প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৮ ফেব্রুয়ারি:- গন্ডাছড়া শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর সেবা আশ্রমের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও শ্রী শ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের ৪৬ তম বাৎসরিক মহোৎসব উদযাপন শুরু হয়েছে। এবারের উৎসবের নাম যজ্ঞের শুভ সূচনা হয় শনিবার থেকে এবং এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গঙ্গা আহবানের মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্বোধন হয়। এটি একটি অত্যন্ত আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যা প্রতিটি ভক্তের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ সুগম করে।
উৎসব কমিটির সম্পাদক প্রমিল দেব জানান, শনিবার ভোর ৪ টা থেকে শুরু হয়ে, ৫ দিনব্যাপী এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত। এটি পূর্বের উৎসবগুলোর মতোই হরিনাম যজ্ঞের মাধ্যমে প্রতিপালিত হবে। উৎসবটি শ্রী শ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আস্থা প্রকাশের একটি মহৎ উদ্যোগ। পাঁচ দিনের এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক চর্চা ও ভক্তির মাধ্যম হয়ে ওঠে, তেমনি ধর্মীয় শিক্ষার প্রচারের জন্য এটি একটি বিশাল উপলক্ষ।
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর সেবা আশ্রমের কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সমাজে এই অনুষ্ঠানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়, এবং তা মানুষের মন ও মনের মধ্যে শান্তি এবং আনন্দের সৃষ্টি করে। প্রতিটি ভক্ত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চান এবং এতে আধ্যাত্মিক শুদ্ধতা ও বিশ্বাস স্থাপন করতে আগ্রহী।
এছাড়াও, প্রমিল দেব আরও জানান যে, এই ধর্মানুষ্ঠানকে সফল করতে সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে এটি আরও সফল এবং সার্থক হবে। উৎসবের সময়কালে সেবার উদ্দেশ্যে অসংখ্য ভক্ত আশ্রমে উপস্থিত হয়, এবং এই মহোৎসবটি তাদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র দেবের বাৎসরিক মহোৎসবকে ঘিরে ভক্তবৃন্দদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভক্তরা ধর্মীয় আনন্দে মগ্ন হয়ে এবং একত্রিত হয়ে এই আধ্যাত্মিক উপলক্ষের অংশ হতে চান। পাঁচ দিনের এই অনুষ্ঠান ধর্মীয় পরম্পরা ও আধ্যাত্মিক চর্চার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে, এবং এটি প্রত্যেক ভক্তের জন্য এক বিশেষ ধর্মীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
উৎসবের সাফল্য কামনা করতে এবং সেই উদ্দেশ্যে সবাইকে একত্রিত হতে হবে, যেন একত্রে সবাই শ্রী শ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র দেবের মহিমা প্রচার করতে সক্ষম হয়।
বিনোদন
রইস্যাবাড়ি সেক্টরে গন্ডাছড়া কৃষি দপ্তরের সীড মানি চেক, কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১ ফেব্রুয়ারি:- গন্ডাছড়া কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার রাইমা এবং বোয়ালখালী এডিসি ভিলেজের সুবিধাভোগীদের নিয়ে সীড মানি চেক বিতরণ এবং ওয়াটারশেড যাত্রা প্রকল্প অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রইস্যাবাড়ি সেক্টরের অধীন মান্য কুমার পাড়া এসবি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই.এম ভবা রঞ্জন রিয়াং। তাছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং, ই.এম রাজেশ ত্রিপুরা, রইস্যাবাড়ি ব্লকের বিডিও সুরজিৎ রিয়াং, প্রজেক্ট ম্যানেজার চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, গন্ডাছড়া মহকুমা কৃষি আধিকারিক চন্দ্র কুমার রিয়াং, গন্ডাছড়া এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নকল জয় ত্রিপুরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের রিষা এবং ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সহ অন্যান্য অতিথিরা। সেখানে উদ্ধোধনী সংগীত পরিবেশন করেন মান্য কুমার পাড়া এসবি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। এরপর একে একে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা। এদিন রাইমা এবং বোয়ালখালী এডিসি ভিলেজের আঠারোটি সেল্ফ হেল্প গ্রুপের হাতে ৩০,০০০ টাকা করে ব্যাংক চেক তুলে দেন অতিথিরা। তাছাড়াও দুটি ভিলেজের কৃষক এবং জুমিয়াদের হাতে বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২২৩ জানুয়ারি।। বিশালগড়ে শুরু হল দুই দিনব্যাপী সৃজন উৎসব। বৃহস্পতিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে বিকাল চারটায় বিশালগড় ব্লক সংলগ্ন বাইপাস সড়কে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, বিডিও নান্টু দেব প্রমুখ। সৃজন উৎসবের কার্যক্রমের অঙ্গ হিসাবে এদিন দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় ঘুরি উড়ানোর উৎসব। উৎসবে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সহ বিভিন্ন দপ্তর স্টল খুলে বসেন। এছাড়া সৃজন উৎসব উপলক্ষে ভ্রাম্যমান কুকুরদের টিকাকরণ, বাল্যবিবাহ রোধে আলোচনা সভা, যক্ষামুক্ত ব্লক গঠন করার সংকল্প গ্রহণ সহ বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজ বিভিন্ন স্টলে প্রদর্শনী করা হয়েছে । অনুষ্ঠানে বিশালগড়ের প্রাচীন ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের মিশেলে একটি মুখপত্র প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন এ ধরনের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনোমক্ষী কার্যক্রম এই মেলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি বলেন বর্তমান সরকার গ্রামীণ অর্থনীতির বুনিয়াদ মজবুত করেছে। কৃষকদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে সকল সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। সারাদেশে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা নেই। ফসল বীমা যোজনার সহায়তা পাচ্ছে কৃষকরা। এছাড়া সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা করেছে। মহিলারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে অল্প সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য খুলছেন। মাতৃ শক্তি জাগরণের পাশাপাশি মাতৃ শক্তির আর্থিক সমৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে সরকার। স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমে যুবকদের চাকরি প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে সকলের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বিশালগড়ের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। স্থানীয় শিল্পীরা দুদিনের অনুষ্ঠানে সংগীত নৃত্য পরিবেশন করবেন। এছাড়া ইসকনের প্রভুদের হরিনাম সংকীর্তন থাকবে। শুক্রবার ভিন রাজ্যের শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রতিনিধি শান্তির বাজার: আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জোলাইবাড়ী পশ্চিম পিলাক দ্বাদশ শ্রেণীর বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে, শুরু হলো তিনদিন ব্যাপি “পিলাক প্রত্ন পর্যটন মেলা -২০২৫” , এই মেলা ১৯শে জানুয়ারি থেকে ২১শে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এই পিলাক প্রত্ন ও পর্যটন উৎসবের প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে শুভ সূচনা করেন পরিবহন এবং পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, উদ্বোধকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের লোক প্রিয় বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং পি .টি.জি দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, মনু বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাইলাফু মগ,
জোলাই বাড়ি ব্লক বি.এস.সি চেয়ারম্যান অশোক মগ , দক্ষিণ জেলা সভাধিপতি দীপক দও সহ অন্যান্যরআ উপস্থিত ছিলেন। এই মেলায় সভাপতি আসনায় অলংকৃত করেন জোলাই বাড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি চেয়ারম্যান তাপস দত্ত। মেলায় উপস্থিত তিথিরা আলোচনা করতে গিয়ে মেলা তাৎপর্য এবং গুরুত্ব তুলে ধরেন উপস্থিত জনসম্মুখে। পাশাপাশি মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া আলোচনা করতে গিয়ে বলেন একসময় জোলাই বাড়ি উন্নয়ন অনেকটা পিছিয়ে পড়ছিল। এখন বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনায় সারা রাজ্যের পাশাপাশি জোলাই বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রেও উন্নয়নের কাজ চলছেই দ্রুত গতিতে। আরো বলেন এখন সাধারণ মানুষ লরাই আন্দোলন ছাড়াই নিজেদের অধিকার পাচ্ছেন। অপর দিকে দেখা গেল মেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে স্টল খোলা হয় যেগুলির মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গুলি তুলে ধরা হয়। ফিতা কেটে এই স্টল গুলির মেলায় আসা লোকজনদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন উপস্থিত অতিথিরা। মেলায় আসা লোকজনদের আনন্দ দিতে মেলায় রাজ্য এবং বহিরাজ্য থেকে আগত প্রতিভাবান শিল্পীদের দ্বারা পরিচালিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৪ জানুয়ারি:- বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম মকর সংক্রান্তি তথা পৌষ সংক্রান্তি। আর এই মকর সংক্রান্তি মানেই গ্রাম বাংলার মানুষের মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি। অনেকেই এই পৌষ সংক্রান্তিকে পিটাপুলির উৎসব বলে থাকেন। পুরানো প্রথা অনুসারে প্রতিবছরই গ্রাম বাংলার মানুষ তাদের উঠানে আলপনা আঁকা সহ নিজ হাতে পিঠাপুলি তৈরি করে এবং সংক্রান্তির দিন সকাল থেকে গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে ভগবান হরির উদ্দেশ্যে লুট দেওয়া হয়। প্রতিটি হিন্দু সমাজের মানুষ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনের আনন্দে লুট ধরে থাকে। অন্যান্য বছরের মতো এই বছর তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বছরও রাজ্যের সমস্ত এলাকার পাশাপাশি ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার দেবনাথ পাড়া, সাহা পাড়া, হরিপুর, ব্লক টিলা, ১২ কার্ড, ২০ কার্ড, ৩৬ কার্ড, ৬০ কার্ড, ৩০ কার্ড, পাল পাড়া, মন্ডল পাড়া, মল্লিক পাড়া, চন্দ্র কিশোর পাড়া, রমেশ কবিরাজ পাড়া, মনোরঞ্জন দাস পাড়া, জয়কিশোর পাড়া,নিখিল সরকার পাড়া সহ বিভিন্ন হিন্দু গ্রামে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় হরির উদ্দেশ্যে লুট। চলে অনেক রাত পর্যন্ত। এলাকার ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক এবং প্রবীণ ব্যক্তিরাও আনন্দের সাথে হরিণ লুট ধরতে দেখা যায়। লুট শেষে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় খিচুরি প্রসাদ ভক্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ডট কমের যুগে শহর অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি হরির লুটের আনন্দ তেমন ভাবে চোখে না পড়লেও গ্রাম অঞ্চলে এই প্রথা আজও অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-১৩ই জানুয়ারী সোমবার কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন,তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর,গৌরনগর ও চন্ডীপুর ব্লকের যৌথ উদ্যোগে শৈবতীর্থ ঊনকোটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মকর সংক্রান্তি মেলা।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা,জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর ও শ্যামল দাস,সহ-অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দেব,মহকুমা কল্যাণ আধিকারিক মতিরঞ্জন দেববর্মা এবং সমাজকর্মী পিন্টু ঘোষ ও প্রীতম ঘোষ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায়।স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার।সরকারী উদ্যোগে প্রতিবছর এই শৈবতীর্থ ঊনকোটিতে মকর সংক্রান্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয় ।এছাড়াও বাসন্তী পূজার সময় অনুষ্ঠিত হয় অশোকাষ্টমী মেলা।বক্তব্য রাখতে গিয়ে সকলেই গৌরব গাঁথা উনকোটির ভাস্কর্য,ঐতিহ্য ও প্রাচীন শিল্পকলার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। এছাড়াও ঊনকোটির সংস্কার এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি পর্যটকদের কিভাবে আকৃষ্ট করা যায় সে বিষয়ে আরকেলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দায়িত্ব নিয়ে এই কেন্দ্রকে সাজিয়ে তোলা এবং পর্যটকদের জন্য সমস্ত কিছুর পরিষেবা অব্যাহত রাখার উপর জোর দেওয়া হয়।এই মকর সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি কমলপুর,কুমারঘাট,ধর্মনগর থেকে শিল্পীরা তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন এবং সারারাতব্যাপী পদাবলী কীর্তনের আসর অনুষ্ঠিত হয় পুন্যার্থীদের জন্য।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- রবিবার উদয়পুর শিশু উদ্যানে উদয়পুর সাংস্কৃতিক মঞ্চের উদ্যোগে আট দিনব্যাপী ৭ তম শিশু উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ সূচনা করেন অর্থ পরিকল্পনা ও সমন্বয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় । এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , উদয়পুর পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার , উদয়পুর সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি গৌতম নন্দী, শিশু উৎসব কমিটির আহ্বায়ক তথা সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী সহ আরো অনেকে। এদিন শিশু উৎসব ২০২৫ এর স্মরণিকা উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় সহ অতিথিবর্গরা। পাশাপাশি, কলা উৎসবে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে দিশা লোধ, নবরূপ ভট্টাচার্য, মনোজিৎ দেবনাথ এই তিন জন কৃতিত্ব লাভ করেছে তাদেরকে সম্বর্ধনা প্রদান করেন। এই শিশু উৎসবকে কেন্দ্র গোমতী জেলা ছাড়াও দক্ষিণ ও সিপাহীজলা জেলা থেকে ১৬০০ জনের অধিক বেশি ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেন।
এদিন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, শিশুদেরকে আধ্যাত্মিক পরিবেশে নিয়ে আসা জন্য শিশু উৎসব করা প্রয়োজন। শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের শিশু উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি, আজকের এই বিশেষ দিনে উদয়পুর সাংস্কৃতিক মঞ্চের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেছেন তিনি। তিনি আরোও বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ দ্বারা শিশুদের পরিপূর্ণ পরিচর্চা করার মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাজ এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব। এদিন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক অভিভাবিকাদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১০ জানুয়ারি।। বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হয় হরিনাম মহোৎসব। শনিবার বিকাল পাঁচটায় বিশালগড় শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিও মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার ভক্ত। স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেবের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। কয়েক হাজার সনাতনী নরনারী দু-হাত তুলে ইসকন ভক্তদের সঙ্গে হরিনামের তালে নেচে গেয়ে শোভাযাত্রা প্রাণবন্ত করে তুলেন। রাজপথ সনাতনী ভক্তদের দখলে চলে যায়। কার্যত তিল ধারনের জায়গা ছিল না। শেষে বিশালগড় নিউ টাউন হলে আয়োজিত হরেকৃষ্ণ মহানাম উৎসবে অংশ নিয়েছে অগণিত ভক্ত। সেখানে ইসকন ভক্তদের হরিনাম কীর্তন চলে দীর্ঘক্ষন। উপস্থিত সকল সনাতনী ভক্তদের মুখে মুখে ধ্বনিত হয় হরেকৃষ্ণ মহানাম। কৃষ্ণ নাম আর প্রভু ভক্তদের নাচের ছন্দে টাউন হল কার্যত ব্রজধামে পরিনত হয়। সবশেষে প্রসাদ গ্রহণ করেন উপস্থিত ভক্তরা। স্মরণাতীত কালে বিশালগড়ে এমন সাড়া জাগানো হরেকৃষ্ণ মহানাম শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে কারোর জানা নেই। হরিনামেই মিলে শান্তি এবং মুক্তি। এই হরিনামে নয়া ইতিহাস গড়লো বিশালগড়।
রাত পোহালেই ২৫শে ডিসেম্বর তথা বড়দিন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি অন্যতম বিশেষ পার্বন। পুরানে কথিত রয়েছে এই দিনেই খ্রীষ্ট ধর্মের প্রবর্তক তথা যীশু খ্রীষ্ঠ জন্মগ্রহন করেছিলেন। তাই যীশুর জন্মদিন উপলক্ষে সর্বত্রই প্রতিবছর আনন্দে মাতেন খ্রীষ্ঠধর্মাবলম্বীরা। ত্রিপুরাতেও চলছে বড়দিন পালনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট দারচৈ এডিসি ভিলেজেও বড়দিনকে কেন্দ্রকরে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। শহরের বাজারে চলছে বড়দিনের কেনাবেচা। বুধবার বড়দিন তথা যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন। এই উপলক্ষে রকমারিভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গোটা দারচৈ গ্রামকে। বড়দিনের ষ্টার এবং খ্রিষ্টমাস ট্রি সহ বাহারী আলোকসজ্জায় দারচৈ গ্রামের রাস্তাঘাট নিজেরাই সাজিয়ে তুলছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ব্যাক্তিগতভাবে যার যার বাড়ীর সামনে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তুলেছেন তারা। এলাকার বাসিন্দা থাঙলিয়ানা দার্লং জানিয়েছেন, বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত বারোটা থেকে শুরু হবে তাদের অনুষ্ঠান যা চলবে আগামী তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত। বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় গির্জায় চলবে প্রার্থনা থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। যীশুর জন্মদিনকে ঘিরে রকমারি খাওয়া দাওয়া থেকে নতুন পোশাক পরে ঘুরাঘুরি সহ চলবে তাদের আনন্দ উৎসব। একটি বছর পর প্রভূ যিশুর জন্মদিন উদযাপন ঘিরে এলাকার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বেজায় খুশি বলে জানালেন এলাকার ঐ বাসিন্দা।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স নিয়ে এসেছে ‘শুভ বিবাহ উৎসব’। আগামী ১৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই উৎসবের আয়োজন হতে চলেছে।
‘শুভ বিবাহ উৎসব’- ভারতীয় ঐতিহের এই উদযাপন ২০০৯ সালে আগরতলায় শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স সাফল্যের সঙ্গে সূচনা করে। পরে কলকাতার কয়েকটি প্রধান আবাসন ও বিশিষ্ট সামাজিক ক্লাবও এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে।
এরপর যত সময় গড়িয়েছে ততই এই উৎসবের মান ও জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল, ভারতীয় ঐতিহ্যের উদযাপন করা ও বিয়ের মরসুম উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য বিয়ের গয়নার নতুন সম্ভার নিয়ে আসা I
এবারের আয়োজন আরো বিশেষ হতে চলেছে। এই বছর সোনা এবং হিরের বিয়ের গয়নার এক সম্পূর্ণ নতুন সংগ্রহ নিয়ে আসা হয়েছে। যা শুধুমাত্র বিয়ের মরসুমের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন এবং কারুকাজ করা হয়েছে।
এই উৎসব উদযাপন করার জন্য গ্রাহকদের জন্য লাকি ড্র, উপহার আর বিশেষ আকর্ষণীয় অফারও রাখা হয়েছে …
রয়েছে সোনার গয়না প্রতি গ্রাম মজুরিতে ৩৭৫ টাকা ছাড়।
হিরের গয়না তৈরির মজুরিতে ৭৫% ছাড়।
প্রতি কেনাকাটায় নিশ্চিত উপহার ।
এছাড়া থাকছে ডেইলি লাকি ড্র-এ গৃহস্থলীর সামগ্রী ।
আর সব কিছুই আয়োজন করা হয়েছে বিয়ের মরসুমের জন্য।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স এই উপলক্ষে এক স্পেশাল প্রিভিউয়ের আয়োজন করেছিল। যেখানে সোনা ও হিরের গয়নার এবছরের ‘শুভ বিবাহ সম্ভার’ সকলের সামনে তুলে ধরা হয়। এছাড়া যেসব অফার, ছাড় আর লাকি ড্র রাখা হয়েছে সে সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয়।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন, “আসলে ভারতীয় বিবাহ অনুষ্ঠান হল একটি পরম্পরা ও আবেগ। এর সঙ্গে জুড়ে থাকে এক অদ্ভুত রোমান্টিসিজম। তাই আমরাও শুভ বিবাহ উৎসবের সময় সবসময়ই ‘ব্রাইডাল জুয়েলারি উইথ সেন্টিমেন্টস অ্যাটাচড’-এর কথা বলি, কারণ সকলের কাছেই বিয়ের এক আলাদা অনুভূতি রয়েছে। যা হৃদয়ের অন্তরে খুব সযত্নে সাজানো থাকে। আর এজন্যই আমাদের এই প্রয়াস খুবই বিশেষ।”
সংস্থার আরেক ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন,”বিয়ের মরসুমে আমাদের ‘শুভ বিবাহ উৎসব‘ হলো ভারতীয় ঐতিহ্যের এক বর্ণময় উদযাপন। ২০০৯ সালে আগরতলা শাখায় একটি ইন-স্টোর উপস্থাপনা দিয়ে এটি শুরু হয়েছিল। কলকাতার কয়েকটি প্রধান আবাসন এবং বিশিষ্ট সামাজিক ক্লাবের সঙ্গে পরে যুক্ত হয়। এই উৎসব এখন একটি বার্ষিক উদযাপন হয়ে উঠেছে।” তিনি বলেন, “এই বছরের সংস্করণটি আরো বিশেষ। এবারের আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সোনা ও হিরের গয়না তৈরির মজুরিতে বিশেষ ছাড় সহ অফার, প্রতিটি ক্রয়ের সাথে নিশ্চিত উপহার, আর সাথে ডেইলি লাকি ড্র।”
‘ শুভ বিবাহ উৎসব’ অফারটি শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর ত্রিপুরার আগরতলা, ধর্মনগর ও উদয়পুর শোরুম ছাড়াও কলকাতার সব ( গড়িয়াহাট, বেহালা ও বারাসাত) শোরুমেও ১৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চলবে।
সকলের জন্যে শুভ কামনা জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয় ।