শান্তিরবাজার প্রতিনিধি : আজ শান্তির বাজার মহকুমায় বীরচন্দ্র মনু মন পাথর বাজারে শান্তির বাজার বিজেপি মন্ডলের উদ্যোগে বিজয় মিছিল সংঘটিত হয়। এই বিজয় মিছিল বীরচন্দ্র মনু বিজেপি কার্যালয় থেকে শুরু করে মন পাথর বাজারের বিভিন্ন জনপদ পরিক্রমণ করে অবশেষে বাজার সভাই মিলিত হয়। কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে এই বিজয় মিছিলে পায়ে পা মিলিয়ে
তাতে অংশ নেন ৩৬ শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, ২৬ বীরচন্দ্র কলসি কেন্দ্রের এমডিসি সঞ্জীব রিয়াং, মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক মম্বু মগ, জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি উপেন্দ্র রিয়াং, কৃষক মোর্চার মন্ডল সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী , মলেন রিয়াং সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন । সবাই বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং আলোচনা করতে গিয়ে গ্রেটার বলেন তিপ্রা ল্যান্ডের কথা ভুলে গিয়ে উপনির্বাচনে দেখা গেল মার্কসবাদী সিপিএমকে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা আনার চেষ্টা করছেন তিপ্রা মথা্। সিপিএম দলকে বলেন ভুলে যাবেন না আপনারা ক্ষমতাচ্যুত হলে আর ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারেন না । এই রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করে এই সুশাসনের বিজেপি সরকারকে । পাশাপাশ এমডিসি সঞ্জীব রিয়াং সরকারের একাধিক উন্নয়নের কাজকর্ম গুলি আলোচনার মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরেন। বিজয় মিছিলে ব্যান্ড পার্টির তালে বাজি পুড়িয়ে আনন্দে মেতে উঠেন ৩৬ শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
রাজনীতি
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গণনা বয়কট বামেদের, ত্রিপুরায় ‘ফাঁকা মাঠে’ শাসকদল বিজেপি
শাসকদল বিজেপির কারচুপি এবং নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ত্রিপুরায় ধনপুর এবং বক্সনগর বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। সে রাজ্যের বামফ্রন্ট নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের ফলে শুক্রবার দুই বিধানসভা আসনের গণনায় প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী বা তাঁদের এজেন্টদের দেখা যাবে না। এর ফলে শাসকদল বিজেপির জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।মঙ্গলবার সিপাহিজলা জেলার দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রায় সাড়ে ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল। বিরোধী বাম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনে শাসকদল বিজেপি সন্ত্রাস এবং কারচুপি করেছে। বহু বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেন, ‘‘আমরা ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই কারচুপি এবং সন্ত্রাস নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, বড় আকারের কারচুপি প্রতিরোধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’’ তিনি জানান, বামফ্রন্ট উপনির্বাচন বাতিল এবং নতুন করে ভোটগ্রহণের আবেদন জানালেও নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে দেওয়ায় তাঁরা গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিপিএমের প্রয়াত তথা প্রাক্তন বিধায়ক সমীর দেব সরকারের বাসভবনে পৃষ্ঠা প্রমুখদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়
সিপিএমের প্রয়াত তথা প্রাক্তন বিধায়ক সমীর দেব সরকারের বাসভবনে পৃষ্ঠা প্রমুখদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার। এই দিন রাত্রি ৮ ঘটিকায় ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১২ নং বুথে পৃষ্ঠা প্রমুখদের নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের ডিস্টার্ব প্রমো বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই মন্ডল সাধারণ সম্পাদক প্রণব দেবনাথ, পশ্চিম সিঙ্গাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল দেব, বিশিষ্ট সমাজসেবী অজিত দেব সহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃত্ব। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এইদিনের বৈঠক বলে জানা যায়। এ দিনের বৈঠকে মন্ডল নেতৃত্বরা স্থানীয় পৃষ্ঠা প্রমুখদের দলকে শক্তিশালী ও মজবুত করার লক্ষ্যে এখন থেকেই মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন। এবং খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটারের কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কর্মযজ্ঞ এবং পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তাদেরকে ভারতীয় পার্টিতে আকৃষ্ট করে তুলতে গুরুত্বারূপ করেন। মন্ডল সম্পাদক প্রণব দেবনাথ বলেন পৃষ্ঠা প্রমুখরা হচ্ছেন দলের ভীত। তাদের দাঁড়ায় দল শক্তিশালী ও মজবুত হয়।আগামী দিনেও তারা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের বিশাল ব্যবধানে জয়যুক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া। আগামীকালকে ধনপুর এবং বক্সনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল বের হবে। দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে ই এবার সংখ্যালঘু অংশের ভোটাররা শাসক দল বিজেপিকে সমর্থন করেছে বলা যায়। দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের এই সমর্থন এবার বিজেপি অন্যান্য এলাকাতেও সংখ্যালঘুদের উপর জোর দিয়েছে। আজ বিকালে কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গাউসভার ২২ ঘড়িয়া তে বিজেপির পক্ষ থেকে এক যোগদান সভায় সংখ্যালঘু অংশের ৪৭ পরিবারের ২৩৯ জন ভোটার বিজেপি দলে সামিল হয়। রাজ্য উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা নবাগতদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আগামী কালকে বিজেপির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বিপুল ভোটে জয়ী হচ্ছেন এবং আগামী দিনে সংখ্যালঘু অংশের মানুষদের দাবি-দাওয়া নিয়ে পবিত্র বিধানসভায় আওয়াজ তুলবেন। আজ শুধু বক্সনগর ধনপুর কেন্দ্রের সংখ্যালঘু অংশের মানুষেরা নয় সারা রাজ্যেই বাস্তবে নিরিখে সংখ্যালঘু মানুষেরা বুঝতে পারছে নরেন্দ্র মোদিজির স্লোগান সবকা সাথ সবকা বিকাশ শুধু মুখের কথা নয় বাস্তবেও তাই হচ্ছে। দীর্ঘ বছর ধরে সিপিএম সংখ্যালঘু মানুষদের নিয়ে শুধু রাজনীতি করে গেছে। সংখালী বংশের মানুষদের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। গত পাঁচ বছরের সংখ্যালঘু মানুষদের উন্নয়নের রাজ্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই আজ সংখ্যালঘুর সারা দেশের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার প্রতি আস্থা রাখছে। আজকের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি খোয়াই জেলার সম্পাদক বিজন কর মন্ডল সভাপতি তপন নম দাস সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
জনজোয়ারে ভাসলো ধনপুর এবং বক্সনগরমানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করছে সরকার : মুখ্যমন্ত্রী
শেষ লগ্নে প্রচার আরও তেজি করেছে বিজেপি। শনিবার জোড়া সমাবেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। দু’টি সভাতেই কার্যত জনঢল পরিলক্ষিত হয়। জাতি জনজাতি হিন্দু মুসলমান সকল অংশের মানুষ ভেঙে পড়ে জনসভা স্থলে। এদিন প্রথম নির্বাচনী সমাবেশ হয় ধনপুরের কাঁঠালিয়ায়। বিজেপি প্রার্থী বিন্দু দেবনাথের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, কৃষি মন্ত্রী রতনলাল নাথ, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাস প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা কংগ্রেস এবং সিপিএমকে এক হাত নেন। তিনি বলেন বিরোধী দলের কেউ বিধানসভায় গেলে কোন লাভ হবে না। কারণ ওরা বিধানসভায় উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেনা। গত অধিবেশনে সবাই দেখেছে তাদের কান্ড। কেউ নিজের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেনি। বরং টেবিল উপরে ফেলে দিতে চেয়েছে। টেবিলের ওপর হেঁটেছে। উপনির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী বিধানসভায় গেলে তা-ই করবে। তারজন্য বলছি শুধু উন্নয়ন করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। বিজেপি উন্নয়ন ছাড়া কিছু বুঝে-না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে কাজ করছে সরকার। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। সিপিএম পঁচিশ বছর মানুষের সমস্যা জিইয়ে রেখে, বিভাজনের রাজনীতি করে, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে শাসন করেছে। আর বিজেপি চায় দ্রুত মানুষের সমস্যা সমাধান। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে কেউ ছিল না। একমাত্র বিজেপির কার্যকর্তারা মানুষের পাশে ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিনামূল্যে রেশন ভ্যাকসিন চিকিৎসা দিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছে। গত পাঁচ বছরের কাজের নিরিখে ভোট দিয়ে আপনারা দ্বিতীয় বারের মতো বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাজ্যে অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেই। রাজনৈতিক খুন নেই। অথচ বামফ্রন্টের জামানায় শুধু সোনামুড়া মহকুমায় ১৬ জন খুন হয়েছে। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। আজ মানুষ মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে। বামের অপশাসন থেকে রক্ষা করেছে প্রধানমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় জনসভা অনুষ্ঠিত হয় বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে। বক্সনগর বাজারে আয়োজিত জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ প্রভারী মহেশ শর্মা, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক কিশোর বর্মন, মুখ্যসচেতক কল্যানী রায়, জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, মন্ডল সভাপতি সুভাষ সাহা প্রমূখ। প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকে নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল লক্ষনীয়। যুব থেকে নারী সকল বয়সের মানুষের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন আজকের জনজোয়ার আর মানুষের উচ্ছ্বাস স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে বক্সনগরের মানুষ কী চাইছে। গত দু’টি নির্বাচনে ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট আদায় করেছিলো। কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই বুঝতে পারছে কারা উন্নয়ন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোন নির্দিষ্ঠ ধর্মের জন্য কাজ করেনি। সকল দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করছে। জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন শুনেছি ওরা মিটিং করে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। আর এখন বলছে সিপিএম আমাদের প্রচারে ডাকে না। সিপিএম যে কী জিনিস ওরা এখনো বুঝতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বক্সনগরে নতুন ইতিহাস তৈরির সুযোগ পেয়েছেন। তা হাতছাড়া করবেন না। বক্সনগরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তফাজ্জল হোসেনকে জয়ী করার আহবান জানান তিনি। এদিনের জনসভায় ২৯৩ জন সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। আর মাত্র দুই দিন বাকি। রবিবার বিকালে উপনির্বাচনের সরব প্রচার সম্পন্ন হবে। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে একতরফা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। গেরুয়া পতাকায় সেজে ওঠেছে গোটা বক্সনগর। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা নির্বাচনী প্রচারের প্রধান মুখ। প্রচারের পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম তদারকি করছে মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার নির্বাচনী কাজে যুক্ত মন্ত্রী বিধায়ক নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। বক্সনগর মন্ডল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন, সংগঠন মহামন্ত্রী রবীন্দ্র রাজু, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, যুব ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া, প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বণিক, জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, মন্ডল সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা প্রমূখ। বৈঠকে বক্সনগর মন্ডলের সকল শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন। বুথের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চর্চা হয় বৈঠকে। আগামী দুই দিন প্রচার আরও তীব্র করার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা সাংবাদিকদের বলেন বক্সনগরে বিজেপির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখানে বিরোধী জোটের কোন প্রভাব পড়েনি। সাধারণ মানুষ বিজেপির পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এক সময় বিজেপির প্রতি ভুল ধারণা ছিল। সিপিএম মিথ্যা অপপ্রচার করে বিভ্রান্ত করেছিলো। সেই পরিস্থিতি আজ নেই। মানুষ ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কারণ নির্দিষ্ঠ ধর্ম কিংবা নির্দিষ্ঠ ব্যাক্তির জন্য কাজ করেনি সরকার। সেবা সুশাসন গরিব কল্যাণের সকল সুবিধা ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারে নেমে কার্যকর্তারা এ কথা সকলকে বুঝিয়ে বলেছে। বক্সনগরের জনতা ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করে নতুন করে ভাবনা চিন্তা করছে। মানুষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বক্সনগর এবং ধনপুরে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১ সেপ্টেম্বর।। বক্সনগরে রেকর্ড ভোটে জিতবে বিজেপি। তা উপলব্ধি করতে পেরেছে বিরোধী সিপিএম। তাই আর উন্নয়নের জন্য ভোট চাইছে না। শুধু আন্দোলন করার জন্য ভোট চাইছে। কিন্তু বক্সনগরে মানুষ আর আন্দোলন চায়না। তারা উন্নয়ন চায়। পঁচিশ বছর বহু আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। উন্নয়ন বিজেপির পুঁজি। তাই বক্সনগরের জনতা উন্নয়নকে বেছে নেবে। বক্সনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে সাংগঠনিক কাজে অংশ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাগুলি বলেন বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। শুক্রবার বক্সনগরে সাংগঠনিক কাজে অংশ নেন মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। কাজের ফাঁকে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তিনি বলেন ভোটের ফলাফল কী হবে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বক্সনগর এবং ধনপুরে রেকর্ড ভোটে জিতবে বিজেপি। জোটের কোন প্রভাব পড়েনি এখানে। কংগ্রেস মুছে গিয়েছে। এবারের ভোটে বামেদের অস্তিত্ব থাকবে না। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মানুষের চিন্তা চেতনার পরিবর্তন ঘটেছে। গত আঠারো এবং তেইশে উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখে ভোটারদের বিভ্রান্ত করে ভোট আদায় করেছে সিপিএম। সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করেছে। অপপ্রচার গুজব ছড়িয়ে কিছু দিন মানুষকে বোকা বানানো যায়। কিন্তু চিরদিন বোকা বানানো যায় না। মানুষের হাতের মুঠোয় গোটা পৃথিবী। সংখ্যলঘু ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হচ্ছে। মানুষের চোখ খুলে গিয়েছে। সিপিএমের বিভেদের রাজনীতি মানুষ বুঝতে পারছে। মানুষ অভিজ্ঞতার নিরিখে উপলব্ধি করছে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জামানায় দেশের কোথাও একটি দাঙ্গা হয়নি। বরং সংখ্যালঘুদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। তাই সারাদেশে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে বিজেপির সংগঠন মজবুত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ যাচ্ছে না বক্সনগর। এখানকার মানুষ উন্নয়নের কথা বলছে। আগে এ-সব বলার সুযোগ ছিল না। কথা বলার অধিকার ছিল না। এর থেকে প্রমাণ হয় ধীরে ধীরে সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। সমাজ পরিবর্তন বিজেপির মূল লক্ষ। সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে। আগামী আট তারিখ গেরুয়া আবিরে অকাল হোলি খেলতে প্রস্তুত হচ্ছে বক্সনগরের জনতা। আন্দোলন নয়, জয়ী হবে উন্নয়ন।
কমিউনিস্ট পার্টির অবিংশ বাধিত নেতা প্রয়াত বিধায়ক সমীর দেব সরকারের খাস তালুকে ফের ভাঙ্গন ধরালো শাসকদল বিজেপি।
কমিউনিস্ট পার্টির অবিংশ বাধিত নেতা প্রয়াত বিধায়ক সমীর দেব সরকারের খাস তালুকে ফের ভাঙ্গন ধরালো শাসকদল বিজেপি। সমীর দেব সরকারের নিকট আত্মীয় পরিজনসহ ৩১ পরিবারের ১০৩ জন ভোটার সিপিএম দল ত্যাগ করে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন। এদিন নবাগতদের দলে ভাজপার দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাদের দলে বরণ করে নেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার। এই দিনের যোগদান সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সম্পাদক তাপস কান্তি দাস, সম্পাদক প্রণব দেবনাথ পৌর পরিষদের কাউন্সিলর শঙ্কু পাল মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক মাধব চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। যোগদান সভায় নবাগতদের বরণ করে মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার বলেন, প্রগতি এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য ও দেশ। ভারতীয় জনতা পার্টির একজন কর্মী হিসেবে আজ আমরা গর্ববোধ করতে পারি। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজ্যে যে উন্নয়ন কর্মযোগ্য চলছে তাতে উদ্বুদ্ধ এবং আকৃষ্ট হয়ে প্রতিদিন মানুষ দলে দলে বিজেপির পতাকাতলে শামিল হচ্ছেন। প্রতিদিন খোয়াই মন্ডলের বিভিন্ন বুথে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানের ফলে বিজেপি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে।আগামী দিনে প্রয়াত বিধায়ক সমীর দেব সরকারের খাস তালুক শিঙিছড়ায় বাম দুর্গের পতন ঘটিয়ে সবকা সাথ সবকা বিকাশ সেই চিন্তাধারা নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি কাজ করে যাবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই দিনের যোগদান সভায় সমীর দেব সরকারের নিকট আত্মীয় তাপস দেব সরকারের নেতৃত্বে ৩১ পরিবারের ১০৩ জন ভোটার বিজেপি দলে সামিল হন।
‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আগে দিল্লির কংগ্রেস সভাপতি বদলে দিল হাইকমান্ড! কী বার্তা কেজরীওয়ালকে?
মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বদল করলেন মল্লিকার্জুন খড়্গে। অনিল চৌধুরিকে সরিয়ে ওই পদে আনা হল প্রাক্তন মন্ত্রী তথা একদা বিজেপি নেতা অরবিন্দ সিংহ লভলিকে। এই পদক্ষেপের ফলে লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-র সঙ্গে কংগ্রেস আসন সমঝোতা সম্ভাবনা নতুন মাত্রা পেল বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
২০০৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দিল্লিতে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন লভলি। ২০১৩-১৫ দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদেও ছিলেন। ২০১৭-য় কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পাঁচ বারের এই বিধায়ক। কিন্তু বছর দেড়েকের মাথাতেই আবার রাহুলের উপস্থিতিতে ‘হাত’ শিবিরে ফিরে আসেন। সম্প্রতি দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে আপের সঙ্গে সমঝোতা না-করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হয়। সেই উদ্যোগে ‘ভূমিকা’ ছিল দলিত নেতা লভলিরও। তবে তুলনায় বেজেপি বিরোধিতাকে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
মুম্বই বৈঠকের আগে দিল্লিতে তৎপরতা, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনের বোন সনিয়া-রাহুলের কাছে
মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আগেই তেলুগু রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের আঁচ মিলল। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি এসে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডির বোন ওয়াইএস শর্মিলা। সূত্রের খবর, শর্মিলা তাঁর দল ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টিকে মিশিয়ে দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শর্মিলা বলেন, ‘‘এ বার তেলঙ্গানার ভোটে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভরাডুবি হবে।’’
গত ১১ অগস্ট দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন শর্মিলা। হায়দরাবাদ ফিরে অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির কন্যা বলেছিলেন, ‘‘শীঘ্রই আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি।’’ জগনের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে শর্মিলা বছর দু’য়েক আগে তেলঙ্গানার ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছেড়ে প্রয়াত বাবার নামে নতুন দল গড়েছিলেন। জগন-শর্মিলার মা বিজয়াম্মাও পরে সেই দলে শামিল হন।