প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছরের সাফল্যের খতিয়ান নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিজেপির কার্যকর্তারা। নানা অভিনব কার্যক্রমের মাধ্যমে জন সম্পর্ক অভিযান চলছে জোর কদমে। এরমধ্যে অন্যতম টিফিন বৈঠক। প্রত্যেকে কার্যকর্তা নিজের বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে বৈঠকে অংশ নেন। এই টিফিন সবাই ভাগ করে খান। এতে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক সমৃদ্ধ হয়। জাতপাত ধনী গরীবের কোন ভাগাভাগি নেই। সবাই মিলেমিশে টিফিন ভাগ করে খাচ্ছে। এতে সমরসতা বৃদ্ধি পায়। সংঘবদ্ধভাবে কাজ করার স্পৃহা জাগ্রত হচ্ছে। রবিবার বিশালগড় মন্ডল কমিটির উদ্যোগে শীতলটিলা জেবি স্কুল মাঠে টিফিন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মন্ডল সভাপতি তপন দাস, সহসভাপতি জিতেন্দ্র সাহা, কাউন্সিলর অনুরাগ চক্রবর্তী, রাজেশ সাহা প্রমুখ। বৈঠকে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন কার্যকর্তাদের সংঘবদ্ধকরণে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সবাই হাতে হাত ধরে কাজ করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। অশুভ সুবিধাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই আরও তীব্র করতে হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নারী শক্তি। এছাড়া এদিন বিশালগড় পূর্ব লক্ষীবিলে জন সম্পর্ক করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নয় বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি । এদিকে কমলাসাগর মন্ডলের উদ্যোগে কাজারিয়া হলঘর মাঠে টিফিন বৈঠক আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত , বিধায়িকা অন্তরা সরকার দেব প্রমুখ।
কমলাসাগর মন্ডলের ১৯ টি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান ,বুথ সভাপতি ও মন্ডলের দায়িত্ব প্রাপ্ত কায্যকতাগন বৈঠকে অংশ নেন । একে অপরের টিফিন ভাগ করে ভোজন করেন।
রাজনীতি
তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সাধারণ জন জাতিদের মধ্যে মোহ ভঙ্গ হচ্ছে তিপ্রা মথা দলের প্রতি। আত্মা বিশ্বাস বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি। গত কয়দিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই তিপ্রা মথা দল থেকে তেলিয়ামুড়ায় বি জে পি দলে যোগ দিছে। আজ দুস্কি পাড়া কলক এ বি জে পি তেলিয়ামুড়া মণ্ডলের দুস্কি শক্তি কেন্দ্রের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৬২জন ভোটার তিপ্রা মথা দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দেয়। নবগত দের হাতে পমচিন্নিত পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বি জে পি দলে স্বাগত জানান তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, তেলিয়ামুড়া পুরো পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারমেন নিতীন কুমার সাহা, তেলিয়ামুড়া মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক নন্দন রায় এবং গোপাল ব্রহ্ম সহ দুস্কি শক্তি কেন্দ্রের কার্যকরতারা। নমাগত দের স্বাগত জানিয়ে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী রায় বলেন, বাস্তবের নিরিখে আজ শুধু তেলিয়ামুড়া নয় সারা রাজ্যে জনজাতিরা বুঝতে পারছে, তিপ্রা মথা দল তিপ্রা ল্যান্ডের নামে ভাঁওতা দিছে। এখন জন জাতি ভাই-বোনেরা বুজে গেছে। এখন প্রয়োজন উন্নয়নের।চাই নতুন নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষার এবং স্বাস্থ্যের। আর এই কাজগুলি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার দল -মত নির্বিশেষে সকলের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে চলেছে। তাইতো আজ শুধু তেলিয়ামুড়া নয় সারা রাজ্য জুড়ে জনজাতি ভাই বোনেরা বিজেপি দলের প্রতি বিশ্বাস রেখে বিজেপি দলে যোগ দিচ্ছে। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের দিন পাড়া কলক বিদ্যালয় এ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে আসলে তিপ্রা মথা সমর্থকরাসেই দিনের বিজেপি দলের প্রার্থী তথা আজকে তেলিয়ামুড়া কেন্দ্রের বিদায়িকা কল্যাণী সাহা রায় এর সাথে দূর ব্যবহার করে ছিলো। তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে দুস্কি এলাকা মথা দলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে ই পরিচিত। মাথার এই শক্ত ঘাঁটিতে আজ ভাঙ্গন ধরিয়ে বিজেপি দলের কার্যকর তাদের মধ্যে যথেষ্টই সন্তুষ্টি বিরাজ করছে বলা যায়।
জন সংযোগ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রবিবার সকালে খোয়াই বিধানসভার চা বাগান অঞ্চলে টিফিন বৈঠকের নামে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জন সংযোগ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রবিবার সকালে খোয়াই বিধানসভার চা বাগান অঞ্চলে টিফিন বৈঠকের নামে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার, পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই মন্ডল সম্পাদক তাপস কান্তি দাস, সহ-সভাপতি প্রণব বিশ্বাস এবং যুব মোর্চা খোয়াই মন্ডল কমিটির সভাপতি সত্যজিৎ পাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এদিন মত বিনিময় সভায় চা বাগানে উপস্থিত শ্রম জীবি অংশের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন জনজাতিদের আর্থ-সামাজিক মান উন্নয়নে সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিজেপি শাসন ক্ষমতায় আসার পর এই চা বাগান অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষরা জমির পাট্টা পেয়েছে। মাথা গোজার এবং সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি। দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর নেতৃত্বে দেশ প্রগতি ও বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন বিগত সরকারের ২৫ বছরের আমলে আপনারা বঞ্চিত ছিলেন। ভোটের দিন আসলে আপনাদের কদর বেড়ে যেত। ভোট পেরিয়ে গেলে আপনাদের খোঁজখবর নিতে কেউ আসতো না। এই দুঃবিষয় জীবন থেকে আপনাদের পরিত্রান দিয়েছে বর্তমান সরকার। জমির পাট্টা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর, অটল জলধারায় পানীয় জল, উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের কানেকশন, বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ, সবকিছুই প্রদান করা হয়েছে এ সরকারের আমলে। খোয়াই চা বাগান শ্রমিকরা আজ আত্মনির্ভরশীল। তারা ভারতীয় জনতা পার্টি এবং মোদিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত । মন্ডল সভাপতির প্রতিটা বক্তব্যে সকলেই সহমত পোষণ করেছেন এবং আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদিজীর হাতকে সশক্ত করণ করার পক্ষে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১৪ জুলাই:- গত ৭ জুলাই পবিত্র বিধানসভায় বিরোধীরা অশালীন আচরণ ও অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ, গড়িমা ও মর্যাদা’কে কালি মালিপ্ত করার প্রতিবাদে গোটা রাজ্যের ৬০টি মন্ডলের সাথে তাল মিলিয়ে শুক্রবার রাইমাভ্যালী মন্ডলেও বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করা হয়। এদিন বিক্ষোভ মিছিলটি মন্ডল কার্যালয়ের সামনে থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিশাল এক রেলীর মাধ্যমে গন্ডাছড়া শহর এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা শেষে মধ্য বাজারে এক সভায় মিলিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং সহ জেলা,মন্ডল এবং মন্ডলের বিভিন্ন মোর্চা নেতৃত্বরা।
২১ জুলাই মঞ্চের খুঁটিপুজো করে সায়নী বললেন, রাখে হরি মারে কে! তৃণমূলকে এ ভাবে আটকানো যাবে না
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্যস্ত ছিলেন নির্বাচনী প্রচারে। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত সায়নী ঘোষ। এক সপ্তাহ পরে শুক্রবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের মহাকর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ধর্মতলায়। তার আগের শুক্রবার সমাবেশ স্থলে খুঁটিপুজো হল। খাতায়কলমে যুব তৃণমূলই এই কর্মসূচির আহ্বায়ক। এখন সায়নী যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। তাই তিনিও এসেছিলেন ধর্মতলার মোড়ে খুঁটিপুজোয়।
সেই কর্মসূচির পরে পঞ্চায়েতে শাসকদলের জয় নিয়ে সায়নী বললেন, ‘‘রাখে হরি তো মারে কে! আর মারে হরি তো রাখে কে! বাংলার মানুষ পঞ্চায়েতের ফলাফলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।’’ পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারপর্বে সায়নীকে গত ৩০ জুন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রে তলব করেছিল ইডি। সেদিন তাঁকে প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরে ফের তাঁকে ৫ জুলাই তলব করা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। কিন্তু প্রচারের ব্যস্ততার কথা বলে সায়নী সে দিন আর যাননি। আইনজীবী মারফত নথিপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
শুক্রবার খুঁটিপুজোর পর সায়নী বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থার উপর নানারকম চাপ থাকে। তাঁরা ডাকতেই পারেন। তাঁদের এক্তিয়ার আছে তলব করার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারকেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এ সব করে কখনওই তৃণমূলকে আটকানো যায়নি, যাবেও না।’’ সায়নী আরও বলেন, ‘‘ভোটের আগে বহিরাগতদের পাঠিয়ে ভেবেছিল মানুষের মন জয় করবে। কিন্তু মানুষ পঞ্চায়েতে বুঝিয়ে দিয়েছেন।’’ ভোটের পর কেন্দ্রের যে ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ এসেছে, তাদের প্রতিও কটাক্ষ ছুড়ে দেন এই অভিনেত্রী-নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এরা মণিপুর বা উত্তরপ্রদেশে যায় না। খালি বাংলায় আসে। আমি বলব, এরা যেন এখানে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে নেয়।’’
প্রতিনিধি মোহনপুর:-বামুটিয়া বিধানসভার উত্তর রামনগর এলাকায় সিপিআইএম দলে বড় ভাঙ্গন ধরানো বিজেপি। শনিবার এক যোগদান সভার মধ্য দিয়ে সিপিআই (এম) দল ছেড়ে ১২৪ পরিবারের ৩৩১ জন ভোটার বিজেপি দল যোগদান করেন। হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বরণ করে নেন মন্ত্রী টিন্কু রায় সমেত অন্যান্যরা।
বামুটিয়া বিধানসভার উত্তর রামনগর এলাকা সিপিআইএম দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তার সত্যতা পাওয়া গেছে সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে। যদিও শনিবারের এই যোগদান সভার পর এলাকাতে সিপিআই (এম) দলের হাতেগোনা কয়েকজন সদস্যরা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় নেতৃত্ব। শনিবার উত্তর রামনগর স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এই যোগধান সভা। যোগদান কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় একটি প্রকাশ্য সভা। এই সভাতে বলতে গিয়ে বিজিবি রাজ্য সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত বলেন দীর্ঘ বছর শাসন করার সময়ে বামেরা শুধুমাত্র মানুষদের ঠকিয়েছে। বিশেষ করে চা বাগান এলাকার শ্রমিকদের মাথা গুজার মত সামান্য একটি ঠাঁই করে দিতে পারেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার এই দরিদ্র মানুষদের ঘর তৈরিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আহবান করেন এই দলের মিথ্যা প্রলোভনে পা না দিয়ে এলাকার সমস্ত মানুষ বিজেপি দলে সাথে নিজেদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করে তুলতে। অন্যদিকে মন্ত্রী ত্রিপুরায় বলেন ধর্মনগর থেকে কুমারঘাট পর্যন্ত রেল লাইন তৈরি হতে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪ বছর সময় লেগেছিল। অন্যদিকে অটল বিহারী বাজপে দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে কুমারঘাট থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করে দিয়েছেন। এরপর নরেন্দ্র মোদির সময়ে রাজ্যে ব্রডগেজ চালু হওয়া থেকে শুরু করে এখন প্রতিদিন ১৫-১৬ টা ট্রেন আসা-যাওয়া করছে। সামান্য এই একটি ঘটনা থেকে এটা পরিষ্কার বর্তমান সরকার কি দিশা তে এবং কি গতিতে উন্নয়নমূলক কাজ করছে রাজ্যের মানুষের একটি ভরসার কেন্দ্রবিন্দুর নাম বিজেপি সরকার। এই ভরসা কে অটুট রাখতে এলাকার সমস্ত অংশ সে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিতে সমর্থন দেওয়ার আহবান করলেন মন্ত্রী। এদিনে এই সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি বিজু পাল, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ ধন দাস, পশ্চিম জেলার এবং অন্যান্যরা
হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে জনসংযোগ রাহুলের, প্যান্ট গুটিয়ে নামলেন চাষ করতে, চালালেন ট্র্যাক্টর
জনসংযোগ করতে এ বার চাষের ময়দানেও নামতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। শনিবার হরিয়ানার সোনিপতের মাদিনা গ্রামে ভোরবেলা পৌঁছে যান রাহুল। সেখানে এক জায়গায় কৃষকদের চাষ করতে দেখে প্যান্ট গুটিয়ে নিজেই নেমে পড়েন চাষ করতে। চালান ট্র্যাক্টরও। এমনকি কৃষকদের জন্য আনা খাবারও খাটিয়ায় বসে সকলের সঙ্গে ভাগ করে খান ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা কৃষকদের সঙ্গে কাটানোর পর ওই গ্রাম থেকে রওনা দেন রাহুল।স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক জগবীর সিংহ মালিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, রাহুলের এই জনসংযোগ কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ছিল না। হঠাৎই কৃষকদের চাষ করতে দেখে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান রাহুল। ওই বিধায়কের কথায়, “রাহুলজি কৃষকদের সঙ্গে তাঁদের সমস্যা, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন। মাঠে নেমে ধান চাষ করেছেন। এমনকি ট্র্যাক্টরও চালিয়েছেন।” কংগ্রেস সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে সড়কপথে হিমাচল প্রদেশের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন রাহুল। হরিয়ানার ওই গ্রামে কৃষকদের চাষ করতে দেখে গাড়ি দাঁড় করান তিনি। দুপুর ৩টে নাগাদ রাহুলের চাষ করার এবং ট্র্যাক্টর চালানোর একাধিক ছবির কোলাজ করে তা নিজেদের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করে কংগ্রেস। ছবির উপরে লেখা ছিল ‘জননায়ক’। মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিংবা বিভিন্ন পেশার মানুষদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে জনসংযোগ করতে রাহুলকে আগেও দেখা গিয়েছে। জুন মাসে দিল্লির করোল বাগ এলাকার একটি গ্যারাজে মিস্ত্রিদের সঙ্গে বসে বাইক সারাতেও দেখা যায় তাঁকে। কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলে রাহুলের জনসংযোগ কর্মসূচির যে ছবিগুলি টুইট করা হয়েছে,তাতে হাতে স্ক্রু ড্রাইভার-সহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে থাকা রাহুলকে দেখে পুরোদস্তুর ‘মিস্ত্রি’ বলেই মনে হচ্ছিল। পরে রাহুল নিজেও ফেসবুকে তাঁর এই গ্যারাজ-সফরের ছবি পোস্ট করেন। এর আগেও একাধিক বার সাধারণ মানুষ, শ্রমিক কিংবা কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জনসংযোগ করতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। তাঁর সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে রাহুল ওয়াশিংটন থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত ট্রাকে সফর করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্রাকচালকেরা দৈনন্দিন কী কী সমস্যায় পড়েন, তা নিয়ে রাহুল কথা বলেন ওই ট্রাকচালকের সঙ্গে। একই ভাবে দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় পর্যন্ত ট্রাকে করে গিয়েও ভারতীয় ট্রাকচালকদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। আবার কর্নাটকে ভোটপ্রচারে গিয়ে অ্যাপভিত্তিক স্কুটারেও সওয়ার হতে দেখা গিয়েছিল রাহুলকে।
কংগ্রেসে যাচ্ছেন না পঙ্কজা মুন্ডে কিন্তু জল্পনা জিইয়ে বিজেপি থেকে নিচ্ছেন দু’মাসের ‘ছুটি’
কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী পঙ্কজা মুন্ডে। আপাতত ‘এক-দু’মাসে’র ছুটি নিচ্ছেন রাজনীতি থেকে। তবে বিজেপির প্রতি নিজের অসন্তোষের কথাও জানিয়ে দিয়েছেন গোপীনাথ-কন্যা।
আপাত অশান্ত মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়েছিল তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন। যাতে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপির জাতীয় সম্পাদক ৪৩ বছরের পঙ্কজা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দু’বার দেখা করেছেন। তার পরেই জল্পনা চরমে ওঠে, তাহলে কি বিজেপি ছাড়ছেন পঙ্কজা? শুক্রবার সেই জল্পনা নস্যাৎ করলেন পঙ্কজা নিজেই। স্পষ্ট জানালেন, ‘‘আমি কোনও দিন অন্য কোনও দলের কোনও নেতার সঙ্গে দল ছাড়া নিয়ে আলোচনা করিনি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনও দিন রাহুল গান্ধী বা সনিয়া গান্ধীকেই দেখিনি। এই ধরনের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা। মামলা করব।’’
তবে নিজের দলত্যাগের সম্ভাবনার জল্পনা নাকচ করলেও মহারাষ্ট্রে বিজেপির একাধিক বিধায়ক যে নেতৃত্বের উপর অসন্তুষ্ট, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পঙ্কজা বলেন, ‘‘বিজেপির এখানে ১০৫ জন বিধায়ক রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই অসন্তুষ্ট। কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে তা বলতে ভয় পাচ্ছেন। নরেন্দ্র মোদী স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’, মানুষ কিন্তু তাকে বিশ্বাস করেছিল।’’
লোকসভা বিস্তারক প্রবাস যোজনা উপলক্ষে বুধবার বিজেপি খোয়াই জেলা কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ প্রতিনিধি খোয়াই
লোকসভা বিস্তারক প্রবাস যোজনা উপলক্ষে বুধবার বিজেপি খোয়াই জেলা কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি গত ৩০ জুন রাজধানী আগরতলায় প্রকাশ্য দিবালোকে খোয়াই বিধানসভার ২৯ নং বুথের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি শ্যামল দেব কে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে অপহরণ করে খোয়াই মন্ডল সম্পাদক পিন্টু রায় এর নেতৃত্বে নিকোজিসনের এক দল। রাজধানী পুলিশের তৎপরতায় অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্যামল দেব কে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। শ্যামল দেব সমস্ত ঘটনা সবিস্তারে লিখিত বক্তব্য জানিয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এই অপহরণ কাণ্ডের মূল পান্ডা পিন্টু রায় কে গ্রেফতার করে খোয়াই মন্ডলের সামনে থেকে এবং আগরতলা নিয়ে যায়। মূলত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গঠন এবং সরকারি কাজের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করার লক্ষ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে কাজ করার চেষ্টা করছেন। আর এই সদর্থক ভূমিকার কারণেই এই গ্রেফতার বলে মনে করা হচ্ছে । যদিও বাকী আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি খোয়াই তে এক নিরাপদ আশ্রয়ে তারা অবস্থান করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে গুঞ্জন চলছে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা। এইদিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি পিনাকী দাস চৌধুরী, রাজ্য কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কমিটির সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিস্তারক বাবুল রায়, জেলা বিস্তারক গৌতম ত্রিপুরা, এছাড়াও খোয়াই জেলা পরিষদের সদস্য সদস্যাগণ, জেলা কমিটির পদাধিকারী গণ, খোয়াই ও তেলিয়ামুড়া পৌরসভার সদস্য সদস্যা গন, জেলা মোর্চার সভাপতি ,সাধারণ সম্পাদক, মন্ডল কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রতিটি মন্ডল মোর্চার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন সেল কমিটির চেয়ারম্যান এবং রাজ্য কমিটির সদস্য সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর্তাগণ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে দলীয় কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে নেতৃত্বরা আলোচনা করেন। প্রদেশ সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য বলেন খোয়াই সংস্কৃতির শহর গোটা রাজ্যে খোয়াইয়ের একটা গরিমা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এই ঘটনা খোয়াই বাসীর গর্বে আঘাত হেনেছে এবং ভারতীয় জনতা পার্টি কোনোভাবেই কখনো যারা অপরাধ করে এবং যারা অপরাধকে সমর্থন করে তাদের প্রশ্রয় দেয় না। ইতিমধ্যেই দল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে সম্প্রতি তেশরা জুলাই এই অপহরণ কান্ডের মূল পান্ডা পিন্টু রায় কে দল অপসারণ এবং শোকজ নোটিশ প্রদান করেছে। তিনি আরো বলেন রাজ্য কমিটির কাছে তারা চিহ্নিত হয়েছে যারা এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত দল কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না যে যত বড় দায়িত্বেই থাকুক। উপস্থিত কার্য কর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ভারতীয় জনতা পার্টি সেবার মধ্য দিয়ে সংগঠন করে। ভারতীয় জনতা পার্টির একনিষ্ঠ কার্যকর্তা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জী, গোটা পৃথিবী যাকে সম্মান করে। রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্য উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে স্বচ্ছতার সাথে। যারা এই দলে থেকে নিজের স্বার্থে দলকে ব্যবহার করতে চায় এবং তারা দলের একনিষ্ঠ কর্মী হতে পারে না। তিনি আরও বলেন ব্যক্তিগত স্বার্থে এই সব অপরাধ জনিত কাজ করে যারা দলকে কালিমা লিপ্ত করতে চায় তারা দলের কর্মী হতে পারেনা। গোটা দেশে শ্রমিক কৃষক ছাত্র যুবক ব্যবসায়ী বিদ্যজনদের আস্থা বিশ্বাসের প্রতীক ভারতীয় জনতা পার্টি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন দল এসব বরদাস্ত করবে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতি ঘরে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সুমহান উদ্যোগকে মানুষের দুয়ারে যেন পৌঁছে দিতে পারে সেই লক্ষ্যে কর্মীদের কাজ করার জন্য তিনি আহবান রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন লোকসভা প্রবাস যোজনার বিস্তারক বাবুল রায় এবং বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী।
খোয়াইয়ে বিরোধী শিবিরে ব্যাপক ভাঙ্গন। ৭২ পরিবারের ২১১ জন ভোটার পদ্মা শিবিরে শামিল। নবাগতদের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাদের দলে বরণ করে নেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার। এ দিনের যোগদান সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওবিসি মোর্চা খোয়াই জেলা কমিটির সম্পাদক সুশান্ত দেবনাথ। মন্ডল কমিটির অন্যতম সদস্য বিজয় কুমার দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। এদিনের যোগদান সভায় সভাপতিত্ব করেন ৪৪ নং বুথের বোথ সভাপতি মনিন্দ্র নাথ। যোগদান সভায় নবাগতদের বরণ করে মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার বলেন ভয় ,ভীতি কিংবা কোন কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে বিজেপি দলে যোগদান করতে হবে না। ২০১৪ সালে মোদিজীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস, সবকা বিশ্বাস এই চিন্তাধারা নিয়ে কাজ চলছে দেশব্যাপী। এখন ঘরে বসেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যেকের ঘরে। মোদি সরকারে আসার পর জনধন প্রকল্প চালু করেছেন। এই জনদন প্রকল্প নিয়ে বিরোধী শিবির হাস্যকৌতুক করেছিল। কিন্তু এখন বিরোধীরা ধীরে ধীরে টের পাচ্ছে মোদির চিন্তাধারা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মানসিকতায় আজ দেশবাসী উপকৃত হচ্ছেন। আজ আমরা দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে মাফিয়া রাজ্ খতম হয়েছে। বহি বিশ্বে আজ ভারত সমাদৃত। মোদি জি যখনই বিশ্বের অন্য রাষ্ট্রে চলে যাচ্ছেন তখন উনাকে স্বাগত জানার জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের নায়করা এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকেন উনাকে আপ্যায়ন করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্যে শিক্ষা ,স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার। পূর্বতন সরকার সামান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে মিছিল মিটিংয়ে হাটিয়েছে সাধারণ মানুষকে। শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে কখনো নির্বাচনী ফান্ড, কখনো সংগঠনের নামে দেদার অর্থ লুটেছে। দেশে গরিবি হটাও স্লোগান তুলেছে। প্রকৃতপক্ষে তারা গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ লুটেপুটে খেয়েছে। আপনারা বিচার-বিশ্লেষণ করুন ৭০ বছরের শাসনকাল এবং ছয় বছরের শাসনকালে রাজ্য এবং রাজ্যবাসীর কি উন্নয়ন হয়েছে। আগামী দিনে বিজেপি দলের নীতি আদর্শ কে ভালোবেসে যারা আমাদের দলে সামিল হবেন তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি এবং একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা দেশ এবং রাজ্যের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে নিজেদেরকে সামিল করব এই আহ্বান জানান তিনি।