তেলিয়ামুড়া। ৩০শে অক্টোবর।নেশা বিরোধী অভিযানে আজ তেলিয়ামুড়ায় বড় ধরনের সফলতা পেলো নিরাপত্তা রক্ষীরা। আজ দুপুরে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার বড়মুড়া পাহাড়ে জাতীয় সড়কে গোপন সংবাদের সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ডি আর আই এবং আসাম রাইফেলের ২৮ ব্যাটেলিয়ান যৌথভাবে টি আর ০১ বি পি ০ ৬৬৩ নাম্বারের মারুতি ওয়াগনর গাড়ি থেকে 18 কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে, এবং সেই সাথে গাড়িতে থাকা উত্তম দাস এবং রাজীব দাস নামে আগরতলার দুই যুবককে আটক করে। গোটা বিষয় নিয়ে আসাম রাইফেল কিংবা ডিআরআই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সুস্পষ্টভাবে কিছু না বলা হলেও দাবি করা হয়েছে গৌহাটি থেকে বিশেষ অভিযান সংঘটিত করার মাধ্যমে এই সফলতা এসেছে। নিশ্চিতভাবে রাজ্যের গোয়েন্দা শাখা কিংবা পুলিশ এবং রাজ্যের চোরাই বাড়ি থেকে শুরু করে পুলিশের বিভিন্ন নাকা পয়েন্ট বা থানাগুলোকে অতিক্রম করে এই বিশাল নেশা সামগ্রী সহ কিভাবে একটা গাড়ি বড়মুরা পর্যন্ত পৌঁছতে পারল তার পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
অপরাধ
প্রতিনিধি মোহনপুর :- রাতের আঁধারে রাবার সিট চুরি করে নিয়ে গেল চুরের দল। কালীবাজার সংলগ্ন দেবনাথপাড়া সংগঠিত হয়েছে এই চুরির ঘটনা। এই বিষয়ে পুলিশে করা হয়েছে অভিযোগ। জানা গেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে এলাকার সুভাষ দেবনাথের বাড়ি থেকে রাবার সিট চুরি করতে সক্ষম হয়েছে চোরেরা। প্রায় ১৩০ টি রাবার সিট চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক। বুধবার সকালে এই চুরির ঘটনা চাক্ষুস করেছেন তিনি। সুভাষ দেবনাথ আরো জানান ১২-১৪ বছর যাবত একই স্থানে রাবার সিট রেখে আসছেন তিনি। কিন্তু কোনদিন চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়নি। দাবি করেন চোরদের পাকড়াও করতে পুলিশ যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ধারণা করা হচ্ছে এই চুরি কান্ডের সাথে স্থানীয় সমাজদ্রোহীরা জড়িত রয়েছে।
দেবাপুর গ্রামে স্বপ্না ওড়াং খুন কাণ্ডে অভিযুক্তকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠালো আদালত
প্রতিনিধি মোহনপুর:- মোহনপুরের দেবাপুর গ্রামে স্বপ্না ওড়াং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তার স্বামী কান্তি দেববর্মা। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পুলিশের আবেদন মূলে আগামী সাত দিনের জন্য অভিযুক্তকে পুলিশ সীমানরে পাঠায় আদালত। তবে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে কান্তি দেববর্মা।
গত ২৬ তারিখ সিধাই থানার অন্তর্গত দেবাপুর গ্রামের স্বপ্না ওড়াং নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্ত নেমে স্বামী কান্তি দেববর্মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হলে, ৭ দিনের জন্য তাকে পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। জানা গেছে গত ২৬ তারিখ পাশের বাড়িতে স্বামী স্ত্রী এবং অপর একজন মদ্য পানের আসরে বসে। দীর্ঘ সময় মদ পান করার পর গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পড়ে যায় স্বপ্না। অনেক চেষ্টা করেও তার স্বামী ক্রান্তি দেববর্মা তাকে উঠিয়ে নিতে সক্ষম হয়নি। অবশেষে রাগে পিচের রাস্তায় স্বপ্নার মাথা বেশ কয়েকবার আঘাত করেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু এই বিষয়টি বুঝতে পারেনি কান্তি দেববর্মা। তাকে টেনে হিচড়ে ঘরের বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দেয়। পরদিন সকালে স্ত্রীর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। তবে এই ঘটনার পেছনে অন্য আর কারোর হাত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ গাড়ি আটক করেছে বিশালগড় থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুরে কমলাসাগর বিধানসভার গোকুলনগরে। এদিন গোপন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশালগড় থানার ওসি সনজিৎ সেন পুলিশ বাহিনী নিয়ে অভিযান চালায় জাতীয় সড়কের গোকুলনগরে। ওসি সহ পুলিশ কর্মীরা ছিল সাধারণ পোশাকে। এমন সময় সাদা রঙের বাতানুকূল গাড়িটি মধুপুরের দিকে রওনা দেয়। পুলিশ গাড়িটি আটক করে ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাসের উপস্থিতিতে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশিতে চারটি প্লাস্টিকের ব্যাগে শুকনো গাঁজা উদ্ধার হয়। গাঁজার মোট ওজন ৫২.৫ কেজি। উদ্ধারকৃত গাঁজা এবং গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গাড়ির চালক আশিস দাস কে আটক করা হয়েছে। ওসি সঞ্জিত সেন জানান এনডিপিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ধৃত গাড়ি চালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাঁজা কারবারিদের নাম জানা যাবে। পরবর্তী সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
লালছড়া এলাকার ড্রাগ মাফিয়ার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে নেশা সামগ্রী উদ্ধার
- নেশা বিরোধী অভিযানে নেমে ত্রিপুরা পুলিশ আবারও সাফল্য পেয়েছে। খোয়াইয়ের লালছড়া এলাকার ড্রাগ মাফিয়া দীপঙ্কর দাসের বাড়ি থেকে নেশা সামগ্রী সমেত এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ ড্রাগ মাফিয়াকে জালে তুলতে অক্ষম হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর ছিল খোয়াইয়ের লালছড়া এলাকার দীপঙ্কর দাস আবারো রমরমা নেশার কারবার শুরু করেছে। আজ বিকাল চারটা নাগাদ খোয়াই সুভাষ পার্ক ফাঁড়ির ওসি রণজিৎ সরকারের নেতৃত্বে দীপঙ্কর দাসের বাড়িতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ তল্লাশি করে 962 কোটা হিরোইন ও ১২০টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং সাতটি মোবাইল কিছু নগদ অর্থ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের তল্লাশি অভিযানের সময় বাড়িতে থাকা আরো কয়েকজন নেশা কারবারি সহ বাড়ির মালিক দীপঙ্কর দাস পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশ সুব্রত সরকার নামে এক নেশা কারবারিকে জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ নেশার নির্দিষ্ট ধারায় বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেও একটি মামলা গ্রহণ করে তদন্তে নেমেছে।
- প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ২৩ অক্টোবর:- গন্ডাছড়া বিদ্যুৎ দপ্তর হোক লাইন বিরোধী অভিযানে নেমে ব্যাপক সাফল্য পায়। এ বিষয়ে গন্ডাছড়া বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার শ্যামল সূত্রধর জানান মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী আমবাসা’র ডিজিএম এর নেতৃত্বে গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার মনোরঞ্জন দাস পাড়া, জয়কিশোর পাড়া, মোহিনী পাড়া, মল্লিক পাড়া এবং দেবনাথ পাড়ায় হোক লাইন বিরোধী অভিযানে বেড়িয়ে ২৭’টা অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে এবং তাদের ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ১৮০ মিটার পিভিসি তার বাজেয়াপ্ত করা হয়। সিনিয়র ম্যানেজার আরো জানান এই দিনের অভিযানে ১০০ শতাংশ সাফল্য এসেছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হলে বৈধ কানেকশন নিতে হবে। ম্যানেজার গ্রাহকদের বৈধ বিদ্যুৎ লাইন নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করবেন বলে জানান। তিনি জানান হোক লাইন বিরোধী অভিযান আগামী দিনেও ধারাবাহিকভাবে জারি থাকবে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। বিশালগড়ে আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠেছে চোরচক্র। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ ছিল চুরি ছিনতাই। দুর্গোৎসব সাঙ্গ হতেই শুরু হয়েছে চুরি। রবিবার রাতে বিশালগড় থানার অন্তর্গত নারাউড়া এলাকায় বিএসএফ জওয়ানের বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি কান্ড সংগঠিত করে চোরের দল। বাড়ি ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার সহ নগদ হাজার টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। জানা যায়, বিএসএফ জওয়ান মনোরঞ্জন ঘোষ তার সহধর্মিনী কে নিয়ে রবিবার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সোমবার সকালে বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের তালা উধাও। লন্ডভন্ড পুরো ঘর। খবর পেয়ে বিশালগড় থানায় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। এদিন দুপুরেই বিশালগড় থানার পুলিশ নবী মিয়া, পিতার নাম গফুর মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানা যায়, বেশ কিছুদিন পূর্বে নবী মিয়া বিএসএফ জওয়ান মনোরঞ্জন ঘোষের বাড়িতে কোন এক বিষয়কে কেন্দ্র করে বাড়ি লুট করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। গোটা বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আটক এবং চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
স্বর্ণালংকার চুরি এবং ক্রয় করার অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে জালে তুললো খোয়াই থানার পুলিশ।
স্বর্ণালংকার চুরি এবং ক্রয় করার অভিযোগে তিন অভিযুক্তকে জালে তুললো খোয়াই থানার পুলিশ। চুরির ঘটনাটি সংঘটিত হয় চলতি মাসের ১৪ তারিখ। থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের হয় ২১-১০-২০২৪ তারিখ। খোয়াই থানায় দায়ের কৃত মামলার নম্বর ৬৬/ ২০২৪ । ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৩১ (৪)/৩০৫(এ )/৩৫ ধারায় মামলা লিপিবদ্ধ হয়।খোয়াই থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ তারিখ খোয়াই থানাধীন আঠাইবাড়ি এলাকায় জৈনিক ব্যক্তি অনল রায় দেববর্মার বাড়িতে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। চোর নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট দেয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে ঘটনার সাথে যুক্ত চাম্পা হাওর থানাধীন তুলাশিকর রাম দেওয়ান চৌধুরীপাড়ার যুবক আকাশ দেববর্মার হদিশ পায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের জেরায় সে জানায় চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার গুলো ছেবড়ি এবং কল্যাণপুর এলাকার জৈনিক স্বর্ণকার সৌমেন দেবনাথ এবং প্রানেশ দাসের নিকট বিক্রি করেছে সে। খোয়াই থানার পুলিশ তার স্বীকারোক্তি মূলে দুই স্বর্ণকারকে জালে তুলে। এবং তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার গুলো উদ্ধার করে। সোমবার সন্ধ্যায় খোয়াই থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত খোয়াই মহকুমার ডিএসপি রঙ্গদুলাল দেববর্মা এবং খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার।
- প্রতিনিধি মোহনপুর:- অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করার পর লেম্বুছড়ায় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার তিন বাংলাদেশী নাগরিক। অভিযুক্তদের রবিবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের অনুপ্রবেশ কোনভাবেই খামার নাম নিচ্ছে না। প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে ঘটছে অনুপ্রবেশ । লেম্বুছড়া থেকে আটক করা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী অভিযুক্তরা হল মোহাম্মদ আলমি মিয়া, মোহাম্মদ দুলাল মিয়া এবং মোহাম্মদ ইমন আলী। জানা গেছে উপযুক্তরা বাংলাদেশ থেকে কাঁটাতারের বেড়ার টপকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। দেশের অভ্যন্তরে পৌঁছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লেম্বোছড়ায় এসেছিল তারা। অবশেষে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে মোহনপুর বিওপি এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ সামগ্রী বাংলাদেশে পাচারের সময় আটক করতে সক্ষম হয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। আটক করা সামগ্রী বাজার মূল্য ৬৭,৫৭,৪০০ টাকা।অন্যদিকে হরিণাখোলা এলাকা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় আরো ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। অভিযুক্তদের তুলে দেওয়া হয়েছে সিধাই থানার পুলিশের হাতে। অভিযুক্তরা হল ভোজন রায়, সুদীপ রায়, সংগীতা রায়, পান্না রায় এবং পুন্য রায়।
- বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সীমান্ত এলাকাগুলিতে চুরির উপদ্রব দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। খোয়াই শহরের বিভিন্ন সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে রাতদিন কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে খোয়াই থানাধীন সুভাষ পার্ক কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় সুশান্ত রঞ্জন পালের বাড়িতে রাতের আঁধারে আনুমানিক ৫ থেকে ৭ জন চোরের দল হানা দেয় । বাড়িতে লাগানো লোহার গ্রিলের তালা কেটে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। তৎক্ষণাৎ বাড়ির লোক ঘটনাটি টের পাওয়ার ফলে তারা ঘুম থেকে উঠে পড়ে। বিষয়টি আছ করতে পেরে চোরের দল পালিয়ে যায় । প্রতিদিনই শহর ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকা গুলিতে চোরের দল এরকমভাবে অহরহ দিনরাত চুরির ঘটনা সংগঠিত করছে। খোয়াই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমানে প্রশ্ন উঠছে, এরকমভাবে পাহারা থাকা সত্ত্বেও চুরির ঘটনা কিভাবে সংঘটিত হচ্ছে। তাছাড়া সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগগুলিতে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এর জওয়ানরা পাহারা রত থাকে । সে ক্ষেত্রে তাদের পাহাড়া এবং তারকাটার বেড়া অতিক্রম করে কি করে চোরের দল এরকম ভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং গরু কিংবা মোটরবাইক নিয়ে গা ঢাকা দেয়। খোয়াই এর আমজনগনের জানমালের সুরক্ষার ব্যাপারে প্রশাসন যেন আরও সতর্ক মনোভাব নিয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করে সেদিকে তাকিয়ে খোয়াই এর আম জনতা।