- প্রতিনিধি , উদয়পুর :-তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ১০ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । ঘটনা কাঁকড়াবন কিশোরগঞ্জ গ্রামে । ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নির্জন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সফিক মিঞা নামে ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি । তখন বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীটিকে ঝাপটে ধরে রাস্তায় । পরবর্তী সময় ছাত্রটি বাড়িতে গিয়ে সমস্ত ঘটনা তার পরিবারের মাতা ও পিতার কাছে জানায় । পরে শনিবার দুপুরে গোটা ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়ে লিখিতভাবে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করে মেয়েটির পরিবার । পরিবারের অভিযোগ হাতে পেয়ে কাকড়াবন থানার ওসি রাজীব ভৌমিক গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করে সফিক মিঞাকে । পরে পুলিশ পক্সো আইনে ৩৪১ / ৩৫৪ আইপিসি ৮ অফ পক্সো ধারায় মামলা নেয় । কাঁকড়াবন থানায় মামলা নম্বর ২০ / ২০২৪ । পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা রাতে কাঁকড়াবনের বিজেপি মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস কাঁকড়াবন থানায় ছুটে যান দলীয় কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে । কথা বলেন থানার ওসির সাথে এবং গোটা ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন সফিক মিঞার বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তপ্ত কাঁকড়াবন এলাকা।
অপরাধ
ধর্মনগর প্রতিনিধি। ফের ঘটল ধর্মনগরে ডাকাতির ঘটনা। ইয়াকুবনগর এর 5 নং ওয়ার্ডের ঘটনা। বাড়ির মালিকের নাম ইলিয়াস আলী ৭০ বছর এবং যে আক্রান্ত তার নাম শবনম বেগম বয়স ত্রিশ বছর। গতকাল অর্থাৎ ভোররাতে আনুমানিক পৌনে তিনটায় তিন চার জন আসে এবং একজন ঘরে ঢুকে শবনম বেগমের গলায় দা ধরে। শবনম বেগম জানাই তার দুটি সন্তান রয়েছে। বিনিময়ে তারা যা ইচ্ছা লুট করে নিয়ে যায় এবং শবনম কে ছেড়ে দেয়। শবনম ছটফট করতে থাকে তার ঘর থেকে এক লক্ষ সতের হাজার টাকা একজোড়া সোনার দুল রুপোর চেইন এবং মোবাইল সেট নিয়ে যায়। যাবার সময় তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ দায়ের করেছে। বাড়ির বাইরে দুইজন ছিল এবং প্রত্যেকেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিল। শবনমের দেওর কক্ষে প্রবেশ করার পর ডাকাত দল তাদের নগদ টাকা এবং অলংকার নিয়ে পালায় বলে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনা উড়ন্ত করছে এবং অতিসত্বর এই ডাকাতির পান্ডারা ধরা পড়বে বলে আশঙ্কা জ্ঞাপন করেছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-গত সোমবার রাতে বিলোনিয়া থানাধীন মনুরমুখ জয়নগর এলাকায় স্বামী ও স্ত্রী নির্যাতনের কান্ডে অভিযুক্ত কিষান বনিক নামে এক যুবককে আদালতে সোপর্দ করে বিলোনিয়া মহিলা থানার পুলিশ । বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত যুবককে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত অভিযুক্ত কিষান বনিককে পনের দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন । জানা যায় , মনুরমুখ জয়নগর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে স্বামী ও স্ত্রী নির্যাতন কান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত কিশান কে গ্ৰেপ্তার করে পুলিশ । উল্লেখ্য নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়িতে ফেরার পথে সমাজ সচেতনকারী নাম ধারীদের হাতে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার স্বামী ও স্ত্রী। মামলা হলেও হেলদোল ছিল না বিলোনিয়া মহিলা থানার পুলিশের । এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে বিলোনিয়া মহিলা থানা । অবশেষে স্বামী স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনার প্রায় ৫৪ ঘন্টা পর বুধবার বিলোনীয়া মহিলা থানা ১২/২৪ নাম্বারে মামলা লিপিবদ্ধ করে এবং ভারতীয় দন্ডবিধির৩২৫/৩৮৪/৫০৬/৩৫৪/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে কিষান বনিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বাকি অভিযুক্ত সমাজ সচেতনকারী নাম ধারীদের পুলিশ জালে তুলতে পারছে না। কিষান বনিককে আটক করতে পারলেও পুলিশ বাকিদেরকে কেন জালে তুলতে পারছে না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ নেশা বানিজ্যের সাথে জড়িত অভিযুক্তদের ঘরে হানা দিল সিধাই থানার পুলিশ। গঙ্গা গতিপুরের চিত্ত সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ ব্রাউন সুগার সহ ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা। যদিও পুলিশি অভিযানের আঁচ পেয়ে অভিযুক্ত চিত্ত সাহা এবং উনার ছেলে রাহুল সাহা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার গোপন খবর ভিত্তিতে নেশা বিরোধী অভিযান চালায় সিধাই থানার পুলিশ। এদিন মোহনপুরের গঙ্গা গতীপুর এলাকায় চিত্ত সাহার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের এই অভিযানে তাঁদের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার। পাশাপাশি সিনটেক্সের ড্রামে লুকিয়ে রাখা ২১৭ কিলো অবৈধ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে অভিযুক্তদের হেফাজত থেকে। এই নেশা বাণিজ্যের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে চিত্ত সাহা এবং উনার ছেলে রাহুল সাহা।যদিও পুলিশ আসার আঁচ পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে অভিযুক্তরা। জানা গেছে দীর্ঘদিন যাবত বাবা ছেলে অবৈধ নেশা বাণিজ্যের সাথে উতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়েছে।পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- মিড ডে মিলের চাল বাজারে বিক্রি করতে এসে ধরাখেল দুই শিক্ষক।ঘটনা বামুটিয়ার কালী বাজারে। হরেন্দ্র নগর সিনিয়ার বেসিক স্কুলের মিড ডে মিলের চাল বিক্রি করতে এসে ধরা খেলেন শিক্ষক রুপক দাস এবং রবীন্দ্র সরকার।
শনিবার হরেন্দ্র নগর সিনিয়ার বেসিক স্কুলের শিক্ষক রূপক দাস কালীবাজারে মিড ডে মিলের চাল বিক্রি করতে এসে পাকরাও হল জনতার হাতে। এদিন এফসিআইয়ের লেভেল লাগানো দুটি চালের বস্তা কালীবাজারের বিষ্ণু দের দোকানে বিক্রি করেছেন শিক্ষক রুপক দাস। ২৮০০ টাকার বিনিময়ে এই চাল বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিক। তিনি জানান প্রথমে বাড়ির চাল বিক্রি করা হবে বলে দোকান মালিককে জানিয়েছিলেন রূপক দাস। চাল রেখে পয়সা দিয়েছেন। কিন্তু পরে বস্তা ধরে দেখতে পান তাঁর মধ্যে এফসিআইএর ট্যাগ লাগানো রয়েছে। তার পরই সন্দেহ হয় বিষয়টি দোকান মালিকের। তিনি স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। শিক্ষক রূপক দাসকে বিদ্যালয় থেকে ডেকে আনা হয় বাজারে।এই চাল বিক্রির অভিযোগ মেনে নিয়েছেন শিক্ষক রূপক দাস।তিনি সরাসরি জানিয়েছেন এই চাল বিক্রির সাথে উনার সাথে জড়িত রয়েছে আরও দুই জন শিক্ষক। তাঁরা হলেন রবীন্দ্র সরকার এবং সঞ্জিত সাহা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার একজন শিক্ষক খোলা বাজারে বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা। ঘটনা স্হলে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষক রূপক দাস এবং রবীন্দ্র সরকারকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ড্রাগস হেরোইন পাচার করতে গিয়ে কাঞ্চনপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন এক কুখ্যাত নেশা কারবারি।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। উত্তর জেলার মিজোরাম – ত্রিপুরা সীমান্ত লাগোয়া কাঞ্চনপুরের জম্পুই হিল সড়ক পথ ধরে বেআইনি ভাবে ব্যাপক ভাবে নেশার পাচার বানিজ্য চলছে। শনিবার অভিনব কায়দায় মিজোরাম থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে এসে নিষিদ্ধ ড্রাগস হেরোইন পাচার করতে গিয়ে কাঞ্চনপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন এক কুখ্যাত নেশা কারবারি। জানা গেছে শনিবার গোপন খবরের ভিত্তিতে কাঞ্চনপুর থানার ওসি উদ্দ্যম দেববরর্মা নেতৃত্বে কাঞ্চনপুর পুরাতন মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়।তখন মিজোরাম থেকে আসা একটি এলটো গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৯ গ্রাম নিষিদ্ধ ড্রাগস হেরোইন সহ নগদ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।একই সাথে নিষিদ্ধ ড্রাগস হেরোইন পাচারের ঘটনায় সুবিশ চাকমা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ। কাঞ্চনপুর থানার ওসি উদ্দ্যম দেববরর্মা জানিয়েছেন নিষিদ্ধ ড্রাগস হেরোইন পাচারের ঘটনায় ধৃত সুবিশ চাকমার বিরুদ্ধে এন.ডি.পি.এস আইনে কাঞ্চনপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।এই চক্রের সাথে নেশার পাচার বানিজ্যে অনান্য কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান কাঞ্চনপুর থানার ওসি উদ্দ্যম দেববরর্মা।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৪ মে:- শনিবার সাতসকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে গন্ডাছড়া থানার পুলিশ ৪ শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশী আটক করে। পরবর্তী সময় তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে গত এক বছর আগে কাজের সন্ধানে তারা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভারত বাংলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পরে সেখান থেকে কাজের সন্ধানে ব্যাঙ্গালোরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। সেখানে এক বছর থাকার পর আবার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যাঙ্গালোর থেকে গত ৩০ এপ্রিল ট্রেনে করে কলকাতায় রওনা দেয়। এরপর ২রা মে তারা শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরদিন রাত আনুমানিক এগারোটা নাগাদ আমবাসা স্টেশনে আসলে তারা সবাই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। পরে এক দালালের মাধ্যমে তাদের দুটি অটো গাড়ি করে গভীর রাতে গন্ডাছড়ায় নিয়ে আসা হয়। গন্ডাছড়া মাছ কুম্ভীর পাড়ায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে তারা রাত্রি যাপন করেন। শনিবার সকালে গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার কোন এক ভারত বাংলা সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এরেই পাঁকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কর্মীরা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে তাদের আটক করে। থানার বড়বাবু পলাশ দত্ত জানান তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশী ১৫২২ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট, শিয়ালদা টু আমবাসা রেল টিকেট উদ্ধার করা হয়। শনিবার বিকেলেই তাদের গন্ডাছড়া এসডিজিএম কোর্টে তোলা হয়। সাতসকালে গন্ডাছড়া শহর এলাকা থেকে বাংলাদেশি আটক এর ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ধৃতরা হলেন- মোঃ মামুন সরদার (২৯) রুমা বেগম (২৫) এমডি পবিন সরদার (৩৫) এমডি চান মিয়া আকন (৩৫) এমডি ফায়সাল আকন (১৩) লামিয়া আক্তার (৫) এমডি মহারাজ শেখ (২৫) রাজীব হোল্ডার (২২) আফসানা আক্তার(২২) এমডি রুহান ইসলাম (৩) এমডি ফেরলাস শেখ (৩০) তাদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের বগারহাট জেলায়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- ধলাই জেলার দুর্গম মহকুমা হিসেবে পরিচিত গন্ডাছড়া। পাহাড়ি বনাঞ্চলে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই মহকুমা। কিন্তু আজ সবই অতীত। বনদস্যরা গন্ডাছড়া মহকুমার দাঙ্গাবাড়ি, বড়বাড়ি, জগবন্ধু পাড়া, বিশ্বরাম পাড়া, কালাঝাড়ি , তুই-চাকমা, নারিকেল কুঞ্জ, হাতিমাথা, ভগিরথ পাড়া, কল্যাণসিং, রতননগর,বোয়ালখালী সহ রইস্যাবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় দিনে রাতে মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বন দফতর এসব বনদস্যদের বিরোদ্ধে কোন এক অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। যদিও অনেক সময় এলাকাবাসীদের চাপে পড়ে দপ্তরের কর্মীরা বনদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিলে উল্টো বিভিন্নভাবে দপ্তরের কর্মীরা হয়রানির স্বীকার হতে হয়। সোজা কথা বনদস্যরা মহকুমা এলাকা জুড়ে বিনা ভাদায় একের পর এক বনাঞ্চল ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই না বর্তমানে বনদস্যরা শহর অঞ্চলের বিভিন্ন অফিস আদালতের গাছপালা গুলিতেও দাবা বসাতে শুরু করেছে। সম্প্রতি গন্ডাছড়া সিডিপিও অফিসে বনদস্যুরা একাধিক মূল্যবান আগর গাছ কেটে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় সিডিপিও অফিস কর্মীদের পাশাপাশি অন্যান্য অফিস কর্মচারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দাবি উঠেছে এসব বনদস্যুদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণের।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-নেশা বিরোধী অভিযানে আবারও সাফল্য পেল দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পিআর বাড়ি থানার পুলিশ । শুক্রবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ গোপন খবরের ভিত্তিতে পিআরবাড়ি থানার পুলিশ গভীর জঙ্গলে ১২০ প্যাকেট ব্যাগ উদ্ধার করে প্লাস্টিকে মোড়ানো । এরমধ্যে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ১১৮ কেজি শুকনো গাঁজা, উদ্ধার করতে সক্ষম হয় । কিন্তু কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সিআরপিসির ১০২ ধারায় পুলিশ মামলা নিয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছে । কোথায় থেকে শুকনো গাঁজাগুলি এই গভীর জঙ্গলে রাখা হয়েছে তার খোঁজ শুরু করেছে থানার ওসি রতন রবিদাস। এদিন পুলিশ এই গাঁজা গুলিকে উদ্ধার করার ফলে এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের কাছ থেকে সুনাম কুড়িয়েছে পুলিশ । যেভাবে পুলিশ এই গাঁজাগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছে একপ্রকার বলা যেতেই পারে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ তা পাচার করার জন্য পাচারকারীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকি বহাল মহল ।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৩ মে:- গন্ডাছড়া বাজারে নান্টু বণিকের জুয়েলার্স দোকানে দুঃসাহসিক চুরি ,আতঙ্কিত ব্যবসায়ী মহল। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গন্ডাছড়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নান্টু বণিক প্রত্যেক দিনের ন্যায় বৃহস্পতিবারও ব্যবসা-বাণিজ্য শেষে রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে যথারীতি দোকান খুলতে এসে দেখে তার দোকান ঘরের পেছনের দরজা ভাঙ্গা। শুধু তাই না ঘরের বেশ কিছু জায়গা জুড়ে টিনের বেড়া কাটা। চোরের দল পেছনের দরজা দিয়ে দোকানে প্রবেশ করে বেশ কিছু সময় তাণ্ডবলীলা চালিয়ে নগদ প্রায় বিশ হাজার টাকা সহ বেশ কিছু অলংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনাটি তিনি গন্ডাছড়া মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তরুন দেবনাথকে জানান। পাশাপাশি গন্ডাছড়া থানা’কে অবগত করা হয়। থানার পুলিশ ছুটে এসে ঘটনা তদন্তে নামে। উল্লেখ্য গত লক’ডাউনের এরপর থেকে গন্ডাছড়া বাজারে তেমন কোন বড় ধরনের চুরির ঘটনা লক্ষ্য করা যায়নি। কেন না লক’ডাউন থেকে গন্ডাছড়া বাজারে পুনরায় রাতে পাহারাদারের ব্যবস্থা চালু করা হয়। এরপর থেকে তেমন কোন চুরির ঘটনা না ঘটলেও গতরাতের চুরি কাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গন্ডাছড়া থানার পুলিশ কোয়াটার বাউন্ডারি লাগোয়া দোকানে চোরের দল এত বড় চুরির ঘটনা সংঘটিত করলেও পুলিশ বাবুদের কোন হোসনি। এ