উদয়পুর প্রতিনিধি : উদয়পুর জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে বাবাসাহেব আম্বেদকরের সম্মান যাত্রা করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। এই দিন দুপুরে উদয়পুর জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে কংগ্রেস কর্মীরা এক সম্মান যাত্রা বের করে এদিন। এদিন সম্মান যাত্রাটি দলীয় অফিস থেকে বের হয়ে উদয়পুর শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে । পরে মিছিলটি গোমতী জেলাশাসকের অফিসে সামনে গিয়ে এক পথ সভায় মিলিত হয় এবং গোমতী জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য্যর নিকট পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটেশানে মিলিত হয় জেলা কংগ্রেস সভাপতি টিটন পালের নেতৃত্বে । এদিন ডেপুটেশান শেষে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল বলেন , দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধান প্রণেতা ডঃ বি আর আম্বেদকরকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তার জন্য গোটা দেশের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী চাইতে হবে এবং অবিলম্বে যেন পদত্যাগ করা হয় সে বিষয়ে জেলাশাসকের মধ্য দিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে ডেপুটেশান পত্র পাঠানো হচ্ছে। এই দিনের ডেপুটেশানে জেলা সভাপতি ছাড়াও ছিলেন , ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন কর সহ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত দেবনাথ ও অন্যান্য নেতৃত্বরা । এদিনের মিছিলটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উদয়পুর শহরে।
রাজনীতি
- উদয়পুর প্রতিনিধি : রবিবার উদয়পুর রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ গোমতী ও উদয়পুর মহকুমার কমিটির উদ্যোগে দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভ সূচনা করেন উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌরপিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএম এস এিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি দেবশ্রী কলই,TRKS এিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি পার্থ পাল, TRKS এিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বিশ্বাস, অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার তপন মজুমদার প্রমূখ।
এই সম্মেলনের অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার তপন মজুমদার বলেন, ভারতীয় মজদুর সংঘ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন গুলোর মত নয় রাষ্ট্র এবং রাজ্যের কল্যাণই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য। তাই অতীত ভুলে গিয়ে নতুন সূর্যোদয়ের প্রত্যাশা নিয়ে সমস্ত কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ ও রাজ্যের জন্য কাজ করতে হবে। একই সাথে নিজেদের প্রাপ্য অধিকার নিয়েও কথা বলতে হবে।
পরবর্তী পর্যায়ে ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘ ২য় ত্রৈ বাষির্ক সম্মেলনের গোমতী জেলা ৪৫ জনের কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির মধ্যে সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দাস, সম্পাদক দেবব্রত লোধ, কোষাধক্ষ্য অশোক বর্ধন। একই সাথে উদয়পুর মহকুমা ৪৫ জনের কমিটি গঠিত হয়। সভাপতি ধ্রুব রঞ্জন ধর, সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দাস, কোষাধক্ষ্য রূপেশ লোধ ।
ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘের দ্বিতীয় ত্রিবার্ষিক রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে লোক সমাগমের উপস্থিত ছিল বেশ লক্ষণীয়।
আম্বেদকর প্রসঙ্গে অমিত শাহের বক্তব্য: প্রতিক্রিয়া জানালেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী
আগরতলা: সংসদে ভারতের সংবিধানের স্থপতি ড. বি.আর. আম্বেদকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জেরে ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন যে, “অমিত শাহ আম্বেদকরের আদর্শ এবং সংবিধান রক্ষার মূল চেতনার বিপরীতে কাজ করছেন। সংবিধানের যে সাম্য ও ন্যায়ের বার্তা আম্বেদকর দিয়েছিলেন, তা আজকের সরকার পদে পদে উপেক্ষা করছে।” তিনি আরও বলেন, “আম্বেদকরের নাম মুখে আনা সহজ, কিন্তু তার দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবে অনুসরণ করা কঠিন। বর্তমান শাসক দল আম্বেদকরের আদর্শকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।” চৌধুরী উল্লেখ করেন যে, সংবিধানকে রক্ষা করা এবং সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি রাজনীতিবিদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতা এবং বিভাজনের যে রাজনীতি চলছে, তা আম্বেদকরের স্বপ্নের ভারতকে ধ্বংস করছে। বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের পর এই প্রসঙ্গে শাসক দল বিজেপির তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আম্বেদকর নিয়ে এই বিতর্ক আসন্ন রাজনৈতিক ময়দানে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে।
উদয়পুর প্রতিনিধি : ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের উদ্যোগে গোটা দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ মিছিল। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার উদয়পুর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে শনিবার দুপুর ১ টায় জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয় উদয়পুর শহরে। মিছিলে কংগ্রেসকর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে গলায় বি আর আম্বেদকরের ছবি ঝুলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়। একই সাথে দিন মিছিলে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীর হাতে থাকা ভারতের সংবিধানের ছবি যা স্থান পেয়েছে এদিনের মিছিলে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে দলীয় অফিসের সামনে এসে এক পথ সভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল বলেন, যেভাবে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে যে বক্তব্য এবং কটুক্তি করেছেন তা নিয়ে অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে । পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বলে এদিন দাবি তোলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। এই দিনের মিছিলে যুব কংগ্রেস থেকে শুরু করে ব্লক কংগ্রেস ও কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন জেলা কংগ্রেস সভাপতির সাথে ছিলেন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত দেবনাথ , ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলন কর সহ প্রমুখ। এদিনের কংগ্রেসের গোটা মিছিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ছিল মুখর ।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ে কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলায় বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো বামপন্থী যুব সংগঠন DYFI । এই উপলক্ষে মেলার মাঠ ছাত্র-যুবভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চার বীর শহীদ রামপ্রসাদ বিসমিল, ঠাকুর রসন সিং, আস্ফা উল্লা খান ,রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক, সম্পাদক নবারুণ দেব সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে শহীদদের প্রতিকৃতিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক বলেন, লখনৌ শহরের কাছে কাকুরি ট্রেন লুটের ঘটনায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছিল ব্রিটিশ পুলিশ। তাদের মধ্যে এই চার বীর শহীদকে ১৯২৭ সালে এই দিনে ফাঁসি দিয়েছিল ব্রিটিশ। বামপন্থী যুব সংগঠন এই চার বিপ্লবীকে স্মরণের মধ্য দিয়ে আগামী দিনে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই কে আরো তেজী করার শপথ গ্রহণ করা হয় ।
- নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলারসহর :- CPIM দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেল বেলা কৈলাশহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রের সামনে একটি প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপন চক্রবর্তী, সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, রাজেন্দ্র রিয়াং, সিপিআইএম ঊনকোটি জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, সিপিআইএম কৈলাশহর মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিশ্বরূপ গোস্বামী থেকে শুরু করে সিপিআইএম দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম দলের নেতৃত্বরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন,পাশাপাশি সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিজেপি ও কংগ্রেস দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।
উদয়পুর প্রতিনিধি : ভারতীয় মজদুর সংঘের সোনালী ৭০ বছর শ্রমিক সম্পর্ক অভিযান ১ লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত । এই অভিযান উপলক্ষে ভারতীয় মজদুর সংঘ গোমতী জেলার উদ্যোগে রবিবার বিকেল চারটায় এক বর্ণাঢ্য রেলি অনুষ্ঠিত হয় উদয়পুর জামতলা স্থিত টাউনহলের প্রাঙ্গণ থেকে । এই বর্ণাঢ্য রেলিতে ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব অংশ নেন । পড়ন্ত বিকেলে প্রায় হাজার শ্রমিকদের নিয়ে এই বর্ণাঢ্য রেলিটি উদয়পুর শহরের বিভিন্ন সড়ক পথ পরিক্রমা করে পুনরায় জামতলা টাউন হলের সামনে এসে এক পথ সভায় মিলিত হয় । এই পথসভায় বক্তব্য রাখতে ভারতীয় মজদুর সংঘের রাজ্য সম্পাদক বলেন , ভারতীয় মজদুর সংঘ গোটা দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ একটি সংগঠন । কর্মচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন যুক্ত রয়েছে এই সর্ববৃহৎ এই সংগঠনের সাথে। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন এই রাজ্যকে বিভিন্ন দিক থেকে উন্নত করার জন্য কাজ করে চলেছে তখন একটি শ্রেণীর মানুষ কিভাবে সরকারকে বদনাম করা যায় তার জন্য কাজ করে চলেছে। কিন্তু ভারতীয় মজদুর সংঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলি কখনো রাজ্য বিধানসভা আবার কখনো লোকসভা নির্বাচন সর্বত্র সরকারকে বিভিন্ন দিক থেকে সাহায্য করে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রচার অভিযান চালিয়েছে প্রতিটা সময়। কিন্তু বর্তমানে মঞ্চের নাম করে উদয়পুরে কর্মচারীদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করার জন্য একটি অংশের মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার অভিযান চালাচ্ছে উদয়পুরে। কিন্তু আজকের এই মিছিল থেকে রাজ্য নেতৃত্ব কড়া হুঁশিয়ারি দেন। আগামী দিনে সরকারকে যেন বদনাম করা না হয় এবং কর্মচারীদের জন্য যেভাবে সরকার কাজ করে চলেছে তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এদিন মঞ্চ নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় মজদুর সংঘের জেলা থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্বরা। এদিনের এই পথসভা কে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয় ।
উদয়পুরে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের সম্মেলন স্থগিত রাখা হলো । সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন নেতৃত্বরা ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের নামে আগামী ১৫ই ডিসেম্বর সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয় । কিন্তু রবিবার উদয়পুরে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার একটি সরকারি অনুষ্ঠান । সেখানে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একই দিনে দুইটি অনুষ্ঠান যা রীতিমত বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে উদয়পুরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মধ্যে। তাই শনিবার বিকেল চারটায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের নেতৃত্বরা। সাংবাদিক সম্মেলনে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের নেতৃত্বরা বলেন , গত চার এবং পাঁচ ডিসেম্বর গোমতী জেলায় প্রচার করা হয় বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে উদয়পুরে। কিন্তু ৬ ডিসেম্বর সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের অফিস থেকে বার্তা আসে ১৩ এবং ১৪ ই ডিসেম্বর তিনি দেশের পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশন থাকাতে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না । তাই ১৫ ই ডিসেম্বর কর্মচারী সংঘ এবং রাষ্ট্রবাদি শিক্ষক সংঘের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং ঐ সম্মেলনে উদ্বোধন হিসেবে বিদ্যুৎ এবং কৃষি দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ উপস্থিত থাকবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয় । সাথে গোমতী জেলার সকল বিধায়কগণ উপস্থিত থাকার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান নেতৃত্বরা। কিন্তু উদয়পুরে রমেশ স্কুল মাঠে মুখ্যমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠান থাকার কারণে ১৫ ই ডিসেম্বর সম্মেলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং সকল সদস্য এবং সদস্যাদের মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে । এখানে উল্লেখ থাকে যে , ৫ এবং ৬ ডিসেম্বর পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়, অফিস এবং বাজারে যে পোস্টার গুলি লাগানো হয়েছিল সেগুলি যথারীতি রয়ে গিয়েছে । এর ফলে ১৫ই ডিসেম্বরের গোটা অনুষ্ঠানকে নিয়ে এক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। এর ফলেই আজকে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের নেতৃত্বরা জানান , সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সম্মেলনের তারিখ পরবর্তী সময় সিদ্ধান্ত করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উদয়পুরের বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের সমস্ত নেতৃত্বরা অংশ নেন ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ভারতীয় মজদুর সংঘের সোনালী ৭০ বছর শ্রমিক সম্পর্ক অভিযান শুরু হয়েছে পয়লা ডিসেম্বর থেকে । রবিবার গোমতী জেলা ভারতীয় মজদুর সংঘের উদ্যোগে উদয়পুর জামতলায় তার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হলো । মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তার শুভ উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ত্রিপুরা প্রদেশ কনভেনার সুবীর দেববর্মা , ঠেকা কর্মী মহাসংঘের প্রদেশ প্রভারী উত্তম সরকার ও জেলা সভাপতি দ্বিগবিজয় ভাওয়াল , সম্পাদক পার্থসারথি ঘোষ , বিএম এস এর গোমতী জেলার সহ-সভানেত্রী মিনা দেবনাথ ও প্রাক্তন সভাপতি গৌতম দাস সহ প্রমূখ । এদিন স্বাগত ভাষণ রাখেন বিএমএস এর সম্পাদক পার্থ সারথি ঘোষ । অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, গত ৭০ বছর ধরে ভারতীয় মজদুর সংঘ শ্রমিকদের সাথে এক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। যার ফলে এই সংগঠন এক বড় আকারে রূপ ধারণ করেছে। এবার শ্রমিক সম্পর্ক অভিযান গড়ে তোলা হচ্ছে গোটা রাজ্যজুড়ে। প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে এই ধরনের অভিযান । আগামী দিন আরও বেশি করে সমস্ত অংশের শ্রমিক এবং কর্মচারীদের কে সাথে নিয়ে রাজ্য এবং বিভিন্ন বিধানসভা ভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা এবং কর্মচারী থেকে শুরু করে শ্রমিকদের স্বার্থে আরও বেশি করে সংগঠনকে শক্তিশালী ভাবে গড়ে তুলতে একদিকে যেমন কাজ করবে অন্যদিকে সমাজের জন্যেও এগিয়ে আসা হবে। এই দিনের গোটা কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন থেকে শুরু করে কর্মচারী সংগঠনের কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৫ ডিসেম্বর:- প্রদেশ বিজেপির নির্দেশে ধলাই জেলা কমিটি রাইমাভ্যালী মন্ডলের অন্তর্গত ৭০’টি বুথ সভাপতির নাম মঙ্গলবার স্টেট বিজেপি রিটার্নিং অফিসার ঘোষণা করেন। বুধবার সরমা কার্যালয়ে সরমা এবং নারায়নপুর ভিলেজের আশপাশের ছয়টি বুথ যথাক্রমে ৪৪/৩৭, ৪৪/৩৮, ৪৪/৩৯, ৪৪/৪০, ৪৪/৪১ এবং ৪৪/৫৩ এর নবনির্বাচিত বুথ সভাপতিদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য সরকার, কৃষাণ মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার, জেলা কমিটির সদস্য সুমন রুদ্র পাল, জেলা কমিটির তপশিলী জাতি মোর্চার সম্পাদক মন্ত নমঃশূদ্র, মন্ডলের তপশিলি জাতি মোর্চার সভাপতি অতিশ দাস, শক্তি কেন্দ্রের কনভেনার অভিজিৎ রুদ্র পাল, মন্ডলের আইটি সেলের কনভেনার রাজু রুদ্র পাল প্রমুখ। এদিন উপস্থিত নেতৃত্বরা নবনির্বাচিত বুথ সভাপতি যথাক্রমে বিজয় দেবনাথ ওরফে সুমন, সজল শীল, দেবু শীল, সাথুই মগ, রতন বিশ্বাস এবং টুটন বিশ্বাসকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। এদিন বুথ সভাপতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে সরমা কার্যালয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।