প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৮ আগস্ট।। জনজোয়ারে ভাসলো ধনপুরের নিদয়া। সোমবার নিদয়া বাজারে বিজেপির প্রার্থী বিন্দু দেবনাথের সমর্থনে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে রীতিমতো জনঢল পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিত ছিল লক্ষনীয়। নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। এছাড়া ছিলেন প্রার্থী বিন্দু দেবনাথ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কৃষি মন্ত্রী রতনলাল নাথ, প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, বিধায়ক সুশান্ত দেব, সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া প্রমুখ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন সিপিএম প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিলেন। ১৮ সালের আগে এই ধনপুরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল। বিরোধী দল করার অধিকার ছিল না। আজকের প্রার্থী বিন্দু দেবনাথকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছিলো। কিন্তু রাজ্যের মানুষ সব অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সিপিএমকে ক্ষমতাচ্যুত করে। রাজ্যের মানুষ মুক্তির স্বাদ পায়। ২৩ সালে ধনপুর ইতিহাস তৈরি করেছে। এই ধনপুরের মেয়ে প্রতিমা ভৌমিককে যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রীসভায় কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। ধনপুরের সার্বিক উন্নয়নে বিন্দু দেবনাথকে জয়ী করুন। তিনি বলেন ধনপুরের বিজয় সুনিশ্চিত তা আজকের উপস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এমন সমাবেশ নিদয়াতে কখনো হয়নি। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন আজকের মাতৃশক্তির উপস্থিতি বলে দিচ্ছে আগামী পাঁচ সেপ্টেম্বর ধনপুরে কী হতে চলেছে। এই ধনপুর কুড়ি বছরের মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে ধনপুরের মানুষ কিছুই পায়নি। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ছিল ধনপুরে। কিন্তু আজ শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন একটি সরকারি প্রকল্পের জন্য বছরের পর বছর মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করেছে সিপিএম। আজ কাউকে মিছিল মিটিং করতে হয়না। হিন্দু মুসলমান জাতি জনজাতি সকলের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে সরকারি প্রকল্প। বিজেপি সকলের জন্য কাজ করে। আরও কাজ করতে হবে। তাই বিন্দু দেবনাথকে জয়ী করার দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর
জনজোয়ারে ভাসলো ধনপুরের ৩ নং বুথ । মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপির প্রার্থী বিন্দু দেবনাথের সমর্থনে যোগদান সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । এদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন, একত্রিশ আরকেপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস। এই দিনের যোগদান সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস বলেন , এবারের উপনির্বাচন উন্নয়নের শিখরে দাঁড়িয়ে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি । রাজ্যে এবং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী ও মানিক সাহার সরকারের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে এবং এই বিকাশমুখী সরকার কর্তৃক কর্মযজ্ঞের ভাগীদার হতে প্রতিদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে চলছে যোগদান । এই উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতে নয় পরিবারের ৩৫ জন ভোটার বাম ও কংগ্রেস দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন । আগামী দিনে ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিন্দু দেবনাথ বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন প্রবীর দাস । এদিন নবাগতদের দলীয় পতাকা দিয়ে দলে বরণ করে নেন ৩১ আরকেপুর মন্ডল সভাপতি তথা ধনপুর ১ ও ৩ নং বুথের বিস্তারক প্রবীর দাস । তাছাড়া ১ ও ৩ নং বুথের প্রবীণ নাগরিকদেরকে সাথে নিয়ে দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে বৈঠক করেন তিনি । উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য ধনপুর এলাকায় প্রবীনদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর : –
আসন্ন উপ নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার সকালে ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বিজেপি প্রার্থী তপাজ্জল হোসেনের সমর্থনে বক্সনগর বিধানসভার রহিমপুর এলাকায় ৩ নং বুথে প্রচারে নামেন অর্থমন্ত্রী । এই দিন গ্রামীন এলাকার সমস্ত নাগরিকদের বাড়িতে জনসম্পর্ক অভিযান করেন । পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন ভোটারদের সামনে । উন্নয়নকে হাতিয়ার করে এবং গত ২৫ বছরের বাম অপশাসনের চিত্র তুলে ধরে ভোটারদের কাছে এই বছর এক নতুন বার্তা নিয়ে যান তিনি । গ্রামের নবীন থেকে প্রবীণ ও যুব ভোটারদের কাছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রচারের দিক মজবুত করে তোলেন অর্থমন্ত্রী । গ্রামের কাঁদামাটি পেরিয়ে সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে পৌঁছে যান কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে । একই সাথে কর্মীদের গলায় ছিল দৃপ্ত কন্ঠে স্লোগান । অন্যদিকে মন্ত্রী নিজেও স্লোগানে গলা মিলিয়ে কর্মীদেরকে আরো চাঙ্গা করে তুলে প্রচার অভিযানে । যেভাবে নির্বাচনী প্রচারে এইদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঝড় তুলেছেন । তাতে করে বিরোধীদল সিপিআইএম প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । এইদিন অর্থমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে বের হয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান , নির্বাচনের প্রচারে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন যে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মনস্থির করে ফেলেছেন বক্সনগর বিধানসভার বহুদিনের অনুন্নয়ন ও অব্যবস্থার ইতি টানতে এবার সর্বাংশের ভোট বিজেপিকেই দেওয়া হবে । সেই সাথে তিনি দাবি করেন এবারের উপনির্বাচনে বক্সনগর বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী বিপুল ভোটে জয় হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন ।
প্রথমবারের মতো বক্সনগরে পদ্মফুল ফোটাতে সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। উন্নয়নই বিজেপির পুঁজি। উন্নয়নকে পুঁজি করে জন সম্পর্কের মাধ্যমে জন সমর্থন আদায় করে জয় সুনিশ্চিত করতে চায় বিজেপি। রবিবার বক্সনগরে কার্যত প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। এদিন মাণিক্যনগর কমিউনিটি হলে কর্মচারী সঙ্ঘের আহবানে সাড়া জাগানো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকে জয়ী করার লক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন সিপিএম দল এতোদিন মিথ্যা অপপ্রচার করে, সন্ত্রাসে ভর করে বক্সনগরে জয়ী হয়েছে। এবার আর এই সুযোগ পাবেনা। আপনারা তফাজ্জল হোসেনকে কাজ করার সুযোগ দিন। বক্সনগরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে ভোট দিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মন্ডল সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন। এছাড়া এদিন বক্সনগর বিধানসভার ৫১ টি বুথে একযোগে জনসম্পর্ক করে বিজেপির কার্যকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত শোনার পর মাঠে নেমে পড়ে কার্যকর্তারা। বৃষ্টিস্নাত দিনেও কার্যকর্তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল লক্ষনীয়। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প গুলো জনতার দুয়ারে প্রচার করে বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করার আহবান জানান বিজেপির মন্ত্রী বিধায়ক নেতা কার্যকর্তারা। বুথে বুথে জনসম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন অর্থ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, যুব ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, আগরতলার মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দত্ত রায় প্রমুখ। এদিন ৩৮ নং বুথে উঠোন সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী টিংকু রায়, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক। উঠোন সভা কার্যত জনসভার রূপ নেয়। এদিন বক্সনগর বিধানসভার অন্তর্গত সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের ৯ নং ওয়ার্ডে ৪৩ জন সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরণ করেন বিজেপির প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন, নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া। এছাড়া ৪ নং বুথে ৮ জন ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী আরবের রহমানের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী টিংকু রায় এবং শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকাশমুখী কাজে খুশি এই পরিবার। তাছাড়া ৪৬ নং বুথে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বৈঠকে দারুণ সাড়া পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। ধনপুরের বিজেপি প্রার্থী বিন্দু দেবনাথের সমর্থনে প্রচার আরও তেজি হয়েছে। প্রতি বুথে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে ময়দান চষে বেড়াচ্ছে কার্যকর্তারা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এবং মন্ত্রী রতনলাল নাথ ঘাঁটি গেঁড়ে নির্বাচনী প্রচার পরিচালনা করেছেন। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা জনজাতি বুথে প্রচার চালাচ্ছেন। গত নির্বাচনে ধনপুরের একাংশ ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছিলো আইয়া পরতাছি গ্যাং। এবার তারাও সামিল হচ্ছে উন্নয়নের শিবিরে। এবার জয়ের ব্যবধান বাড়াতে প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিশালগড় জয় করে তাক লাগিয়েছিলেন তরুণ বিধায়ক সুশান্ত দেব। শনিবার থেকে তিনি ধনপুরে প্রচারে ঝড় তুলেছেন। বুথ বিজয়ের কৌশল জানা রয়েছে তাঁর। কার্যকর্তাদের মনোবল চাঙ্গা করে বুথ বিজয়ের লক্ষ্যে মিছিল মিটিং শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে সিপিএম ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। রবিবার ১ নং বুথে বিজেপিতে যোগ দেন দীর্ঘদিনের সিপিএম সমর্থিত ১৯ টি পরিবার। তাদের বরণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ২ নং বুথে উঠোন সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। উঠোন সভায় ছিল উপচে পড়া ভিড়। তাছাড়া সন্ধ্যা রাতে ১০ নং বুথে স্কোয়ার্ডিং করে বিজেপি কার্যকর্তারা। ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
পঞ্চায়েত গঠনে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া! সিপিএম ব্যবস্থা নিচ্ছে কয়েকশো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের আশঙ্কা ছিল, বহু জায়গায় সিপিএমের প্রতীকে জেতা লোকজন পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময়ে বিজেপিকে সমর্থন করে দিতে পারেন। ভোটের আগে এ নিয়ে দলের মধ্যে কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু জেলায় জেলায় দলের সেই ‘নির্দেশিকা’ উড়িয়ে সিপিএমের টিকিটে জেতা বহু পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। কোথাও কোথাও ক্ষমতার বৃত্তে থাকার মানসিকতা নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
তবে সিপিএম তাঁদের রেয়াত করছে না। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় তত্ত্বতালাশ করে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দলের কয়েকশa নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কোথাও তা ‘বহিষ্কার’। কোথাও আবার ‘শোক়জ়’ বা ‘সাসপেনশন’। সিপিএম পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই প্রকাশ্যে বলা শুরু করেছিল, বিজেপির সঙ্গে কোনও আপস তারা মানবে না। ভোটের পর সে কথা কাজে করে দেখাতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। অর্থাৎ, তারা নীতির প্রশ্নে ‘আপস’ করতে নারাজ। সেই প্রেক্ষিতেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, ‘‘আমরা তো সাংগঠনিক ভাবে যা পদক্ষেপ করার করছি। কিন্তু যেখানে তৃণমূল-বিজেপি মিলিজুলি বোর্ড গঠন করেছে, সেখানে এই দু’দল কী করবে?’’
বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’-র বহর আরও বাড়তে চলেছে। বেঙ্গালুরুতে বিজেপির বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল ‘ইন্ডিয়া’-র সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে ২৭টি দল যোগ দেবে। মহারাষ্ট্রের কৃষক নেতা রাজু শেট্টির স্বাভিমানী পক্ষকে এই সম্মেলনে আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বাভিমানী পক্ষ মহারাষ্ট্রের স্বাভিমানী শেতকারী সংগঠনের রাজনৈতিক শাখা। এই দল এক সময়ে বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল। পরে মহারাষ্ট্রের শাসক শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোটেও ছিল। আরও ৮টি দল বিরোধীদ জোট ‘ইন্ডিয়া’-য় যোগ দিতে আগ্রহী। এর মধ্যে অসম, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের দল রয়েছে। তাদের ‘ইন্ডিয়া’-য় আহ্বান জানানো হবে কি না, তা নিয়ে মুম্বইয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। বক্সনগরে সাফ তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বক্সনগরে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ যোগ দিলেন বিজেপিতে। মঙ্গলবার বক্সনগরের বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনের সমর্থনে প্রচারে যান মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা । এদিন গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজিত প্রার্থী জয়দল হোসেন সহ দলের সকল নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যোগ দেন। এছাড়া এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূল ব্লক মহিলা সভানেত্রী মিনাক্ষী বেগম, ব্লক মাইনোরিটি সেলের চেয়ারম্যান জয়নাল হোসেন। এছাড়া এদিন জেলা কংগ্রেস সম্পাদক জাকির হোসেন এবং সিপিএমের যুব নেতা শরিফ আহমেদ বিজেপিতে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা নবাগতদের বরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন তফাজ্জল হোসেনকে ভোট দেওয়া মানেই হলো নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দেওয়া। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী। সিপিএমের সন্ত্রাসের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্ত করেছে প্রধানমন্ত্রী। বক্সনগরের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মনোনীত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন, বিজেপির জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, বক্সনগর মন্ডল সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, অর্থমন্ত্রী প্রানজিত সিংহ রায়, পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, বিজেপি নেতা সুবল ভৌমিক, প্রকাশ দাস প্রমুখ। এদিন বক্সনগরে বিজেপির নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক করেন শক্তি ইনচার্জ সহ মন্ডল জেলা স্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। হাতে বেশি সময় নেই। তাই প্রতিটি ভোটারের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম তুলে ধরার জন্য কার্যকর্তাদের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া এদিন বক্সনগরের ১৮ এবং ১৯ নং বুথে ডোর টু-ডোর প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুশি আমজনতা। প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকে ভোট দিয়ে সুন্দর ত্রিপুরা গড়ার অংশীদার হওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই হলো ৩৫ বছরের অপশাসন সন্ত্রাসকে সমর্থন করা। আর বিজেপিকে ভোট দেওয়ার মানেই হলো উন্নয়নের পক্ষে সমর্থন করা। এছাড়া এদিন বক্সনগরে প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। ২০ নম্বর বুথে ২৯ জন সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরণ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস। এদিন রহিমপুরে কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাসকারী গৌরাংগুলা পাড়ায় জনসম্পর্ক করেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তাছাড়া কুলুবাড়ি গ্রামে ডোর টু-ডোর প্রচার করেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়। প্রচারে ছিলেন শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বণিক, সহসভাপতি ভিকি প্রসাদ প্রমুখ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২২ আগস্ট।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্ব নেতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার হাত ধরে বক্সনগরের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। তাই বক্সনগরের উন্নয়ন তরান্বিত করতে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান গত বিধানসভা নির্বাচনে বক্সনগর আসনের তিপরা মথার বিজিত প্রার্থী আবু খায়ের মিয়া। মঙ্গলবার বক্সনগর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তিপরা মথার শতাধিক যুবক। আবু খায়ের মিয়া স্পষ্ট ভাবে বলেন এতোদিন মুসলমানদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে সিপিএম। উপনির্বাচনে সিপিএমকে ভোট দেওয়ার মানেই হলো বক্সনগরকে পিছিয়ে দেওয়া। তাই উন্নয়নের স্বার্থে এমনকি সারা রাজ্যের সংখ্যালঘুদের স্বার্থে বিধানসভায় কথা বলার জন্য প্রতিনিধি হিসেবে বক্সনগরের বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। আবু খায়ের মিয়া বলেন স্থানীয় মানুষের ইচ্ছে এবং আবেগকে সম্মান জানাতে হবে। তিনি বলেন আমি স্থানীয় মানুষের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে বলে বিজেপির পক্ষে কথা বলেছিলাম। তাই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন এই বহিস্কারের পেছনে সিপিএমের হাত রয়েছে। একাংশ সিপিএম নিজেদের স্বার্থে তিপরা মথা দলে ঢুকে রয়েছে। ওরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি বলেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। একসময় সেনা বাহিনীতে কাজ করতেন। মানুষের জন্য কিছু করার স্বার্থে রাজনীতিতে আসতে হয়েছে। তবে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোন আপোষ করবেন না তিনি। বক্সনগরের উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২০ আগস্ট ।। আঠারোর পর তেইশেও আইয়া পরতাছি গ্যাঙ বিভ্রান্ত করেছিলো বস্কনগরবাসীকে। অপপ্রচারের বিভ্রান্ত হয়েছিল সেখানকার জনতা। এবার উপনির্বাচনে সব হিসাব নিকেশ চুকিয়ে বস্কনগরকে বামমুক্ত করার শপথ নিচ্ছে সেখানকার জনতা। আঠারোর যুব থেকে শুরু করে আশির বৃদ্ধ সবাই ঝাপিয়ে পড়েছে ময়দানে। উন্নয়নের মূল ধারায় এসে বস্কনগরের সার্বিক বিকাশের দায়িত্ব বিজেপির হাতে তুলে দেওয়ার সংকল্প নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছে বিজেপির প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন। বিজেপির জনজোয়ারে খড়কুটোর মতো ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বিরোধী জোটের। হালে পানি পাবেনা টের পেয়ে রীতিমতো ময়দান ছেড়ে পালিয়েছে বাম কংগ্রেস প্রার্থী। এদিকে প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। লেগেছে দল বদলের হিড়িক। রবিবার বক্সনগর কলসীমুড়া নতুন মোটর স্যান্ডের হলঘরে সোস্যাল মিডিয়া টিমকে নিয়ে এক সাংগঠনিক বৈঠক করেন প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন, প্রদেশ আই টি ইনচার্জ চন্দন দেবনাথ, প্রদেশ সোস্যাল মিডিয়া ইনচার্জ অরিদম দেব, জেলা ইনচার্জ উওম কর্মকার সহ অন্যনারা।
প্রচারের অঙ্গ হিসাবে বক্সনগর বাজারে মিছিল ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পাটি প্রদেশ সংখ্যালয়ঘু মোর্চার সভাপতি শাহআলম মজুমদার, ভারতীয় জনতা পাটি বক্সনগর মন্ডল সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, কৃষাণ মোর্চার সভাপতি আব্দুল হক সহ অন্যনারা।
বক্সনগর বিধানসভার ১-১২টি শক্তি কেন্দ্রে এক যোগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সভা গুলোতে ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদীকা পাপিয়া দও, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক সহ প্রদেশের বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বরা। মধ্য বস্কনগরে শতাধিক সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। কমলনগরে সভা করেন উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল। বিধানসভার সর্বত্র উঠোন সভায় জোর দেয়া হয়েছে। বস্কনগরকে বামমুক্ত করার অঙ্গীকার করছে সবাই। প্রায় ত্রিশ বছরের বামের অপশাসনের জাতাঁকলে পিষ্ট বস্কনগর উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে পড়েছিলো। এবার ডাবল ইঞ্জিনের সুফল বস্কনগরে পৌঁছে দিতে আগামী পাঁচ সেপ্টেম্বরের অপেক্ষা করছে জাতি জনজাতি হিন্দু মুসলমান সকল অংশের জনতা।