ধর্মনগর প্রতিনিধি,,আজ ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কাঞ্চনপুর মহকুমার ভান্ডারী মা প্রত্যন্ত সাগরপাড়া গ্রাম আজ পরিণত হয়েছিল এক মানবিক উদ্যোগের কেন্দ্রস্থলে। আনন্দবাজার থানার অন্তর্গত এই গ্রামে ১২৪ ব্যাটালিয়ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আয়োজন করে একটি বিনামূল্যের চিকিৎসা শিবির। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা এই শিবিরটি পরিচালিত হয় ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট শ্রী এস. বালাসুব্রহ্মণ্যমের নির্দেশে, যা ছিল বিএসএফ-এর নাগরিক কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
শিবিরে নেতৃত্ব দেন ১২৪ ব্যাটালিয়নের এসএমও ডাঃ ভেনি নুহ এবং পিএইচসি জুম্পুইয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ গুড্ডু দেববর্মা। দুই চিকিৎসক গ্রামবাসীদের সাধারণ রোগের কারণ, প্রতিরোধের পদ্ধতি, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ বিতরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়।
গ্রামবাসীদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো—মোট ২৫০ জন মানুষ শিবিরে অংশ নেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাগরপাড়া গ্রামের প্রধান শ্রী ক্ষেত্র মোহন রিয়াং সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি। বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে শিবিরে অংশ নেন শ্রী অনিল বোধ, ২ আইসি সহ ০২ জন কর্মকর্তা, ০৮ জন অধস্তন কর্মকর্তা এবং ৩৫ জন জওয়ান।
শিবির শেষে স্থানীয় মানুষের সন্তুষ্টি ছিল স্পষ্ট। গ্রামবাসীরা বিএসএফ-এর এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে এরকম আরও স্বাস্থ্য শিবির আয়োজনের অনুরোধ জানান।
মানবিকতার এই কর্মসূচি আবারও প্রমাণ করল—সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনমান উন্নত করতেও বিএসএফ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ত্রিপুরা
ধর্মনগর প্রতিনিধি : অবশেষে শুরু হলো ধর্মনগরের তিন নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার কাজ ।
বিগত দুই দিন আগে তিন নম্বর ব্রিজ এলাকায় একই দিনে পরপর চারটি দুর্ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তারপর এলাকাবাসী রাতের বেলা পথ অবরোধ করেন।মুহূর্তের মধ্যেই ছোট বড় সকল ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । পুলিশও আসে সেই অবরো স্থলে এবং পরিস্থিতি সামল দেয়। তার সাথে অবরোধ স্থলে পৌঁছান বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থার অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা নিরাপদ চলাচলের দাবি জানান। জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসদেন পরেরদিন থেকেই কাজ শুরু হবে। অবশেষে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা। কথা ছিল পরের দিন থেকে শুরু হবে রাস্তার কাজ অবশেষে অবরোধ প্রত্যাহারের দুদিন পরই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ধরা পড়ল দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া সেই জায়গাতেই শুরু হয়েছে রাস্তার মেরামতের কাজ। জনপ্রতিনিধিরা কথা দিয়েই কাজ শুরু করেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
স্বর্ণকমল জুয়েলার্স তাদের আগরতলা শোরুমে একটি পেশাদার অগ্নি ও দুর্যোগ নিরাপত্তা প্রদর্শনী মহড়া আয়োজন করেছে
আগরতলা প্রতিনিধি : স্বর্ণকমল জুয়েলার্স তাদের আগরতলা শোরুমে একটি পেশাদার অগ্নি ও দুর্যোগ নিরাপত্তা প্রদর্শনী মহড়া আয়োজন করেছে, যা গ্রাহক, দর্শনার্থী এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি তাদের দৃঢ় অঙ্গীকারকে আরও একবার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এই মহড়াটি পরিচালনা করা হয়েছিল ত্রিপুরা ফায়ার অ্যান্ড এমার্জেন্সি সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায়, যারা শোরুম কর্মীদের জরুরি পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানানো, নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।এই উপলক্ষে স্বর্ণকমল জুয়েলার্সের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী গোপাল চন্দ্র নাগ বলেন, “স্বর্ণকমল জুয়েলার্সে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের প্রকৃত দীপ্তি শুধুমাত্র গয়নার মধ্যেই নয়, বরং সেই যত্ন ও নিরাপত্তার মধ্যেও নিহিত যা আমরা প্রতিটি দর্শনার্থীর জন্য নিশ্চিত করি। নিরাপত্তা শুধুই একটি প্রটোকল নয়—এটি আমাদের দায়িত্ব।”ত্রিপুরা ফায়ার অ্যান্ড এমার্জেন্সি সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের অফিসার-ইন-চার্জ স্বর্ণকমল জুয়েলার্সের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে এই প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য ব্যবসায়িক সংস্থার জন্য একটি অনুকরণীয় উদাহরণ স্থাপন করেছে।প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে, ভবিষ্যতেও এই ধরনের নিরাপত্তা মহড়া নিয়মিতভাবে আয়োজিত হবে, যাতে সকল গ্রাহক ও কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ বজায় রাখা যায়।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জল সম্পদ দপ্তর কৈলাসহর বিভাগের তত্ত্বাবধানে ফটিকরায় বিধানসভার রাইসিংপাড়া এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে উন্নয়নমূলক কাজ হয়।অভিযোগ মূলে জানা যায়,এই কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হলেও ওয়াটার রিসোর্স দপ্তর কাজের বিল দেয়নি।গত ৮ই অক্টোবর সন্ধ্যায় কতিপয় দুষ্কৃতিকারী রণজয়ের কুমারঘাট স্থিত বাসভবনে হামলা চালায় এবং মন্ত্রীর নাম ব্যাবহার করে।এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা হয় বলে জানা যায়।এনিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে বাইট দিয়েছে রনজয় দেববর্মা তার সাথে বাস্তবের সঙ্গে কোন মিল নেই।কিন্তু নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনজয় দেববর্মা ফটিকরায়ের বিধায়ক তথা প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ও ওনার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হিমাংশু দাসের নাম উল্লেখ করায় এনিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।আজ বিকেলে ঊনকোটি জেলা ঠিকাদার সংঘের উদ্যোগে শতাধিক ঠিকাদার কৈলাসহর থানায় বাস্তকার রনজয় দেববর্মার বিরুদ্ধে ডেপুটেশন প্রদান করে।এরপর আজ সন্ধ্যায় ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে ঠিকাদার সংঘের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়।উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার সংঘের সদস্য ভাস্কর রায়,দীপেন্দ্র মালাকার,বিমলেন্দু পাল,সুব্রত ঘোষ,প্রশান্ত সরকার এবং অজিত আচার্য্য।সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঠিকাদার ভাস্কর রায় বলেন,সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন কাজের চুক্তি হয় দপ্তর এবং ঠিকাদারি এজেন্সির মধ্যে।সেখানে মন্ত্রী সুধাংশু দাসের নাম উল্লেখ করে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনজয় দেববর্মা পরিকল্পিতভাবে উনাকে হেয় প্রতিপন্ন করেন।বামমার্গী বাস্তুকার রনজয় দেববর্মার এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ঠিকাদার সংঘ।একই সাথে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঠিকাদার সংঘের তরফ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয় রণজয় দেববর্মাকে।এই মিথ্যা বক্তব্যের স্বপক্ষে ওনাকে যুক্তি দেখাতে হবে, নতুবা সংঘের তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ভাস্কর বাবু। এই সাংবাদিক সম্মেলনে রণজয়ের অনেক কীর্তিকলাপও তুলে ধরা হয়। যে কোন কাজ করতে গেলে তাকে কুড়ি শতাংশ কমিশন দিয়ে কাজ করতে হয়।নতুবা তিনি কোন বিলে সই করেন না।এখানেই শেষ নয় ঠিকাদার সংগঠনের তরফে গুরুতর অভিযোগ আনা হয় যে,জল সম্পদ বিভাগের ডিভিশন-৬ শাখায় সরকার প্রদত্ত ১০ কোটি টাকা থাকলেও এই শারদীয় উৎসবে ঠিকাদারদের বিল দেয়নি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনজয় দেববর্মা। তাকে কমিশন না দিলে কোন বিল দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।এর ফলে পুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় এই কাজের সাথে যুক্ত কর্মীরা।সরকারের নির্দেশিকাকে অমান্য করে এই টাকা অব্যায়িত রেখে কি বুঝাতে চাইছে রনজয় বাবু?এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ঠিকাদার সংগঠন।রণজয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংগঠনের তরফে সামগ্রিক বিষয়ের সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করা হয়েছে পূর্তমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার কাছে।ভাস্কর রায় উনার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন সম্প্রতি রনজয় দেববর্মা সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন গত ৮ই অক্টোবর উনার উপর প্রাণঘাতী হামলা সংঘটিত হয়েছে এবং নিগৃহীত করা হয়েছে।কিন্তু উনার বক্তব্যের স্বপক্ষে উনি থানায় যে অভিযোগ দিয়েছেন সেখানে এ ধরনের কোন প্রমাণ দিতে পারেনি।এখানেই শেষ নয় ঊনকোটি জেলায় উনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই কখনো দপ্তরের সামনে ক্ষোভের মুখে বাইক পোড়ানো,কখনো প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিকদের সামনেই কাজে গাফিলতির জন্য স্থানীয়দের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছিলেন।যা থেকে প্রমাণিত হয় উনার দায়িত্বে যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে এবং দপ্তরকে কালিমালিপ্ত করা তার পরিকল্পিত কাজের ধারাবাহিক প্রতিফলন।
মোহনপুরে পোষণ মাহ পালনে সামাজিক ভাতার অনুমোদন ও অঙ্গনওয়াড়ির নিয়োগ পত্র প্রদান
প্রতিনিধি মোহনপুর :- মোহনপুর আইসিডিএস প্রকল্পের অন্তর্গত অষ্টম পোষণ মাহ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে মোহনপুরে। দিব্যাঙ্গদের নতুন সামাজিক ভাতার অনুমোদন পত্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নতুন নিয়োগ পত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়েছে সুবিধাভোগীদের। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মোহনপুর আইসিডিএস প্রকল্পের অন্তর্গত সামাজিক ভাতার নতুন সুবিধাভোগীদের অনুমোদন পত্র প্রদান করা হয়েছে সোমবার। বিশেষ করে মানসিক দিব্যাঙ্গদের সামাজিক ভাতার অনুমোদন পত্র প্রথমবারের মতো এই এলাকাতে প্রদান করা হয়। মোহনপুর ব্লক, মোহনপুর পুর পরিষদ, লেফুঙ্গা ব্লক এবং বামুটিয়া ব্লক এলাকার সুবিধাবীদের দেওয়া হয়েছে অনুমোদন পত্র। মানসিক দিব্যাঙ্গদের প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। এদিন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ সুবিধাবীদের হাতে ভাতার অনুমোদন পত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করেছেন। অন্যদিকে অঙ্গন কেন্দ্রের শিক্ষিকা, সহায়কাপদেও নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে এদিন।
এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন পূর্বের সরকার সামাজিক ভাতা প্রদানের জন্য ব্যয় করতো প্রায় ৩১০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের পর বর্তমানে রাজ্যে সামাজিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে বছরে ৮৩০ কোটি ৬০ লক্ষ্য টাকা। বর্তমানে ৩.৯৮ লক্ষ্য মানুষ ত্রিপুরায় সামাজিক ভাতা পাচ্ছেন। মন্ত্রীরা রতন লাল নাথ অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান রাখেন দিব্যাঙ্গদের প্রতি কোনভাবেই যাতে অবহেলা না করা হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী এদেরকে দিব্যাঙ্গ বলে আখ্যায়িত করেছে। তিনি বলেন একজন প্রধানমন্ত্রী বিশেষ শারীরিক ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদের দিব্যংঘ হিসেবে আখ্যায়িত করার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন। পাশাপাশি যারা এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়োগ পত্র পেয়েছেন উনারা দায়িত্ব সহকারে নিজেদের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। এই কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ, মোহনপুরের সিডিপিও দীপক চন্দ্র সরকার সহ অনান্যরা।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় । চড়িলাম উত্তর ব্রজপুরের অনিল দেবনাথ (৪০)। পেশায় কাঠমিস্ত্রি। বিপিএল ভুক্ত পরিবার। ব্রেইন টিউমারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে বিছানায়। দ্রুত চিকিৎসা না করলে বাঁচানো অসম্ভব। কিন্তু চিকিৎসায় দরকার সাত লাখ টাকা। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা পরিবারের। এই টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। স্ত্রী রিঙ্কু দেবনাথ হাত জোর করে স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন। অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু এতো পরিমাণ টাকা জোগাড় হচ্ছে না। ১০ বছর আগে সাথে সামাজিক রীতিতে বড়জলার রিঙ্কুর সঙ্গে বিয়ে হয় অনিলের। পিতা নিতাই দেবনাথের মৃত্যুর পর অনিল দেখভাল করতেন পরিবারটিকে। দিনমজুরি কাজ করে মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে কোনক্রমে চলতো তাদের সংসার । সাত বছর আগে হঠাৎ অনিল অসুস্থ হয়ে পড়ে। সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডক্টর জানায় অনিলের মাথায় রয়েছে টিউমার। রেফার করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সোনাদানা গরু বাছুর বিক্রি করে ধারদেনা করে অপারেশন করা হয় অনিলের । প্রাণে বেঁচে ফিরে অনিল। পরবর্তী সময়ে সুস্হ হয়ে সংসার প্রতিপালনে ফের শুরু করে দিনমুজুরির কাজ। কিন্তু গত কয়েকমাস আগে প্রচন্ড জ্বর আসে অনীলের শরীরে। সঙ্গে অসহনীয় মাথা ব্যথাও। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় জিবি হাসপাতালে। চিকিৎসক স্পষ্ট জানিয়ে দেয় অনিলের মাথায় রয়েছে দুটো টিউমার। করতে হবে অপারেশন। কলকাতার হাসপাতালে করাতে হবে টিউমার অপারেশন। ফের বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য বৃদ্ধা মা ভিক্ষে করছে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার । এখন দেখার অসহায় রিংকুর দিকে ফিরে তাকায় কিনা রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী । সকলের সহযোগিতা পেলে আবার সুস্থ হয়ে ওঠবে অনিল। রক্ষা পাবে রিঙ্কুর সিঁথির সিঁদুর।
দেবীপুর এডিসি ভিলেজে দূর্গা পূজাকে কেন্দ্রকরে শিমুল মিয়ার নেতৃত্বে চলছে জুয়ার রমরমা আসর।
শান্তির বাজার : বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গোৎসব। এই দূর্গোৎসবে সকলে নিজ নিজ পরিবারের লোকজনদেরনিয়ে মা দূর্গাকে দেখতে যান। কিন্তু দেখাযায় শান্তির বাজার মহকুমার দেবীপুর এডিসি ভিলেজে মায়ের আরাধনার নামে জুয়ার রমরমা আসার বসানোহয়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ শান্তির বাজার থানার ওসি রাজু দত্তকে ম্যানেজ করে এলাকার শিমুল মিয়া এই জুয়ার আসর বসিয়েছে। সে নিজেকে কখনো বিজেপি আবার কখনো তিপ্রা মথা দলের নেতৃত্ব বলে পরিচয় দিয়েথাকে। এলাকার প্রভাবখাটিয়ে লোকজনের মুখ বন্ধকরে শারদীয় দূর্গোৎসবকে কুলষিত করার প্রয়াস চালিয়েযাচ্ছে শিমুল এমনটাই অভিযোগ। স্থানীয় লোকজনেরা জানায় পূজাকে কেন্দ্র করে জুয়ার আসর চলবে এই জুয়া বন্ধকরারমতো কারোর ক্ষমতানেই বলে জানায় শিমুল। এলাকার স্থানীয় লোকজনেরা চাইছে দক্ষিণ জেলা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক যেন শিমুলের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপগ্রহনকরে। নাহলে জুয়ার প্রলোভনেপরে সর্বশান্তহয়ে পরবে বহু পরিবার। দূর্গা উৎসবের আনন্দ নিরানন্দে পরিনত হবে দেবীপুর এলাকাবাসীর কাছে। অপরদিকে কোয়াইফাং এডিসি ভিলেজেও দূর্গা পূজার নামে চলছে জুয়ার রমরমা ব্যবসা। এই পূজাতেও আগত দর্শনার্থীরা জুয়ার প্রলোভনে পরে সর্বশান্ত হয়ে ঘরে ফিরছে। এই অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বাইখোড়া থানার সেকেন্ড ও সি। সকলে চাইছে এই দুইটি পূজায় জুয়ার আসর বন্ধ করতে প্রসাশন যেন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। চড়িলামে কৃষক সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। বৃহস্পতিবার
চড়িলাম ব্লকের উত্তর চড়িলাম এবং ছেচুড়িমাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্পের বেনিফিসারিদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এলাকার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান আরোগ্য যোজনার সুবিধার পেয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে কথা বলেন। কৃষকেরা সাংসদকে জানান এই আয়ুষ্মান প্রকল্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি। পাশাপাশি সৌরশক্তি চালিত পিএম কুসুম প্রকল্প যে সমস্ত কৃষকরা সেচ প্রকল্প পেয়েছেন সেই কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন বিপ্লব কুমার দেব। কৃষি জমিতে গিয়ে তিন লাখ টাকায় বসানো জলসেচ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। কৃষকেরা জানান একসময় শুধু এক ফসল করতে পারতেন। সৌর চালিত সেচ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ায় বর্তমানে ধান চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের গৃহীত প্রকল্প গুলো নিয়ে মতবিনিময় করেন সাংসদ বিপ্লব দেব। বিশেষ করে সরকার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করায় ধান চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। তাছাড়া বীজ সার ঔষধ বিনামূল্যে এবং ট্রাক্টর সহ কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকীতে প্রদান করায় উপকৃত হয়েছে কৃষকরা ।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ১৯ সেপ্টেম্বরে।তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বিশেষ অভিযানের মধ্য দিয়ে তেলিয়ামুড়া শহর এবং শহরতলীতে আজ বিশেষ বার্তা তৈরি হয়। বিশেষ করে নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে আজকের এই অভিযানে অতিরিক্ত মহকুমা শাসক রূপানজন দাসের নেতৃত্বে অভিযানকারী দলের সদস্যরা তেলিয়ামুড়া বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী প্রবীর সাহার শান্তিনগর স্থিত বাড়িতে অভিযান সংঘটিত করে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার শব্দ বাজি উদ্ধার করেছে। এর পাশাপাশি তেলিয়ামুড়া শহরের বেশ কিছু দোকানে অভিযান সংঘটিত হয়। এই অভিযানে অতিরিক্ত মহকুমা শাসক ছাড়া ডিসিএম হরিপদ সরকার, ডি সি এম অঞ্জন কুমার দাস, ডেপুটি সি ও প্রদীপ কুমার সরকার, ফুড ইন্সপেক্টর তনুশ্রী নন্দী, তেলিয়ামুড়া থানার ওসি জয়ন্ত কুমার দে সামিল ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট অভিযান সম্পর্কে অতিরিক্ত মহকুমা শাসক রূপাঞ্জন দাস জানিয়েছেন প্রবীর সাহার বাড়ি থেকে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা শব্দবাজি গুলো বাজেয়াপ্ত করে উনাকে আইন অনুযায়ী নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি শ্রী দাস দাবি করেছেন এইভাবে একটা বাড়ির ভেতরে এত পরিমানে শব্দবাজি মজুত করে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ, এই বিষয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গৃহীত হতে চলেছে এমনটা সরাসরি দাবি করেছেন তেলিয়ামুড়া মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক রুপানজন দাস।পাশাপাশি মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে আগামী দিনেও একই রকম ভাবে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন বাজারগুলোর মধ্যে এই রকমের অভিযান সংগঠিত হবে।