প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যকে মাছ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে এবং বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভর করে তোলার মানসিকতায় তাদেরকে তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে আজ সকাল সাড়ে এগারোটায় কৈলাসহর সার্কিট হাউজে তফশিলি জাতি কল্যাণ ও প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এবং মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস তিন দপ্তরের আধিকারিক দের নিয়ে জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠকে যোগদেন।আজকের পর্যালোচনা বৈঠকে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক,জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা, কৈলাসহর ও কুমারঘাটের মহকুমা শাসক সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।আজকের বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন ফিশারী ডিপার্টমেন্ট,এস সি ওয়েলফেয়ার ও পশুপালন দপ্তর সহ তিন দপ্তরের রিভিউ মিটিং হয়েছে।আজকের রিভিউ মিটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০২৪ -২৫ অর্থ বর্ষে আমরা যে সমস্ত স্কীম এবং প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি তার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে জেলায় এবং এর আগের মিটিং অর্থাৎ প্রথম রিভিউ মিটিংয়ে আর্থিক বছরে যে টার্গেট রেখেছি সেটার কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে।কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে সমস্যা আছে কোন জায়গায় আমরা সফলতা পেয়েছি সার্বিক বিষয়ের উপর আজ দিনভর আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই অর্থ বছরে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে সেটা যাতে সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে পৌঁছায় তার কাজ যাতে হয় এবং আমরা যাতে আগামী বছর আরো বেশি উদ্ভাবনী ও পুনর্গঠন স্কিম নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি তার জন্য আজকের এই রিভিউ মিটিং।পাশাপাশি আমরা যে টার্গেট নিয়েছি ফিশারী ডিপার্টমেন্ট এবং প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের জন্য এই দুই দপ্তরকে কাজে লাগিয়ে মাছ মাংস ডিম দুধ যে উৎপাদন বর্তমান রয়েছে তা বৃদ্ধি করা যায়।আমাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের আলোচনা হয়েছে।এটা অস্বীকার করা যায় না যে এই বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে বিশেষ করে ফিশারী সেক্টরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।সেই ক্ষতিও আমরা কিভাবে পূরণ করতে পারি তার জন্য আমরা যে সমস্ত অর্থ দিয়েছি সেটা কতটা ইমপ্লিমেন্ট হয়েছে এবং এই যে উদ্ভট পরিস্থিতি হয়েছে এটা থেকে আমরা কিভাবে সারিয়ে উঠতে পারি তার ওপর আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।মূলত রাজ্যে মাছ ডিম এবং মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে মন্ত্রীর এই পর্যালোচনা বৈঠক বলে জানা যায়।তবে ২০১৮ সালের পূর্বে ঊনকোটি জেলায় ডিম মাছ মাংস উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান ছিল তা বর্তমান সরকারের হাত ধরে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আত্মনির্ভর মানসিকতায় বেকার যুবক-যুবতীদের তৈরি করতে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ভূমিকা ও অপরিসীম।
ত্রিপুরা
ধর্মনগর ।। ১৮ নভেম্বর ।।
নটরাজ কালচারেল সোসাইটি আয়োজিত ২য় কৃষ্ণ প্রিয়া আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ২০২৪ মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হলো গত কাল ধর্মনগর বিবেকানন্দ সার্ধ. শতবার্ষিকি ভবনে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন করেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার এডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে ।সন্মানিত অতিথি ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালি রানি দাস, বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট সমাজসেবি তথা সাংবাদিক সমর চক্রবর্তী, শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতীর নৃত্য বিভাগের সহ অধ্যাপক বসন্ত মুখোপাধ্যায়, বাংলাদেশ থেকে আগত আইনজীবী শায়লা খান্ প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনজন নৃত্যগুরু ববি চক্রবর্তী, বসন্ত মুখোপাধ্যায় ও জবা ঘোষ সুত্রধরকে অভিনব রূপে বরণ করেন নটরাজ কালচারেল সোসাইটির কর্ণধার শুভ্রজ্যোতি দে ।অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যে বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী ববিচক্রবর্তী কুচিপুড়ি নৃত্য পরিবেশন করেন ।বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী জবা ঘোষ সুত্রধর কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন । কলকাতা বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক তারকা নৃত্য শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করেন ।যেমন শান্তিনিকেতন থেকে সুদীপ্তা ঘোষ রবীন্দ্র নৃত্য ,বাংলাদেশ থেকে দীপ দত্ত আকাশ,লোকনৃত্য তাকওয়া দ্বীন সাইফ লোকনৃত্য কলকাতা থেকে শিল্পায়ন রায় ভরতনাট্যম , শিলচরের সৌরভ মজুমদার,ভরত নাট্যম তথাগত দাস,গৌড়ীয় নৃত্য সুদর্শনা চক্রবর্তীমনিপুরী নৃত্য প্রমুখ। এছাড়া ধর্মনগরের স্বনামধন্য চারটি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করে । পূর্নশ্রী নৃত্যাশ্রম, কলাঙ্গন,তমালিনীরছায়া, ও .নৃত্যাঙ্গন..উল্লেখ .গত ১৫ নভেম্বর থেকে নটরাজ কালচারেল সোসাইটি ১৭ ই নভেম্বর পর্যন্ত তিনদিনের রবীন্দ্রনৃত্যের একটি কর্মশালার আয়োজন করে । এই কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতীর সহ অধ্যাপক বসন্ত মুখোপাধ্যায় ও উনার সুযোগ্য শিষ্যা সুদীপ্তা ঘোষ । উচ্চমানের এই কর্মশালায় ধর্মনগরের অনেক শিল্পী যোগদান করে সমৃদ্ধ হয়েছে।
গোটা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ধর্মনগরের স্বনামধন্য বাচিক শিল্পী ও সঞ্চালিকা মণিকা ভট্টাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষিকা ডক্টর নন্দিতা চক্রবর্তী ।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া 17 নভেম্বর:- এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গন্ডাছড়া ত্রিশ কার্ড এলাকার ভাঙ্গা লোহার সেতুটি সাড়াই করে যান চলাচলের উপযোগী করে তুলে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর। প্রসঙ্গত গত ১৯ অক্টোবর গন্ডাছড়া -অমরপুর রাস্তার ৩০ কার্ড এবং ৬০ কার্ড এলাকার মধ্যবর্তী শর্মা নদীর উপর লোহার সেতু ভেঙ্গে পড়ার পর থেকে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল ৩০ কার্ড এলাকাবাসীর। এলাকার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁতার কেটে নদীর এপার ওপার হতে হয়েছিল। অনেকে আবার নৌকায় করে, কেউবা ভাঙ্গা লোহার ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো করে নদী পারাপার হতে হয় । এক্ষেত্রে একটু উন্নিশ বিশ হলেই শর্মা নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত । এরকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ত্রিশ কার্ড এলাকাবাসী সহ গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হত। অবশেষে পূর্ত দপ্তর দ্রুততার সাথে লোহার ব্রীজের সারাইয়ের কাজ শুরু করে এবং এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে যান চলাচলের স্বাভাবিক করে তুলে। তাতে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
গন্ডাছড়া হাসপাতাল বিল্ডিং সংস্কারের কাজ শুরু, স্বস্তির নিঃশ্বাস এলাকাবাসীর
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৪ নভেম্বর:- দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের বেহাল বিল্ডিং সংস্কারে হাত দেয় গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর। জানা যায় বহিঃ রাজ্যের রেট্রোফিটিং নির্মাণ সংস্থা বিল্ডিং সংস্কারের বরাত পায়। প্রায় ৪ কোটি টাকার কাজ। জানা যায় ভূমিকম্প থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে এই হিসেবে বিল্ডিং ঘরটি তৈরি করা হচ্ছে। ভূমিকম্প আসলেও যাতে ঘরটি ক্ষতি না হয় এ পরিকল্পনা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মাণ সংস্থা গত ১০ দিন যাবত দ্রুততার সাথে কাজ শুরু করে। ১৮ মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্মাণ সংস্থা এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ৮ থেকে ১০ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা জানান। উল্লেখ্য উক্ত নির্মাণ সংস্থা ইতিমধ্যেই সুনামের সাথে নীরমহল এবং রাজবাড়ী সংস্কারেরর কাজ করে। স্মরণ করা যেতে পারে দীর্ঘ বছর ধরে মহকুমা হাসপাতালের দ্বিতল বিল্ডিং ঘরটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় অসুস্থ রোগীরা হাসপাতালে আসতে ভয় পাচ্ছে। কোন কোন সময় বিল্ডিং এর চাঁদের প্লাস্টার খসে পড়ে রোগী থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সবার মাথার উপর। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হচ্ছে। মহকুমাবাসীরা বেহাল বিল্ডিং ঘরটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার দাবি জানিয়ে আসলেও এতকাল কারুর কোন কর্ণপাত ছিল না। অবশেষে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ নেয়। আর তাতে খুশি গোটা এলাকার সাধারণ মানুষ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মহল । উদয়পুর সুকসাগর জলায় তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বন্যার জল এখনো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে জমির মধ্যে । এর ফলে কৃষকরা শীতের মরশুমে কোন ধরনের ফসল ফলাতে পারছে না । এই বছরের আগস্ট মাসের ২১ তারিখ এক ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল সারা রাজ্য জুড়ে । তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছিল গোমতী জেলা সহ উদয়পুর মহকুমা । শহর ও বিভিন্ন গ্রামীন এলাকার বন্যার জল সুক সাগর জলার মধ্যে গিয়ে পড়েছে। কিন্তু তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এই বন্যার জল কোথাও বের হতে পারছে না। জানা যায় , রেল দপ্তর থেকে তৈরি করা রেল ব্রিজের নিচে যে কালভার্ট তৈরি করেছে সে সকল কালভার্ট গুলি অনেকটা উচুর মধ্যে থাকার কারণে নিচে জমির জল বের হতে পারছে না । এর ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে উদয়পুরের কৃষকরা । সুক সাগর জলায় বন্যার জল থাকার কারণে জেলেরা এখনো মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। বন্যার কারণে যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমিগুলি এর ফলে বর্তমানে আরো সমস্যায় পড়েছে জমিতে চাষবাস না করার কারণে কৃষকদের সংসার প্রতিপালন এক মহাসংকটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছে কৃষক মহল। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ব্লক থেকে যদি কোন স্থায়ী সমাধান না বের করে তাহলে জমি গুলি আগামী দিনে কৃষি ফলানোর উপযুক্ত জমি হিসেবে হারিয়ে ফেলবে কৃষকরা। কিভাবে বন্যার জল বের করা যায় জমি থেকে তা নিয়ে জেলা প্রশাসন যেন ভাবনাচিন্তা করে তার আবেদন করেন কৃষক মহল।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৈলাসহরের প্রথম ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় শিশু নিকেতনের বর্ষ ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান মালার আজ বিকেলে তুহিন স্মৃতি মঞ্চে প্রথম ধাপের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী,পুর পরিষদের চ্যায়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন নিবন্ধক সুব্রত দেব ও প্রধান শিক্ষক মনোজ দাস প্রমুখ।আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির কনভেনার তথা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অরূপ দেব চৌধুরী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন সমাজ কল্যাণ দপ্তরে দপ্তরে কিছুদিন আগে লোক নেওয়া হয় অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার পদে।সেখানে দেখা যায় যারা টি আই টি ও এন আই টি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করেছে এ ধরনের ছেলেরা সেখানে সুপারভাইজারের জন্য ইন্টারভিউ দেয়।উত্তীর্ণ হয়ে তারা চাকুরি নিয়েছে। এখন ভাবুন একটা ছেলে যখন এন আই টির মত ইনস্টিটিউট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তার স্বপ্ন থাকে একটা বিলাসবহুল ঘরে বসবে।কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করবে।বড় বড় বিল্ডিং এর ডিজাইন করবে।সেই যুবকটির স্বপ্নপূরণ হয়নি কেননা তাকে ছোট থেকেই আত্মনির্ভর হওয়ার মানসিকতায় তাকে গড়ে তোলা হয়নি।নতুন এডুকেশন পলিসি এনেছে কেন্দ্র সরকার।নতুন পলিসি বলছে আত্মনির্ভর মানসিকতায় পড়াতে হবে ছেলে মেয়েদেরকে।তাদেরকে আত্মনির্ভর মানসিকতায় গড়ে তুলতে হবে।অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন নিবন্ধক সুব্রত দেব, বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেব রায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী।প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী বলেন এই বিদ্যালয়ে উনার পুত্র পড়েছে।সে মারা যাবার পর এই বিদ্যালয়ে তার নামে তুহিন স্মৃতি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবছর এই ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধীকারীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হয়।আজ তিনি তুহিন স্মৃতি মেমোরিয়াল ট্রাস্টে পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থ রাশি তুলে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী।অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা শিক্ষাধিকারীক প্রশান্ত কিলিকদার তার বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।অনুষ্ঠান শেষে শহরজুড়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে।জানা গেছে অনুষ্ঠান মঞ্চ টি পাঁচ দিন পাঁচ জনের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী অনন্ত পাল শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনুষ্ঠান মঞ্চে আসতে পারেননি বলে জানা যায়।অনুষ্ঠান শেষে অঙ্কুর নামে একটি পত্রিকার আভরন উন্মোচন এবং বৃক্ষরোপণ করেন অতিথিরা।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১৪ নভেম্বর:- ১৪ ই নভেম্বর প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও ডুম্বুর বার্তা ম্যাগাজিনের উদ্যোগে ডুম্বুরনগর আইসিডিএস প্রজেক্ট এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় গন্ডাছড়ায় শিশু মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর শিশু মেলার আয়োজন করা হয় জয় কিশোর পাড়া’স্থিত বুলংবাসা অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে। সেখানে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে মেলার শুভ সূচনা করেন এলাকার সমাজসেবী অজন্তী বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উক্ত অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের ওয়ার্কার, হেলপার, ডুম্বুর বার্তা ম্যাগাজিনের কর্ণধার সহ এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গগণ। এই দিন শিশুদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে নিত্য, আবৃত্তি সহ বিভিন্ন ইভেন্টে খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কৃত করা হয়। তাছাড়াও দিদিমনির হাতে একটি মাটির পুতুল সহ শিক্ষনীয় বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এ দিনের শিশু মেলা’কে ঘিরে এলাকার কচিকাঁচা শিশু এবং অভিভাবকদের মধ্যে দারুন উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। উদ্যোক্তারা জানান আগামী দিনেও তাদের এই কর্মসূচি জারি থাকবে। এছাড়াও এদিন গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবৃত্তি, নিত্য ও সংগীত পরিবেশনায় ছিল জমজমাট অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের বি আর সি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল খজেন্দ্র ত্রিপুরা, প্রাতঃ বিভাগের প্রধান শিক্ষক সমুল্য চন্দ্র বিশ্বাস, এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাগন। সেখানে শিশু দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল এবং প্রাতঃ বিভাগের প্রধান শিক্ষক। অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-হাঁস,মোরগ ছাগল প্রতিপালনের পাশাপাশি নতুনভাবে খরগোশ প্রতিপালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের পাঁচটি প্রজাতির খরগোশের বাচ্চা তুলে দেওয়া হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র কৈলাসহরের উদ্যোগে কৈলাসহর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় নিজের বসত ভূমিতে জৈব পদ্ধতিতে খরগোশ প্রতিপালনের উপর প্রশিক্ষণ শিবির ও খরগোশ বিতরণ অনুষ্ঠান।জানা গেছে রাজ্যের মধ্যে প্রথম কৈলাসহর স্থিত কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে এই ধরনের খরগোষ প্রতিপালনের উপর কর্মশালা ও খরগোশ বিতরণের অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় সিনহা,এ আর ডি ডি দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর রাহুল ধর পুরকায়স্থ,সিনিয়র সায়েন্টিস্ট বিশ্বজিৎ বল, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক ডঃ চন্দ্রা দেববর্মা প্রমূখ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র সাইন্টিস্ট বিশ্বজিৎ বল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন আজকের অনুষ্ঠানে উন্নত প্রজাতির খরগোশ বিতরণ করা হবে। যা মাংস হিসেবে বিক্রি করা যাবে। প্রত্যেকের গৃহপালিত পশু রয়েছে। এই গৃহপালিত পশু গুলির পাশাপাশি তিনটি করে খরগোশ দেওয়া হবে। তাছাড়া দশ রকমের উন্নত প্রজাতির সবজির বীজ দেওয়া হবে। যা বেনিফিশিয়ারিরা তাদের বাড়ির উঠানে কিংবা ঘরের পিছনে রোপন করে সবজি উৎপাদন করবেন। সেই সবজি তাদের প্রয়োজন মতো তারা ব্যবহার করতে পারবেন। তার মধ্যে যে উদ্বৃত্ত সবজি রয়ে যাবে তা খরগোশকে দেওয়া যাবে বলে তিনি বলেন। এক একটি খরগোশ চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন হয়ে যায় যদি বৈজ্ঞানিকভাবে চাষ করা যায়। খরগোশ গুলি বাচ্চা দেওয়ার পর সেই বাচ্চা গুলি তিন মাস প্রতিপালন করার পর সেই বাচ্চা গুলি দুই থেকে তিন কেজি ওজন হয়ে গেলে বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে। তিন মাস অন্তর অন্তর খরগোশগুলি বাজারজাত করা যাবে। তিনি খরগোশ গুলিকে খুব যত্ন করে প্রতিপালন করার জন্য বলেন। প্রত্যেক বেনিফিশিয়ারিকে দুটি করে মেয়ে খরগোশ ও একটি পুরুষ খরগোশ দেওয়া হবে। তিনি খরগোশ গুলির সাথে ট্রাক দিয়ে যে দুইজন বৈজ্ঞানিক রাজস্থান থেকে ছয় দিনের যাত্রা করে তিন হাজার কিলোমিটার পার হয়ে কৈলাসহর এসেছেন তাদের উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন ভারতবর্ষের আর কোথাও মনে হয় না কোন বৈজ্ঞানিক ট্রাকে করে ছয় দিনের যাত্রা করে কোথাও গিয়ে এ ধরনের কাজ করেছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন দুধ, মাছ ও মাংসের রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য মন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন কাল আমবাসায় মন্ত্রীর সুধাংশু দাস রিভিউ মিটিং করেছেন। আজ ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন তিনি যখন চাকুরী করতেন তখন সেই সুবাদে একদিন খরগোসের মাংস খেয়েছিলেন। খরগোশের মাংস যে সুস্বাদু তিনি তখন জানতেন না। পরবর্তী সময় চাকুরী থেকে অবসর পাওয়ার পর তিনি নিজেও বাড়িতে খরগোশ প্রতিপালন করেছেন। অনুষ্ঠানে সুদূর রাজস্থান থেকে আগত বৈজ্ঞানিকরা তাদের বক্তব্যে বলেন রাজ্যের মধ্যে এই জেলাতেই প্রথম খরগোশ প্রতিপালনের উপর কর্মশালা ও খরগোশ বিতরণ করা হয়েছে।কৃষি ক্ষেত্রে উর্বর এই জেলায় খরগোশ প্রতিপালনের পাশাপাশি কৃষিজীবীদের আয়ের উৎস বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের সার বীজ প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সামগ্রিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ রতন দাস।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বুধবার ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে ২৮ তম রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসব ও বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা,রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী,ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ,ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী,পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়,জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা এবং চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চ্যায়ারম্যান সম্পা দাস পাল প্রমুখ।প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী।স্থানীয় বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন প্রতিযোগিতা মূলক ও যুবদের বার্ষিক সমাবেশ হচ্ছে যুব উৎসব।বর্তমানে দেশের বিকাশে যুবদের ভূমিকা অপরিসীম।তিনি রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসব কৈলাসহরে করার জন্য মন্ত্রী টিংকু রায়কে ধন্যবাদ জানান। রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসবের উদ্বোধক মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রীরামপুর স্থিত সূর্যমনি মেমোরিয়াল হাইয়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ে।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মডেল গুলো আমরা দেখব।এই হলে উপস্থিত প্রত্যেকেই আমরা সেখানে যাব।যেখানে ১৩০টির ও বেশি বিজ্ঞান মডেল থাকবে এই মেলায়। পূর্বে আগরতলা থেকে কৈলাসহর আসতে ছয় ঘন্টা সময় লাগতো।আজ আমরা আড়াই থেকে তিন ঘন্টায় চলে আসতে পারি।এখানে অনেক যুবকরা রয়েছেন এক সময় জাতীয় যুব উৎসবে শামিল হয়েছেন।সেই সমস্ত যুব উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য আগরতলা থেকে বাসে চেপে গৌহাটি গিয়ে সেখানে এক রাত্র থেকে পরের দিন ট্রেনে করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়েছে। আজ আগরতলা শহর থেকে ১৫ থেকে ১৬ টি ট্রেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে যায়।যার জন্য গৌহাটি থেকে যেতে হয় না।আমাদেরকে আত্মনির্ভর মানসিকতায় এগিয়ে যেতে হবে।সেই মানসিকতায় নিজেদের ছোট থেকে বড় করতে হবে। আমরা যেন নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারি।অন্যকেও যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারি সেভাবে যেন আমরা তৈরি হই।আমাদের রাজ্য ছোট হতে পারে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা উত্তর পূর্বাঞ্চল নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক এগিয়ে।আমাদের ছোট্ট রাজ্যে যদি দেখি এখানে ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবার উৎপাদন হয়। আমাদের রাজ্যে যে বাঁশ রয়েছে সেই বাঁশ শিল্পের উপর ভিত্তি করেও অনেকের রোজগারের ব্যবস্থা হতে পারে।আত্মনির্ভর মানসিকতায় আমাদের তৈরি করতে হবে।আমরা মৃন্ময়ী মায়ের প্রতিযোগিতা করছি। নিজের মার জন্য একটি ঘর তৈরি করতে পারি না।যার জন্য সরকারকে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করতে হচ্ছে।এটা সামাজিক ব্যাধি।আজ হলে যারা আমরা বসে আছি আমাদের সংকল্প নিতে হবে যাতে আমরা আমাদের অভিভাবকদের নিজের ঘরে রেখে সেবা করতে পারি। রাজ্যভিত্তিক প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের পর রাজ্যের আটটি জেলা থেকে আসা শিল্পীরা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মূলত লোকনৃত্য,লোকগীতি পেন্টিং,কবিতা ও গল্প লিখন সহ ১২ টি বিষয়ের উপর রাজ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞান মেলায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রিয়াং জনজাতিদের আরো বেশি মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ ।
প্রতিনিধি শান্তির বাজার :আজ শান্তিরবাজার মহকুমায় বীরচন্দ্র মনু দখল সিং রিয়াং পাড়ায় জনজাতি অংশের লোকজনদের সঙ্গে তাদের অভাব অভিযোগের পাশাপাশি ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার দখলকৃত জায়গাতে মোটরস্ট্যান্ড নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া জায়গা সমস্যা নিরাশনের লক্ষ্যে সরজমিনে সরকারি আধিকারিকসহ প্রতিনিধি দল নিয়ে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা পরিদর্শন করেন আজ। মন্ত্রী পরবর্তী সময়ে ছুটে যান ব্রু সংগ্রংমা মন্দির প্রাঙ্গনে সেখানে জনজাতীয় অংশের লোকজনদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেন এবং মন্দির প্রাঙ্গণে স্বচ্ছ ভারত অভিযান করেন মন্ত্রী । আজকের এই পরিদর্শন এবং বৈঠকে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল অফ তিপ্রাসা হদার সহ-সভাপতি তথা ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং, বীরচন্দ্র মনু দক্ষিণ জোনাল জয়েন চেয়ারম্যান হরেন্দ্র রিয়াং ,রিয়াং সম্প্রদায়ের সমাজপতি খবা রিয়াং, ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার সভাপতি বীরেন্দ্র রিয়াং সহ অন্যান্যরা। আজকের এই মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে রিয়াং জনজাতিদের জনকল্যাণমুখী সাত দফা দাবি সনদ জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা হাতে তুলে দেন ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার তরফ থেকে। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আলোচনা করতে গিয়ে বলেন এই ধরনের সামাজিক সংস্থাগুলি রক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে। শ্রীমন্ত্রি আরো বলেন সমাজ সচেতন করার পাশাপাশি যুবকদের নেশার থেকে বিরত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করার সামাজিক সংগঠনগুলিকে । বৈঠক শেষের মন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন সংগ্রংমা মাঠে দ্বিতল বিশিষ্ট একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে দ্রুত, পাশাপাশি লংদ্রায় মন্দিরের জায়গাতে পাট্টা প্রদান করা হবে, এবং পূজোকে কেন্দ্র করে ছুটি ঘোষণা বিধানসভায় আলোচনা করা হবে, পাশাপাশি মন্দির প্রাঙ্গনে একটি হোস্টেল নির্মাণ সহ ইত্যাদি আশ্বাস প্রদান করেন মন্ত্রী। জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পেরে খুশি রিয়াং জনজাতি অংশের লোকজন।