প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ও কুমারঘাট মহকুমা হাসপাতালের সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান প্রকল্পের আজ জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারঘাট এর মানসী হলে। জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারি সভাধিপতি সন্তোষ ধর,মহকুমা শাসক এনএস চাকমা,ভারপ্রাপ্ত সিএমও ডঃ শঙ্খ শুভ্র দেবনাথ,বিদ্যালয় পরিদর্শক কুমারঘাট ও সিডিপিও সঞ্জয় দে এবং এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সাব ডিভিশনাল মেডিকেল অফিসার ডঃ শুচরিত চাকমা।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমারঘাট পুর পরিষদের চেয়ারপারসন বিশ্বজিৎ দাস।স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমও ইনচার্জ ডঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ।আজ রাজ্য ভিত্তিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়েছে ধলাই জেলার আমবাসায় এবং জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১২টি শিশুকে কৃমিনাশক ঔষধ,জিংক,ওআর এস এবং টিডি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে আশা কর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি শূন্য থেকে নয় বছর বয়সের শিশুদের রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে শহর এবং গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়,অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার,নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি স্থানে ০-১৯ বছরের শিশুদের যথাযথ বিকাশ এবং সম্পূর্ণভাবে রোগ মুক্ত রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুপরামর্শ এবং ঔষধ খাওয়ানো হবে।স্বাগত বক্তব্যে ডাঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ জানান টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া টিকাকরণ কর্মসূচি,আয়রন ও ফলিক এসিড পরিপূরক, মাতৃদুগ্ধপান বিষয়ে সচেতনতা,এইচ বি এন সি এবং এইচবি ওয়াইসি, ভিটামিন এ পরিপূরক,পোষন অভিযান,কৃমিনাশক কর্মসূচি,হাম-রুবেলা কর্মসূচি,এএফপি নজরদারি, কিশোরী বিবাহ ও গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ,নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ, আইডিসিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ঔষধ এবং এনসিডি স্ক্রিনিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৭.০ এর সফল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের অঙ্গীকারে ২৪শে অক্টোবর থেকে ৬ই নভেম্বর অব্দি এই কর্মসূচি চলবে গোটা জেলায়।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব , সুস্থ কৈশোর অভিযান ২৪ শে অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার গোমতী জেলা ভিত্তিক শুভ সূচনা করেন উদয়পুর জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় । এছাড়া ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার ও জেলার স্বাস্থ্য অধিকারীক কমল রিয়াং এবং মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকারিক জয়দ্বীপ দেববর্মা সহ প্রমুখ । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকারিক জয়দ্বীপ দেববর্মা । পরে বিধায়ক ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব ও সুস্থ কৈশোর অভিযানে ২৪ শে অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর গোমতী জেলায় ১৮ টি হাসপাতাল , ১৪৪ টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র , ৬২৭টি স্কুল ও তিনটি কলেজ এবং ১ হাজার ৩২৮ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পরিষেবা দেওয়া হবে । গোমতী জেলার স্বাস্থ্যকর্মী , চিকিৎসক , স্বাস্থ্য মিশনের কর্মী সহ ১০৫০ জন দিদিমণিরা এই কাজে যুক্ত থাকবেন । পরে জিলা সভাধিপতি ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়ের সচেতনতা , এইচ বি এন সি এবং এইচ বি ওয়াইসি , ভিটামিন এ পরিপূরক , পোষন অভিযান, কিশোরী বিবাহ ও গর্ব অবস্থায় প্রতিরোধ নিমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যার সনাক্তকরণ আই ডি সিএফ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ওআরএস ও জিংক ওষুধ এবং এনসিডি স্ক্যানিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের উর্ধে ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের সনাক্তকরণ করা হবে । এর সকল বাস্তবায়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনের এক বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন জিলা সভাধিপতি । পরে ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে পুষ্টি জাতীয় ঔষধ খাওয়ানো হয় অতিথিদের হাত ধরে । গোটা অনুষ্ঠানে উদয়পুর টাউনহলে আশা কর্মী থেকে শুরু করে জিএনএম ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- গ্রামীন এলাকার আয়ের উৎসব বৃদ্ধি করতে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে বামুটিয়া ব্লক এলাকার সুবিধা ভোগিদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে উন্নত মানের মোরগ ছানা সহ খাদ্য সামগ্রী। যার মাধ্যমে বিকল্প আয় বৃদ্ধি পেতে পারে গ্রামবাসীর। বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত মোট ২০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১০০ জন সুবিধাভোগীদের মধ্যে এই মোরগ ছানাগুলো বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার মোরগ ছানা বিতরণের পাশাপাশি একদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে সুবিধাভোগীদের। মাথাপিছু ১৩০০০ হাজার টাকার মোরগ ছানা সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচিতে উদ্বোধনী পর্বে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী আহ্বান করেন যাদেরকে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে তারা যাতে আগামী দিনে এই মোরগ প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যান। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বামুনিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ, বামুটিয়া ব্লকের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর ডঃ সম্রাট চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- সোমবার গোটা দেশ তথা রাজ্যের সাথে গন্ডাছড়া মহকুমাতেও পুলিশ স্মৃতি দিবস উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে এদিন গন্ডাছড়া থানা এলাকার অন্তর্গত শহীদ সমীর চৌধুরী, প্রদীপ বর্ধন, অভিজিৎ বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে বীর শহীদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান গন্ডাছড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বাপি দেববর্মা, গন্ডাছড়া থানার ওসি অসীম সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে পুলিশ আধিকারিকরা শহীদ পরিবারের মধ্যে ফল ,মিষ্টি বিতরণ করেন এবং পরিজনদের সাথে কথা বলে তাদের গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এদিন পুলিশ আধিকারিকদের সামনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন শহীদদের ভুলে যাওয়া অসম্ভব, তাদের মনে রাখতে হবে। গোটা দেশে যারা আত্ম বলিদান করছেন তাদেরকে স্মরণ করা হচ্ছে। পুলিশ আধিকারিক বলেন নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানে পুলিশ দিনরাত কাজ করে চলছে এবং আগামী দিনেও জারি থাকবে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে সাথে সামাজিক কর্মকাণ্ডের দায়বদ্ধতা থেকে আজ স্বস্তি হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেগা রক্তদান শিবির। রক্তদান শিবিরে স্বস্তি হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে শহরের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকরা রক্তদান করেন।স্বস্তি হেলথ কেয়ারের সিইও ডাঃ সুমিত দাস জানান প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এই হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে রক্ত দান শিবির অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।গত জুলাই মাসে প্রথম রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়।আগামী দিনেও এই হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়াও এই হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে আগামী দিনেও বিনামূল্যে বিভিন্ন অপারেশন শিবির অনুষ্ঠিত হবে।রক্তদান শিবিরে ডাঃ সুমিত দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেলথ কেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত দাস,সুজয় দে সহ অন্যান্যরা। রক্তদান শিবিরে মোট পঁচিশ জনের অধিক রক্তদান করেন।যার মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।কৈলাসহর ব্লাড ব্যাংকের রক্ত স্বল্পতা কমিয়ে আনতে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণের উপর এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবেন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দমদমিয়াতে। রবিবার এলাকার কৃষকদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এতে মহিলা এবং পুরুষ কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছেন। মোট ৪৫ জনকে দেওয়া হয়েছে এই প্রশিক্ষণ। এভারগ্রীন এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকরা ভারত সরকারের ই-নাম নামক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কিভাবে তাদের উৎপাদিত সামগ্রী গোটা ভারতবর্ষে বাজারজাত করতে পারে তার ওপর আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দেবেন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পূজা মালাকার, ডঃ এ ডি উপাধ্যায়, ডঃ অশোক উপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আজ ঊনকোটি জেলা পুলিশ ও শহর উত্তরাঞ্চলের জনসাধারণের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় শান্তি বৈঠকের।উক্ত শান্তি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিরজীৎ সিনহা,গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন মোঃ বদরুজ্জামান,মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার,ইরানি থানার ওসি অরুণোদয় দাস,রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন মবস্বর আলি,আইনজীবী সন্দীপ দেবরায় সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।বক্তব্যের শুরুতেই সকলের প্রতি শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার এবং কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান ওসি অরুনোদয় দাস।প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে,কদমতলায় কিছু হিংসাত্মক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত সোমবার রাতে উত্তর ত্রিপুরায় পানিসাগর মহকুমায় একটি শিব মন্দিরের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর রটে যায়।এই ঘটনার পর পালটা হামলা চালানো হয় এলাকারই নির্মীয়মাণ একটি মসজিদ চত্বরে।শারদোৎ সবের রেশ কাটতে না কাটতেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ত্রিপুরার পেকুছাড়া এলাকা। আর পেকুছড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর।পেকুছড়ায় নির্মীয়মাণ মসজিদে আক্রমণের প্রতিবাদে “সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিটির” উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় ইরানি থানায় ডেপুটেশন চলাকালে উত্তেজিত জনতার মধ্যে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা সিআরপিএফ কর্মীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকলে আহত হন দুই সিআরপিএফ কর্মী।সাথে সাথে নামানো হয় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। আর তার পর থেকেই মহকুমা ব্যাপী ছড়াতে থাকে গুজব।কখনও খবর আসে মন্দির ভাঙার তো কখনো খবর আসে মসজিদে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার।শুরু হয় রাতব্যাপী প্রশাসনের দৌড়ঝাপ।বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় মহকুমার সর্বত্র অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে।আর সেই অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করতে আজ ইরানি থানায় এক শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।শান্তি বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বলেন,দূর্গা পূজার চাঁদা তোলা নিয়ে কদমতলায় যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল সেই গাড়িতে চিকিৎসার জন্য শিলচর যাবার উদ্দেশ্যে কৈলাসহরের লোক ছিল।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৈলাসহরে দু একটি ঘটনা ঘটেছে যা খুবই নিন্দনীয়। আগামী দিনে যাতে এধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা না ঘটে তার প্রতি আহ্বান রাখেন।কৈলাসহরের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘ দিনের যে সম্প্রীতির ইতিহাস রয়েছে সেটা বজায় রাখার পক্ষেই সকলে আহ্বান জানান।শান্তি বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারীক জয়ন্ত কর্মকার বলেন এই শহর শান্তির শহর।সম্প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও সকল ধর্মের শান্তিপ্রিয় মানুষের সহযোগিতায় পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন বর্তমানে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।দু এক দিনের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু হবে এবং সামাজিক মাধ্যমে কোন প্রকারের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মূলক পোস্ট না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।কেননা গুজবের ফলে বড় ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়ে যেতে পারে।তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে,গত ১৪ই অক্টোবর বাবুর বাজার যুবরাজনগর এলাকার মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের সাথে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ধরপাকড় শুরু হয়েছে।শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়েই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনো ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের ১৬৩ ধারা বলবৎ রয়েছে গোটা মহকুমায়।
পুলিশের বিশেষ এক সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়,যুবরাজনগর মসজিদে আগুন এবং সম্প্রীতি বিনষ্ট করার বিরুদ্ধে ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।যার মধ্যে আকাশ মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১৪ দিনের জেল হাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক বলে জানা গেছে।অন্যদিকে আবদুল জলিল ও আব্দুল আহাদ দুই অভিযুক্ত ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পথে বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিজিবির হাতে আটক হয়।অন্য দুই অভিযুক্তের নাম সংবাদ লিখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
- প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- শনিবার ধলাই জেলার গন্ডাছড়ায় একটি পাথর বোঝাই লরি সহ সেতু ভেঙ্গে পড়ে নদীর জলে। জানা যায় এদিন দুপুর নাগাদ টি আর ০১ এ টি ১৮৬০ নাম্বারের ১৬ চাকা পাথর বোঝাই একটি লরি গন্ডাছড়া থেকে ত্রিশ কার্ডের দিকে যাচ্ছিল। লরিটি ষাট কার্ড এবং ত্রিশ কার্ড মধ্যবর্তী শর্মা নদীর লোহার সেতুর উপর উঠতেই সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় ষাট কার্ড এলাকার বছর পঞ্চাশের চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি দূর্ঘটনার সময় সেতুর উপর থাকায় আহত হন। এলাকাবাসীরা তাকে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পরপরই লরির চালক কপাল গুড়ে প্রানে বেঁচে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য বিগত আট, নয় বছর আগেও অনুরূপভাবে লোহার এই সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছিল। শনিবার পুনরায় সেতু ভেঙ্গে পড়ায় গন্ডাছড়াবাসীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। কেননা এ সেতু ধরে প্রতিদিন শত শত গাড়ি গন্ডাছড়া থেকে অমরপুর ,উদয়পুর, আগরতলা এমনকি তেলিয়ামুড়া যাতায়াত করে। পাশাপাশি গন্ডাছড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা সহ হাজারো জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় মহকুমা বাসীরা দারুন অসুবিধায় পড়ে। এদিকে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তরের এসডিও রথীন্দ্র দেববর্মা ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান এই লোহার সেতুটিতে ১০ টনের বেশি মাল বোঝাই কোন পণ্যবাহী যান চলাচলের উপর পূর্ত দপ্তর বেশ কিছুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমনকি সেতুর দুদিকে এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এদিন পূর্ত দপ্তরের এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ১০ টনের উপর পাথর বোঝাই ১৬ চাকার লরিটি সেতুর উপর উঠতেই সেতুটি ভেঙ্গে শর্মা নদীতে পড়ে যায়। তিনি আরো জানান দপ্তরের সতর্কবার্তা গুরুত্ব দিচ্ছে না একাংশ চালক। আর তার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসডিও এলাকাবাসীদের আশ্বাস দেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গা লোহার সেতুটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে দেবেন। তিনি এও জানান লোহার ব্রীজের পাশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পাকা সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। পাকা সেতুর কাজ চলতি বছরেই শেষ করা হবে বলে জানান।
- প্রতিনিধি, বিশালগড় ।। দুই যাত্রী বোঝাই অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে শিশু সহ ১১ জন। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগরতলা সাব্রুম জাতীয় সড়কের বিশালগড়ের গোকুলনগর এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান দুটি অটো গাড়ি দুরন্ত গতিতে ছুটছিল জাতীয় সড়কে। গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল বলেও জানা গিয়েছে। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি দুটি। আহতদের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশালগড় থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী । আহত শিশু মহিলা সহ সকলকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুজনের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাদের জিবি হাসপাতালের রেফার করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়িকে বাজেয়াপ্ত করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ।
উদয়পুর প্রতিনিধি : দুর্গাপূজার মধ্যেও উদয়পুরে পুলিশের নেশা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে । বর্তমানে নেশার রমরমা বাণিজ্য তৈরি হয়েছে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গর্জি এলাকায় । পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়েছে গর্জিতে । পুলিশ জানাই এই নেশা বিরোধী অভিযানে এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিলাতী মদ উদ্ধার করে পুলিশ । বর্তমানে বিভিন্ন মদের দোকান শহর এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে । অবৈধ মদ ব্যবসায়ীরা তাদের মুনাফা অর্জন করার জন্য বাড়িতে নিয়ে রেখে দিচ্ছে মদের কার্টুন । পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে অবৈধ মদ উদ্ধার করছে । এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে ডিএসপি নির্মাণ দাস সহ টিএস আর ও পুলিশকর্মীরা । মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় দেববর্মা জানিয়েছে , বাজেয়াপ্ত মদের বাজার মূল্য প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা হবে। জানা যায় এই মদগুলি গর্জি এলাকার বিভিন্ন গ্রামীন এলাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন নেশা সেবনকারীদের মধ্যে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল । এদিন পুলিশের এই মদবিরোধী অভিযানে সাফল্যতে খুশি সাধারণ মানুষ।