোয়াই জেলা শিক্ষা আধিকারিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায়। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুব্রত মজুমদার, খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায়, খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াইজেলা শিক্ষা আধিকারিক দীনেশ দেববর্মা থেকে শুরু করে অন্যান্যরা। এদিন খোয়াই জেলার ৪৬ টি স্কুল থেকে ৩৪৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের নাচ গান নৃত্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে হবে। সারা রাজ্যেই বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত হচ্ছে এই জেলা ভিত্তিক কলা উৎসব ২০২৪। এরপর হবে রাজ্যভিত্তিক এবং এর পরে জাতীয় স্তরের এই কলা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে রাজ্যের ছেলে মেয়েরা নিজেদের প্রতিভাকে তুলে ধরতে পারবে। উল্লেখ থাকে এ দিনের কলা উৎসবে পুরাতন টাউন হল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।